
হয়ত শিরোনাম পড়েই আৎকে উঠেছেন?
হাঁ কথাটি খুবই সত্য বলেছি, কয়েকদিন আগেই আমাদের ঢাকার মেয়রদ্বয় বলেছেন, এখন থেকে উনারা বাড়ী বাড়ী যাবেন, যেখানেই বা যে বাড়ীতেই দেখবেন পানি জমে থাকে, অপরিস্কার করে রাখা হয়েছে, সেখানেই হবে ফাইন প্যানাল্টি, বাস এই কথা বলেই মেয়রদ্বয় বগল বাজাতে বাজাতে নিজ গৃহে গমন করিলেন।
আমি বলি কি মহারতিগণ, শুধু মুখে নয়, কাজেও আপনাদের এগুতে হবে, ফাইন প্যানাল্টি বড় আকারের নির্ধারণ করে রাস্তায় নামুন, শুধু মাত্র এই ঢাকাতেই আছে লক্ষাধিক বাড়ী ঘর যেখানকার মালিকেরা এইসব বিষয়ে চিন্তায় করেননা, উনারা শুধু মাস শেষে ভাড়া গোনেন, পয়পরিস্কারের ধার ধারেননা, মানুষ মরুক বাঁচুক তাতে তাদের কিছুই যায় আসেনা, কিন্তু সামান্য একটু সচেতন হলে এডিস পেডিস সব সাফ হয়ে যেতো।
এই জন্যই বলি, সিটি কর্পোরেশন মাঠে নামলে কয়েকশো কোটি টাকা ফাইন করতে পারতেন আগামী এক সপ্তাহে এবং এই ফাইন প্যানালটি দেওয়ার ভয়েই বেশির ভাগ মালিক প্রতিদিন তার বাড়ীর ছাদ, কার্নিশ, আশেপাশের জায়গা এমন ভাবে পরিস্কার করতো যেন দেশে সোনার খনি প্রাপ্তি হয়েছে।
ছবিটি রামপুরা বনশ্রী এফ ব্লক এভিনিউ রোডের দুইটি পাশাপাশি বিল্ডিংয়ের ছবি।
মাননীয় মেয়র মহোদয়দের প্রতি আমার অনুরোধ, প্লিজ মাঠে নামুন, দরকার হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে সামরিক বাহিনী নামান আপনাদের সাহায্য করার জন্য, দরকার হলে বাড়ীওয়ালাদের দুই চারটা ডান্ডার মাইর দেন, যেন তাদের শিক্ষা হয় আজীবনের জন্য, এরপর থেকে উনারা সবাই স্বচেষ্ট হবেন এবং কখনো নিজের বাড়ী আর তার আশেপাশের এলাকা সবসময় পরিস্কার রাখবেন।
এই ছবিটিও বনশ্রী এফ ব্লকের এভিনিউ রোডের বিল্ডিং।
আর হাঁ আপনাদের এই ফাইন প্যানাল্টির কর্মকান্ড যেন বন্ধ নাহয় সেইদিকেও খেয়াল রাখতে হবে, যেন ভবিষ্যতে কেউ ভুলেও হেলাফেলা না করে।
আমি লেখার মাঝে মাঝে কয়েকটি ছবি দিচ্ছি সবার রেফারেন্সের জন্য, ছবির বিল্ডিং গুলোতে বৃষ্টির পানি ছাদে, কার্নিশে সহ আসে পাশের স্থান গুলোতে পানি জমে থাকে বিধায় এডিস মশা শুধু জন্মায়না, সাথে হাডুডু, গোল্লাছুট সহ সব ধরণের খেলতে পারে।
এই ছবিটি বনানী ২৭ নং রোডের, ১৫ নং বিল্ডিংয়ের।
সমাপ্ত।
ছবিঃ কালেক্টেড।
৩১টি মন্তব্য
তৌহিদ
আপনার সাথে সহমত পোষন করছি দাদা। আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে আগে। ঠেলার নাম বাবাজী। পিছন দিয়া খাইলে পাব্লিক আর নেতা সব ঠিক। 😃😃
যারা দ্বায়িত্বে আছেন তাদের অবহেলার জন্যই আজকে ডেঙ্গু এর মহামারি আকার ধারন করেছে। মশাও হাইকোর্ট দেখালো। কি লজ্জা!!
সুন্দর লেখা দাদা।☺
ইঞ্জা
উচিত বলেছেন ভাই, এই দেশে লাঠিই সেরা, এএ উপরে ঔষধ নাই।
ধন্যবাদ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
কথা আর কাজে দুস্তর ফারাক।
কিচ্ছু না ভাই, যাহা বাহান্ন তাহাই তিপ্পান্ন!!
ইঞ্জা
দুঃখ তো এইখানেই ভাইজান, এই দেশের নেতা, পাতিনেতা, আপামর জনগণ লাঠিরে ডরাই, এখন উচিত ডান্ডাবাজির, তাহলেই সব দেখবেন ফকফকা।
রেহানা বীথি
তরল দুধে অ্যান্টিবায়োটিক- এই নিয়ে কয়েকদিন তোলপাড় চললো। এখন শুনছি কৃষিমন্ত্রী বলছেন, দুধে ক্ষতিকর কিছুই নেই। ডেঙ্গুকেও গুজব বলা হলো, এখন প্রায় মহামারীর পর্যায়ে। আর নিজেদের সচেতনতা তো শূন্যের কোঠায়।
ভালো পোস্ট ভাইয়া।
ইঞ্জা
আপু, এই দেশের মানুষ শক্তের ভক্ত নরমের যম, যসি এগুলারে পিটাইতে থাকে দেখবেন সব ঠিক।
ধন্যবাদ আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
সবাই যদি নিজ নিজ বাসা, বাড়ি, ছাদ,প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগী হয় তাহলে বিপদ এড়ানো সম্ভব। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হলো মানুষ ডাক্তারের পিছনে ঘুরে টাকা খরচ করতে রাজি হলেও, সামান্য টাকা বা পরিশ্রম করে এগুলো পরিচ্ছন্ন করতে চায়না। ফলাফল ভোগ করতে হয় আশেপাশে বাস করা সাধারণ মানুষ দেরও।
ভালো পোস্ট দিলেন ভাইজান। শুভ কামনা 🌹🌹
ইঞ্জা
অতিব সতা বলেছেন আপু, এই দেশের মানুষ শেষ মুহূর্তে লোটা নিয়ে দৌড়ায়, এই জন্য স্থানীয় সরকারকে শক্ত হতে হবে।
ধন্যবাদ আপু।
শামীম চৌধুরী
ডেঙ্গু মহামারীর দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এর জন্য সরকারকে তেমন দোষারূপ দেয়া যায় না। কারন আমরা যদি সচেতন না হই তবে সরকার কোনদিনই আমাদের সচেতন করতে পারবে না। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এমন পরিস্থিতির জন্য সরকার প্রস্তুত ছিলো না। তবে সরকারের কর্মকর্তা যারা স্বাস্থ্যবিষয়ক কাজ করেন তাদেরকে বিদেশী একটি দল জরীপে বলেছিলো এবছর বাংলাদেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়বে। সরকার সেটাকে আমলে নিলে আজ ডেঙ্গু আতংকে থাকতে হতো না। অনেকেই হয়তো জানেন না মশা নিধনের যে ঔষধ সিটি করপোরেশান ছিটায় তা আমদানী ব জোগান দেয় মন্ত্রণালয় থেকে। যার জন্য মন্ত্রণালয়ের ভদ্রবেশী চোররা এর টাকা লুট করে খেয়ে সিটি করপোরেশানকে প্রয়োজনের চার ভাগের এক ভাগ ঔষধ দেয়। যা গতকাল মহামান্য আদালত নির্দেশ দিয়েছে সিটি করপোরেশান এখন থেকে ঔষধ আমদানী বা ক্রয় করবে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা একটি ইতর জাতি।
ইঞ্জা
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, সরকার বলেন আর জনগণ, কেউই আমরা সচেতন নই, বিপদে না পড়া পর্যন্ত নট নড়ন চরণ, এখন এইটা মহামারী হয়ে গেলো যা দুঃখজনক।
ধন্যবাদ ভাই।
শাফিন আহমেদ
আমাদের সচেতনতা অবশ্যই জরুরী তার মানে এই নয় যে সরকার বসে বসে আঙুল চুষবে। এখন পর্যন্ত কয়টা বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেছে বা আদৌ করেছে কিনা এ নিয়ে সংশয় আছে। তারা পাবলিকের আই ওয়াশ করার জন্য হয়ত কয়েকটা বাড়িতে যেতে পারে। কিন্তু আসলেই কি তারা এই ব্যাপারটা গায়ে লাগিয়ে কাজ করছে ?
ইঞ্জা
অবশ্যই করছেনা, করলে তো এই দেশ কত ভালো হতো, এই দেশে দরকার ডান্ডা হাতে সরকার, তাহলেই সব ঠিকঠাক হতো।
ধন্যবাদ ভাই।
আরজু মুক্তা
আমরা নিজেরা কতোটা সচেতন, সেটাও ভাবার বিষয়।
সব যদি মেয়র কাঁধে নেয়, তাহলে পাবলিক এডিসের কামড় খাক।
ইঞ্জা
একদম ঠিক বলেছেন আপু, ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ সত্য বলেছেন। আমিও অসচেতন এরপরও মশারি না টাংগিয়ে ঘুমায়।
ফাইন করনের ক্ষমতা কি মেয়র মহদ্বয়ের আছে??? তাহলে ক্ষমতা দেখাইতে হবে, যে সব মানে পানি জমে থাকা কারনের গুলি বেশির অংশই আমাদের কথিত ভি আই ভি সাহেব্দের বাসায়। আর দেখুন মন্ত্রী, সচিব, ব্যাবসায়ী, বাড়ীওয়ালা এরা সবাই রাজনীতের ক্ষমতাধর।
এই বিড়ালেওর গলায় ঘন্টা বাধার ক্ষমতা কি মেয়রের আছে!
যদি করতে পারে তবে আমি খুবই খুশি।
ইঞ্জা
কথা হলো ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নিতে হবে, নয়ত বিপদ অনিবার্য।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ হাতে নিতে পারলে তো কথায় থাকেনা ব্রাদার।
ইঞ্জা
জ্বি ভাই
মনির হোসেন মমি
সচেনতা আমাদের মাঝে নেই তেমনি নেই দায়ীত্বপ্রাপ্ত লোকদের কর্মের সততা। কারন আমরা যে কর্ম করি কেবল বেতনের আশায় নয় বরং উপরির জন্য।সে জন্য কর্মের অবহেলা দায়ীত্বে অসততা।যার কুফল গিয়ে পড়ছে সামাজিক পরিমন্ডলে। খুব ভাল একটি লেখা।
ইঞ্জা
একদম সত্য বলেছেন ভাই, ধন্যবাদ।
প্রদীপ চক্রবর্তী
আমাদেরও সচেতনতার
প্রদীপ চক্রবর্তী
শুধু কর্তৃপক্ষের দিকে চেয়ে থাকলে হবে না
আমাদেরও সচেতনতার প্রয়োজন।
আর এই ডেঙ্গু মশা নিয়ে টালবাহানা চলে উত্তরে ঔষধ ছিটালে দক্ষিণে আর দক্ষিণে ছিটালে উত্তরে চলে যায় ডেঙ্গু মশা!
.
ভালো লেখনী দাদা।
ইঞ্জা
অবশ্যই ভাই, আমার কথা হলো বাহানা দেওয়ার সময় আর নেই, এখন সবার উচিত কাজে ঝাপিয়ে পড়া।
ইঞ্জা
(Y)
শাহরিন
মেয়র সাহেব যদি শহর টাকে নিজের বাড়ি ভাবতে পারতেন তবে শহর আর এতো ময়লা থাকতো না। আর পরোক্ষভাবে এই অপরিষ্কার শহরের জন্য দ্বায়ভার তার।
ইঞ্জা
শতভাগ ঠিক বলেছেন আপু, এখন উনি দ্বায়িত্ব নিয়েও যদি অবহেলা করেন, তাতে তো আমাদেরই বিপদ।
শিরিন হক
আপনার কথা একদম ঠিক। নিজেদের সচেতন হতে হবে। মশা মারতে কামান নয় একটু সচেতন হলেই হবে।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত আপু, ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
ফিচার ছবিটা সেইরকম সিলেক্ট করেছেন। ছবিটা দেখে হাসি এবং ভয় দুটোই এসেছে। তাইতো ! এরা যে আরও কয়েকমাস আমাদের সাথেই থাকবে!! 🙁
ইঞ্জা
আপু জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর পিক টাইম, স্বাভাবিক ভাবেই ভয় পাওয়ার কথা।