একটি অসমাপ্ত সম্পর্কের অন্ধকারে হাতড়ে ফেরা গেঁয়ো ভাবনায়
স্বপ্ন দেখে কোন বোকা?
হেই হেই পথ ছাড়ো! এক সিপ টেনেই নেশা? কে, কে কথা বলে?
চুপ!আজকাল বেশ বেড়েছে একা একা কথা!!
“তোর কি? তুই কি বুঝবি?”
কবিতার সেতুর এপাশ-ওপাশ “তুমি”-“আমি।”
আহা পাহাড়ের পাদদেশে, সামুদ্রিক স্পর্শে মধুচন্দ্রিমার কটেজ অপেক্ষমাণ।
প্রেমের শরীর নাকি শারীরিক প্রেম! জানে সবই পুরুষ শাবক।
বোঝা গেলো মুগ্ধতাও সন্ত্রস্ত ভঙ্গী নিয়ে পালাতে পারে লজ্জ্বা মিশিয়ে–
খবরের খবর হয়, টিভি-খবরের কাগজে দুনিয়ার কিছুই বাকী নেই।
ঠোঁটে স্বপ্ন উচ্চারণ, নাকি অসমাপ্ত কথা এক নারীর?
ঠোঁট ছুঁয়ে ছোঁয়ার ইচ্ছে অন্ধত্ত্বের অন্ধকার,
ইস পুরুষ সম্পর্কের খেলায় এত্তো মজা, আনন্দ পাওয়া যায়!
পুরুষের বিশাল গুণ, দালালিতে একেবারে শীর্ষে।
আর মিথ্যে স্বপ্ন দেখার বোকামীতে নারীর অবস্থান নাম্বার “এক।”
শমশেরনগর চা’ বাগান, মৌলভীবাজার
২৬ আগষ্ট, ১৯৯৫ ইং।
**গতকাল বুকশেলফটা গোছাতে গিয়ে পুরোনো নোটবুকটা পেয়ে যাই। লেখাটি সেই ছেঁড়া পাতাতেই পড়ে ছিলো কতো কতো বছর ধরে। যখন লিখেছিলাম, তখন পত্রিকার পাতায় খবর চলছিলো ইয়াসমিন ধর্ষণ নিয়ে। “রক্ষক যে ভক্ষক” হয় তার প্রমাণ ছিলো ওই তিন পুলিশ। লেখাটি তথাকথিত পুরুষদের নিয়ে লেখা, কেউ ধর্ষণ করে, কেউবা স্বপ্ন দেখিয়ে নারী শরীর নিয়ে খেলা করে আর কিছু পুরুষ শরীর না পেয়ে খুণ করে। কিছু পুরুষ আবার প্রেম করে প্রেমিকার হাত ধরে পথ চলে, অন্যদিকে আড় চোখে দেখে। আরোও পুরুষ স্বামী আছে যারা স্ত্রী শরীর ব্যবহার করে, কিন্তু চিন্তা-ভাবনায় রাখে অন্য নারীকে।
লেখাটি যেমন পেয়েছি, সেভাবেই তুলে দিয়েছি। ১৯৯৫ সালের আমি’টার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই বদলাইনি কিছু। 🙂
৩১টি মন্তব্য
মামুন
‘কবিতার সেতুর এপাশ-ওপাশ “তুমি”-“আমি।”
আহা পাহাড়ের পাদদেশে, সামুদ্রিক স্পর্শে মধুচন্দ্রিমার কটেজ অপেক্ষমাণ।
প্রেমের শরীর নাকি শারীরিক প্রেম! জানে সবই পুরুষ শাবক।’- ভালো লাগলো অনেক।
শুভসকাল।
অনিকেত নন্দিনী
“বোঝা গেলো মুগ্ধতাও সন্ত্রস্ত ভঙ্গী নিয়ে পালাতে পারে লজ্জ্বা মিশিয়ে–”
দিদি অনেক আগে থেকেই চমৎকার লেখেন এই লেখায় তা পরিষ্কার বোঝা যায়।
অ.ট. দিদি, এই লেখাটা আগেও কি দিয়েছিলেন? “এক সিপ টেনেই নেশা?” এই লাইনটা পড়েই খুব পরিচিত মনে হলো। এরপর যতোই নিচে নামলাম মনে হওয়াটা আরো বেশি মজবুত হলো।
নীলাঞ্জনা নীলা
নন্দিনীদি ভালো-খারাপ জানিনা, তবে লিখতাম যা মনে আসতো।
নাহ লেখাটি পেলামই ১৬ ডিসেম্বর মানে এই ৩ দিন আগে। কোথাও দেয়া হয়নি। আর নেশার সাথে পরিচয় চা’ বাগানে বড়ো হয়েছি, সেখানে কতো টাইপ নেশাই যে চলে।
দিদি লেখাটি আর কোথাও দেয়া হয়নি।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মামুন সুন্দর মন্তব্যের জন্যে। 🙂
মামুন
স্বাগত আপনাকে।
ভালো থাকুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো থাকুন আপনিও। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
মামুন বেশ মন্তব্য।
ধন্যবাদ!
জিসান শা ইকরাম
১৯৯৫ এর নীলার কবিতা তো আরো ঝকঝকে আর শানিত ছিল
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
তখন শুধু প্রেম নিয়েই লিখতাম না। বিভিন্ন দিকেই যাতায়াতের চেষ্টা ছিলো। এখন প্রেম-ভালোবাসা একটু বেশী-ই জমে গেছে মনে হয় নানা। 😀
জিসান শা ইকরাম
যত দিন যাবে ধীরে ধীরে ষ্টক বৃদ্ধি পাবে
কয়েন জমানোর মত……… একটা সময়ে তা আর কয়েন থাকেনা না
হাজার হাজার টাকায় পরিনত হয়
আমাদের বাসায় একজনের কয়েন জমানোর পরিমান হয়েছিল ৫২ হাজার টাকা 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি করা বলা শুরু করেছি। যাতে প্রেম-ভালোবাসা না হয় 😀 :p
আচ্ছা ওই ৫২ হাজার টাকা কি এখনও আছে? ;?
থাকলে বলতাম আমারে ফেরত না দেয়ার ধার দিতে :p :D)
অরুনি মায়া
আমার আফসোস পুরুষেরও নারীর মত একটা শরীর কেন হলনা |
মারজানা ফেরদৌস রুবা
এ আফসুস আমিও করি।
নীলাঞ্জনা নীলা
রুবা আপু আফসোস তো করে উনারা। উহাদের অবস্থা কিন্তু আদতে না ঘরকা, না ঘাটকা। 😀 :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
আরে না! অরুনি আপু পুরুষের শরীর নারীর মতো হলে এভাবে লিখতে পারা যেতো না। 😀
অপার্থিব
বিশ বছর আগের ঘটনা কিন্ত প্রাসঙ্গিকতা আজও বিদ্যমান। ইনফ্যাক্ট সমাজের প্রতিটি পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে আজও… প্রেমের শরীর নাকি শারীরিক প্রেম সব কিছুরই ভাগ্য নির্ধারণ পুরুষতন্ত্রের এখতিয়ার। ভাল লাগলো কবিতাটি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ অপার্থিব। আপনার মন্তব্য অনেক ভারী এবং দামী আমার কাছে।
হুম দেখতে দেখতে বিশ বছর চলে গেলো। অনার্স থার্ড ইয়ারে লেখাটি যুগ পরিভ্রমণ করে নিলো। সমাজ-ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু পুরুষের পরিবর্তন হয়নি। তাদের ইচ্ছাণুযায়ীই চলতে হয় সকল নারীদের।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
“প্রেমের শরীর নাকি শারীরিক প্রেম! জানে সবই পুরুষ শাবক।” – ^:^
অনেক ছোট বয়সের কবিতা কিন্তু কি শানিত উচ্চারণ!!!
(y)
নীলাঞ্জনা নীলা
রুবা আপু আরোও এমন কিছু লেখা আছে, যা কেউ প্রকাশ করতে চায়নি।
ভাবছি খুঁজে পেলে দেবো এখানে।
আর উহু ছোট বয়স না কিন্তু। অনার্স থার্ড ইয়ারের শেষের দিকে লেখা। 🙂
ভালো থাকুন আপু। -{@
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
তোর ধারালো লেখা অনেকেরই নাক, কান কাটলো… এগিয়ে যা সখি…আছি সাথে। সময় পেলে বেল তলায় আসিস বেল কুড়াবো \|/
নীলাঞ্জনা নীলা
বেশী বেড়েছিস। বেলতলায় বেল কুড়োবি নাকি আমার মাথা ফাঁটানোর চিন্তা-ভাবনা? তবে সমস্যা নেই। বেলপানা ভালো বানাতে পারি।
সাথে না থাকলে তোর খবর হবে। জানিস তো আমায়। 😀
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
তোর ধারালো লেখা অনেকেরই নাক, কান কাটলো… এগিয়ে যা সখি…আছি সাথে। -{@ শুভেচ্ছা নিস
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ জুঁথী!
তানজির খান
“প্রেমের শরীর নাকি শারীরিক প্রেম! জানে সবই পুরুষ শাবক”
এত ঘৃনা? একটা আতশি কাঁচ থাকা দরকার সকল নর-নারীর। যাইহোক এই আতশি কাচের পাঁচ বছর আগে খুব দরকার ছিল আমার।
দারুণ লিখেছো আপি। একদম সুপার হয়েছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া ঘৃণা না। তবে এসব তো হচ্ছে।
তবে এমন লেখা ভালো লেগেছে তোমার, সত্যের পাশে যারা থাকে তারাই সত্যিকারের মানুষ। -{@
তানজির খান
গোলাপের সাথে আলাপে জানতে পারলাম ঘৃনা বলে যা আছে তা শুধু ভুল চোখে ভুল মানুষকে নিজ হৃদয়ে স্থান দেবার ফলেই আসে। তোমাকে ধন্যবাদ আপি -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
সুন্দর বলেছো। ধন্যবাদ সাদরে গ্রহণ করা হলো। -{@
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
বাপরে ১৯৯৫ তেও কবিতা লিখতেন ! 😮
তাহলে আপনি ২০+ বছর ধরে কেবল কবিতাই লিখছেন ? :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
লিখতাম। মনে আছে ১৯৮০ সালে লিখেছিলাম একটা ছড়া। সেই থেকে মাথা-মুন্ডু যা মনে আসছে লিখেই গেছি।
তবে ২০০০-২০০৯ পর্যন্ত লেখা থেমে গিয়েছিলো।
বাহ ২০+ লিখে এতো হাসি? এখন যদি শোনেন ৪২, তাহলে কি করবেন শুনি? ;?
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
😮
সত্যিই ৪২!
আপনার লেখা পড়ে কখনো মনে হয় না আপনার ৪২ বছর হয়েছে :p
নীলাঞ্জনা নীলা
আরে ৪২ কোথায়? উল্টে দিলেই হয়ে গেলো। 😀 :p