
অরণ্যতা নিয়ে হাঁটা পথে একটি সু-পুরুষ/সু-নারীর মত
ক্রমাগত দাঁড়িয়ে থাকে একটি বৃক্ষ, পত্রালী শাখা বিস্তারে;
হৃদয়বান/হৃদয়বতীর মত প্রচুর/প্রভূত পক্ষপাত পাখিদের প্রতি,
সারাক্ষণের ডাকাডাকি কানাকানি কেউ না কেউ,
কুয়াশা ভেজা পাতাদের গা-থেকে টুপটাপ গড়িয়ে পড়ে জল,
জল পড়ে, পাতারা নড়ে না;
হয়ত ফিরে-না-আসা পাখিদের দীর্ঘশ্বাস চুইয়ে পড়ছে।
সান্ধ্য-আঁধার নেমে এলে জোনাকিরা গল্পের আসর বসায়,
সারিসারি প্রদীপ জ্বেলে, বিলাপ-হীন রূপ-রেখায়,
ঝরো হাওয়া রুখে দাঁড়ানোর বিরল পাতারা আবার জাগে, সহজ-সবুজে,
প্রতিবেশী পেশল বৃক্ষদের তোয়াক্কা না করে, নরম রোদে গা –মেলে,
ধ্যানী-রহস্য –পথিকের অপেক্ষায়;
প্রশান্ত হৃদয়ে মুখ টিপে হেসেছিল (পথিক) ছায়া জিরনোতে,
সেই একটিবার-ই।
ছবি নেটের।
২৬টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার এক ভাবনার ছোঁয়া কবি দা
ছাইরাছ হেলাল
প্রথম পড়ার জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
রেজওয়ানা কবির
পুরো প্রকৃতি ফুটে উঠেছে যা আমাদের মন ছুয়ে থাকে। প্রকৃতির মাঝে এত সুন্দর বৈচিত্র্য সত্যি সবাই দেখতে পায় না। অসাধারণ শব্দচয়ন আর ভাব ও দারুন। শুভকামনা ভাইয়া।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আঁধার, নরম রোদ টা দেইখেন একটু। প্রকৃতির বর্ণনায় বিমুগ্ধ হই সতত । তবে শেষে পথিকের রহস্যময়ী হাসি যেন হৃদয়ে গেঁথে গেল। নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ ঠিক করে নিয়েছি, ভুল ছিল।
এখানে পথিক আর গাছের সম্পর্কটি রহস্যপূর্ণ, তবে সম্পর্কটি অটুট ,তা পথিকের হাসি মুখ দেখেই
আমরা বুঝে নিতে পারি।
ভাল থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
এখনকার প্রকৃতি আমাদের সবার মন ছুঁয়েই যায়,
অনেক অনেক ভাল থাকা আপনার জন্য।
শামীম চৌধুরী
মনোমুগ্ধকর
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
তৌহিদ
বৃক্ষেরও সাধ আছে আছে স্বপ্ন। তবে পথিক কি একবার বৃক্ষের ছায়ায় গিয়েই ঠকেছে? না হলে বৃক্ষতলে আর যায়না কেন?
ভাবনার বিষয়!
ছাইরাছ হেলাল
এ লেখায় জেতা বা ঠকার বিষয় নেই, একটি নিবিড় কিন্তু দূরবর্তী সহজাত সম্পর্ক নির্দেশ করতেছে।
মন দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
তৌহিদ
কঠিন কঠিন লেখা পড়ে মাথা আউলাই যাইতেই পারে কিন্তুক! আমার কুনো দোষ নাই।
ছাইরাছ হেলাল
আমরা তো আমরাই, আউলা মাথা নিয়ে কুনা সমস্যা আমাদের হবে না ,
তা আগাম জানিয়ে রাখছি।
জিসান শা ইকরাম
এমন ভাবে লিখলেন যেন চোখের সামনে দেখতে পেলাম সেই সু-পুরুষ/সু-নারীকে।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
এমন ফট করে দেখতে পারলে আর সমস্যা নেই ,
দেখা চালু থাকলেই ভাল, অকালে-অকালে!!
ধন্যবাদ।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অরণ্যতা নিয়ে হাঁটা পথে একটি সু-পুরুষ/সু-নারীর মত
ক্রমাগত দাঁড়িয়ে থাকে একটি বৃক্ষ, পত্রালী শাখা বিস্তারে;
হৃদয়বান/হৃদয়বতীর মত প্রচুর/প্রভূত পক্ষপাত পাখিদের প্রতি,
প্রকৃতিতে বৃক্ষ এমনি হয়।
পথিক কে দিয়ে যায় ছায়া।
.
খুবি ভালো লাগলো,দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
পথিকের জন্য বৃক্ষ ছায়া-শান্তির প্রতীক।
পথিক তাই বৃক্ষকেই বেঁচে নেয়।
ভাল থাকবেন।
হালিম নজরুল
“হৃদয়বান/হৃদয়বতীর মত প্রচুর/প্রভূত পক্ষপাত পাখিদের প্রতি”
—————আমার পক্ষপাত আপনার কবিতার প্রতি।
ছাইরাছ হেলাল
এমন হৃদো-মন্তব্য নিয়ে আপনি কৈ কৈ যে থাকেন!!
আহা, শান্তি আর শান্তি ।
ভাল থাকবেন ছড়া-ভাই।
আরজু মুক্তা
শীতের পুরো চিত্র ফুটে উঠেছে। আর বরাবরি আমি ভাবি গাছপালার কথা। এদের উদারতা আমায় ভাবায়।
দারুণ এবং চমৎকার কবিতা উপহার দিয়ে পাঠককুলকে ধন্য করলেন।
শুভকামনা সবসময়
ছাইরাছ হেলাল
প্রকৃতি নিয়েই আমরা জাগি, তাকে নিয়েই আমরা বাঁচি,
সবুজের আমাদের সাথেই থাকে পরম মমতায়।
আপনি ভাল থাকবেন আরও।
রোকসানা খন্দকার রুকু
খুবই ভালো লাগল কবিতা। সব বিষয় নিয়েই এত দারুন করে কবিতা লেখেন ভাইয়া পড়লেই মন ভালো হয়ে যায়।
শুভ কামনা রইল।
ছাইরাছ হেলাল
সব বিষয় নয় তো আপনি অনেক সুন্দর করে লেখেন,
পাঠক মাত্র-ই ওপর আনন্দে থাকে , পড়ে পড়ে।
ধন্যবাদ সুন্দর করে বলার জন্য।
মোঃ মজিবর রহমান
পথিকের ছায়া-জিরোন। নামটাই বিশালতা।
আপনিই স্বার্থক কবি প্রকৃতির এতো রুপ সৌন্দির্য্য মনের রংগে কলমের খোচায় আনেন তুলে রুপ লাবন্য মনের খোরাক করে। পড়ে তৃপ্ত হয় যা বুঝেই।
ধন্যবাদ কবিভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি আমার নিয়মিত পাঠক।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ আপনাকে।