যখনই দু’চোখ মেলে আকাশচোখে আকাশ দেখি
ছোট্ট সেই দুষ্টু দুষ্টু নীল পাখিটিকে খুঁজি:
খুঁজি প্রশান্ত সৌন্দর্য্যের।
ডাকি, নীল পাখি এসো এসো,
ভেসে ওঠে নীলাকাশে হৃদয় আর্তির প্রসারী বার্তা।
পাখির নূতন জীবন নূতন দৃশ্য, কাঁচুলি আর ওড়না ছিড়ে ফেলে
প্রকৃতির স্বচ্ছতায় পেখম মেলে ঐ আকাশের বনে
নীল জ্যোৎস্নায়, সচেতন অবচেতনে ছিল কোন প্রগাঢ় বন্ধন
যা অটুট আজও।
শ্রান্তের ক্লান্ত উল্লাসে খাঁচার ফাঁক গলে উড়ে যাওয়া
নীল পাখিটি ফুল নিয়ে আজও আসে, এই অবেলায় ও।
রাই…
৬৪টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
রাই বুঝি এবার নীল পাখি হয়ে গেলো? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ইদানিং কঠিন লেখেন মন্তব্য করেন, এখন চুড়ান্ত কঠিন প্রশ্ন করে
বসে আছেন। ঘটনা কী ? একটু বুঝিয়ে বলুন।
প্লিগ লাগে।
শুন্য শুন্যালয়
কবির মনের উত্থানপতনের চাইতে কঠিন কিছু হতেই পারেনা।
ছাইরাছ হেলাল
লেখকের মনে উথাল পাতাল থাকতেই পারে, তাই বলে
তাকে কঠিন কঠিন বাক্যবাণ প্রেরণ ঠিক না ভাই।
শুন্য শুন্যালয়
প্রশ্নটা হলো রাই আর পাখি তো দুইটা নাম ধরেছি লিস্টে, ওটা কি এখন থেকে একটাই ধরবো?
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু আমি হাসতে হাসতে এক শেষ। :D) :D)
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহা।
সুপার্ব প্রশ্ন (y)
শুন্য শুন্যালয়
😀
দেখোনা আপু, এক লেখায় দুই নাম ঢুকাইছে, এরপর কোনদিন এক লেখায় সব নাম এনে জমা করে বলবে সবই একজন।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু আমার পেট ফেঁটে যাচ্ছে। :D) :D)
ছাইরাছ হেলাল
হেসে পেট ফাটিয়ে আপনাদের সুবিধানুযায়ী এক দুই তিন চার বিশ বাইশ
যা খুশি ভেবে নিন।
বাব্বাহ, শাঁকচুন্নিদের বানিয়ে ফেলেছে।
ব্লগার সজীব
নীল পাখির ফুল নিয়ে ফিরে আসতেই হবে।রাই পর্ব চলুক।রাইকে অত্যন্ত সাহস করে ফুল দিলাম একটি -{@
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা অবশ্যই তাকে ফিরে আসতে হবে,
সক্ষম পুরুষদের ফুল দেয়ার অভ্যাস তৈরি করা খুব জরুরি।
আপনি সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করেছেন।
শুন্য শুন্যালয়
পাখির নূতন জীবন নূতন দৃশ্য, আর কবির লেখায় নূতন মাত্রা। সহজ লেখায় ত্রিতাল আর ঠুমড়ির আবেগ দেয়া গেলে, এতদিন কই ছিলেন? সত্যি বলছি ভীষণ সুন্দর।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, নূতন মাত্রার প্রশংসা পেয়ে আমার ও নূতন ভাবে শুরু করতে ইচ্ছে হচ্ছে।
আপনি এখানের কবিগুরুর কাছের মানুষ, কত কই ই না দেখতে পান।
ছিলাম এখানেই ভাইয়া, রংয়ের রঙয়ে ভয় পেয়ে আড়ালে-আবডালে চলে গিয়েছিলাম।
আপনাদের বিশ্রামের সময় টুপ করে উঠে একটু নিঃশ্বাস নিচ্ছি।
“সত্যি বলছি ভীষণ সুন্দর” এমন সুন্দর কথাটি বার বার বলতে হয়,মনে থাকে যেন।
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা আরেকবার বলছি, ভীষণ সুন্দর। নীল জ্যোৎস্নায় নীল পাখি উড়ছে, কাঁচুলি আর ওড়না ছিড়ে ফেলে। কবিতা পড়ে তাকে দেখতে পাইয়ে দেয়া কবির জন্য ফোর এন্ড হাফ প্লাস, আর বাকি হাফ, ইশ কবে এমন করে লিখবো !!
ছাইরাছ হেলাল
ইস্, কী কৃপণ রে বাবা, বলে কয়ে প্রশংসা নিতে হয়। পাখির কথা শোনালাম।
আপনি এর থেকে সব সময় ই ভালো লেখেন।
মেহেরী তাজ
রাই এবার পাখি! বুঝতেছি ইহা বহুদিন যাবত আমাদের সাথেই থাকিবে।
হুম রাই পাখি হোক,মাছ হোক,যাই হোক হেলাল ভাইয়া একান্ত অনুভুতীই লিখবেন কবিতা নয়। :p
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবে, থাকতেই হবে রাই কে।
পিচ্ছিটা (আরে না এখন বড়) যখন বলছে একান্ত অনুভুতি ই চালু থাকবে।
মেহেরী তাজ
আচ্ছা থাক। আমার জন্য ভালোই। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
নীল, আমার বড়ো দূর্বল একটা নাম, শব্দ, রঙ। ওই শব্দটা যেখানে থাকে আমি জানি কেমন হয়ে যাই।
নীল আমার অনেক গভীর ভালোবাসা।
এটা কিন্তু ঠিক না, আপনি আমার নীলও নিয়ে নিচ্ছেন। মজার কথা বলি, আমার বড়ো মেশো(খালু) ছোটবেলায় আমায় ব্লু বার্ড নয়তো নীল পাখী বলে ডাকতো। বাপি ডাকতো নীলমন, আর ফেসবুকে সুরঞ্জনা বুবু ডাকে আমায় নীলমনিলতা, রুমানা দিদি ডাকে নীল। তাহলেই বুঝুন কেন এতো প্রিয়!
তবে খুব সহজ-সাধারণ কবিতায় আপনাকে মানায় না। কিন্তু এখানে এসে ভাবতে ভালো লাগছে আপনি কবিতাকে পাঠকের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছেন। কবিতা কেন পড়েনা মানুষ জানেন? বোঝেনা বলেই কবিতার সাথে পাঠকের দূরত্ত্ব অনেক। (y) -{@
ছাইরাছ হেলাল
নীল নিয়ে এত্তো কিছু জানা ছিল না, এ ও ভাল এ লেখার সুবাদে আমারা জানাদের
আরও কাছে পৌঁছুতে পারলাম। এতো নীলের উপাখ্যান। নীলে নীল নীলাকার।
আর তাই বলে নীলের কপিরাইট আপনার হয়ে গেছে এটি মনে করার সাহস দুঃসাহসের
নামান্তর, কবিগুরু (সোনেলার)। আমার লেখায় ঘেটে ঘুটে দু’চারটি নীল আপনি পেলেও
পেতে পারেন। অতএব সামালকে গুরুনী।
তবে হ্যা, দুর্বোধ্যতা কবিতার প্রাণ বা মৃত্যু সমতুল্য।(আমি কবিতা লিখি না),আমার অক্রবক্র লেখা
আপনার বৃহৎ হৃদয়ের মহাত্ব নিয়ে পরেন প্রশংসা করেন এ অনেক পাওয়া(মিথ্যা)।
অবশ্যই ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
সত্য-মিথ্যার ধার ধারিনা। নিজের মনের মতো চলি, শুধু কারো ক্ষতি যাতে না হয় আমায় দিয়ে, ওদিকেই খেয়াল রাখি। যাক ভাগ্য ভালো আমি নীল পাখীকে ডাকেননি, তাহলে আসলেই কপাল মন্দ হতো।
বারবার বিদ্রূপ করছেন সোনেলার কবিগুরু বলে, এ কিন্তু ভারী অন্যায়। আপনার রাইয়ের ঠিকানা দিন নালিশ দেবো। মেহজাবিন, নন্দিনী, চিত্রাঙ্গদা এখন রাই। বাবারে লম্বা লাইন। আপনি তো দেখছি টম ক্রুজকেও হারিয়ে দেবেন!!! 😀 :p
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, আর যাই করুণ জানে-প্রাণে মারবেন না, কিচ্ছুতেই রাইকে
নালিশ দেবেন না। যদিও ঠিকানা দেয়ার মত ভুল করছি না।
ক্রুজ-ফ্রুজ কিছু না, দৌড়ে পালানো দেখে বুঝতে পারছেন না!!
নীল পাখিটিও আপনার!!
গুরু কে গুরুই বলতে হয়, তাতে বিদ্রূপের ছিটেফোঁটা ও থাকে না।
নীলাঞ্জনা নীলা
অবশ্যই নীল আমার। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, ধুয়ে ধুয়ে বা কামড়ে কামড়ে খেতে থাকুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি বলার কে? :@
জিসান শা ইকরাম
তোমার নীল নিয়েছে
আমার নিয়েছে পাখি
দস্যু কবির হাত থেকে কিছুই রক্ষা পাবেনা দেখি ^:^
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা কিছু একটা করতেই হয়। তুমি বলো। ;?
ছাইরাছ হেলাল
কিছু একটা করতেই হবে। এ ভাবে চলতে পারে না।
কভি নেহি।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমাকেই ভ্যাংচি কাটা! দাঁড়ান দেখাচ্ছি মজা কবিভাই। :@
অরুনি মায়া
থাক না নীল পাখি তার মনের মত করে ঐ দিগন্তে ডানা মেলে ঘুরে বেড়াক। তাকে ডেকে তার পায়ে বেড়ি পরিয়ে কি লাভ। একদিন দেখবেন ঘুমিয়ে আছেন আপনি আর ঐ নীল পাখি চুপটি করে এসে আপনাকে দেখে যাবে। আর ঘুম ভেংগে আপনি খুঁজে পাবেন তার ফেলে যাওয়া একটি নীল পালক,,,,,
কিন্তু এই রাই রহস্য আজো বুঝে আসল না 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনার মন্তব্য তো লেখাকেও ছুঁইয়ে ফেলছি। এত সুন্দর করে এই লেখক ও
ভাবছে কিনা আমার সন্দেহ করতে ইচ্ছে করছে।
সাথে থাকুন যেমন আছেন, রাইকে আপনার পছন্দ না হয়েই যায় না।
অরুনি মায়া
রাই কি তবে,,,,,,,,,,,, ,,,,,,,,, ,
ছাইরাছ হেলাল
শেষ করুণ, রাই তো রাই ই…………………………।
অরুনি মায়া
হুম এমন শূন্যস্থান পূরনের অনুমতি আরেকজনের উপর ছেড়ে দেওয়া কি ঠিক হল???? যদি অনিচ্ছাকৃত ভূল হয়ে যায়,,,,,,
ছাইরাছ হেলাল
কষ্ট করে সাথে থাকুন, একটু অপেক্ষা করে।
সব সব বুঝতে পারবেন অবশ্যই।
অরুনি মায়া
থাক বলতে হবেনা। আমি গুরুর কাছ হতে জেনে নিব,,,,, 🙁
শুন্য শুন্যালয়
লেখা দিয়েই ঘুমিয়ে গেলেন নাকি? ডাকে পাখি, খোল আঁখি দেখো সোনালী আকাশ, রাই এবার গান গাইতে শুরু করে দেবে দেইখেন। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু মনে হয় পালিয়েছেন আমার হুমকি-ধামকি শুনে। কি অবস্থা দেখো আমার নীল নিয়ে টানাটানি। কত্তো সাহস!!!
কবি ভাইয়ের কপালে খারাবি আছে শুন্য আপু
ছাইরাছ হেলাল
পালানোর কিছু নেই, রংয়ের ভয় পালাবো!! পালাবো কেন?
রং কিনে নিয়েছেন এ ভাবনা খোপায় রাখুন, দেখবেন বাইরে যেন না বেরোয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
খোঁপা? কোথায় পাবো?
আর রং? সে তো সব কবিতায় পেইন্ট করা হয়ে গেছে।
ছাইরাছ হেলাল
রং এ রং ময় চারিদিক।
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম রোমানা পেইন্ট। :D)
ছাইরাছ হেলাল
সে তো দেখতেই পাচ্ছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
কি?
ছাইরাছ হেলাল
রংধনু।
নীলাঞ্জনা নীলা
রঙ তো আমিও দেখি, আপনি আর —
ছাইরাছ হেলাল
কি দিন কালরে বাবা, মুখে কিছুই আটকাচ্ছে না।
ছাইরাছ হেলাল
ঘুমুতে পারলে ভালই হত, রাই এর হাতে পড়ে জীবন ছারখার।
তাও লেখাটি আপনারা ছুঁইয়ে দিচ্ছেন দেখে ভালো লাগল।
ভাল থাকবেন সাথে নেবেন এই চাই।
সীমান্ত উন্মাদ
শেষ দুইটা লাইন কিন্তু বেশি ভাললাগছেঃ “শ্রান্তের ক্লান্ত উল্লাসে খাঁচার ফাঁক গলে উড়ে যাওয়া
নীল পাখিটি ফুল নিয়ে আজও আসে, এই অবেলায় ও।”
কারন আমি জানতাম যে যায় সে এক্কেবারে চলেই যায়, আর ফিরে না। এখন দেখি না কেউ কেউ ফিরে আসে ভিন্নরুপে, ভিন্ন নামে।
অনেক অনেক ভাললাগা রেখে গেলাম তাই আপনার কবিতায়। শুভকামনা নিরন্তর জানিবেন।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, কেউ কেউ ফিরেও আসে আরো উজ্জ্বল হয়ে স্ব মহিমায়।
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
জিসান শা ইকরাম
আমার একটাই প্রানের প্রিয় পাখি আছে
সেটাও আপনি নিয়ে নিলেন?
আপনি খুবই খ্রাফ।
ছাইরাছ হেলাল
না না, কারো পাখি কেউ নিতে পারে না।
এখন কিন্তু বিস্তর পাখি এদিক-ওদিক
তানজির খান
শ্রান্তের ক্লান্ত উল্লাসে খাঁচার ফাঁক গলে উড়ে যাওয়া
নীল পাখিটি ফুল নিয়ে আজও আসে, এই অবেলায় ও।
যে বেলাতেই আসুক তাকে স্বাগতম।
ছাইরাছ হেলাল
এসেই যখন পড়েছে অবশ্যই স্বাগত।
ধন্যবাদ আপনাকেও।
লীলাবতী
পাখির নতুন জীবনকে ভালোভাবেই তুলে এনেছেন লেখায়।তাকে এভাবেই দেখতে চাই।শুভেচ্ছা লেখার পাখিকে।
ছাইরাছ হেলাল
এমন পাখিকে তো অবহেলে ফেলে রাখা যায় না,
তুলে নিতেই হয়, তুলে আনতেও হয়। আপনার শুভেচ্ছা পৌছে যাবে অবশ্যই।
অরুণিমা
পাখিকে যত্ন আত্তি করতে হয়,জানেন তো?যত্ন না পেলে পাখি আর ফিরে আসেনা।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, যত্ন নিয়েছি বলেই নূতন রূপে ফিরে এসেছে।
মরুভূমির জলদস্যু
ও রাই জাগো গো,
জাগো শ্যামের মনমোহিনী বিনোদিনী রাই
ছাইরাছ হেলাল
খুব দুষ্টু, জাগাবে জাগবে না।
তা বেশ বুঝতে পারছি।
প্রজন্ম ৭১
টিভি সিরিয়ালের পাখি ‘বোগেনা সে বোগেনা’ , আপনার পাখি তো সবই বোগে দেখছি,ফুল নিয়ে ফিরে আসে যে 🙂 (y)
ছাইরাছ হেলাল
খুব আধুনিক পাখি, ফুল দিতে নিতে জানে।
মিথুন
মমতা দিয়ে লেখায় আমিও খুঁজে পেলাম প্রশান্ত সৌন্দর্য্যের, প্রসারী বার্তার ডাক।
ফিরে ফিরে ফুল নিয়ে আসে তাই আপনাকে ভাগ্যবান ভাবতে চাই, কারন পাখি কারো হয়না।
ছাইরাছ হেলাল
পাখি কারো না হয়েই পারে না। কারো হয় বলেই ফিরে ফিরে আসে।
পাখির প্রতি প্রাণের ঐশ্বর্যময় ভালোবাসাই প্রকাশিত হয়েছে।
ভাল থাকুন আরও।