আপনি যখন জেনেভা ক্যাম্পের বিহারীদের মানবেতর জীবন দেখেন, তাদের ঘিঞ্চি ঘর দেখেন, তাদের শিশুদের বাপের সাথে লুচি ভাজতে দেখেন, তাদের দেশহীন মানুষ হিসেবে দেখে আপনার দরদ উথলে ওঠে … আমি তখন দেখি লাশের মিছিল। গলায় লাল রুমাল বাধা বিহারী কসাইয়ের হাতে জবাই হওয়া লাশের মিছিল। যাদের কবর হয়নি, ময়লার ডিপোতে পুতে দেওয়া হয়েছিল, গনকবর হয়েছিল যাদের সেইসব লাশের মিছিল।
বিহারী শিশুদের নিয়ে আপনার আবেগ দেখলে আমার মনে পরে বুটের তলায় থেতলে যাওয়া শিশুদের কথা, বেয়নেটের আগায় গাথা শিশুদের কথা, যাদের একমাত্র অপরাধ ছিলো তারা বাংগালী।
বিহারী নারীদের দুর্দশা নিয়ে আপনার আবেগী লেখা পড়ে আমার চোখের সামনে আসে ধর্ষিতাদের আহাজারি। যাদের একমাত্র অপরাধ ছিলো তারা বাংগালী।
দেশহীন মানুষের কষ্টে আপনার বুক ভেংগে যায়, আমার তখন মনে হয় লাখ লাখ শরনার্থীর মানবেতর জীবনযাপনের কথা। যাদের একমাত্র অপরাধ ছিলো তারা বাঙ্গালী।
আপনার বিহারী ক্যাম্পের ঘিঞ্চি চোখে পরে, শিশুদের চোখে পরে, নারীদের চোখে পরে, কিন্ত স্যার আপনার চোখে পরে না জেনেভা ক্যাম্পে ঢোকার মুখে আটকে পরা “পাকিস্তানি “লেখা সাইনবোর্ড, আপনার কান এড়িয়ে যায় তাদের উর্দু, আপনার চোখে পরেনা ক্যাম্পে ওড়া পাকিস্তানি পতাকা। শেম অন ইউ
এই সব নারী শিশুদের কথা বলে আপনি আমার ঘৃণার দেয়াল অতিক্রম করতে পারবেন না স্যার। কারণ তারা পাকিস্তানি। হ্যাঁ আপনি আমাকে ঘৃণাবাদী বলতেই পারেন, দ্যাটস মি। পাকিস্তান প্রশ্নে আমার ঘৃণা সিমাহীন। বঙ্গবন্ধুর বাংলা কোন পাকিস্তানির জন্য নয়। এই মাটি শহীদের রক্তের দামে কেনা
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
১৬টি মন্তব্য
আজিম
আপনি আমাকে ঘৃণা করবেন, করেন স্যার; অসুবিধা নাই।
তবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এই ব্লগেই আমার ‘জীবনের খরতাপ’ শীর্ষক লেখা রয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অন্য ব্লগারগণের লেখায় কিছু মন্তব্যও আছে; কোথায় এই মুহূর্তে আমার মনে পড়ছেনা। ইচ্ছা হলে পড়ে দেখবেন।
একাত্তরে যাঁরা চরম অপমানিত হয়েছেন, নির্দয়ভাবে অত্যাচারিত হয়ে খুন হয়েছেন, হয়েছেন মাণবতার চরমতম অপমানিত, ধর্ষিতা, তাঁদের উপর আমারও সহানুভূতি রয়েছে। আমারও মন-প্রান কাঁদেনা তাঁদের জন্য, ভেতরটা তোলপাড় হয়না, এখানেই আপনি ভুল করছেন আমি বলবো।
সাইদ মিলটন
মানবতা মানুষের জন্য কোন পাকিস্তানি শুয়োরের জন্য নয়। আর বিহারীদের জন্য মানবতা দেখানো কোন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের মানুষের পক্ষে সম্ভব বলে মনে করিনা ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
পাকিস্তান প্রশ্নে আমার ঘৃণা সিমাহীন
এই হউক সকল বাংলাদেশীদের অন্তরে অনুধাপন।
সাইদ মিলটন
পাকিস্তান প্রশ্নে আমার ঘৃণা সিমাহীন
এই হউক সকল বাংলাদেশীদের অন্তরে অনুধাপন। (Y)
প্রজন্ম ৭১
পাকিস্তান প্রশ্নে আমার ঘৃণা সিমাহীন, এটি অবশ্যই প্রতিটি বাঙ্গালীর মাঝে থাকা উচিৎ। ৭১ এর এসব ছবি দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যায়, ইচ্ছে করে প্রতিশোধ নিতে।
সাইদ মিলটন
আপনার অনুভুতির সাথে সশ্রদ্ধ সহমত
জিসান শা ইকরাম
মনে পরে গেলো সেই শ্লোগান ‘ তোমার আমার ঠিকানা– পদ্মা মেঘনা যমুনা ”
১৯৭১ এসব ঘটনা ভুলে যাওয়া সম্ভব না
আমাদের চেতনার আগুন এইসব অত্যাচার, নির্যাতন।
যা জ্বলবে আজীবন।
সাইদ মিলটন
৭১ এর চেতনা অস্বিকার মানে নিজের শিকড় অস্বিকার দাদা
ছাইরাছ হেলাল
স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ চিহ্নিত হয়েই আছে।
সাইদ মিলটন
তা আছে , কিন্ত এই প্রথমালু স্টাইলে পাকিরাও ভালু তত্ব গেলানো চুতিয়ারাই সবচে ডেঞ্জারাস হেলাল ভাই। আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে চিটাগাং এ পাইক্যা ক্রিকেট টিমের দর্শকদের কাছে হেনস্তা হবার কথা । আর আজকে দেখেন প্রথমালু গোষ্ঠির রিকন্সিলিয়েশন তত্ব গেলানোর ফল – স্টেডিয়াম ভর্তি গালে পাইক্যা পতাকা আঁকা পারজের দল
ব্লগার সজীব
এদের ক্ষমা নেই, সুযোগ পেলেই আবার রক্ত পানের জন্য বেরিয়ে আসবে।
সাইদ মিলটন
সকল পাকিজাত দের অবিলম্বে ফাকিস্তানে পুশব্যাক করা হোক
লীলাবতী
বিহারীরা কখনোই আমাদের আপন ভাবেনি। খসড়া ভাইয়ার পোষ্টে পড়েছি এদের নৃশংসতা ।
সাইদ মিলটন
অথচ দেখেন এই ফাইকিজাতদের জন্যই কারো কারো দরদ উথালায়ে উঠতেছে :@
মেহেরী তাজ
ছবির দিকে তাকাতে পারিনা কষ্টে। এই অন্যায়ে যারা জড়িত তাদের ক্ষমা নেই।
স্বপ্ন
১৯৭১ কে নিয়ে আপোষ নেই কোনো ।