এই ব্লগে আমার শেষ লেখা পোস্ট করেছিলাম ২৩ আগষ্ট ২০১৭ইং। দুই বছর ১ মাস আগে। এতোদিন খুব ব্যস্ত থাকায় ব্লগে আসা হয়ে উঠেনি। বলতে গেলে এতোদিন কোন লেখালেখিই হয়নি।
২৫ আগস্ট ২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে বাস্তুহারা হয়ে রোহি্ঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে। তাদের মানবেতর জীবনে পাশে দাঁড়াবার উদ্দেশ্যে ৪ সেপটেম্বর আমি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে একটি অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করি।
এরপর নাইক্ষ্যংছড়ির সবকটি ক্যাম্পে ত্রাণসামগ্রী দিয়ে প্রবেশ করি টেকনাফ ও উখিয়ার ক্যাম্প সমূহে। পরবর্তীতে প্রশাসন আমাকে এজ এ স্যোশাল ওয়ার্কার হিসেবে ক্যাম্পে কাজ করার অনুমতি দিলে আমি আর ডানে বামে থাকাবার সময় পাইনি। তাদের সেবা করে গেছি। এখনও করে যাচ্ছি। তাই মাঝে মাঝে ব্লগ ও প্রিয় ব্লগারদের কথা মনে পড়লেও ব্লগে ঢুকা সম্ভব হয়নি। এজন্য দু:খ প্রকাশ করছি। এখন থেকে চেষ্টা করবো মাঝে-সাজে হলেও লগইন করার।
সবার জন্য ভালোবাসা।
২০টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
মনবতার কাজ সবাই করতে পারে না ভাগ্য লাগে।সোনেলা ব্লগের একজন এমন মহৎ কাজটি করছে জেনে খুব ভাল লাগছে। আমরাও আপনাকে খুব মিস করছি।রোহিঙ্গাদের জীবন বৃত্তান্ত আপনার কর্মের অভিজ্ঞতা তিক্ততা সব নিয়ে আশা করি সোনেলায় পোষ্ট দিবেন। আমরা সোনেলা ব্লগের ব্লগাররা আপনার সাফল্য কামনা করছি। জয় হোক মানবতা।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আমি শুধু রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করি না। সারা বাংলাদেশে কাজ করি।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে পত্রিকায় আমার লেখা একটি উপ-সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছিলো যা পড়লে রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা যাবে।
কিন্তু মন্তব্যের জবাবে ইমেজ এড করার অপসন পাচ্ছি না। তবে ইউটিউবে আমার চ্যানেল একাউন্টে আমার কাজের ডকুমেন্টারি মওজুদ আছে।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
মনির হোসেন মমি
সোনেলা ব্লগে আপনার কাজগুলোই পোষ্ট আকারে সেয়ারে অনুরোধ করছি।আমরা জানতে সব।ধন্যবাদ ভাইয়া ভাল থাকবেন।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আমরা সেখানে এতো কাজ করেছি যে সবগুলোর বর্ণনা এখানে আনতে গেলে ব্লগাররা তিক্ত-বিরক্ত হয়ে যাবে। কিছু কিছু কাজের ডকুমেন্টারি ভিডিও ইউটিইবে Brother Bahar নামে চ্যানেল একাউন্টে আছে। তাছাড়া ঐ নামে ফেসবুক আইডিতেও পাওয়া যাবে অনেক বর্ণনা। তারপরও আমি কিছু কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় ব্লগে শেয়ার করবো।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি
আপনার চ্যালেনটির সাবক্রিভ করে নিচ্ছি।ধন্যবাদ।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
মানবতার কাজ করছেন জেনে ভাল লাগা রইল কিন্তু যাদের মানবয়া দেক্ষাচ্ছেন তারা অমানুস হয়ে গেছে। তারা এই দেশকে তাদের বাপ দাদার মনে করে যেতে যায়না তার কি হবে??/
এর সাথে এটাও ক্যাম্পিং করেছেন হয়েছ্র বাছাধন এবার নিজ দেশে ফিরে যাও।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
তারা পৃথিবীর সবচেয়ে অত্যাচারিত, নিগৃহীত, নির্যাতিত জাতি। যাদের বাবা, ভাই, স্বামীর সামনে মেয়ে, বোন, স্ত্রীকে ধর্ষণ করে অমানবিকভাবে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, নিজেদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করেছে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে কিছু সুশিলধারী তাদের অধিকার আদায়ে কলম না ধরে তাদেরকে মৃত্যু গহ্বরে ঠেলে দিতে চাচ্ছে।
তারা কী মানুষ নয়?
তাদের বাঁচার অধিকার নেই?
মোঃ মজিবর রহমান
তারা তাদের কপাল পুড়াইছে। আর তারা শিক্ষা দিক্ষায় নাই শুধু আল্লাহ আল্লাহ করে আর সন্তান প্রসব করাই। আর জংগি হিয়ে প্রিশাসনে হামলা করে। বাহু শক্তি নাই আবার শিক্ষার অভাব।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
তাদের দেশে তাদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ ছিলো। তাদেরকে শিক্ষাগ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে মুর্খ, মলট, অশিক্ষিত করে রাখা হয়েছিল! এটা কি তাদের দোষ?
আমরা কি তাদের অধিকারের পক্ষে আওয়াজ তুলেছি?
সাবিনা ইয়াসমিন
আশা করছি দীর্ঘ বিরতির পর এবার নিয়মিত লিখবেন। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। 🌹🌹
আপনার প্রোফাইলে ছবি এড করুন প্লিজ। দেখতে ভালো লাগছেনা।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
নিয়মিত লেখা হয়তো সম্ভব হবে না। কারণ আমার উপর অনেক দায়িত্ব। আমি বাকী জীবনটা সামাজিক কাজ করেই কাটাতে চাই। সমাজের কাছে দায়বদ্ধতার মর্মপীড়া উপলদ্ধ করি প্রতিনিয়ত।
সময় পেলে লিখবো নিশ্চয়। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রোফাইল পিক এড করছেন না কেন ভাইয়া? কোনো সমস্যা?
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আপু চেষ্টা করে পারছি না প্রপাইল পিক দিতে। গতকালও চেষ্টা করেছি। আচ্ছা আজকে আবার চেষ্টা করছি।
সাবিনা ইয়াসমিন
ছবি ১০০ কেবি করে নিলেই পারবেন ভাইয়া। চেষ্টা করে দেখুন প্লিজ
চাটিগাঁ থেকে বাহার
জ্বি আপু এবার পেরেছি। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
শ্রদ্ধেয় দাদা, আমি কিন্তু মাঝে মাঝে দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়ানোর ব্যাপারে কিছু লিখি। সেসব পোস্ট পড়ে আপনি কিন্তু মনখারাপ করবেন না, প্লিজ!
নতুন করে ব্লগে প্রত্যাবর্তনে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। সাথে শুভেচ্ছা অভিনন্দন।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
বিস্তারিত না জেনে কারো বিরুদ্ধে লিখে কোন মজলুম অসহায় মানুষকে আগুনের গুহায় কোন বিবেকবান লোক ফেলতে পারেন না। বাস্তুহারা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সরকার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় দিয়েছেন। জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত এনজিওগুলো ওদের ভরণ-পোষণ চালাচ্ছেন। UNHCR এর পক্ষ থেকে তাদেরকে রোহিঙ্গা হিসেবে ডিজিটাল কার্ড দেয়া হয়েছে। রিফিওজিদের জন্য আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদেরকে দেখভাল করা হচ্ছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে তারা নিজস্ব অধিকার নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। তাদের দাবী খুবই যুক্তিক। তারা রোহিঙ্গা স্বীকৃতি নিয়ে বাপ-দাদার ভিটেতে ঠাই পেতে চায়।
পারলে তাদের পক্ষে কথা বলুন। তাদের মানুষ হিসেবে দেখুন।
কিছু মিডিয়া আর কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদেরকে নিয়ে কাল্পনিক প্রপাগান্ডা চালায়।
ছাইরাছ হেলাল
এতদিন পরেও সোনেলাকে মনে রেখে আবার লিখছেন দেখে ভাল লাগল।
সময় পেলে একটু এদিকেও সময় দিবেন এমন আশা রাখি।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
নিজের লেখা হচ্ছে সন্তানের মতো। সন্তান ফেলে যেমন পিতা-মাতা দূরে বেশি দিন থাকতে পারে না তেমনি একজন ব্লগারও নিজের লেখা ফেলে ব্লগ থেকে দূরে থাকতে পারে না।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।