পৌরাণিক ভস্ম থেকে উঠে আসে বেদনার পাখি বিবর্ণ প্রজাপতি ছুটে যায় কালো জল নদীটির কাছে অস্তমিত সব কথা অতীতের নিবিড় অতলে ঘুমিয়েছে আমাদের অন্তর্গত অলীক শহর
পাপা, ক্যান আই টেল ইউ এ্যা স্টোরি অব ডগ।
আমি কলম সরিয়ে রাখলাম, গভীর মনোযোগে তাকালাম মেয়ের দিকে। আধো আধো কথা তার। বোঝা না-বোঝার এক আশ্চর্য পৃথিবীতে বসবাস সদ্য খেলতে খেলতে পড়ালেখা শেখার চেষ্টা করা শিশুটির।
সস্নেহে বললাম, বলো মা।
ওয়ানস আপঅন এ্যা টাইম। থিংক, ইটস এ্যা মিলিয়ন ইয়ার এ্যাগো। দেয়ার ওয়াজ এ্যা ডগ। ওহ! নো! সরি! নট ডগ পাপা। এ্যা নাইস হটডগ দেয়ার।
বাংলায় বলো মাগো। বাংলা তো তুমি পারো, তাই না!!
অফকোর্স আই ক্যান, পাপা। ওকে, দেন আই মেক ইট ইজি ফর ইউ। সেই হটডগটা থাকতো একটা ফুড কোর্টে। একদিন সে শুনলো, ডাউন টাউনে একজন মানুষ ভেরি পুওর এন্ড হাংরি…
তুমি কিন্তু মা বাংলায় বলছো না!!
ওহ! সরি! লেট মি প্লিজ ট্রাই এগেইন- দেন, একজন মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছিলো তো, সেটা জেনে হটডগটার চোখে জল চলে এলো। সে ছুটে গেলো মানুষটার কাছে! মানুষটা হটডগটাকে দেখে ভীষণ খুশি, ফিলিং গ্রেটফুল- পাপা, গ্রেটফুল বাংলা কি হবে??
কৃতজ্ঞ!
থ্যাংক ইউ পাপা। কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ মানুষটা হাসিমুখে হটডগটাকে খেয়ে ফেললো। হটডগটা কিন্তু কিছুই বললো না। নিজের জীবন দিয়ে মানুষটাকে বাঁচালো। ইউ নো, দেন মানুষটার অনেক এ্যানার্জি এন্ড পাওয়ার হলো। এন্ড মানুষটা দেন ওয়েন্ট টু ফুড কোর্ট এন্ড ভেরি ক্রুয়েলি সব হটডগ খেয়ে ফেললো। দ্যাটস অল। আচ্ছা পাপা, মানুষ পচা হয় খুব, তাই না!!
না, মা। মানুষ আসলে খুব ভালো হয়। বড়ো হও, তখন বুঝবে।
ওকে পাপা। ক্যান আই হ্যাভ এ্যা চকোলেট নাও?
ঠিক আছে মা। উমম। এই যে, তোমার জন্য।
চকলেট নিয়ে মেয়ে চলে যাবার পর আবার আমি কলম নিলাম হাতে। আবার শুরু করলাম লেখা। না গদ্য, না পদ্য। অর্থহীন। কিছু না লেখার মতো অনেকটা। অনেকটা হ-য-ব-র-ল জাতীয়। লিখলাম আবার, আবার লিখলাম-
পৌরাণিক ভস্ম থেকে উঠে আসে বেদনার পাখি বিবর্ণ প্রজাপতি ছুটে যায় কালো জল নদীটির কাছে অস্তমিত সব কথা অতীতের নিবিড় অতলে ঘুমিয়েছে আমাদের অন্তর্গত অলীক শহর
ছবি: সংগৃহীত
২৭টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
কি বলব বুঝতে পারছি না। ব্যার্থতাটা কোথায়? নাকি এটাই বাস্তবতা। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া।
দীপংকর চন্দ
হয় কিংবা নয়!!!
কোনটা ঠিক বোঝা মুশকিল সম্ভবত!!!
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন ভাই।
ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।
আবু খায়ের আনিছ
আমি সব সময় ভালোর দলে ভাইয়া। একটা মজার কথা বলি, আমার স্যার আমায় বলে আনিছ যদি কখনো শুনেছি তুই অসুস্থ তাহলে তখন থেকে তর উপর আলাদা ট্যাক্স বসাব আমি। আমাকে ট্যাক্স দিয়ে যাবি অসুস্থ হলে।
আপনিও ভালো থাকবেন ভাইয়া।
দীপংকর চন্দ
হা হা হা হা
বেশ কথা তো!!!
শুভকামনা ভাই। পুনরায়।
জিসান শা ইকরাম
প্রথম লেখায় জানিয়ে দিলেন আপনি লিখতে পারেন।
শিরোনাম থেকে চোখ যাচ্ছেনা কোনোদিকে …………
স্বাগতম সোনেলায় -{@
শুভ কামনা।
দীপংকর চন্দ
কি যে বলেন!!!
লেখার চেষ্টা বলাই ভালো বরং!!
আন্তরিক মন্তব্যে আপ্লুত ভাই।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
নীতেশ বড়ুয়া
পূরান পাখি মানুষ বৈ অন্য কিছু নয়, বারংবার ভুল করে আবার সেই ভুল থেকে নিজেই নতুন করে ফিরে আসে।
খুবই সুন্দর করে বলেছেন ভাই। :c -{@
দীপংকর চন্দ
অসম্ভব সুন্দর মন্তব্যে অসম্ভব ভালো লাগা ভাই!
শ্রদ্ধা জানবেন।
এবং শুভকামনাও। অনিঃশেষ।
সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক।
নীতেশ বড়ুয়া
-{@
দীপংকর চন্দ
পুনরায় শুভকামনা ভাই। অনেক।
নীলাঞ্জনা নীলা
বহুদিন পর একটি অসাধারণ গল্প পড়লাম। গল্প কি? সত্যি সব দেখা। একেবারে নিজের চোখে।
দেশের বাইরে আছি ২০০৩ থেকে। আমাদের বাসায় একটা অলিখিত নিয়ম আছে, দরোজার এপাশে শুধুই বাংলা। তাই আমার ছেলেটা বেশ ভালো বাংলা বলে।
স্বাগতম সোনেলার ভূবনে। 🙂
দীপংকর চন্দ
কিছু কথা!!
গল্পের মতো অথবা কিছুই নয় হয়তো শেষঅবধি!!
আপনাদের বাসার অলিখিত নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা থাকছে। অনেক।
ভালোবাসা আপনার ছেলের জন্য।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।
শুন্য শুন্যালয়
চমৎকার সোনেলা সূচনা আপনার। হযবরল ভাবনার মতো লেখাও কিছু আসবার নয় আর। এই জটিল ভাবনা প্রকাশ করেই বা কি করে! আমার অবস্থাটা আরো বেশি করুন। তা আর নাই-বা বললাম।
অসাধারন লেখা আর সোনেলায় পদার্পনে আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা। -{@
দীপংকর চন্দ
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
কৃতজ্ঞতা।
উত্তরের বিলম্বের জন্য দুঃখপ্রকাশ। অনেক।
আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। অনেক ভালো।
অরুনি মায়া
শুরুতেই সুন্দর একটা গল্প উপহার দিলেন |
চমৎকার ভাবনা আপনার!
শুভ কামনা রইল |
আশা করি আমাদের সাথে থাকবেন 🙂
দীপংকর চন্দ
ধন্যবাদ অরুনি মায়া। অনেক।
অশেষ কৃতজ্ঞতার কথা জানাচ্ছি।
এবং শুভকামনাও। অনিঃশেষ।
ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন উত্তরের বিলম্ব।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
স্বাগত আপনি এখানে, এ সামান্য পরিসরে।
অসাধারণ শুরু দিয়ে শুরু করলেন।
মন চাইলে লিখবেন, পড়বেন ও,
পাঠক হব অবশ্যই।
দীপংকর চন্দ
কৃতজ্ঞতা ভাই।
পরিসর কেমন তা তো জানিনা!! হঠাৎ করেই আসা। নীতিমালা ভালো লাগলো। এবং প্রথম দেখায় মনে হলো ভালো কিছু মানুষও আছেন এখানে। আশাকরি আপনাদের সাথে ভালো কাটবে সময়।
ক্ষমাপ্রার্থণা থাকছে উত্তরের বিলম্বের জন্য।
শুভকামনা অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
অরুণিমা
গল্পে মুগ্ধ হলাম দাদা।
দীপংকর চন্দ
অনেক অনেক ধন্যবাদ অরুণিমা।
কৃতজ্ঞতা। অনেক।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
আর বিলম্বিত উত্তর ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন অবশ্যই।
অপার্থিব
দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এটাই বাস্তবতা। লেখাটি দারুণ ছিল।
দীপংকর চন্দ
ধন্যবাদ। অনেক। অনেক।
মন্তব্যে শ্রদ্ধা।
অামার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
দুঃখপ্রকাশ উত্তরের বিলম্বের জন্য।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
ড্রথি চৌধুরী
বাহ!! কঠিন বাস্তবতা দিয়ে মারাত্মক সূচনা করলেন!! :c
চমৎকার গল্প উপহার দিলেন !!
স্বাগতম সোনেলা পরিবারে -{@
আশা করি সব সময় এমন লেখা পাবো 🙂
লিখতে থাকুন …। আপনার লিখা পড়তে চাই 🙂
দীপংকর চন্দ
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
কৃতজ্ঞতা এবং কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনাও। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়। অনেক ভালো।
দীপংকর চন্দ
ভুলে গেছি ক্ষমাপ্রার্থণার কথা!
উত্তরের বিলম্ব ক্ষমা করবেন।
শুভকামনা।
লীলাবতী
স্বাগতম সোনোলায়।এমন ভালো ভালো লেখা দিয়ে সরব থাকুন।
দীপংকর চন্দ
লীলাবতীকে ধন্যবাদ। অনেক।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন উত্তরের বিলম্ব।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
কৃতজ্ঞতা।