দু’হাত দিয়ে কুয়াশা সরিয়ে আকাশ দেখতে চেয়েছি
সিঁথির মতো একফালি চাঁদের কি আর অমন শক্তি আছে
কুয়াশার বুক চিড়ে আকাশের সাথে মিতালী করার?
পৃথিবীর কোনো নিয়ম মেনে না চলার ইচ্ছে নিয়ে বাইরের পথে পা ফেলেছি
গল্পে শোনা সেই তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে দূর থেকে বহুদূরে যাবার
নারী কখনো পথিক হতে পারেনা এ কথাকে মিথ্যে করে দিতে গিয়ে
হেরে এসেছি ভরপুর আবেগ ভরা এ হৃদয়।
নিঃস্তব্ধতার রাতের মাঝে জল আর হাওয়ার কথোপকথনে সঙ্গী হতে গিয়ে
ভোরের প্রথম আলোকেই আর খুঁজে পাইনি—
আকাশের বুকে কুয়াশার শামিয়ানা,
পথের পাশে ব্যথিত নারী-আবেগ,
আর;
রাতের স্তব্ধতায় জলীয় বাষ্প জড়িয়ে বাতাসের আনাগোনা—
তবুও আজও ভালোবাসাই পঙ্গু হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে,
পথ কেটে হৃদয়ের কাছে যাওয়া হয়না তার।
***অনেক প্রিয় এই ছবিটা আমার, আর ওই পথটিও। নাহ এ জীবনে আর কখনোই যাওয়া হবেনা ওই পথটি ধরে। শুধু এটুকু জানি। ওই পথে যে ভাবনা নিয়ে চলছিলাম, তার বদল হয়নি আজও। ভাবনাও মাঝে-মধ্যে একেবারে আজীবনের জন্য স্থির হয়ে যায়।**
২০টি মন্তব্য
মাহমুদ আল মেহেদী
ফুলের মত শব্দদিয়ে গাঁথা শব্দমালা । অস্বাধারন ।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমাদের বাংলা অক্ষরগুলো বড়ো আদুরে। ফুলের মতো সৌন্দর্য বিলিয়ে দেয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ছাইরাছ হেলাল
উত্তরটি কালকেই পেয়ে যাবেন আশা করি!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কুবিরাজ ভাই উত্তর পেয়েছি যদিও। কিন্তু এখানে আরোও কিছু শুনতে চাই যে! ;?
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, এ দেখছি মহা আনন্দ-সংবাদ!!
কোথায় কী উত্তর পেলেন কে জানে!!
রেডিও!! নব ঘোরালেই বেজে ওঠে নাকি!!
ফোকলা দাঁত-ও দেখতে হয়, আচ্ছা কানের কোন্ ঠিক আছে-তো!!
শুনতে পান!! ঠিক/বেঠিক মত!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কোথায় জানি পাখোয়াজ বেজে ওঠে,
আমি ঠিক শুনতে পাই।
রিনরিনি এবং দরাজ হাসির টুংটাং শব্দ শুনে আমি নেচে উঠি।
খবর আসে এবারে শীতে খুব শীত আসবে,
আগুণ উষ্ণতায়।
রেজওয়ান
অসাধারণ 😍
নীলাঞ্জনা নীলা
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
সাবিনা ইয়াসমিন
নারী কখনো পথিক হতে পারে না,,,চরম বাস্তব চয়ন।অস্থির ভাবনা গুলোকে স্থির করার প্রয়াস না করলে- কি নয় ? ভালোবাসার পঙ্গুত্ব কাম্য নয়।সে আঁকাবাঁকা পায়ে,ভোরের প্রথম আলো নিয়ে ,বন্ধুর পথ কেঁটে পৌছে যাক হৃদয়ের কাছে। শুভক্ষনের শুভকামনা রেখে গেলাম। (3 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রতিটি হৃদয়ের পথ গিয়ে মিলিত হোক সঠিক হৃদয়ের সাথে।
সুন্দর মন্তব্য। ভালো লেগেছে খুব।
ভালো থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
❤❤❤❤ আমীন 😂😂
নীলাঞ্জনা নীলা
🌺🌺🙂🙂
তৌহিদ ইসলাম
আরিব্বাস! কি দারুন লিখলেন। এই পথে হেটে যেতে যেতে একদিন পেয়েই যাবেন কাংক্ষিত তাকে। শুভকামনা আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলে পথটা দেখেই কিন্তু লেখাটা এসেছিলো। পথটার শেষপ্রান্তে গিয়ে দেখি আর যাবার জায়গা নেই। খুবই ছোট্ট একটা পথ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
সময়কে অবিচল রেখে স্মৃতিতে থমকে দাঁড়িয়ে আছিস নাতনী?
অসম্ভব ভাল লেগেছে কবিতা,
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা পথটা দেখেছিলাম ২০১১ সালে। খুব সুন্দর একটা পথ, আমায় লিখিয়ে নিয়েছিলো এই কবিতাটি। ছবিটা তুলেছিলাম আমার আইপড দিয়ে। 🙂
ভালো থেকো।
রিতু জাহান
কি দারুন লিখলে আপু! আমি কেনো এমন লিখতে পারি না ;(
‘এমন একটি পথ ধরে হেঁটে গেছি যতোবার
ততোবার তোমার কথায় কথার ছলে খেই হারিয়েছি বারে বার।
এ কাজ ও কাজ কতো কতো কাজ!
সশস্ত্র সব পাহারাদার তোমার দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়।
আমার পথের সে সময় পথেই চলে যায়।’
লিখে ফেলার চেষ্টা করলাম দেখো। কিন্তু হয়না তোমার মতো করে।
ভালবাসা নিও আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
তুমি এখন অনেক দারুণ লেখো আপু। তোমার লেখায় মন্তব্য করতে এখন অনেক ভাবতে হয়। বুঝেছো?
অনেক ভালো থেকো।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ইচ্ছে করলেও নারীরা সব কিছু করতে পারে না।লেখাটা দারুণ হয়েছে দিদি -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই ইচ্ছে করলেও বাঙালী নারীরা সবকিছু করতে পারেনা। তবে এখানে সবাই সবকিছুই পারে।
ভালো থাকবেন।