তোর জন্যে লিখতে বসে
হয়নি কিছুই লেখা
কি করবো বল তো আমায়
ভাবনা যে সব ফাঁকা।
কিছু কিছু কথা আছে
বলতে গিয়ে দেখি
ওলট-পালট হয়ে গেছে
শব্দরা দেয় ফাঁকি।
তবুও চেষ্টা করেই যাচ্ছি
তোকে নিয়ে লেখার
এমন কি শুনেছিস তুই
লেখাও হয় বেকার?
ধ্যত্তেরি ছাই এমন দিনে
কি যে তোকে দেই
আমার কাছে কিইবা আছে
ভাবছি আমি সেই।
জীবনের প্রতিটি দিন একই ভাবে আসেনা। আবার যায়ও না। কিন্তু এমন কিছু অনুভূতির পরিবর্তন করে, যার কোনো উদাহরণ দেয়ার মতো ভাষা নেই। তবে একটা জায়গায় স্থির থাকে আস্ত জীবন, যাকে আমি স্মৃতি বলি। যেভাবে রেখে আসা যায়, সেভাবেই থাকে। এতোটুকুও বদল হয়না। পথ চলতে চলতে যে মাইলস্টোনগুলো পার করে সামনের দিকে এগিয়ে যাই, ছুটতে থাকি। আর মনে মনে হিসেব কষি কি কি হারালাম। পাওয়ার সিন্দুকে কখনো উঁকি দিয়ে দেখিনা অনেক অনেক পাওয়া। আমরা মানুষেরা এমনই। ঋতুর মতো বৈচিত্র্য আমাদের মধ্যেও। বর্ষা এলে কখনো আনন্দে নেচে উঠি, আবার কখনো নীরবে চোখের জল ফেলি। প্রচন্ড শীতে উষ্ণতা খুঁজি, আবার চৈত্রের দাবদাহে সেই উষ্ণতাই ভিলেন হয়ে যায়। এই তো জীবন।
কি সব ভাবতাও্বিক কথা বলছি, তাই না? আসলে আবেগের ভান্ডারে এতো বেশী কথা জমেছে, যে কথাটি খুঁজে বেড়াচ্ছি সেটাই পাচ্ছিনা। ভেবেছিলাম ফুলেল উপমায় সাজিয়ে দেবো না-বলা অজস্র কথা। ঠিক বুঝতে পারছি “গভীর হয়গো যেখানে ভালোবাসা, মুখে তো সেখানে থাকেনা কোনো ভাষা।” কিন্তু ভালোবাসা কোথায়? দেখছি না যে! উফ কোথায় খুঁজবো?ভালোবাসা দেখি লুকোচুরী খেলছে। বাহ! কি সুন্দর ঝগড়া শব্দটাকে পেয়ে গেলাম। ওমা সাথে দেখি জড়িয়ে আছে রাগ-অভিমান!!! বেশ হলো ভালোবাসাকে খুঁজে না পেয়ে। এতো সুন্দর বন্ধুত্ত্ব ঝগড়া-রাগ-অভিমানের মধ্যে। ভালোবাসা বড়ো স্বার্থপর। কতোটা পাওয়া গেলো, আর কতোটা না হিসেব শুরু করে।
এতো কথা লিখে চলছি, সেই কবে থেকে ভেবে ভেবে। যার জন্যে লিখছি সে জানেই না, কবে থেকে লিখে যাচ্ছি। তবে আজ তো জানাতেই হয়। ছয়টি বছর কেটে গেলো, রাগ-ঝগড়া-মান-অভিমানের সাথে। তবুও কোথায় জানি কি একটা আড়াল থেকে জড়িয়ে রাখছে। সে কি ভালোবাসা? কি জানি! ফেসবুকীয় সম্পর্ক নিয়ে কতো কিছু লেখে মানুষে। আমি বলি এই ফেসবুক আমায় দিয়েছে অনেক দামী এক রত্ন। সেই রত্নটির নাম শিল্পী। যাকে অনেক জ্বালাই, রাগ দেখাই, খুব বেশী ঝগড়া করি। এমন জায়গা কেউ কি হারাতে চায়? তাই এই লেখাটি ওকে উৎসর্গ (ঘুষ স্বরূপ) করলাম।
এই মেয়ে, আবেগের ভান্ডার থেকে বেছে বেছে কয়েকটি অক্ষর দিয়ে দুটো শব্দ তৈরী করলাম আর তখনই একটি নামও লাফিয়ে এসে শব্দ দুটোর পাশে বসলো।
(3 শুভ জন্মদিন শিল্পী। (3
**এই পাগলী তোর জন্মদিন ভুলবো, এমন ধারণা তোর হলো কি করে? আমার মজা তুই নিতে পারিস না, এজন্য জন্মদিনের পরের দিন ঝগড়া করবো। আগেই জানিয়ে রাখলাম। হুহ! এই নে দেখ ভিডিওটা, তারপর তোর একদিন, কি আমার একদিন!
১৮টি মন্তব্য
রিমি রুম্মান
এতো সুন্দর করে কারো জন্মদিনে উইশ করা __ বাহ্, বেশ !
আমি জানিয়ে রাখলাম_ শুভ জন্মদিন, শুভকামনা … -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু ২০০৯ সালে ফেসবুকে পরিচয় এই মেয়েটির সাথে, কিন্তু কেউ বুঝবেই না।
তোমার শুভেচ্ছা পাঠিয়ে দিলাম।
ভালো থেকো। -{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
কতটা প্রিয় হলে এমন আবেগী শুভেচ্ছা পাওয়া যায়।শুভ জন্ম দিন আপনার বন্ধুকে এবং শুভ কামনা রইল দুজনের জন্য -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার শুভকামনা পাঠিয়ে দিলাম।
মৌনতা রিতু
আসলেই স্মৃতিরা এক জায়গাতে স্থির থাকে।
এতো আবেগ দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে কারো জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান দিলেন! ধুর আমার মাথায় যে কেন আসেনা, এসব কলার মালা?
নাহ! আমি নিলন্জনা আপুর ব্লগ নিব। সজীবের চিন্তাটা এবার বাস্তবায়ন করতে হবে। :p
মৌনতা রিতু
নিলন্জনা আপু, ওখানে কথার মালা হবে। এইটুকু লিখতেই এই ভুল !
নীলাঞ্জনা নীলা
🌹🌹❤❤
নীলাঞ্জনা নীলা
মৌনতা আপু আপনার ব্লগটা তাহলে আমার হবে। কি মজা! \|/
ওর জন্মদিনে সবসময় ওকে নিয়ে লিখি। ওকে ওর খুশীটুকু যেনো আজীবন দিতে পারি এমনই প্রার্থনা ঈশ্বরের কাছে।
জিসান শা ইকরাম
শুভ হোক জন্মদিন -{@
তোমার রত্ন শিল্পীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা এত সুন্দর হয়!
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা আমি কিন্তু তোমার জন্মদিনেও দেই এমন পোষ্ট। জানোই তো কতো সুন্দর লিখতে পারি আমি! :p 😀
জিসান শা ইকরাম
হ জানিতো 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
তাইলে অপেক্ষায় থাকো আরেক জন্মদিনের। 😀
ছাইরাছ হেলাল
ত্রিরত্নের এক রত্ন,
আপনি লিখবেন না তো এমন করে কে লিখবে।
আমার শুভেচ্ছাও তাকে জানাবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আহা! তা আপনি কোথায়? লেখালেখি কি বন্ধ?
এভাবে লেহা-ট্যাহা ছাইড়া কিয়ের ধ্যান করেন? আইয়েন কবিমশায়।
ব্লগার সজীব
জন্মদিনের সুন্দর উপহার। শিল্পী আপুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা -{@ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
খসড়া
বাহ্ জন্মদিনের অসামান্য উপহার।
নীলাঞ্জনা নীলা
খসড়া আপু ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।