ছেলেটি মেয়েটিকে ডেকে গাঢ়স্বরে বললো
“এসো ভালোবাসায় ডানা মেলি ঐ দিগন্তে।
তুমি আমাকে উন্মুখ উন্মুক্ততা দেবে
তার বদলে এক আকাশ বজ্রের বৃষ্টি দেবো। রাজি?”
মেয়েটি অংকে পাকা। সরু ঠোঁটে হেসে বলল, “বুঝলাম তো সবই,
এই সঙ্গিন শীতে এত্ত দেরিতে কেন বলো।”
শুনি গান দূর বসন্তের, পাশপড়শী ক্লান্ত এখনও মোহনীয়া সুরে সুরে,
বিফল বীজে অঙ্কুরোদগম হয় না, ক্লান্তিতে লুটায় সাহঙ্করা কৃষক।
ঢেউয়ের দিগন্তে অধরা তীর্থ আঁধারে হারায়, রংধনু ছোঁয়া হয় না
মিথ্যের ঝিঁঝিঁ মায়ায়।
উড়নচণ্ডীর বিরহ বেলা আর কত কাল?
এবার ভিড়বে ডিঙ্গা দারুচিনির ‘ব-দ্বীপে’!!!
অনুজ্জাপনের সমস্ত নিয়ে অনিমিখ যুগলানন্দ এ শীতজ্যোৎস্নায়,
ঘোষনাঃ
ইহা অতি অবশ্যই নকল!! না কিন্তু,
আগে থেকেই খসড়ায় থাকা লেখাটি লেখকের অনুমতি নিয়ে প্রকাশ করা গেল।
– ব্লগ সঞ্চালক
৫৮টি মন্তব্য
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
প্রথম ++++++
অনেকদিন পর ব্লগে ফিরে এসেছেন দেখে ভাল লাগলো।
কেমন আছেন? শরীর ভাল এখন ?
ছাইরাছ হেলাল
দেরিতে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত,
আল্লাহর ইচ্ছায় অ সবার দোয়ায় আবার ফিরে এসেছি।
এখন বেশ ভাল।
জিসান শা ইকরাম
হু হু , এটা যে নকল না তা আমরা সবাই জানি 🙂
নকল বলিয়া লজ্জা দেবো না।
তবে অনিকেত নন্দিনীর সনদপত্র আবশ্যক ………
অনিকেত নন্দিনী
সনদপত্র? আমি দিমু কেম্বে? কইত্তে?
হা কপাল! ব্লগেও নকল সনদপত্রের চালাচালি চলে নাকি? :p
জিসান শা ইকরাম
এই ল্যাহা নকল নহে……
এবং এই লেখার সাথে করচা-২ এর ১০০% যোগাযোগ আছে ………
— এমন সনদ পত্র আবশ্যক 🙂
শুন্য শুন্যালয়
মানে কি দাঁড়াইলো? ভাউ যে একজন নকলবাজ সেই সনদপত্র? হেইতা কি কি কামে লাগতে পারে, জিসান ভাউ এইবার আইডিয়া বাতলান কিঞ্চিত।
জিসান শা ইকরাম
পোষ্টে একখান ঘোষনা আছে, উহা কতখানি সত্য তাহার সনদ পত্র 🙂 @শুন্য
অনিকেত নন্দিনী
সনদপত্রের লেন্দেন কেম্নে অইবো? মাগ্না সনদ দিমু? ইয়ে মানে ভাবতেসিলাম কিঞ্চিৎ ইয়ে টিয়ে হলে সনদপত্রে একটু বিশেষত্ব যোগ করতাম আর কি! :p
শুন্য শুন্যালয়
মাগনার যুগ শেষ, বান্দা হাজির, সুদাআসলে লেনদেন বুইজ্ঝা নেন আপু, তয় আমাগোর কইয়েন কি নিলেন। কি নিলে কোন বিশেষণ যুক্ত হয়, শিইক্ষ্যা রাখুম। কওয়া যায়না, চোরেরা বেশ তৎপর।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও বলি মাগনার দিন শেষ, শুধু ইয়ে নয় টিয়ে ও হবে,
তবে পাক্কা সনদ চাই।
অনিকেত নন্দিনী
উক্কে। নু চিন্তা, ডু ফুর্তি। পাক্কা সনদই দেয়া হপে। লেনদেনের পরিমাণটা একটু বাড়াতে হবে আর কি! 😀
ছাইরাছ হেলাল
লেনে সমস্যা হপেনা, দেনের ব্যাপার খানা মনে রাইক্কেন,
সনদ আমার চাই ই।
অনিকেত নন্দিনী
দিমু আনে 😀
ছাইরাছ হেলাল
আইচ্ছা!
অনিকেত নন্দিনী
ছেলেটি মেয়েটিকে বজ্রের বৃষ্টি দেবে বুজ্জি, মেয়েটি যদি বজ্র দেখে জ্ঞান হারায় তাইলে আমরা আছি হাসপাতালে নিয়া যাইতে। 😮
দ্বিতীয় শীতজোছনা আরো তিন সপ্তাহ আগে চলে গেছে কবি। ;( আবার এক বছরের অপেক্ষা। 🙁
ঢেউয়ের দিগন্তে অধরা তীর্থ আঁধারে হারায়ে যাক। 🙁
অবশ্যই নকল না তয় চিনা চিনা লাগে।
😀
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা সব মেয়েরা কি অংকে এত পাকা?
আপনি কি অংকের টিচার?
অনিকেত নন্দিনী
সারাগেবন অংকে ফেল মারলাম, অংকের টিচার হমু কেম্নে? 🙁
জিসান শা ইকরাম
তাইলে আমাগো অংকে পাকা করাইবে কে? 🙁
অনিকেত নন্দিনী
চুলপাকা কোনো শিক্ষকের খোঁজ করুন। :p
জিসান শা ইকরাম
আপনি শিক্ষক মানুষ
খুঁজে দিন একজন চুলপাকা শিক্ষক
শুভকামনা -{@
ছাইরাছ হেলাল
এ বৃষ্টিতে জ্ঞান হারাবে না, হারানো জ্ঞান ফিরে পাবে মুহুর্তের মধ্যে।
কস্তাকস্তি করে হাসপাতাল অব্দি যেতে হবে না আপনাকে।
এ শীত সারা বছর ই থাকে,
যাক, আপনি অন্তত নকলি মাল বলে বাতিল করে দেননি, এ বারে বেঁচে গেলাম।
অনিকেত নন্দিনী
এ তো মালই হয়নাই, আসলি আর নকলি কী আবার? 😮
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত কঠিন করে আপনি বলত্তেই পারেন্না।
অনিকেত নন্দিনী
বইল্ল্যা ফেলাইসি তো। 😀
ছাইরাছ হেলাল
ধুর!!
অনিকেত নন্দিনী
এইডা কী হইলো!
ভ্যালেন্টাইনের মত এমন শুভদিনে আপ্নে আমারে ‘ধুর’ কইলেন? 🙁
আমার সারাবছর তো বছর, গেবন্ডাই তো বরবাদ কইরা দিলেন! ^:^
শুন্য শুন্যালয়
আবার অংক? যেখানেই যাই কেবলই রাত হয়ে যায়। 🙁
অভাব না যায় ম’লে, স্বভাব না যায় ধুলে। নকলবাজ তকমা ঘাড়ে থাকতেই থাকতেই কবি কেমন ঝাঁ করে নামিয়ে ফেলে এক একটা। প্রসবের আনন্দ বড়ই অম্লমধুর। আর অভাব? কবি যে বিফল বীজে রোদ্দুর তাপে, বর্ষামুখী আজো কিসের ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ শোনে।
নকল করতেও ক্ষ্যামতা লাগে। চমৎকার হইছে জিরাফ। জানতে মুঞ্চায়, চোখ বুঝে ডুব দিয়ে আনলেন নাকি লেখা? আসেন জলদি, আপনারে ছাড়া তো জমে না।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা লেখক তো অনুপস্থিত ব্লগে।
তা লেখক এই লেখায় কি বুঝাইতে চাহিয়াছেন তা আমাকে কে বুঝাইবেন?
আপনি যদি একটু এই বুঝানোর দায়িত্বটা নিতেন, তাইলে আমার খুবই উপকার হইত 🙂
শুন্য শুন্যালয়
মেয়েটি অংকে পাকা, তাই পোলা এবার অংক ফেলে দার্শনিকতার দিকে ঝুকেছেন।
আর মাইয়াটা মনে হয় প্রপোজে সাড়া দেয়নাই, কারন দেরি হইয়া গেছে কইলো। তাই পোলা এখন রংধনু না ছুতে পেরে আক্ষেপ করছে, তবে স্বপ্ন হারায়নি। সাথেই রয়েছে দারুচিনির ব-দ্বীপ আর যুগালন্দ শীতজ্যোৎস্না ।
উপকার হইছে ভাইজান?
জিসান শা ইকরাম
হ, কিছুটা হইছে,
তবে মাথায় আরো কিছুক্ষন বারি দিতে হইব 😀
শুন্য শুন্যালয়
কএকটা লাইন বুঝতেই মাথায় এত বাইড়া বাইড়ি করন ভালো না। আপনি লেখেন ক্যম্নে এই বেরেন লইয়া? অংকে তো ভালোই পাকা শুনছিলাম, আর সাবজেক্ট ও নাকি দর্শন ছিল। আপনিও কি নকলবাজের দলের?
জিসান শা ইকরাম
শোনা কথায় কান দিয়েন না
দেখা কথায় চোখ দিন
কে জানে অংকে আর দর্শনে নকল করে ভালো করছে কিনা 🙂
নকল একটি সংক্রামক রোগ,
অনিকেত নন্দিনী
জিরাফ চোখ বুঁইজ্জ্যা পাতা চিবায় আর বুদ্ধি বাইর করে। না হইলাম জিরাফ, না পাইলাম চোরাই ধান্দাবাজির বুদ্ধি। 🙁
শুন্য শুন্যালয়
পাতা চিবায় চিবায় কি বুদ্ধি বাইর করলো এদ্দিন এইবার দেখার সুযোগ মিলছে আপু। তয় ধান্দাবাজ শুইন্যা উলটা না হাটা শুরু করে। কথা কিন্তুক ১০০ ভাগ সত্যি। 😀
ছাইরাছ হেলাল
দোস্ত,
নকল বা আসল ব্যাপার না, এখানে আমরা তো আমরাই।
তবে মেয়েটি কিন্তু অংকে বেজায় পাকা।
নাসির সারওয়ার
আমার যে কি ভাল্লাগতাছে…। অংক বুজিনা আর এই সব সহজ শব্দগুলাও খুলবার পারিনা।
মন্তব্য দেইখাও কিছু ঠাওর অয় নাই। আমি এই মাথাঠা যে কোম্মে রাহি…।
ছাইরাছ হেলাল
মাথা নরম দেয়ালে বাইড়াইতে হইবে, তাহলেই সব অংক বুজে আসবে।
নাসির সারওয়ার
দেয়ালতো ইট পাথর দিয়ে হয়। নরম দেয়াল খুজতে কোথায় যেতে হবে?
বলেন বলেন….
ছাইরাছ হেলাল
তাকান সামান্য আশেপাশে বড়-ছোট উঁচু নিচু অনেক দেয়াল
আশ-পাশেই দেখতে পাবেন,
ব্লগার সজীব
মেয়েটি হিসেবে চরম পাকা, শীতে কেন আসলোনা ছেলেটি? ওরে হিসেব 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কিন্তু খুব সাবধান, সবাই কিন্তু অংকবিদ!!
ব্লগার সজীব
সাবধান হয়ে গিয়েছি ভাইয়া। সোনেলায় আবার আপনাকে দেখে খুবই ভাল লাগছে। ফিরে আসুন অসুস্থ্যতা কাঁটিয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
সবই আল্লাহর রহমত ও আপনাদের দোয়া।
সবার সাথেই থাকব।
ইলিয়াস মাসুদ
উড়নচণ্ডীর বিরহ বেলা আর কত কাল? উড়নচণ্ডীর সারা কাল বিরহ …
ছাইরাছ হেলাল
বিরহ কিন্তু মন্দ না একেবারে, আপনি ও ট্রাই মারতে পারেন।
ইলিয়াস মাসুদ
বিরহ যে মন্দ না সে বুঝি………. কুড়ি বছরের জীবনে ষোল বছর গেল বিরহে কবি!
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রথমেই স্বাগতম -{@
ঘটনা কি প্রেম তো চুয়ে চুয়ে পড়ছে। কবি ভাইগো প্রেমের কবিতার জন্য যা ধুনা দিতেন, আজকাল নিজেই কাৎ।
তা দারুচিনির দ্বীপ থেকে দারুচিনি কিছু পাঠাবেন, অনেক দাম এখানে।
ওহ কবিতা সহজ হয়েছে, মনে হয় বুঝেছি। তাই ভালো লাগা কবিতায়।
ছাইরাছ হেলাল
প্রথমেই ধন্যবাদ আপনাকে।
উহ, চুইয়ে না, গলগল করে পড়ছে, আর নয় ধুনা, এখন আপনার পালা।
যাক, লেখা বুঝেছেন জেনে আনন্দিত।
অংকে আপনি বরাবর ই পাক্কু!!
নীলাঞ্জনা নীলা
বেশ বেশ পড়ুক।
আমার কি পালা শুনি? বুঝলাম না।
অঙ্কে পাক্কু মানে, অনেক। আরে শেখালেন তো আপনি-ই। 😀
সুস্থ হয়ে উঠুন, এবার আবার জমুক কবিতার আড্ডা সোনেলা নীড়ে।
ছাইরাছ হেলাল
না, মানে আপনি নবোদ্যমে কিছু লুমান্টিক ঢালুন।
আমাকে আর শেখানোর সুযোগ দিলেন কৈ!! তাছাড়া আপনি তো আদ্দিকাল থেকেই
অংক কষে পাক্কু হয়েই আছেন!!
আপনাদের সবার দোয়ায় অবশ্যই ফিরে ফিরে আসব।
নীলাঞ্জনা নীলা
আরে আমি তো সবসময়ই লুমান্টিক।
তবে ঠিক বুঝলাম না ভালো বললেন নাকি মন্দ। ;?
ছাইরাছ হেলাল
আরে খুপ ভাল বৈ মন্দ কেমতে বলি!
মোঃ মজিবর রহমান
আপনি ভাল আছেন ত?
আল্লাহ আপনাকে সুস্থ ও ভাল রাখুক এই আশা করি।
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহর অশেষ রহমতে ও আপনাদের সবার দোয়ায় এখন ভাল বোধ করছি।
যদিও আরও সময় লাগবে।
আপনার সাথে দেখা হবেই।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
ভালো লাগিলো।
যদিও অন্যকিছু ভাবছিলাম। আজকাল ভাবনাগুলাে মিলেইই না।
ছাইরাছ হেলাল
সব ভাবনা মেলানো কঠিন বৈকি।
ধন্যবাদ।
মিথুন
আসলের নকল, কিংবা নকলের নকল যাই-ই হোক, লেখাটি কিন্তু চমৎকার হয়েছে ভাইয়া।
অনুজ্জাপনের সমস্ত নিয়ে যুগালন্দ? আমাদেরও নাহয় উদযাপনে একটু সঙ্গে নিলেন। দারুচিনির ব-দ্বীপ সে কি জিনিস, আমরাও না হয় দেখলাম। বিরহবেলা বেশিকাল থাকলে মন্দ হয়না, আমরা এমন লেখা পাবো। পাঠকরা বড় নির্দয় আজকাল। 🙂
অরুনি মায়া
ছেলে মেয়ে দুটি অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে সময়োপযোগী গল্পে মেতেছে | একটু দেরিতে হলেও তারা সরল অংকের সমাধান করার পথে মনোযোগী হয়েছে জেনে ভাল লাগল |
সুখের স্বর্গ গড়ে উঠুক এই দারুচিনির ব-দ্বীপে 🙂