সুললিত সুলালিত ইচ্ছে পূরণের আবদার, যা, না-করতে পারিনি, এক সজ্জন না-সুন্দরীর। সুচারুরূপে কী-ভাবে তা সম্পন্ন করা যায় তা নিয়ে অনেক শলা-বিনিময় হয়েছে, হয়েছে নির্ধারিত অ-নির্ধারিত তুমুল বৈঠক, সময়ের বাঁধা টপকে; সিদ্ধান্ত, তা কার্যকর করার নিকট-দূরত্বে যোগাযোগের হঠাৎ যবনিকাপাত।
গভীর অমাবস্যায় বাতাসে ভর করে তার ঘরে গিয়ে উপস্থিত হলাম, শীর্ষাসন থেকে শুরু করে একে-একে কুইক সেশনে ভুজংগাসন, শলভাসন, ধনুরাসন, পশ্চিমোত্থাসন, বৃক্ষাসন, অধো মুখ বৃক্ষাসন ও সর্বাংগাসন (কোন্ আসনের কী কী উপকারি তা-জানার চেষ্টা না-করাই শ্রেয়) শেষ করে ইশারায় বসতে বলে মৌনী হয়ে থাকলেন কৌপীন-সুন্দরী।
আমাকে খুন করার তিনটি পদ্ধতির প্রোটোটাইপ তৈরি করেছেন, যে-কোন একটি নির্বাচন করে প্রথমবার পরীক্ষাটি করতে চান যে-কোন একটি, ট্রায়েল এন্ড এরর বেসিসে।
প্রতিটি ট্যাবলেট বা ডিভাইস আকারে। গিলিয়ে বা প্রবিষ্ট-করণ মেথড।
প্রথম…
পেটে গিয়ে আস্তে আস্তে ফুলতে থাকবে এবং সুনির্দিষ্ট আকারে পৌঁছালে পটাস করে দুইশ’ ডেসিবল শব্দ সহকারে ফেটে গিয়ে মৃত্যু।
দ্বিতীয়…
শরীরে প্রববেশ করে তড়িৎ গতিতে শরীর তরলং-জলবৎ হয়ে মেঝ-ময় ছড়িয়ে পড়ে মৃত্যু।
তৃতীয়…
প্রবিষ্ট করালেই সাঁই করে পুচ্ছে আগুন নিয়ে হাউয়ের মত আকাশে উড়ে গিয়ে ছাই-মৃত্যু।
সায় ও ধন্যবাদ দিলাম, প্রতিটি পদ্ধতির বিজ্ঞানমনষ্কতায় ও নিষ্ঠ অগাধ শ্রমের।
অসুবিধা সমূহ…
প্রথম…কোথাও আঁটকে গিয়ে পেটে পৌঁছালো না, পৌঁছালেও যতটা ফুলে বা শব্দ করে ফেটে যাওয়ার কথা তা হলো-না।
দ্বিতীয়…জল হয়ে গড়িয়ে না গিয়ে বরফ হয়ে মটকা মেরে পড়ে রইল।
তৃতীয়… আকাশ পর্যন্ত না গিয়ে পুচ্ছের আগুন ঘরের ছাঁদে গিয়েই নিভে গেলে হাত-পা ছড়িয়ে মেঝেতে পড়ে বুকে হাপড় তুলে ‘মেলে ফ্যালো মেলে ফ্যালো, এ-জেপন আর চাই না’।
আলতো-ঠ্যালায় ঠেলে-ঠেলে (ধাক্কা-না) বাইরে বের করে দরজা আটকাতে আটকাতে সলজ সজলতায় অটুট রণভঙ্গিতে সুপুরুষ্টু দু’ঠোটে টানটান শুকনো গলায় বিড়বিড় করে, বলছে,
“বলির পাঁঠার কাছে এতো-এতো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কাউকে পূজোয় নেই না, নেবোও-না”।
২৯টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মন্তব্য পড়ুক তারপর আবার আসব।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
“বলির পাঁঠার কাছে এতো-এতো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কাউকে পূজোয় নেই না, নেবোও-না”।তা বেশ বলেছেন।আসনের শেষ নেই।
ছাইরাছ হেলাল
শেষের শেষ করা সত্যিই কঠিন।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা।
নিতাই বাবু
ভালো বলেছেন দাদা । ধন্যবাদ জানবেন ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও ধন্যবাদ।
অলিভার
প্রথম…কোথাও আঁটকে গিয়ে পেটে পৌঁছালো না, পৌঁছালেও যতটা ফুলে বা শব্দ করে ফেটে যাওয়ার কথা তা হলো-না।
দ্বিতীয়…জল হয়ে গড়িয়ে না গিয়ে বরফ হয়ে মটকা মেরে পড়ে রইল।
তৃতীয়… আকাশ পর্যন্ত না গিয়ে পুচ্ছের আগুন ঘরের ছাঁদে গিয়েই নিভে গেলে হাত-পা ছড়িয়ে মেঝেতে পড়ে বুকে হাপড় তুলে ‘মেলে ফ্যালো মেলে ফ্যালো, এ-জেপন আর চাই না’।
:D) কেউ মরতে গিয়ে এভাবে আটকে গেল, তখন তাকে কেমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে ভাবতেই হাসি পেয়ে যাচ্ছে।
ছাইরাছ হেলাল
মজা করে বলা হলে আঁটকে পড়ার যন্ত্রণা শুধু সেই-ই বুঝতে পারে যে আঁটকে পড়ে!!
মোঃ মজিবর রহমান
আমি বলির পাঠা হতে চাই, ঠেলার দরকার নেই ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সাহস আছে বলতেই হয়!!
ইঞ্জা
খুন করার তিনটি উপায়, পড়ে হাসতেছি ভাইজান। :D)
ছাইরাছ হেলাল
আরও অনেক উপায় আছে যা বলিনি কিন্তু!!
ইঞ্জা
তাই. :D)
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ ভাই।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
জটিল!
ছাইরাছ হেলাল
তাই-ই,
নীলাঞ্জনা নীলা
এতোদিন পর এসে মৃত্যুর তিন কারণ পড়তে হলো?
মাথা ঘুরিতং
কিছুই ন বুঝিতং! ^:^
শুন্য শুন্যালয়
মৃত্যুর তিন কারন নাতো নীলাপু। তিন পদ্ধতি, মেথড, টোটকা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
ওই হলো! কুবিরাজ ভাইয়ের কুবিতা পড়তে গেলে মাথা এমনিতেই আউলাইয়া যায়! 🙁
ছাইরাছ হেলাল
দারুন শিক্ষক!
ছাইরাছ হেলাল
মাথায় পানি ঢালুন অথবা দেয়াল থেরাপি ব্যবহার করুন।
শুন্য শুন্যালয়
এতোদিন পরে মন্তব্য করতে এসে যদি পড়তে পড়তে হো হো করে হাসি তাইলে আপনি আবার তিন পদ্ধতি ধরিয়ে দেবেন নাতো? হা হা হা
ভাউ আপনি কোনে? আসেন জলদি, নইলে মন্তব্য বরফ হয়ে মটকা মেরে পড়ে থাকবে।
উনি না-সুন্দরী নাকি কৌপিন সুন্দরী? যেচে পড়ে মরতে যাবার এত্তো হাউশ কেনু হইছে?
প্রশ্ন আরো আরো আছে। আপনি আসেন আগে, দেয়াল ধরে প্রশ্ন তো করতে পারিনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
ডরাইছেন, তাই আসতাছেন না। :p 😀
ছাইরাছ হেলাল
ডড়াই নাই, মাথা-মুথা বাইন্দা আইছি!
ছাইরাছ হেলাল
তা যত দিন পরেই হোক এসেছেন পড়েছেন তাতেই ধন্য!
যেচে যেতে হয় না, হির হির করে টেনে নিয়ে নিরীক্ষা করে!
প্রশ্ন আপনি করতেই পারেন তবে তার উত্তর যেন জ্ঞানসীমানায় দিতে পারি সে ব্যবস্থা থাকলেই হয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
মাথা মুথা বাইন্ধ্যা আইছেন, খুবই ভালো করছেন।
ছাইরাছ হেলাল
আসতে যে হয়ই!!
ভয় পামু কইলাম।
মৌনতা রিতু
কি বলি আর কি না বলি! ভাবনায় অস্থির পাঠক বেচারা। এ কেমন যন্ত্রণা!
আকাশেই তবে হোক বিচরন।
বাকি কথা ইতিহাসের এ পাতায় থাক।
ছাইরাছ হেলাল
যা বলেছেন তাই-ই অনেক।
ইতিহাস খুব দুষ্ট হয়, পীড়া ও দেয়।