আকণ্ঠ নিঃসঙ্গতা পানে মুখিয়ে থেকে
অরণ্যোদ্ধত হয়ে হল্লায় মেতেছি,
কনকনে সুন্দরতম শূন্যতার মুখরা মৌমাছির বেশে
ফুলে ফুলে ফুলমধু নিয়েছি,
ঝড়ঝঞ্ঝায় খালি-পা নিয়ে হেঁটে গেছি
জলাজঙ্গল-মরুভূমি-পাহাড়-পর্বতের তুষার চুড়োয়,
অভাবী স্বভাব নিয়ে বাঘের সওয়ারী করেছি
আত্মহত্যাকে কাঁচকলা দেখিয়ে বাঘের দুধ খুঁজেছি,
বর্ষাজোয়ারে উজিয়েছি কত কত খাল-নদী
এ আমার পূত আগুনে পোড়ানো সুস্থ অসুস্থতা, অক্লান্ত হৃদপিণ্ডে;
আচমকা আর্য রূপসীর বেশে রাত্রি এলো
জাদুকাঠি ছুঁইয়ে স্বাস্থ্যবান শরীরী আগুন ঢেলে
স্পর্শমণি আর রক্তপদ্ম মেলে দিলো;
আমার সাধের একান্ত প্রাণের স্বাধীন নিঃসঙ্গ স্বদেশ!!
অসম্ভব পীড়িত হলো, জবুথবু আনারোগ্যতায়;
১৬টি মন্তব্য
মিষ্টি জিন
স্বদেশের নিংসংগতা চিন্তা করা দেশ প্রেমিক।
বাঘের দুধ খুজে পেলে জানান দিয়েন। :p
কবিতা ভাল হইছে। ^:^
ছাইরাছ হেলাল
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ,
এ লেখাটি নিয়ে সামান্য আলোচনা আছে,
পরের লেখাটি পাবেন একটু পড়েই।
শুন্য শুন্যালয়
আগুনে পোড়ানো বলেই হয়তো এতো শক্তসমর্থ, কোথায় কোথায় না গেলেন! ফুল থেকে শুরু করে পাহাড়, জংগল, মরুভূমি এরপর বাঘের দুধ!
রাত্রি মানেই বিভ্রম। অনেক কিছুই করে তারা। আপনার নি:সংগতাকেই অসুস্থ করে গেলো? আমিতো জানতাম এই একটা জিনিসই সত্যি, অরোগী, কেউ এই চরে নাও ভেড়ায় না, পারেওনা।
নি:সংগতা জলদিই সুস্থ হয়ে ফিরুক।
আপনার মতো করে যদি লিখতে পারতাম!!
ছাইরাছ হেলাল
আরে আপনি তো সব সময়ই ভাল লেখেন, লিখবেনও।
শুরু করে দিন,
রাত্রি কিন্তু বিভ্রম না, অন্তত আমার কাছে, আমার প্রচুর রাত্রিলেখা আছে, একটু মনে করে দেখুন,
আবারও লিখলাম এটি নিয়ে,
নিহারীকা জান্নাত
অবশেষে রাত্রির কাছে আত্মসমর্পণ! কি কঠিন রে বাবা। কি যে বুঝলাম আল্লাহই জানেন।
ছাইরাছ হেলাল
আমি নিজেই বুঝি কী না কে জানে!!
ঠিক আত্মসমর্পণ বলতে চাচ্ছি না, নবতর উপলব্ধি বলতে পারেন,
নিহারীকা জান্নাত
এত কঠিন শব্দ কোথায় পান বলবেন? আমার বহুদিনের শখ কঠিন কিছু লিখবো যাতে আমার মত অন্যদেরও দাঁত ভাংগে 😀 \|/
ছাইরাছ হেলাল
এখানে কী কী কঠিন শব্দ আছে বলতে হবে কিন্তু,
আমি তো আপনাদের কাছেই শিখি।
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতার মধ্যে ভ্রমিলাম কতো কতো কিছু। আহা! আচ্ছা কুবিরাজ ভাই এই কুবিতায় আপনি যেভাবে ঝড়-ঝঞ্ঝার মধ্যে ভ্রমণ করছেন অরণ্য-পর্বত-খাল-নদী, তা কি শুধুই স্বদেশে? নাকি বৈদেশেও?
তবে কুবিতা পড়ে এই গানটি না গাইলেই নয়, তাই গাইলাম “আহা খাঁটি সোনার চেয়েও খাঁটি আমার দেশের মাটি।”
ভালু থাইকেন। 😀
ছাইরাছ হেলাল
উহ, আবার একটু ভ্রমণ করতে হবে আমার পরের লেখায়,
একটু পরেই আসবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
পরিভ্রমণ করিয়া আসিয়াছি। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আইচ্ছা বুঝতে পেরেছি,
জিসান শা ইকরাম
আপনার মাঝে নিঃসঙ্গতা আছে নাকি?
কত্ত কত্ত কিছু আপনার চারপাশে।
আমার কোন রাত্রি নাই 🙁
আহা এমন এক রাত্রি যদি আমার থাকতো,
শত জনমের নিঃসঙ্গতাকেও হাসি মুখে বরণ করে নিতাম।
বেশি ভাল লাগছে লেখা।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন সব কিছু থাকার পরও আমরা নিঃসঙ্গ হই, থাকিও;
প্রকৃতিক নিয়মও,
রাত্রি সবার থাকে না, পায়ও না,
ধন্যবাদ।
মৌনতা রিতু
এতো কেন ঘুরোঘুরি। বাঘের সামনে যাওয়ার দরকারটা কি?
ছাইরাছ হেলাল
একদম ঠিক বলেছেন।