
উঠি উঠি সকাল-না,
প্রচণ্ড সকালে জানলার ধার ঘেঁসে দাঁড়িয়ে আছি,
ঈষৎ বাঁকা বাঁকা হয়ে, তির্যক সূর্যালোক এড়িয়ে যাব
এমন ভাবনা ভেবে ভেবে;
সুস্থির শান্ত অহেতুক মিষ্টি মিষ্টি আলাপচ্ছলতা,
হাল্কা আগুনে-আঁচ পাশ কাটিয়ে, প্রচ্ছন্ন আম গাছের
ফাঁকে লুকিয়ে থাকা ছোট্ট পাখিটিকে দেখতে পাচ্ছি
চুন চুন করে ভেসে আসা গন্ধে গন্ধে;
পাল্টে যাওয়া গতকাল;
আজ নূতন পাখিদের আনাগোনা, প্রকারান্তরে
এ-তো তাদের-ই স্বপ্ন-নীড়, ধুয়ে মুছে সাফ সুরত করা;
দূর নিকটে দাঁড়িয়ে কেউ এক জন ভাবে
স্বগতোক্তির মত মিহি স্বরে,
অলস-আপন এ টাইমে বস্তা পচা মেরামত অযোগ্য
কত কিছুই-না লেখা হোত গাল-গল্পের সাথে,
বাক বিতণ্ডায়, ব্যঙ্গোক্তি বক্রোক্তিতে গোচরে অগোচরে,
এখানে ওখানে সেখানে, নিখোঁজ নিরুদ্দেশে, কুহকের শব্দ-ঘ্রাণে;
একাকীর একান্তে বয়ে চলা ধানসিড়ি নদীটির বাঁকে বাঁকে।
ছবি নেট থেকে।
১০টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
একান্তে বয়ে চললেও ছাপ কিন্তু রেখে যায়। এরকম শান্ত নদীর ধারে একলা বসে কতো স্মৃতি, কতো বাক্যালাপ ভাসে মনে। প্রকৃতির কোলে মানুষ নিষ্পাপ হয়ে যায়।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
একমাত্র নীলমণি পাঠককে অবিরাম শুভেচ্ছা, যা আকাল পড়ছে আজকাল!!
হ্যা, স্মৃতিকাতরতা নিয়ে আবার লিখলাম।
ভাল থাকুন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ভাবুক মন এমন ভাবনা ভাবতেই পারে। শুভ কামনা সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
ভাবুক মনের অন্নেক সুবিধে, ইচ্ছে হলেই বৃষ্টি নামাতে পারে।
ভাল থাকবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এমন নিরিবিলি, শান্ত নদীর ঘাটে বসলে মনটা যেন কেমন আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে! কোথায় ছিলাম, কোথায় আছি, কোথায় যাবো এসব ভাবনার খেরোখাতা খুলে যায়। চমৎকার!! অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
ভাবনার খেরোখাতা একা একা খুললে তো হবে না,
আমাদের দিকেও খাতাটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখাতে হবে।
ভাল থাকবেন, এ সময়ে।
জিসান শা ইকরাম
কি আর করা!
থেমে কি থাকবে ধানসিঁড়ি?
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
ধানসিড়ি থামার নয়, থামবে-ও না।
ধন্যবাদ।
তৌহিদুল ইসলাম
কেউ থাকুক না থাকু, কিছু বলুক চাই না বলুক, ধানসিঁড়ির বাঁকে আমাকেও পাবেন ভাই। তবে সদা হাস্যজ্জ্বল হয়তো পাবেন না। বাঁকের তীক্ষ্ণতা মাঝেমধ্যে অসাড়ত্বতা নিয়ে আসে।
শুভকামনা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাদের যা ভুলো মন!! work এর চাপে কত কী আর মনে রাখা যায়।
তবুও এসবে স্বজনেরা থাকুক তা আমরা সবাই -ই চাই।
ধন্যবাদ।