শীত রাত, দু’টো বেজে সাড়ে তেত্রিশ মিনিটে পৌছুলে,
ভাঙ্গা ঘুমের এপাশ-ওপাশ, কী করি কী না করি,
কী পড়ি কী ই বা লেখি! পড়ি পড়ি, এটা পড়ি ওটা উল্টাই,
ইলিয়াড না স্তাদল!
চিড়বিড় চিড়বিড়, সুনসান শীতে নিশি পেল নাকি!
আরে ধুর! নিশির মাকে আব্বায়!
আচ্ছা, ঠান্ডা পানিতে গোসল সাজালে কী হয়! কেমন হয়?
হিরহিরে ঠান্ডায় দাঁত ঠকঠক!
খুট করে জানালায় কাচের শব্দ শুনি,
চোর-ফোর এলো নাকি! নাকি ভুতের পেত্নী!
ভয়-ডর পাব কী পাব না ভাবি,
বাইরের নিঝুমের শূন্যতায়, মিট মিটে চোরা চোখে দেখছে আমায়
চোরের পেত্নীভুত!
আমি দেখছি না, আমায় দেখছে, কী করি কী করি!
চোরের দিনটাই মাটি! রুটিরুজি!
পাগল দেখে ভেবে আড়ালহাসি হাসছে কিনা
চোর, ভুত-পেত্নী কে জানে! কে জানে!
হাসে যদিবা হাসুক হাসুক,
শাঁকচুন্নী, শাঁকচুন্নী, তেল কুমারী ভুতের পেত্নী;
হলাম মিথ্যেবাদী, চুন্নির কাছে, এম্নি এম্নি!!
২২টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
তা পেত্নীরে আপনি দেখেন না, পেত্নী দেখে আপনাকে। তা আপনি জানলেন কিভাবে? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কথাবার্তা চালু থাকলে দেখা-দেখি লাগে না,
একজন দেখলেও সমস্যা হয় না, জানাশোনা থাকলেই হয়!!
নিহারীকা জান্নাত
হাহাহা দারুন মজার। চোর/ভুতের ভাত মারবেন নাকি? :D)
ছাইরাছ হেলাল
আপন জনের ভাত কেউ মারে না,
আমরা তো আমরাই!!
ইঞ্জা
উরি বাবা, সব ভুত পেত্নী একাকার, কিন্তু ভাইজান নিশির মাকে আব্বায়টা কি? :p
ছাইরাছ হেলাল
এটি আমাদের খুবই মনোলোভা খিস্তিটি!
বোঝা গেছে!
ইঞ্জা
বুঝেছি, তেরি মাকি সাকিনাকা টাইপের। :p
ছাইরাছ হেলাল
আকলমান কে লিয়ে ইশারায় ই কাফি।
আবু খায়ের আনিছ
2:33:30 পেত্নি না দেখলেও ঘড়ি ঠিকই দেখেন ভাইয়া। আবার পেত্নিকে না দেখলেও সে যে দেখে তাও দেখেন।
ছাইরাছ হেলাল
ঘড়ি তো আমরা দেখিই,
কথাবার্তা বললে না দেখলেও হয়,
স্বপ্ন নীলা
ভয়-ডর পাব কী পাব না ভাবি,
বাইরের নিঝুমের শূন্যতায়, মিট মিটে চোরা চোখে দেখছে আমায়
চোরের পেত্নীভুত!’’——- ওরে বাবা ভয় পেয়েছি –তবে দারুন লিখেছেন
ছাইরাছ হেলাল
না না, ভয়ের কিচ্ছুটি নেই,
আপনজন সে,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ,
শুন্য শুন্যালয়
রাত্রিবেলা জানলার কাঁচে নিজেরে দেখছেন মনে হয় :D)
চোরের পেত্নী -ভূত তো আপ্নার ঘুমের সাড়ে তেত্রিশ বাজিয়ে দিলো, আর আপনি পেত্নী -ভূতের কাম -কাইজের সাড়ে ছত্রিশ 😀
ঠাকুরমার ভূত ছাড়ানি পাঠাইতেছি আপনার কাছে উইথ ঝাড়ু, অপেক্ষান 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপন জনের আহ্লাদ-আব্দার আমাদের রাখতেই হয়,
ঘুমকে ছুটি দিয়ে হলেও,
তাড়িয়ে দেবেন্না, প্লিগ লাগে,
নীলাঞ্জনা নীলা
বাপ্রে আবারও ভূত-পেত্নী?
এইবারে দেখি শাঁকচুন্নীও আছে!!! আমি শাঁকচুন্নীদের রানী, আপনার কত্তো বড়ো সাহস, কি আস্পর্ধা!!! আমার রাজত্ব থেকে কাকে নিয়ে গেছেন শুনি! :@ :@
কুবিরাজ ভাই সাবধান কইলাম এইবারে মাথায় আগুণ জ্বলতাছে! :@ :@
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ই রানী!!
কিন্তু রানীতো আমার দিকে ঈষৎ ফুল দৃষ্টি ফেলেছে!!
দেখতে পাবেন তা অবশ্যই।
নীলাঞ্জনা নীলা
দেখলাম না তো! 😮
ছাইরাছ হেলাল
একটু অপেক্ষা করুন নিজ গুনে,
মৌনতা রিতু
রাইত জেগে কিসের জন্য এতো এতো পেত্নী দেখা লাগবে :@
পেত্নীর পিছনে লাগলে পেত্নী কি আর ছেড়ে কথা বলবে! পেত্নী তো জানলায় উঁকি ঝুকি দিবেই।
ছাইরাছ হেলাল
আমি আবার রাত জেগে কখন পেত্নী দেখলাম!!
সেই-তো দেখা-দেখি করে।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
পৃথিবীতে ভূত পেত্মী বলে কোন কিছুর অস্থিত্ব নেই। তবে জ্বিন আছে। কতিপয় দুষ্ট জ্বিনের কারসাজিকে আমরা ভুতপেত্মী বলে মনে করি।
ছাইরাছ হেলাল
ভ্রান্তি আর ভ্রান্তি!!
তাবিজ-তুবিজ লাগবে মনে হয় লেখকের!!