প্রতিটি ফিলিস্তিনি মা’কে হত্যা করার ঘৃণিত আহ্বান জানিয়েছেন ইসরাইলের এক মহিলা সংসদ সদস্য। ইসরাইলের উগ্র-জাতীয়তাবাদী জিউইশ হোম পার্টির সংসদ সদস্য আইলেত শাকেদ ফিলিস্তিনিদের সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করে গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে চলমান আগ্রাসনের সময়ে প্রতিটি ফিলিস্তিনি মাকে হত্যার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যে সব ফিলিস্তিনি মা তার ভাষায় ‘ক্ষুদে সর্প ছানার’ জন্ম দিচ্ছে তাদের হত্যা করতে হবে।
আইলেত শাকেদ আরো বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের মরতে হবে এবং তাদের ঘরবাড়ি চুরমার করে দিতে হবে; তাহলেই তারা আর কোনো সন্ত্রাসী পুষতে পারবে না। সব ফিলিস্তিনি ইসরাইলের শত্রু এবং তাদের রক্তে ইসরাইলিদের হাত রাঙাতে হবে।’ নিহত কথিত সন্ত্রাসীদের মায়েদের জন্যও এ কথা সত্য বলে উল্লেখ করেন আইলেত শাকেদ।
সব ফিলিস্তিনিকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে তাদেরকে হত্যা করতে বলায় আইলেতের এ ঘৃণিত আহ্বানকে নিঃসন্দেহে গণহত্যার উস্কানি হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
কতটা হিংশ্র, উগ্র, সাইকো মনোভাবাপন্ন হলে একজন সংসদ সদস্য এমন আহবান জানাতে পারেন !!
এমন হিংশ্রতার অবসান চাই ।
সুত্রঃ লেখার লিংক
২৫টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
ওরা মুখে নয় কাজে তা দেখাচ্ছে ।
তাতে তো বিশ্ববাসীর কোন সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না ।
মানবাধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে না কারও ।
যাযাবর
এতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে না। মানবাধিকার এখন লিফটে আটকে পরে আছে।
রাতুল
ওরা তো মুখে নয় কাজেই দেখাচ্ছে, এখন মুখে বলতে কি সমস্যা ??
যাযাবর
কতবড় অমানবিক হলে এমন কথা মুখে আনা যায় ভাবা যায় না ।
খসড়া
বাহ চমতকার আহ্বান।
যাযাবর
এর চেয়ে চমৎকার আহ্বান আর হয়না ভাই।
বনলতা সেন
বিচারের বানী কুয়ইল দেয় । ধিক্ বিশ্ব মানবতা ।
যাযাবর
:p
প্রজন্ম ৭১
এমপিকে দেখতে তো মাশাল্লাহ নায়িকার মত। এর মুখ থেকে এমন কথা !! জাতিসংঘ তুমি কোথায় ?
যাযাবর
প্রেমে পরবেন না যেনো ।
মোঃ মজিবর রহমান
amierikan manobodhikar ekhon kuttay bialy
যাযাবর
(y)
জিসান শা ইকরাম
তাজ্জব হয়ে গেলাম এই এমপির মনোভাব দেখে।
যাযাবর
এই মহিলা মানব জাতির কলংক ।
শিশির কনা
ঘৃনা করি এই মানসিকতা।
যাযাবর
ইসরাইল নিপাত যাক ।
আজিম
জঘন্য আহ্বান।
তবে এটার কারনও আছে। মুসলমানরা যুদ্ধ-বিগ্রহে যত অর্থ ব্যয় করে, শিক্ষা-দীক্ষায় সে-তূলনায় কিছুই ব্যয় করেনা। শিক্ষা ও প্রযূক্তিতে উন্নতি করার কোন ইচ্ছা অথবা পরিকল্পনা, যতদুর জানা যায়, কিছুই নাই মুসলমানদের। আগে মুসলমান সমাজের প্রায় সকল ক্ষেত্রের প্রতিনিধিত্ব ছিল। অন্য সম্প্রদায়ের মনীষীগন মুসলমান মনীষীগনের কাছ আসতেন প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য। চিকিতসা বিজ্ঞানে অনন্য অবদান রেখে গেছেন ইবনে সিনা।
মুসলমানদের আজকের অবস্থা থেকে পরিত্রানের উপায় হচ্ছে, সারা বিশ্বের মুসলিম নেতাদের স্বপ্ন দেখতে হবে, অতি নিকট-ভবিষ্যতে তারা জ্ঞান-গরিমা-প্রযুক্তির প্রতিটি শাখায় নিজেদের অবস্থান অন্যান্য জাতির চেয়ে উন্নত অবস্থানে নিয়ে যাবেন, তা বলবনা, তাদের পাশাপাশি থাকবেন। জীবনের-সমাজের-রাষ্ট্রের-বৈশিকের প্রতিটি শাখায় তারা কেবলমাত্র শিক্ষা এবং প্রযূক্তিগত জ্ঞানের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব বজায় রাখতে পারেন। শুধুমাত্র এভাবেই মুসলমান সমাজ জেগে উঠতে পারে, অন্য কোনভাব অর্থাৎ যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে কখনই তা সম্ভব নয়।
আল-কায়েদা, আইএসআইএস অথবা আইএসআইএল এগুলোর কোনটা দিয়ে মুসলমানদের শৌর্য-বীর্য প্রতিষ্ঠিত হবেনা শুধু শুধু লোক ক্ষয় ছাড়া।
যাযাবর
একমত আপনার সাথে ।
লীলাবতী
কোন মহিলা এ ধরনের জঘন্য চিন্তা করতে পারে, তা স্বপ্নেও ভাবা যায়না।
যাযাবর
এমন চিন্তা পাগলের মাথায়ও আসবে না ।
মা মাটি দেশ
একেই বলে নারী ধন্য তুমি
যাযাবর
-{@
আমার আছে নীল
বর্তমানের ডাইনি এসব মহিলা।
যাযাবর
এরাই আধুনিক ডাইনি ।
মিথুন
এমন নারী কখনো মমতাময়ী মা হতে পারবেন না ।