আমার তরে যা ছিল, তা সবই ছিল কুয়াশায় ঢাকা।
এক হাত দূরে স্পর্শের কাছে, অথচ তাকে দেখতে পারিনি স্পষ্ট।
তাকে বলতে পারিনি, এত কাছে, এতো পূরনো তবু তুমি কুয়াশায় ঢাকা।
কুয়াশা কেটে যে রোদ আসে, তার ঝাপটায় চোখে জল ওঠে।
এ রোদ,
রোদ চশমার আড়ালেও পানি ঝরায়।
এ অদ্ভুত আমি, আমার আমিতেই কেঁপে উঠি।
আয়নায় যে মুখখানি, তা আজ মুখোশে ঢাকা।
কচ্ছপের খোলসে নরম আবরনটিও বের হয় না।
ওৎ পেতে থাকা চারদিকের এই যে নিরবিচ্ছিন্ন হাহাকার,
গহ্বর থেকে গহ্বরে ছুঁড়ে দিল আমায়।
৩৮টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
আমার আমিকে নিয়ে ভালই উপলদ্বি
খুব ভাল লাগলো আপু।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ, ভাই। 🙂
লীলাবতী
অনেক সুন্দর হয়েছে আপু, আপনার সেরা কবিতা নির্বাচিত করলাম এই কবিতা।
মৌনতা রিতু
সত্যি ! হঠাৎ লিখেছিলাম কাল সন্ধ্যায়।
” আজকের সন্ধ্যায়, তুমি আসবে বলে,
আমি মনের দুয়ার খুলে রেখেছি,,,,,,,”
গানটা সুন্দর না ?
এলোমেলো কিছু সময়ে ভালোই তো শব্দ সাজে !
লীলাবতী
আবার পড়লাম এই কবিতা 🙂 -{@
মৌনতা রিতু
থ্যাংকু। -{@ 🙂
জিসান শা ইকরাম
কবিতা পড়ে অদ্ভুত বিষন্নতায় পেয়ে বসলো। যন্ত্রনা ছবি হয়ে সামনে এলো। খুবই ভাল কবিতা হয়েছে। লীলার সাথে একমত – এটিই আপনার সেরা কবিতা।
মৌনতা রিতু
ভাল শব্দ উঠে আসতে তাইলে তো মন খারাপ করতেই হয় !
সত্যি, ভাইয়া, কবিতা ভাল হইছে ?
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ আসলেই ভাল হয়েছে 🙂
ইঞ্জা
অদ্ভুত লিখেণ আপনি, প্রতিটি লাইনই অর্থবহ, মুগ্ধতা রেখে গেলাম। 🙂
মৌনতা রিতু
অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের সবার ভালবাসা।
শুভেচ্ছা জানবেন।
শুন্য শুন্যালয়
চমৎকার কবিতা আপু। আয়নার কাছেও কি সত্যি প্রকাশ পায়না? তবে তো নিজেকে আমরা কখনোই দেখতে পারবোনা। এক হাত দূরত্বের কুয়াশা একসময় কেটেই যায়।
এক কাজ করা যেতে পারতো, মাত্র এক হাত দুরেই তো, বেন্ধে রাখা যেত। কুয়াশা কাটুক, তোমারে দেখুম, এরপর ছুটি।
এই আপু, মন খারাপ? আসেন ঝগড়া করি, ননদিনী থাকতে, মন খারাপ হবে কেন?
মৌনতা রিতু
হুমম, তাই তো ! এমন দুখানা ননদ থাকতে মন কেন খারাপ হবে ? আস ঝগড়া করি।
ফেসবুকে যে ফাটাফাটি একখানা হুজুরানি ছবি দিছ, দেখাইতো মন ভাল হয়ে গেছে।
🙂
শুন্য শুন্যালয়
হায় এতো অল্পতে মন ভালা হইলে, ঝগড়া করতে যামু কিল্লাই? এক বাটি তেতুল শুকনা মরিচে ভর্তা দিলেই ভাবিজান খুশি হইয়া যাবে 🙂 ঠিক কইছি না? 🙂
তবে মন খারাপ হইলে যদি এমন লেখা আসে তো থাকুক না আরো কিছুদিন মন খারাপ 🙂
মৌনতা রিতু
আহারে! বাড়ির পুকুর পাড়ে তেতুল গাছে উঠে গেছি গা। সাথে লবন আর গুড়া মরিচ নিছি।
হ, আইজ এক খানা লিখে ফালাইছি কবিতা।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু মেঘে মেঘে বেলা হলো। এখন তোমার দুপুর। আর অন্ধকারে অজস্র তারা আমার আকাশে। মনকে ভাসাও মনের আকাশে, তোমার কবিতা আমার চোখের শার্শিতে। -{@
মৌনতা রিতু
নায়াগ্রা জলপ্রপাতে জলকন্যার নীল ছায়া দেখে কার মন খারাপ থাকে !
সোনেলা এতো বড় পরিবার আমার, কার সাধ্য বিষন্নে ঢাকে আমায়?
নীলাঞ্জনা নীলা
সেদিন রাতে নায়াগ্রাতে আসলেই অনেক মজা হয়েছিলো আপু।
ছাইরাছ হেলাল
নিরবিচ্ছিন্ন হাহাকারেও আপনি ঠিকই আলো দেখতে পাবেন।
মৌনতা রিতু
হুম, জানালায় ঐ যে সোনালী রদদুর।
ধন্যবাদ।
আবু খায়ের আনিছ
নিজেকে যে একবার চিনেছে সে বের হয়ে আসবেই।
মৌনতা রিতু
ঠিক।
ধন্যবাদ ভাই।
ব্লগার সজীব
কুয়াশা দেখে ভয় পাস নিকো, আড়ালে তার সূর্য হাসে।
আমাদের হাসি খুশিতে মাতোয়ারা আপুটা কত সুন্দর একটি কবিতা লিখল।
সোনেলার ব্যানারটি দেখুন আপু, চারদিক অন্ধকার, জানালা থেকে আলো 🙂
মৌনতা রিতু
তাই তো ! আমার হাসমুখ ভাইটা থাকতে কেন মন খারাপ হবে ! পেসার কুকারের সিটিটা মনে করেই তো মন ভাল হয়ে যায়। এই তো আমার সোনেলা পরিবার।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মন্তব্য কি করব সবিইতো বলা শেষ তবুও
১০০% ভাল মানের কবিতা। -{@
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা জানবেন।
তানজির খান
ভাল লাগলো মৌন আপু
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ। ব্লগে লেখা চাই। কবিতা দিন বেশী বেশী করে। আমাদের কেন বঞ্চিত করছেন ?
মেহেরী তাজ
ভাবি মাত্র সাতদিন আসি নাই। তাতেই মনের একি অবস্থা???
ভাবি ভাবি ভাবি! নওগাঁ তে কোন জানি হল এ একটা জব্বর মুভি লাগছে। “কাট্টুস কুট্টুস”। দেখবো আসেন!
মন খারাপ থেকে ভালো কিছু হলে মন খারাপ হওয়া ভালো! সুন্দর কবিতা। 🙂
মৌনতা রিতু
ননদিনি কই গেলা ? তোমারে নিয়ে একখান কবিতা লিখতে হবে।
মেহেরী তাজ
আমি তো অনেক ভালো ননদ! আমাকে নিয়ে যেকোন কিছুই লেখা যায়!
আছেন কেরাম ভাবি?
মৌনতা রিতু
ওস্তাদের জন্য ভাল আছি। এমন একখান ওস্তাদ পাইছি।
মৌনতা রিতু
কোন হলে ? কোরবানিতে যেতে পারি। বড় আপা যাবে। আস জোরে আবৃত্তি করি।
নাসির সারওয়ার
আস্ত একটা বিষণ্ণ লেখা।
তবে আলো আপনি ঠিকই পেয়াছেন।
মৌনতা রিতু
বিষন্ন লেখা ! বিষন্ন কি জমেছে ?
নাসির সারওয়ার
জী, বেশ শক্ত হয়েই জমেছে।
অলিভার
অদ্ভুত
তবে সত্যিই খারাপ লাগে যখন কেউ সীমানার ভেতরে থেকেও অস্পর্শ্য থেকে যায়।
কেটে যাক সকল কুয়াশা, বদৌলতে ফিরে আসুক সম্পর্কের সচ্ছলতা 🙂
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ।