পৃথিবী সুন্দর

নীরা সাদীয়া ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, ০৮:৩৭:০৭অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১৬ মন্তব্য

একটা মানব শিশু প্রথম যখন পৃথিবীর বুকে আসে, তখন সে তার নিজস্ব সৌন্দর্য নিয়েই আসে। অবাক বিষ্ময়ে চোখ মেলে উপভোগ করে পৃথিবীর আলো, হাওয়া, সবুজ আর আকাশের নীল। সে ভাবে অপূর্ব সুন্দর এই পৃথিবীর সবকিছু নিশ্চই সুন্দর – মানুষ, মানুষের মন, প্রকৃতিসহ সবকিছু খুব সুন্দর। এই ধারনা নিয়ে বেড়ে উঠতে থাকে শিশুটি। একটা সময় তার ধারনার সাথে বাস্তবতার সংঘর্ষ হয়। সে জানতে শুরু করে পৃথিবীর বৈপরীত্য, বুঝতে শুরু করে নিষ্ঠুরতা, চিনতে থাকে পৃথিবীর আসল রূপ। তখন তার ধারনা বদলাতে থাকে, দূষিত বাতাসের ছোঁয়া লাগে হৃদপিণ্ডে, দূষিত অক্সিজেন পরিবহন করে দূষিত হয় ধমনী। চারপাশের মানুষের মনের বিষাক্ততা শিশুর মনকে বিষিয়ে তোলে, শিশু বেড়ে ওঠে আর বিষে নীল হয়। নীল হতে হতে একসময় তার ভেতরের সরল স্বত্বার অপমৃত্যু ঘটে। এভাবেই তৈরি হয় একটি বিষাক্ত মানুষ।

এই উত্থান পতনের ক্রান্তিলগ্নে সে বারবার ভাবে, “আমার হয়ত কোথাও ভুল হচ্ছে। পৃথিবী আসলে খুব সুন্দর। ” যতবার তেমনটা ভাবে ততবার ধাক্কা খায়। এমন একটা সময় থাকে যখন মনের সৌন্দর্যটা হারিয়ে যাবার ভয়ে হৃদয়ের গহীনে রূপোর কৌটায় বন্দী করে রাখে, আর আনমনে ভাবে “পৃথিবী সুন্দর। ” তখন সে যাই দেখে তাই সুন্দর লাগে। কিন্তু একটা সময় আসে যখন বন্দী থাকতে থাকতে তার ভেতরটা শুকিয়ে যায়, কৌটোর ভেতর ভোমরাটা মরে যায়। তখন হাজার মানুষ এসে বললেও সে আর বিশ্বাস করতে চায় না…

“পৃথিবী সুন্দর”

১১৫৬জন ১০৯১জন
0 Shares

১৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ