
বায়ুদূষণ
======
ঢাকা বায়ুদূষণে বিশ্বে তৃতীয় ও দিল্লির চাইতেও বেশি দূষণের স্থান অধিকার করেছে, বাহ কি দারুণ কথা, বিশ্বে কোন না কোন কারণে ঢাকার নাম এলো তাহলে, আমাদের তো নাচা উচিত ধেইধেই করে কিন্তু একটা বিষয় শুনে তো চমকে উঠলাম, বছরে প্রায় এক লক্ষ তিরিশ হাজার মানুষ ইন্না লিল্লাহ খায়ঃ সূত্র আমেরিকার গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কি খুব মজা লাগছেনা?
আপনারা জানেন কি, বিআরটিএর তথ্য মতে ঢাকায় ৮ লক্ষ রেজিস্ট্রশনকৃত গাড়ী চলে আর তার মধ্যে প্রায় এক লক্ষ ফিটনেস বিহীন গাড়ী আছে, তাহলে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কতো গুলো গাড়ী চলছে তা মনে মনে অংক করে ফেলতে পারেন নিশ্চয়, এ সাথে বিআরটিএ বলছে মোটর সাইকেল ফিটনেসের আওতায় নেই, বুঝুন ঠ্যালা। এই গাড়ীগুলোর ধোয়া এই ঢাকা শহরকে যথেষ্ট বিষাক্ত করে তুলছে আর সাথে গোঁদের উপর বিষফোঁড়া হিসাবে আছে ফিটনেস বিহীন গাড়ী আর মোটর সাইকেল গুলো।
এরপর আরো কিছু আছে ঢাকার বায়ুদূষণে দায়ী আর তা যথাক্রমে ঢাকা মেট্রোর আসে পাশে গড়ে উঠা ইটখোলা, নতুন বিল্ডিং তৈরীতে প্রচুর ধুলাবালি, রাস্তাঘাট উন্নয়নে খোঁড়াখুঁড়ির ধুলা সব মিলিয়ে বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে।
এই দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি তা সরকার ভাবেনা কেন, উত্তর সরকার দেয়না কেন তা প্রশ্ন করবে জনগণ কিন্তু আমার নিজের একটি উপায় বা মতামত আছে এই দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার যা সরকার চাইলে ব্যবহার করে দেখতে পারে, আমারটা ছাড়াও সরকার নিজেদের ব্যবস্থা নিতে পারে কিন্তু মোদ্ধা কথা হলো এই বায়ুদূষণের মাত্রা অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে আর তা না হলে এই শহর হবে মৃত্যুপুরী, লাখে লাখে লোক মরতে থাকবে কিন্তু সরকার তখন কিছুই করতে পারবেনা।
আমার মতামত হলো, সরকারের উচিত এই মূহুর্তেই যত ফিটনেস বিহীন গাড়ী আছে তা জব্দ করে ডাম্পিং করা বা ধ্বংস করে ফেলা।
যত বাস, কার বা ছয় চাকা, চার চাকার গাড়ী চলে তাদের অল্টারনেটিভ দিন হিসাবে চালানো, যেমন মনে করুন, জোড় সংখ্যার গাড়ী রবিবার চললে, বেজোড় সংখ্যার গাড়ী সোমবার চলিবে আর এতে প্রতিদিন গাড়ী কম সংখ্যক চলার কারণে বায়ুদূষণের মাত্রা কমতে থাকবে, হয়ত প্রশ্ন থাকবে বাস ট্রাকের ইনকাম কমে যাবে, তাহলে আমি বলবো কমবে না বই বাড়বে, কারণ প্রতিদিন গাড়ী গুলো নিজেদের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে যাত্রী তুলার জন্য আর এতে আনুপাতিক হারে প্যাসেঞ্জার কম হয় আর অলটারনেটিভ ভাবে গাড়ী চালালে এই ঠেলাঠেলি বন্ধ হবে সাথে প্যাসেঞ্জার বেশি পাবে মানে ইনকাম ডাবল।
বিআরটিএকে আরো শক্ত হতে হবে, লক্কড় যক্ষড় গাড়ী যেন ঢাকা সহ সারাদেশে নামতে না পারে তা অবশ্যই বাধ্যতামূলক করতে হবে।
এক ফ্যামিলি একটা গাড়ী নীতি করতে হবে, দরকার হলে ইঞ্জিন চালিত গাড়ী কমিয়ে দিয়ে সরকারি ভাবে সুইডেন, জার্মানির মতো সাইকেলের ব্যবস্থা করতে হবে প্রতি এলাকায় যা ঘন্টা হিসাবে ভাড়ায় পাওয়া যাবে।
আমার এইসব মতামত ফলো করতে গিয়ে হয়তো মালিক, শ্রমিক সমিতির আন্দোলনের মুখে পড়তে পারে সরকার কিন্তু এতে সরকারকে দমে গেলে হবেনা, দরকার হলে আন্দোলনরতদের পিটিয়ে কাঁঠাল পাকিয়ে হলেও আন্দোলন শক্ত হাতে দমন করতে হবে।
গাজীপুর থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা বা ঢাকার আশেপাশে থেকে মানুষ আসা যাওয়ার জন্য মুম্বাইয়ের মতো সিটি ট্রেইনের ব্যবস্থা করতে হবে যেন মানুষ আশেপাশে থেকে প্রতিদিন এসে অফিস এটেন্ড ও অন্যান্য কাজ সেরে ঘরে ফিরে যেতে পারে, এতে গাড়ী বোঝায় করে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আর জীবন নিয়ে গাড়ী বোঝায় করে আর আসবেনা।
আসুন বাকি গুলো নিয়ে আলাপ করি, ইট প্রস্তুতকারিদের বাধ্য করতে হবে অত্যাধুনিক মেশিনারি ব্যবহারে যাতে দূষণ কমানো যায়, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে খোঁড়াখুঁড়ি করতে হবে এবং যেখানে খোঁড়া হবে সেইখানে সেইদিনই কাজ সেরে ধুলাবালি মুক্ত করতে হবে প্রতিদিন, প্রতিদিন রাতে রাস্তা ধোয়ার গাড়ী রাস্তার ময়লা চুষে নেবে আর পানি দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে নেবে, এতে ধুলাবালির দূষণ কমে যাবে।
নতুন বিল্ডিং তোলার ক্ষেত্রে ধুলাবালি যেন উড়তে না পারে তার ব্যবস্থাপত্র দেবে রাজউক এবং কঠোর ভাবে তা পালন করছে কিনা নজর রাখতে হবে।
প্রতিটি বাড়ীতে বাধ্যতামূলক গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে, জায়গা খালি না থাকলে, ছাদে লাগানোর ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
সরকার যদি এইসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেন আশা করি আমাদের ঢাকা আবার বসবাস উপযোগী হয়ে উঠবে অন্যথায় মরণ ছাড়া উপায় থাকবেনা।
সমাপ্ত
৩৮টি মন্তব্য
রেহানা বীথি
ঢাকায় গেলেই মনে হয় দমবন্ধ হয়ে যাবে। কখন ফিরবো এই অপেক্ষায় থাকি। দুঃসহ জীবন। খুব প্রয়োজনীয় পোস্ট ভাইয়া।
ইঞ্জা
প্রথমেই ক্ষমা চাইছি দেরিতে কমেন্ট করার জন্য।
আমরা যারা ঢাকায় থাকি তাদের কি অবস্থা চিন্তা করুন, আমাদের সবার উচিত এই বিষয় কিছু করা।
এস.জেড বাবু
কারো যদি টনক নড়ে-
তেমন আশা করতেও ইচ্ছে হয় না আজকাল। হুজুগ আর গুজবে ব্যাস্ত নাগরিক ও সরকার উভয়তে। ভাববার সময় কই !!
অনেক মিস করেছি ভাইজান, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যভরা পোষ্ট নিয়ে এলেন অনেকদিন পর।
অভিনন্দন ও স্বগত জানাই।
ইঞ্জা
প্রথমেই ক্ষমা প্রার্থনা করছি ডিলে রিপ্লাইয়ের জন্য, আসলে হটাৎ বেশি ব্যস্ততায় পড়ে গেছি।
যা বলেছেন তা মোটেও অমূলক নয়, এই হুজুক আর গুজবই আমাদের সবাইকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।
ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি
অনিদিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট চলছে। সরকার পারবেন কি ভাবে? বায়ু দুষণ শব্দ দুষণ এ সবতো এ দেশে গাড়ীর কালো ধোয়া ছাড়াও এমনিতেই হবেই।করনগুলো আপনি ভাল করেই জানেন কারন আপনিতো বিদেশে দেখেছেন। তাদের রোডগুলো যদি অন্ততঃ দেখেন কতটা পরিস্কার রাখে কোন গাড়ীই চাকায় ময়লা নিয়ে রোডে উঠতে পারে না আর আমাদের এখানে মাটি কাটা গাড়ীও ক্লিনহীন চলার কোন বাধা নেই।
লেখাটা সময়পযোগী গুরুত্ব বহন করে।
ইঞ্জা
প্রতিটি অক্ষরই সত্য বলেছেন ভাই, এই অসচেতনতায় আমাদের শেষ করে দিচ্ছে।
বন্যা লিপি
ঢাকার এই দুর্বিষহ দূষিত অবস্থা থেকে আসলেই কি মুক্তির কোনো উপায় ভাবে সরকার বা সচেতন কোনো নাগরিক? আর কবে ভাববে? প্রয়োজনেও এখন ঘরের বাইরে বের হতে একদমই ইচ্ছে করে না। যেমন জানজট তেমন বায়ুদূষণ। ১০ মিনিটের রাস্তা পার হতে লাগে ২ আড়াই ঘন্টা। তারওপর আছে ধুলো। শুকনো সময়ে কুয়াসার মতো আচ্ছাদিত হয়ে থাকে। গাড়ির সংখ্যা আর বলার অপেক্ষাই রাখেনা।যথাযোগ্য পোস্ট।
ইঞ্জা
খুবই সত্য বলেছেন আপু, এই অসচেতনতা আমাদেরকে দিনকে দিন আরও পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সময়ানুগ ভাবনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
তবে দুঃখের সাথে বলতে চাই, এগুলা কিছুই হবে না, কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
বহু আগে থেকেই এমন অনেক অনেক পরামর্শ আমরা দিতে দেখেছি, বিভিন্ন জনের থেকে।
কেউ তা কর্ণপাত করেনি, করবে তাও মনে করি না।
ইঞ্জা
সত্যি তাই ভাইজান, আমরা কেউই সচেতন নই, কারণও আছে, মাত্র ৯ মাসের যুদ্ধ ক্ষতি বেশি করলেও আমাদের মিক্সড রক্তের মানুষ তা থেকে কিছুই শিখতে পারেনি, যুদ্ধটা যদি ৯/১০ বছর চলতো তাহলেই দেশ কি এই বাঙ্গালী বুঝতো।
মোঃ মজিবর রহমান
সরকার কিছুই করার খমতা নাই। সরকার বিভিন্ন জায়গায় দায়বদ্ধ। দায়বধ্ব নাই শুধু জনগনের নিকট। তানাহলে যারা পিয়াজ পচার তাদের শাস্তির আওতায় আন্তে পারত। টনের পরে টন পিয়াজ বিভিন্ন গুদামে পচ্চছে। তবুও সিরকার নিরিব। লবনের ক্ষেত্রে সজাগ। ৭০০ টাকায় মাংস কিন্তে পারলে ২৮০ টাকায় পিয়াজ কিন্তে পারবেনা কেন। শুয়রের বাচ্চা আমি ২ বছর মাংস কিনে খাওয়ার চেস্টায় করিনা। মাংস আর পিয়াজ এক্কাতারে ফেল্ল।
আলাহ এই সিরকারের হাত থেকে বাচাও
ইঞ্জা
ভাই কিছুই বলার নেই, শুধু বলবো আমিও আপনার সাথে সমব্যথী, ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ ভাইজান।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
কত ফ্যামিলি আছে মাংস কিনার কথা ভাবেই না। চোরের মার বড় গলা।
ইঞ্জা
😭
জিসান শা ইকরাম
আপনার প্রস্তাবগুলো অত্যন্ত বাস্তব সম্পন্ন, এতে বায়ুদূষণ অবশ্যই কমবে।
এর সাথে যুক্ত করা উচিত জন সচেতনতা,
যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা পলিথিন ফেলে ঢাকার জনগন।
এটিকে তারা অত্যন্ত স্বাভাবিক কাজ বলে মনে করে।
তবে ঢাকা একসময় মৃত নগরী হয়ে যাবে বলে আমার ধারনা। কেহ আর ঢাকা একসময় থাকবে না।
ভালো লেখা।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
সত্যি তাই ভাইজান, আমরা সবাই মিলে ঢাকার গলা চেপে ধরেছি, নিজেরাই এই শহরকে মেরে ফেলছি।
তৌহিদ
এই যে দাদাভাই, ইন্না-লিল্লাহ ক্যামনে খায়? 😀 বলুন অক্কা পায় 😊
নগরদূষণ রোধে আপনার বক্ত্যব্যের সাথে আমি একমত। পরিচ্ছন্ন নগরীতে এসব গাড়ী মোটেই চলাচলের উপযুক্ত নয়।
সময়োপযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
ইঞ্জা
ঠিক বলেছেন ভাই, সম্পূর্ণ একমত।
আর ইন্না লিল্লাহ খায় ব্যাঙ্গার্থে বলেছি।
তৌহিদ
একমাস পরে জবাব পেলাম দেখে আমি শিহরিত, বিস্মিত, অভুভুত হলাম দাদা। তা পোস্টম্যানের কি জ্বর এসেছিলো নাকি দাদা? 😜😜
ইঞ্জা
ভাই এইভাবে লজ্জা দিয়েন না, উল্টা আমার জ্বর উঠে যাবে। 😐
নিতাই বাবু
রাজধানী ঢাকার কি শুধুই বায়ু দূষণ? সাথে পরিবেশ দূষণ, নদী দূষণ! খাল দূষণ, বিল দূষণ, বড় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরাও দূষণ, নারী দূষণ, পুরুষ দূষণ, স্কুল দূষণ, কলেজ দূষণ, শিক্ষা দূষণ, দীক্ষা দূষণ। সব মিলিয়ে আমরা শহরবাসী এক দূষণের জগতে বাস করছি।
এ থেকে আমাদের মুক্তি মিলবে কবে? মনে হয় মরলে।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত দাদা
রেজওয়ান
প্রস্তাব গুলো অসাধারণ। কিন্তু ভক্ষকের দল কি এমন করে ভাবে কখনো? নিজেদের আখের গুছিয়ে যতটুকুন না করলেই নয় সেভাবেই চলছে দেশটি।
আসলে জনসাধারণের এগিয়ে আসতে হবে পরিবেশ রক্ষা, সরকার কিছু করতে পারবে না, ভক্ষকরা করতে দিবে না..
ভাল থাকুন ভাইজান😇
ইঞ্জা
তুমি যদি তোমার ঘর কন্ট্রোল না করো, তাহলে পুরা ঘরের মানুষ উশৃংখল হয়ে যাবে, একটি দেশের সরকারও যদি তা না করে, তাহলে জনগণ কি নিজে যেচে ওসব করবে?
সঞ্জয় মালাকার
ভাইজান প্রস্তাবগুলো অত্যন্ত বাস্তব সম্পন্ন, এতে বায়ুদূষণ অবশ্যই কমবে।
আপনার সময়ানুগ ভাবনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
তবে দুঃখের সাথে বলতে চাই, এগুলা কিছুই হবে না, কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
সব মিলিয়ে আমরা শহরবাসী এক দূষণের জগতে বাস করছি।
এ থেকে আমাদের মুক্তি মিলবে কবে? মনে হয় মরলে।
আমার মতামত হলো, সরকারের উচিত এই মূহুর্তেই যত ফিটনেস বিহীন গাড়ী আছে তা জব্দ করে ডাম্পিং করা বা ধ্বংস করে ফেলা।
ধন্যবাদ ভাইজান।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত দাদা, সরকারের উচিত এখনি ব্যনস্থা গ্রহণ করা।
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ শ্রদ্ধে দাদা।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা
কামাল উদ্দিন
ওরাতো অলরেডি গাড়ি বন্ধ করে সব কিছু অচল করে দেওয়ার চেষ্টা ককরছে।
ইঞ্জা
ওরা যা করেছে তা অন্যায়, কিন্তু সাথে যে লক্ষ লক্ষ অন্য গাড়ী চলছে তার হিসাব কি কেউ রেখেছে ভাই?
হৃদয়ের কথা
আপনার প্রস্তাবনা গুলো যৌক্তিক। সুন্দর গুছানো পোস্ট।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই
রুমন আশরাফ
ঢাকা যে বসবাসের জন্য একটি অযোগ্য নগরী এটা অনেক আগেই বলা হয়েছে। দিনদিন যেন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। কার্বন আর সীসায় ভরে গেছে গোটা ঢাকা।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত ভাই
নুর হোসেন
আপনি বলেছেন:
“এই দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি তা সরকার ভাবেনা কেন, উত্তর সরকার দেয়না কেন তা প্রশ্ন করবে জনগণ”
-সব দোষ সরকারের নয় আমাদেরও আছে,
আমরা কেউ দেশপ্রেমিক নই।
দেশপ্রেমিক লাথি গুঁতা খেয়ে কোন রকম প্রতিবাদ ছাড়াই লটকে গুলিস্তান থেকে গাজীপুর যেতে পারে না।
জনগন প্রশ্ন করলে সরকার উওর দিবে!
আকাশ কুসুম কল্পনা!!
যাদের ভোটের অধিকার নাই তাদের সরকার থাকেনা,
আ’লীগ ছাড়া দেশে কোন জনগন সরকার দেখছেনা ফলে, প্রশ্ন করার মত কেউ নেই।
শান্তনা পেতে ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারেন।
ইঞ্জা
বুঝতে পারছি আমার মতো আপনারও কিছু অব্যক্ত হাহাকার রয়ে গেছে মনে, আসলেই আমরা এই শহরকে নিজেরাই মেরে ফেলছি।