ম্যাকাতি এলাকাটি ম্যানিলায় সব থেকে ধনী এলাকা, কথা আছে ম্যাকাতি ঘুমায় না, সেটা সত্যিসত্যি সত্যি। সন্ধ্যা নাগাদ বের হলাম দেখব পায়ে হেঁটে এখানকার স্ট্রিট ফুড কালচার, যা একান্তই সাধারণ মানুষের খাবার, এটি অন্য দিন বলা যাবে।
ছোট্ট একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আজ এখানে। মহা কিছু না কিন্তু। বোঝেন ই তো নবীন লেখাবাজ।
দু’তিন রকম বাদাম সাজিতে করে বিক্রি করে, মশলাদার কড়া ভাঁজা ঘ্রাণ। ছোট এক মিনি প্যাকেট কেনা হল পরীক্ষামূলক ভাবে, অচেনায় এটাই দস্তুর। উমমমমমমম, মজা মজা। মনে রাখব আমার দেশের তুলনায় দাম সব কিছুর কম পক্ষে দ্বিগুন ত্রিগুণ, ঝটপট আরও তিন প্যাকেট মেরে দিলাম দু’জনে। মনে হচ্ছে জীবন বাদামময়, আহা বাদাম, উহু বাদাম, মাথা নষ্ট নিয়ে মনে মনে তিড়িং বিড়িং, আরে ভাউ!! আধো অন্ধকারে বড় ঝুড়ি ভর্তি সিদ্ধ ডিম। হাস বা মুরগি বুঝি না সাথে কোয়েলের ডিম, দাঁড়ান দাঁড়ান………!!!
মায়া……কর কী?
ডিম ডিমা, মানে কী? ডিমে ডিমান্তি………………………উফ, আর জ্বালিও না…
বিভুঁয়ে সিদ্ধ ডিম, বললাম এক কুড়ি ডিম মারো, না মানে কিনতে চাইলাম। ধুর, এক কুড়ি দিয়ে কি হবে!! এক হালি!! না শেষ মেশ দুটো কিনে ডেরায় ফিরলাম। আরও ঘটনা আছে সে হবে ক্ষণ।
রাত প্রায় ফুটো করে ঢুলু নয়ন, নিঁদ নাহি আসে অবস্থা, পেট চোঁচোঁ। এবার ডিম হবে,ডিম ডিম। টুক করে একটি ডিমের সামান্য খুঁটলাম, কেমন কেমন জানি পানি পানি, পচা কোন গন্ধ ও না, নাক ভরসা দিচ্ছে। কিচেনে গিয়ে পানি গরম করলাম, টগবগে পানিতে ডিম রেখে গলা ভিজিয়ে নিয়ে ফেবু গুঁতাই। ডিম তুলে ঠাণ্ডা পানিতে দিয়ে ডিম খুঁটলাম একে একে দু’টো ই……………
সাবধান, মুখে দিবা না প্লিজ…………………………
জীবন খুব ই নিভাঁজ নিবিড় নির্বিষ নিষেধাজ্ঞাময় আমার!!
আপনার?????????? আপনাদের?????????
৬৩টি মন্তব্য
লীলাবতী
এই ডিম কিনেছিলেন খাবার জন্য? ডিমে তো বাচ্চা। ইয়াক ইয়াক। আমার সিদ্ধ ডিম খুব প্রিয়।এরপর আর সিদ্ধ ডিম খাওয়া হবে না।মায়াপু আর আপনি গিয়েছিলেন বুঝি? :p
ছাইরাছ হেলাল
চোখে তো এক্সরে নেই যে ভিতরে দেখব।
আরে ডিজিটাল যুগে সাথে থাকতে হয় বুঝি!!
বোঝেনা সে বোঝেনা।
লীলাবতী
আমি আসলে কিছুই বুঝিনা। একটু খেয়ে দেখতেন।মানুষেই তো খায় 😀
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, বুঝবেন না, নিষেধ আছে। সব কিছু চাইলেই খাওয়া যায় না।
নীতেশ বড়ুয়া
একটা কচ্চপের ডিম! অন্ধকারে ডিম বনে গেলেন দেখি!!!!!!! :D)
ফিলিপাইনে সব্জির দাম চারগুণ পর্যন্ত এইটা জানা ছিল, এখন যদি তিনগুণে গিয়ে ঠেকে তবে সস্তায় পেলেন হেলাল ভাইয়া :p
কিন্তু এই একদিনে ক্যামেরা হাতে এই একটি ছবি!!!!!!!! :@
ছাইরাছ হেলাল
বুঝব কীভাবে কী ডিম, সাধারণ ভাবে দাম এমন, আরও বেশি দাম ও হয়।
যদিও সব্জির দাম জিজ্ঞেস করিনি।
এত বেশি ছবি যে কোনটা রেখে কোনটা দেই তাই ভেবে পাচ্ছি না।
নীতেশ বড়ুয়া
সব ছবিই দিয়ে দিন, মজা হবে। আপনাদের চোখে আমরাও ফিলিপাইন ভ্রমণ করি? \|/
ছাইরাছ হেলাল
সব ছবি দিলে সোনেলা ডাউন হবে, তবে ছবি আপনি দেখবেন অবশ্যই।
নীতেশ বড়ুয়া
আমি দেখতে আপত্তি নেই তবে এ নিয়ে যদি কেউ আবার প্রতিবাদ করে এক্র পর এক ছবি আপ করে তার জন্য আমি দায়ী নই :p
আবু খায়ের আনিছ
আহারে! বেচারা এত শখ করে ডীম খাইতে চাইল, কিন্তু এইটা কি হইল। 😮 😮
ছাইরাছ হেলাল
আসলে ডিমের মধ্যে এসব থাকে তা ভাবতেই পারিনি।
আর এটা ওখানে খুব প্রিয় খাবার।
আবু খায়ের আনিছ
;( ;(
কৃন্তনিকা
আমি এখনো বুঝতে পারছি না, ডিমের মধ্যে কি? নীতেশ সাহেব কি সত্যিই বলছেন না মজা করছেন? এটা কি কচ্ছপের ডিম?
খেয়েছিলেন? কেমন?
নীতেশ বড়ুয়া
কৃন্তনিকাপু, একটা ডিমে বাচ্চার মাথাটা কচ্ছপের, এইজন্যেই বলেছি… :p
কৃন্তনিকা
আমি তো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।
নীতেশ বড়ুয়া
:D) কৃন্তনিকাপু ভয়ে বা গা গুলানোতে চোখ বন্ধ করে রেখেছে :D)
ছাইরাছ হেলাল
কি করে খাই!! উপায় তো নেই।
এটা আসলে বাচ্চা সহ ডিম, যা খাওয়া আমাদের পক্ষে অসম্ভব।
আমাদের ভুলে জান নি দেখে ভালই লাগে।
কৃন্তনিকা
এটা কি ওখানকার লোকজনদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় খাদ্য নাকি?
ছাইরাছ হেলাল
হ্যাঁ, খুব জনপ্রিয় খাবার এটি, খেয়ে দেখতে পারেন।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ভ্রুনসহ ডিম জনপ্রিয়???? ^:^
ছাইরাছ হেলাল
হ্যাঁ, এভাবেই খায় খোঁজ নিয়ে জেনেছি।
আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন!!
জিসান শা ইকরাম
এটি আসলে কাছিমের ডিম।
খাওয়া গেলে মন্দ হত না
একটা আলাদা অভিজ্ঞতা হত 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ডোন্ট ট্রাই এ্যাট হোম।
বনলতা সেন
শব্দের ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করলেন। অনেক তথ্য একটি ছোট্ট লেখায়। ব্লগে ইবনে বতুতার আগমন।
ছবি দেখে গা গুলিয়ে উঠছে। ভাগ্যিস নিষেধের আওতায় ছিলেন।
ছাইরাছ হেলাল
বতুতা-ফতুতা কিছু না, ঘুরান্টিস বাতিক বলতে পারেন। হাল্কা শব্দভুক আপনি বলতেই পারেন।
কিছু তথ্য দিতে চেয়েছি। খুব ই বৃহৎ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনন্দদবাস চালু আছে।
অরুনি মায়া
উফফ এই ছবিটা দেখলে আমার গা গুলিয়ে উঠে |সহ্যই করতে পারিনা,,,
ছাইরাছ হেলাল
ইসস, খাওয়া হলো না।
অরুনি মায়া
খেতে ইচ্ছে করছিল বললেই হত , নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতাম ,,,
ছাইরাছ হেলাল
এখন বললে তো হবে না। ইচ্ছে তো ছিল ই খেয়ে দেখার।
অরুনি মায়া
আচ্ছা ডিম বাদ, মুরগি রেঁধে নিয়ে আসি? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
শুনেই জিভে জল।
জলদি!!
অরুনি মায়া
বাজার টা কি আমাকেই করতে হবে? :@
ছাইরাছ হেলাল
আবার জিগস্?
অরুনি মায়া
এই ছিল কপালে ;(
ছাইরাছ হেলাল
করল্লা ভাজাও আছে।
অরুনি মায়া
আপনি রাঁধবেন কিন্তু! আমি মেহমান 🙂
নাসির সারওয়ার
ওখানের ওরা খায়, তা আমরাও না হয়,,,,.. । ইসসরে, ডিম দুটোর কাহিনীটা কতো কঠিন ভাবে শেষ হলো। আমি হলে আর একটু সামনে নিয়ে যেতাম।
ছাইরাছ হেলাল
ইচ্ছা তো ছিল, নিষেধাজ্ঞাও ছিল।
সামনে নিয়ে যান, সমস্যা নেই, এখানে যোগ করে দেয়া হবে।
লিখে ফেলুন একটি মন্তব্যে। আমি জুড়ে দেব।
কুবিতা ল্যাকপেন্না ? অনেক কাল তো গেল।
নাসির সারওয়ার
আমাকেও ওই নিষেধাজ্ঞা থামিয়ে দিতো, সামনে কি আর নেয়া হতো!
আপনিতো সর্বদাই সবকিছুই জুড়ে দেন। এবার যদি একটা কবিতা জুড়ে দিতেন!
অনেক স্বপ্ন ছিলোতো………
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো জুড়ে দিতেই পারি, আপনি দিলে বেশ হতো ।
আমি এখানে আর কিছু জুড়তে চাই না, আপনি শুরু করে দিন।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ছাইরাস হেলাল ভাইয়ের লেখাতে আমি মন্তব্য তেমন একটা করতে পারতাম না। কেনো যেনো ভয় লাগতো লেখাতে ভাবগাম্ভীর্যতা এবং কঠিন কঠিন শব্দ প্রয়োগের কারনে। আজ সুযোগ পেয়ে ভালোই লাগছে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি আমাদের ভুলেই গেছেন তাই এসব বলছেন। অনেক সহজ লেখাও আছে।
এটি কিন্তু এতটা সুবোধ না।
ধন্যবাদ দিচ্ছি।
অপার্থিব
ছবিটা দেখতে তো বেশ ভালই লাগছে। এটা যে ডিমের ভিতরের অংশ তা না বললে হয়তো অনেকে বুঝতেই পারতো না।
ছাইরাছ হেলাল
মোটামুটি যাতে সবাই বুঝতে পারে তেমন প্রচেষ্টাই ছিল।
প্রথম পড়লেন লেখা। শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপনাকে।
ঘুড্ডির পাইলট
ভয়ানক ঘটনা মামা !
ভাগ্যিস ডিম খান নাই !
ছাইরাছ হেলাল
আসলেই ভয়ানক, দেখার পর খাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
ড্রথি চৌধুরী
ডিমের মধ্যে কি??!!! 😮 আহারে যাই ছিল সিদ্ধ হয়ে গেলে বেচারা 🙁 এরপর থেকে ডিম ভাল মত ঝাকিয়ে কিনবেন কানে লাগিয়ে কিনবেন দেখবেন চো চি করে কিনা…। :p এমন হত্যার নিন্দা জানাই :p :D)
নীতেশ বড়ুয়া
:D)
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে তো তখন পাইনি, তাই সঠিক ভাবে বুঝিনি। এর পর চো চ্যা দেখে নেবো।
প্রাণ!! হত্যা অবশ্যই নিন্দনীয়।
ড্রথি চৌধুরী
😀 :D)
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ দিলাম।
মরুভূমির জলদস্যু
বিভাগটা মনে হয় ঠিক হয় নাই। ;?
ছাইরাছ হেলাল
ভ্রমণকালীন অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলাম মাত্র।
নীলাঞ্জনা নীলা
এখানে বিশাল বড়ো চায়েনিজ গ্রোসারি ষ্টোর আছে। এগুলো আছে, দেখেই আমার বমি আসে।
হুম ম্যাকাতি ঘুমোয় না। আমার বন্ধু প্রায়ই যায় ওখানে ব্যবসার কারণে। ও-ও বললো বেশ কিছু গল্প। যাক অপেক্ষায় আছি ম্যানিলার গল্প শোনার। -{@
ছাইরাছ হেলাল
দেখি ম্যানিলার গল্প লেখা হয় কিনা।
শুন্য শুন্যালয়
নবীন লেখাবাজের সত্যিসত্যি সত্যির গল্প শুনলাম। বাদামময় জীবনের নিষেধাজ্ঞা্য বিগলিত কনকনে আনন্দ যেন ঝুরঝুর করে লেখায় ঝড়ে পড়েছে। উহ, ডিম ডিমা। কি আছে জীবনে আমার!! একখান টেস্ট করে দেখলেই পারতেন :p
সব থেকে ধনী এলাকায় আপনারে ঢুকতে দিলো কে? বাদাম খাবার জন্য আমাদের বাবা ফুটপাতই ভালো, আমরা রাস্তার রাজা, অইসব ম্যাকাতি ফ্যাকাতিতে যাওয়া লাগেনা। কপাল, সবই কপাল 🙁
আমার জীবন নিষেধাজ্ঞাময় হতেই পারেনা, সারাক্ষন হাতে ছড়ি নিয়ে থাকি 😀
তা ভ্রমণ কাহিনী কি শুরু করলেন নাকি সমাপ্তি?
ছাইরাছ হেলাল
ভ্রমন কাহিনী লেখা সহজ কাজ নয়। কী যে লিখব বুঝছি না।
ডিমের ভিতরে দেখে গা গুলিয়ে এসেছিল।
নিষেধাজ্ঞা থাকাও আনন্দের, ইস, আপনার নাই, আনন্দ বুঝলেন না।
ভাউ, এ বাদাম সে বাদাম নয়, এ ও ধনীদের বাদাম।
তা না হলে এক সাঝি ই খেয়ে ফেলতাম। তা তো দেখছি ই, কপাইল্লার কপাল বলে কথা,
আপনাকে ই খোঁজে!!!!
ধরা দিয়ে ফেলুন, মগা লই!!
শুন্য শুন্যালয়
নিষেধাজ্ঞা থাকাও আনন্দের, আহারে এই আনন্দ কাল বদলে কেমন জানি হয়ে যায়। এইবার বুঝলাম সোনার শিকলের রহস্য 😀
আপনার জন্য কঠিন বলে কিছু আছে নাকি? থাকবেও না। গতানুগাতিক ভ্রমন রচনা থেকে বের হওয়া যাবেনা এমন কিন্তু নয়, আপনি আলাদা করে লিখছেন, পড়তে মজা লাগছে, তবে এত অল্পে মন ভরবেনা, আরো বেশি বড় করে চাই।
এই ডিম কেউ খায়, সাপের রক্তও পান করে, মায়াপুর জন্য প্যাকেট করে এনে দুজনে একসাথে খেতেন :p
কে খোঁজে আমারে ভাউ? এত মগা নেয়া ঠিক না 🙂
ছাইরাছ হেলাল
যাকে যার পছন্দ সে তাকে খুঁজবেই, গরুখোঁজা,
ভাঊ, আপনি এত্ত কঠিন ক্যান? ইট্টু লেনা-দেনা না হয় হতোই!!!
একটু উঁকিঝুঁকিতে মগা নিতাম, দিনকাল বদলাইছে, গোপনের কিছু নেই।
আপনার জহুরী চোখ সে তো জানি ই।
ভুতের ভবিষ্যত ভাবি না, অনাবিল বর্তমানেই ভাসি।
আগে বললে শুধু মায়াপু কেন আপনাকেও ভাগ দিতাম ডিম ডিমার।
অবশ্যই লিখব আমার মতই।
কামাল উদ্দিন
এগুলো কিসের ডিম ছিল বড় ভাই?
ছাইরাছ হেলাল
পরে জেনেছি এগুল মুরগির ডিম ছিল, আর এটি খুব জনপ্রিয় খাবার।
পুরোন লেখা (ভ্রমণ-লেখা) পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ,
নিজের লেখা পড়ার সুযোগ ও দিলেন।
কামাল উদ্দিন
আমি পিছনের দিকের ভ্রমণ পোষ্টগুলো পড়ার চেষ্টা করছি ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
ধৈর্য রাখতে পারলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
আপনার পছন্দ হবে কী না জানিনা, সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্ট অবস্থান কাল নিয়ে কয়েকটা লেখা আছে।
আমার খুব প্রিয়। যদিও সেখানের অবস্থান কাল মাত্র ৬/৭ ঘন্টা।
মন দিয়ে পড়লে আনন্দের বিষয় আছে।