দূরত্বই শুধু জানে কতটা কাছে বা দূরে
দুজন দুজনে,
দূরত্বের সকালে কিংবা রাতে।
রাখালের দূরত্ব সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি থাকে,
জীবনের দূরত্ব মৃত্যুর কাছে জমা থাকে;
দূরত্ব মেপে ঈশ্বর ছোঁয়া যায় না
দূরত্বই জানে দূরের ঠায়-ঠিকানা।
আমি ও আমার সীমান্ত রেখার হিসাব
ঝুলে আছে দূরত্বের মাঝে,
আলো হয়ে ওঠা চোখের পলক
তুষার রাত্রির ঐ প্রান্তে বরফ হয়ে নিভে গেলে
দূরত্বের সর্বস্বতা দিয়েই দূরত্ব দূরত্ব দূরত্ব খেলে।
৪৪টি মন্তব্য
ইঞ্জা
চমৎকার লিখেছেন। (y)
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি ও আমার সীমান্ত রেখার হিসাব
ঝুলে আছে দূরত্বের মাঝে,
আলো হয়ে ওঠা চোখের পলক !!!!!!!
(-3
ছাইরাছ হেলাল
কইলজা ফাডা ক্যা!!
মোঃ মজিবর রহমান
তাই বলে এতো দুরত্ব
মেনে নেওয়া যায়না। মেনে নেওয়া যায়না
ছাইরাছ হেলাল
কিছু দূরত্ব আমাদের মানতেই হয়, মানি ও।
শুন্য শুন্যালয়
আলো হয়ে ওঠা চোখের পলক
তুষার রাত্রির ঐ প্রান্তে বরফ হয়ে নিভে গেলে
দূরত্বের সর্বস্বতা দিয়েই দূরত্ব দূরত্ব দূরত্ব খেলে।… বাহ্ বাহ্। একবার, দুবার, বহুবার লাইন তিনটা পড়লাম। দুরত্বের সর্বস্বতা দিয়ে দূরত্ব দূরত্ব খেলা, কবিকে অসংখ্যা ধন্যবাদ লাইনটির জন্য। জানিনা কী করে মানুষ এমন লেখে। ঈশ্বর ছুলো নাকি!!
ছাইরাছ হেলাল
আমিও জানি না এই সামান্য লেখা কেউ এত মন দিয়ে পড়ে কীভাবে!
স্বীকার করতে দ্বিধা নেই জিউস আমার আত্মীয় ই লাগে,
এখন ভাবছি কবিদের দেখে হাসা ঠিক হবে কীনা!!
ল্যাহা কই?
নীলাঞ্জনা নীলা
অসম্ভব ভালো লেগেছে কবিতাটি।
বহুদিন পর আপনার এমন সহজ লেখা পড়লাম। গভীরতা মাপা যায়না, এমন।
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত কঠিন লেখা সহজ হয়ে গেল!!
মাপন ঠিকও না সব সময়!! সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ,ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাইয়া আপুজে কঠিনেরে ভালবাসিল
তাই কঠিন সহজ হওয়া গেল
ছাইরাছ হেলাল
ভাই,আপনি ঠিকই ধরে ফেলেছেন,
আবু খায়ের আনিছ
দূরত্বই নাকি সম্পর্কের গভীরতা পরিমাপ করে দেয়। দূরে গেলেই বোঝা যায় কত আপন ছিলো। ভালো লাগল কবিতা ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
অনতিক্রম্য দূরত্ব থেকেই যায়,
আবার এই দূরত্বই অনেক কিছুর নির্ধারক।
আবু খায়ের আনিছ
আবার, বেশি দূরত্ব নাকি চিরদূরত্ব সৃষ্টি করে।
ছাইরাছ হেলাল
তাও ঠিক, চিরদূরত্বও দূরত্বই।
দূরত্বের ভাই-ব্রাদার মাত্র,
মৌনতা রিতু
আসলে দূরত্বই জানে দূরের ঠায় ঠিকানা।
আজ অনেকদিন পরে নদীর পাড়ে অনেকক্ষন বসে ছিলাম। আজ বাতাসও বইছিল বেশ জোরেই। ফিরে আসতে গিয়ে ভাবলাম, সত্যি তো জীবন থেকে এই জীবনের দূরত্ব তো অনেক।
খুবই ভাল লাগল এই কবিতাটা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনিও দেখছি বেশ গভীর করে ভাবছেন, বলছেন।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
প্রহেলিকা
বাহ্ কি দারুণ লেখা! কিছু কিছু লাইনে জীবনের গভীর দর্শন ফুটিয়ে তুলেছেন, অমোঘ বলাই যায়! ছোট্ট লেখা কঠিন তা সত্যি বলেছিলেন, আর এই কঠিন কাজটি সহজেই করে ফেললেন??? গদ্যকারের পদ্য পড়তে পেরে আনন্দিত।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার মত অতশত ভাল বা ভেবে লিখিনা, লিখিও নি।
তবে এই লেখাটি এক মুহুর্তের মধ্যে লিখেছি, যা অত্যন্ত স্বভাব বিরুদ্ধ।
আর আপনি জানেন, লেখার ভাল-মন্দ নিয়েও তেমন চুলছেড়া করে ভাবি না, নিজের বা অন্যদের।
গদ্যকার বা পদ্যকার কোনটিই হতে পারিনি, হতে চাইও না,
শুধু ভাল বা মন্দ না ভেবে নিজে নিজের ভাবটি প্রকাশ করতে চাই,
অবশ্য তাও পারি কীনা সেটুকুও ভাবতে চাই না।
এটি আমার অনেক পছন্দের একটি লেখা, নিজের লেখা ফিরে গিয়ে পড়ি না,
ব্যতিক্রম এটি, অনেক অনেক বার ফিরে ফিরে এসেছি, এই হুট করে লেখা লেখাটির কাছে।
প্রহেলিকা
এতো বেশি বেশি ভেবে কে পেয়েছে কি কবে?? আপনি এই লেখাটি নিয়ে ভাবেননি বলেই হয়তো এটিকে আপনাকে পেয়ে বসেছে সাথে আমাদেরও। হুট্ করে আসা কোনো লেখার বিশেষত্ব মনে হয় এটিই যে, তৎক্ষণাৎ মনের ভেতর ঘুরপাক খাওয়া অব্যক্তকথন অক্ষর হয়ে ফুঁটে। এর কারণেই হয়তো প্রিয় এর চেয়েই অধিক প্রিয় হয়ে উঠে; নিজের সাথে সাথে অন্যেরও।
জীবনের দূরত্ব মৃত্যুর কাছে জমা থাকে;
লাইনটির জন্য আলাদা করে স্পেশাল একটা ধন্যবাদ দিচ্ছি। শুধু এটি নয় আরো কিন্তু লাইন আছে ! লেখায় যে সত্যি পেয়ে বসেছে আপনাকে। এই সুযোগেই আপনি কলম / কীবোর্ড চালান, সাথেতো আমরা আছিই পড়ার জন্যে। সবকিছু নিজের জন্য করতে গিয়ে আবার গুম করে রাখবেন না যেন!
ছাইরাছ হেলাল
এক এক জনের লেখার প্রকৃতি প্রোণোদনা এক এক রকম,
তাছাড়া জাত লিখিয়ে না, লেখি বা লেখালিখি করি, হুটহাট করে পারি না।
ধন্যবাদ সব দিয়ে শেষ করে ফেলবেন না যেন!!
আরও দিতে হতে পারে,
নাহ, আপনি যখন আছেন গুম আর হবে না।
নূতন সমস্যা হয়েছে, ধরুন একটি লেখা লিখছিলাম একটু আগে, তখন আরও চার-পাঁচটি লেখা উঁকি দিচ্ছে,
নোট রাখলাম, এবার অপ্রকাশিত একটি লেখার কথা মনে পড়ল, দুটো শব্দ পাল্টাতে হবে, পাল্টালাম,
এখন মনে হচ্ছে ধুর ভাল হলোনা, এ সব আউল-ফাউলের মধ্যে অখাদ্য উৎপাদন চালু আছে।
প্রহেলিকা
স্বভাব লেখকদের বৈশিষ্ট বুঝি এমনি হয়। উনারা যখন কিছু লিখতে বসেন তখন সৃষ্টি করতে বসেন লেখার আদলে। তখন আরো বেশ কয়েকটি লেখা উঁকি দিবে এটাইতো স্বাভাবিক!
শব্দ পাল্টানো অথবা কাটাছেঁড়া করার স্বভাব ক’জনের আছে বলুন? যাদের আছে এই স্বভাব উনাদের কাছেইতো আমাদের ধর্ণা দিয়ে হয় লেখা পড়ার জন্য, হোক না তা আউল ফাউল। তবে আশার কথা হলো উৎপাদন চালু আছে এখনো। নবান্ন উৎসবে অপেক্ষায় আছি।
ছাইরাছ হেলাল
লেখক!! উহ, ল্যাখক বলাই শ্রেয়।
আচ্ছা, ধর্ণা-ফর্ণা যা লাগে আপনার কাছেই দিমু,
বাত্তি কিন্তু তেল শেষের টাইমে বেশি বেশি জ্বলে, তবে জ্বলে, জ্বলুক যতক্ষণ শেষ ক্ষণ পর্যন্ত।
তাও জ্বলুক।
হবে হবে সবই হবে, স্বজনেরা কাছে থাকলে, যেমন হয়েছে আগেও।
প্রহেলিকা
আমার কাছে দিয়ে বলেছি নাকি? কথার ঘুরিয়ে তেমন ফায়দা হইবে না তাহা আপনিও জানেন। ধর্ণা আমাদেরকেই দিতে হয়, ওই যে মিষ্টিমিষ্ট করে আর কি!
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, নো ঘুরাঘুরি,
চলিবে।
গাজী বুরহান
দূরত্ব জানেনা সে কতটা কাছে!
কবিতাখানা বহুগ্রাসে গিললাম।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
মিষ্টি জিন
সব দূরত্বে দূরত্ব থাকেনা
কিছু দূরত্বের দূরত্ব অনেক কাছে টানে।
‘জীবনের দূরত্ব মৃত্যুর কাছে জমা থাকে’
অসাধারন ….
-{@
ছাইরাছ হেলাল
“সব দূরত্বে দূরত্ব থাকেনা
কিছু দূরত্বের দূরত্ব অনেক কাছে টানে।”
দারুণ বলেছেন, এমন হলে আনন্দে ষোল খানা নয় বত্রিশেও রাজি,
তবে দূরত্বের সর্বস্বতা দিয়েই দূরত্ব দূরত্ব দূরত্ব খেলে তখন বুকটা ফাইট্টা যায়!!
নাসির সারওয়ার
সব দূরত্ব টেনে এনেতো সবাই হাতের মুঠোয় নিয়ে বসে আছে। আর আপনি দেখি এখনো আদিম যুগে বসে আছেন!
না, এসব কুবিরা আজকাল ভারি অচল যা তারা নিজেরাও জানেনা!!
ছাইরাছ হেলাল
ও আচ্ছা, আপনি কবি!! এখন কিন্তু হেসে ফেলব!
দূরত্বের সাথে কাছি টানাটানি করে জিতে এলেন বুঝি!.
অচলরাই কিন্তু এন্টিক মনে থাকে যেন।
মেহেরী তাজ
ভাইয়া “কাছাকাছি থাকার পরেও মন থেকে মনের দূরত্ব বেড়ে যায়” এই কথাটা শোনার পরে একটা আতংকে আছি! অন্য কিচ্ছুর দূরত্ব নিয়ে চিন্তা নাই……
ছাইরাছ হেলাল
“কাছাকাছি থাকার পরেও মন থেকে মনের দূরত্ব বেড়ে যায়” এই কথাটা শোনার পরে একটা আতংকে আছি!
আপনার এ আতংক স্বাভাবিক কিন্তু দূরত্ব যখন সর্বস্বতা দিয়েই দূরত্বে বসে দূরত্ব দূরত্ব খেলে তাতে আরও বেশি
আতংকিত হওয়ার আশংকা থাকে,
তবে আপনি বেজায় কনফিডেন্ট হলে সমস্যা নেই।
মেহেরী তাজ
আমি বেজায় কনফিডেন্ট ভাইয়া! কিন্তু এক নখে চুটকি বা এক হাতে তালি বাজে না……
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই এক নখে বা এক হাতে বাজে না, দু’হাতে বাজানোর মজাই আলাদা,
দেখবেন ওভার কনফিডেন্ট হবেন্না যেন!!
অনিকেত নন্দিনী
কবি আজকাল কবিতা লেখালেখির চাইতে মাপামাপি নিয়ে এতো উঠেপড়ে লেগেছে যে মনে হয় কোথাও কোনো বড় ধরণের গড়বড় হয়ে গেছে। তা নইলে সবকিছুই এমন করে মেপে ফেলতে চাইছে কেনো? ;?
ছাইরাছ হেলাল
একদম ঠিক-ঠাক ধরে ফেলেছেন, অবশ্যই আপনি সব গড়বড় করে দিয়েছেন,
খোঁজ-খবর নেন না মোটেই।
তাই নানান দিকে নানা কিছু মাপ-ঝোপ করি।
অনিকেত নন্দিনী
আমি সবকিছু গড়বড় করে দিয়েছি কথাটা মানতে পারলামনা।
সবকিছু মাপতে চাওয়া ভালোনা। মাথায় সারাক্ষণ মাপামাপির চিন্তা ঘুরঘুর করলে বেজায় মুশকিলে পড়বেন। শান্তি বেগম পোঁটলাপুটলি গোছগাছ করে নানার বাড়ি পাড়ি দিবে।
ছাইরাছ হেলাল
গড়বড় করা হয়ে গেলে আর না মানলেও চলে,
মাপহীন কিছু থাকলে আওয়াজ দিয়েন, নাকের উপর পানি এক ইঞ্চি বা দু’হাত তাতে ফলাফলের
তারতম্য নেই,
হির হির করে টেনে এনে দেবে সোনেলার সোনারা!!
জিসান শা ইকরাম
ঝুলিয়ে রেখে কি লাভ?
নামান যায়না?
ছাইরাছ হেলাল
খুব কঠিন,
জিসান শা ইকরাম
কঠিনেরও সহজ আছে,
ছাইরাছ হেলাল
তা ঠিক বলেছেন, সব কঠিন কঠিন না,