না লিখতে লিখতে লেখার ক্ষমতাটা বোধহয় হারিয়েই ফেলেছি। তবু কেনো জানি অদৃশ্য একটা টান আজ এখানে আবার নিয়ে আসলো আমাকে। আসতে যখন হবে কিছু একটা নিয়েই তো আসতে হবে। তাই এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা –
বর্ণের পর বর্ণ , শব্দের পিঠে শব্দ সাজে
পিচ ঢালা পথ যেভাবে মিলে দূর নিলীমায় ।
এথায় সেথায় ছড়ানো ছিটানো সে সবে
নিঃস্তব্দ জনপদ হয় মুখরিত , কলরবে।
সাদার কলংককে আঁকড়ে ধরে বুকে –
অবিরত নৃত্যরত উন্মাদ অর্ধনাঙ্গা ঢুলী,
ঝঁকড়া বাবরী চুল তার তুফান ডাকে।
ঘুমাতুর নেত্র সেথায় ঘুম যায় ভুলি।
মেছো আঁশটে গন্ধে নাক চেপে ধরে সভ্যতা।
কাঁদার হোলিখেলায় মত্ত নগ্ন মানব –
কিংবা দু স্তনের মাঝে ইয়া বড় মৎসকুমারী ।
এ লীলাখেলার মর্ম বুঝবে কেনো ললিতা?
সবুজের বুক চিড়ে লাঙল চলে,জিপিএস দেখে…
একে একে সাবাড় হয় পা থেকে শির…
সবশেষে ক্লান্ত মানব, ফেলে হাপানো নিঃশ্বাস।
চোখ মুদে আসে, কৃষ্ণবলয় হয়ে যায় থির।
ঘুম ভাঙ্গে এক ঘর্মাক্ত দেহের , নেয় বুক ভরা শ্বাস
বেলকনিতে দাঁড়িয়ে করে নিঃস্তব্দ সূর্যস্নান।
নিঃস্তব্দতা ভেদিয়ে আসে কিছু হিন্দী গান…
মৃত্যুপথযাত্রী আবার শ্বাস নেয় –
একটা দীর্ঘশ্বাস ।।।
১০টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
এমন সুন্দর লেখা থেকে আমাদের বঞ্চিত করাটা একটা অন্যায় ।
এই ব্লগটা আপনারও , নিয়মিত লিখলেই পারেন —
শুভ কামনা ।
হিপনোটক্সিক ইরেকটাস
জিসান আংকেল, একসপ্তাহের ছুটি পেয়েছি। সেই সুযোগে আসা। 😀
স্বপ্ন নীলা
প্রতিটি প্যারাতে সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে পড়ছে —— দারুন —–
হিপনোটক্সিক ইরেকটাস
ধন্যবাদ
শুন্য শুন্যালয়
অনেক অনেক ভালো লাগলো. ফিরে এসেছেন তাই চলে যাওয়া আর চলবে না..নয়নে আমরাও ফেলবো একটা দীর্ঘশ্বাস।।।
হিপনোটক্সিক ইরেকটাস
আমি তো সর্বক্ষণ আপনার পাশেই আছি। কিন্তু আপনি আমাকে চিনতে পারেন না, কিংবা আমি আপনাকে আমায় চিনতে দেই না – এই যা। 😀
শুন্য শুন্যালয়
আরে বাপরে! !! আপনি আবার ফেলুদা নয়তো? ;?
মশাই
লেখার কথা পরেই না হয় হবে আগে বলেন ছিলেন কই এতদিন? খবরদার আর যদি যাওয়ার নাম নিয়েছেন!!! আচ্ছা ভালো কথা এতদিন ব্যস্ত থাকলে এমন কবিতা লিখলেন কিভাবে? আর যদি একদিনে এমন কবিতার সৃষ্টি হয় আপানর হাতে তাহলে আমি বলে দিচ্ছি শোকরিয়া আদায় করেন খুব দক্ষ হাত আপনার।
হিপনোটক্সিক ইরেকটাস
কবিতাটার প্রেক্ষাপট চট্টগ্রাম মেডিকেলের ১৪ নাম্বার ওয়ার্ডের মৃত্যুপথযাত্রী এক রোগীর। যিনি শ্বাস নেবার জন্য রোজ খুব ভোরে উঠেন 🙂 বাস্তবতা সবসময়ই আবেগী। ধন্যবাদ প্রশংসার জন্য।
স্বপ্ন
ভালো লাগলো খুব ।
‘ ঘুম ভাঙ্গে এক ঘর্মাক্ত দেহের , নেয় বুক ভরা শ্বাস
বেলকনিতে দাঁড়িয়ে করে নিঃস্তব্দ সূর্যস্নান।
নিঃস্তব্দতা ভেদিয়ে আসে কিছু হিন্দী গান…
মৃত্যুপথযাত্রী আবার শ্বাস নেয় –
একটা দীর্ঘশ্বাস ।।। ‘