
জীবনের গল্প-১৯-এর শেষাংশ:☛তখন কালীগঞ্জ শুভাঢ্যা ইউনিয়ন এলাকার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিলো যে, ভাড়া বাড়ি থেকে প্রাণভয়ে বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে মিলের ভেতরে থাকতাম। মিলের ভেতরে অন্তত তিন-চার দিন সপরিবারে অবস্থান করেছিলাম।
বাবরি মসজিদ নিয়ে সেসময়ে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা তুলে ধরলাম। ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ কিন্তু ভারতীয় উগ্রবাদী হিন্দু সম্প্রদায় ধংস করে ১৯৯০ সালে অক্টোবরের শেষদিকে। আমি তখন নারায়ণগঞ্জ গোদনাইল এলাকায় মহিউদ্দিন স্পেসালাইজড টেক্সটাইল মিলে। বাসাও ছিলো মিলের সাথেই। সেসময় ভারতের অযোদ্ধায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করায় বাংলাদেশী মুসলমান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে সংগঠিত হয় দাঙ্গা। তখন বাবরি মসজিদ ভাঙার জেরে এদেশের হিন্দুদের উপর অক্টোবর থেকে শুরু করে নভেম্বরের ২-৩ তারিখ পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে দমনপীড়ন চলতে থাকে। কিন্তু আশার কথা হলো, তখন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাশহরে জ্বালাও পোড়াও ধর মার হলেও, নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভয়াবহ তেমন কিছু ঘটেনি।
কিন্তু ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ তেমন কিছু না ঘটলেও, ওই ঘটনার সূত্র ধরেই ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলাশহরে হিন্দুদের উপর বিরামহীন অত্যাচার, নির্যাতন, লুটপাট, হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণের মত জঘন্য নিষ্ঠুরতা চলতে থাকে। সেই সময়কার ঘটনায় অনেক মা বোনের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছিল। অনেক হিন্দুদের প্রাণহানিও ঘটেছিল। অনেক বোনদের ধর্মান্তর করে বিবাহ করা হয়েছিল। এই সহিংসতার সময় আমি ঢাকা সদরঘাটের নদীর ওপারে কালিগঞ্জ রশিদ স্লিক টেক্সটাইল মিলে চাকরিরত অবস্থায় ছিলাম। সেই নির্যাতনের দৃশ্য আজো চোখের সামনে ভেসে উঠে ৷ তখন আমি আমার বাচ্ছা-কাচ্চা নিয়ে এক হিন্দু বাড়িতে ভাড়া থাকতাম। আমার মিলের মালিক একজন মুসলমান হয়েও, মালিক নিজে মিলে এসে ম্যানেজারকে নির্দেশ দিলেন আমার পরিবারবর্গ নিয়ে মিলের ভিতরে আশ্রয় নিতে ৷ তারপর সপরিবারে মিলের ভিতরে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বেঁচে যাই ৷
যাইহোক, রশিদ স্লিক মিলে তিন-চার দিন পর পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হলে; আবার ভাড়া বাসায় গিয়ে উঠলাম। এরপর থেকে আবার রশিদ স্লিক মিলে নিয়মিত কাজ করতে লাগলাম। কিন্তু একসময় সেই মিলেও বেশিদিন কাজ করতে পারিনি, কিছু অসাধু শ্রমিক কর্মচারীদের জ্বালায়! ওদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ওদের সাথে থাকলেও, পরবর্তীতে মালিকের পক্ষ নিয়ে উল্টো আমাকেই দোষী সাব্যস্ত করে। কিন্তু মিলের মধ্যে ওরা হলো শ্রমিক, আর আমি ছিলাম মালিকের বেতনভুক্ত কর্মচারী। তবুও আমি সবসময় শ্রমিকদের পক্ষেই কথা বলতাম। এটাই ছিলো আমার একমাত্র দোষ। এতে গা জ্বালা ধরে মালিকের আপন ভাগিনা ম্যানেজার রিপন মিয়ার। মালিক মোয়াজ্জম সাহেবের বাড়ি ছিলো বিক্রমপুর। ম্যানেজার রিপনের বাড়িও বিক্রমপুর। মিলের ডিজাইন মাস্টার ছিলেন, আমাদেরই হিন্দু ধর্মীয় একজন। নাম মৃণাল কান্তি সরকার।
তাকে আমি যেমন বাঘের মতো ভয় পেতাম, তেমন আবার পীরের মতো শ্রদ্ধা করতাম। উনার অনিপুস্থিতে মিলের ডিজাইনের টুকিটাকি কাজ আমিই চালাতাম। এতে তিনি উপরে উপরে খুবই খুশি ভাব দেখাতেন, ভেতরে ভেতরে থাকতেন রাগে গোস্বায়। কিন্তু আমি উনার মুখের হাসিটাই সবসময় দেখতাম, রাগ গোস্বা নিয়ে মাথা ঘামাতাম না। শেষ পর্যন্ত উনিই পীরের ভুমিকা নিয়ে নাটের গুরু সেজে মালিকের সাথে বসে থাকে।
যে কারণে আমি দোষী হয়েছিলাম– “সামনে ছিল ঈদ-উল-ফিতর। মিলে ছিলো না প্রোডাকশন। তাঁতিদের ছিলো করুণ অবস্থা। এরমধ্যে ঘোষণা আসে ঈদে কাউকে বোনাস দেওয়া হবে না। মিলের সব তাঁতিদের মাথায় ভেঙে পড়লো মহাকাশ। মিলের সব তাঁতি আমাকে খুবই মান্য করতো। ওরা আমার কাছে ওদের কথা জানালো। ওদের কথা হলো, ‘যে করেই হোক ঈদে বোনাস আদায় করতেই হবে, আপনি আমাদের সাথে থাকবেন। এতে কারের চাকরি চলে গেলেও, বোনাস আদায় করা হবে।’ আমার সম্মতি চাইলে আমি ওদের সাথে থাকবো বলে কথা দিই। একসময় ঈদ ঘনিয়ে এলে শ্রমিকদের এক কথা দুই কথায় মিল উত্তপ্ত উয়ে ওঠে। মিল ম্যানেজার, মাস্টার আমাকে অফিসে ডেকে জিজ্ঞেস করলো, ‘ওদের সাথে আমি আছি কিনা?’ আমি বললাম, ‘যেখানে সবাই একসাথে মিলে-মিশে কাজ করি। সেখানে ওদের সাথে না থাকাটা হবে বেঈমানী। আমি ওদের সাথেই আছি। আমার কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মিল থেকে চলে যেতে বললো।’ আমি সাথে সাথে মিল থেকে বেরিয়ে যাই। তারপর দেখা গেলো মিলে থেকে শুধু আমি একাই বেরুলাম, আর একজনও বের হয়নি। সবাই সামান্য কিছু ঈদ বকসিস পেয়ে দিব্বি বহাল তবিয়তে কাজ করতে থাকে।” কিন্তু আমি আর মিলের সামনেও গেলাম না।
চাকরির সন্ধানে গেলাম ইসলামপুর আমার আগের মালিক মিলন সাহেবের কাছে। তিনি আমাকে দেখে খুবই খুশি হলেন। বসতে বললেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোথায় আছি।’ বললাম, ‘বর্তমানে বেকার। থাকি নদীর ওপার কালীগঞ্জ। ছিলাম মোয়াজ্জেম সাহেবের ভাড়া নেওয়া রশিদ স্লিকে। উনি মোয়াজ্জেম সাহেবের কথা শুনে চিনতে পেরে বললেন, ‘ওহ্, মোয়াজ্জেম? এলিগেন্ট ফেব্রিকসের মালিক?’ বললাম, ‘হ্যা স্যার!’ তখন মিলন সাহেব বললো, ‘আমিতো তোমাকেই খুঁজছিলাম। কিন্তু তোমার কোনও খোঁজ পাচ্ছিলাম না। আমি ঢাকা গুলশান এলাকায় নতুন করে একটা মিল করেছি। ২০টি তাঁত বসিয়েছি। মিল অলরেডি চালু আছে। কিন্তু ড্রয়ার করার লোকের সমস্যা। তোমাকে পেয়ে চিন্তামুক্ত হলাম। তুমি আগামীকালই গুলশান আমার মিলে চলে যাও!’ আমি মিলন সাহের কথা শুনে স্বর্গসুখ পেলাম। আমিও একরকম চিন্তামুক্ত হলাম।
তিনি আমাকে ৫০০/= হাতে দিয়ে উনার মিলের ঠিকানা লিখে দিলেন। আমি বাসায় আসার পথে কিছু বাজার-সদাই করে বাসায় আসলাম। পরদিন সকালবেলা মিলন সাহেবের দেয়া ঠিকানামতো চলে গেলাম ঢাকা গুলশান। সেখানে গিয়ে দেখি পরিচিত আরও দুইএক জন তাঁতি সেই মিলে কাজ করছে। তাদের দেখে খুবই ভালো লাগলো। সেদিন আর কোনও কাজ করলাম না, পরদিন কাজ করার জন্য সবকিছু ঠিকঠাক করে আবার সন্ধ্যার পর কালীগঞ্জ নিজের বাসায় ফিরে গেলাম। পরদিন সকালে গুলশান মিলে গিয়ে কাজ করা শুরু করি। আমার ফ্যামিলি বাসা থেকে যায় রশিদ স্লিকের সাথেই। বাসায় আসতাম প্রতি শুক্রবার। শনিবার সকালে আবার গুলশান মিলে চলে যেতাম।
এভাবে মিলন সাহেবের গুলশান মিলে মাসেক ছয়মাসের মতো খুব সুন্দরভাবে কাজ করেছিলাম। একসময় বর্ষাকালের আগমন ঘটে। গুলশান এলাকায় যেখানে মিলটি ছিল, সেই এলাকাটি নিচু এলাকা। এলাকাটির নিচু হওয়াতে, সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো এলাকা বন্যার মতো হয়ে যেতো। তার উপর আবার বন্যার সিজন। একসময় ভারি বর্ষণের কারণে মিলের ডিপার্টমেন্টের ভেতরে পানি ঢুকে যায়। পানির বেড়ে যাওয়ার কারণে মিল মালিক মিলন সাহেব কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধন্ত নেয়। মিলের সব শ্রমিকদের পাওনা টাকা বুঝিয়ে দিয়ে ১৫দিন ছুটি ঘোষণা করে। তখন আমি বাসায় চলে যাই। মিল থেকে যেই টাকা বেতন পেয়েছিলাম, তা ছিল খুবই সামান্য।
কয়েকদিন পরই ছিলো বাসা ভাড়া দেওয়ার তারিখ। কিন্তু হতে টাকা ছিলো খুবই কম। তখন নিজের গিন্নীর সাথে বোঝাপড়া করলাম, কী করা যায়! গিন্নী বুদ্ধি দিলো, সে কিছুদিনের জন্য ছেলেমেয়ে নিয়ে বাপের বাড়ি গিয়ে থাকবে। এই কিছু দিনের মধ্যে একটা ভালো চাকরি খুঁজে নিতে। গিন্নীর কথায় রাজি হয়ে তা-ই করলাম। গিন্নীকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে, চলে আসলাম নারায়ণগঞ্জে বড় দাদার বাসায়। বড় দাদার কাছে বর্তমান অবস্থা খুলে বললে, দাদা আমাকে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য ৫০০/=টাকা টাকা দেয়। এরপর সেখানে দুইদিন ঘোরাঘুরি করে আবার চলে গেলাম শ্বশুরবাড়িতে। শ্বশুরবাড়ি থেকে গিন্নীকে নিয়ে আবার চলে আসলাম কালীগঞ্জ নিজের বাসায়। কিন্তু অনেক ঘোরাঘুরি করেও কোথাও আর চাকরি ব্যবস্থা করতে পারছিলাম না। এভাবেই কয়েকদিন কেটে গেলো।
ক‘দিন পর হঠাৎ কানাই ভারত থেকে নারায়ণগঞ্জ আসে, ওর দুই বোনকে ভারত নিয়ে যাওয়ার জন্য। কানাই নারায়ণগঞ্জ এসেই আমার খবর সংগ্রহ করে জানতে পারল, আমি কালীগঞ্জ আছি। কানাই আমার খোঁজে চলে গেলো কালীগঞ্জ রশিদ স্লিক মিলে। সেখানে গিয়ে জানতে পারলো আমি চাকরি ছড়ে গুলশান চলে গেছি। কানাই মিলের দারোয়ানের কাছে আমার বাসার ঠিকানা চাইলে, দারোয়ান কানাইকে নিয়ে আমার বাসায় রওনা হয়। পথিমধ্যে আমার সাথে দেখা। আমি বাসা থেকে চা দোকানে যাচ্ছিলাম। কানাইকে দেখে আমি অবাক! তারপর কানাইকে নিয়ে চা দোকানে গেলাম। সাথে রশিদ স্লিকের দারোয়ান চাচাও। চা-বিস্কুট খেলাম। আমার বর্তমান অবস্থা বললাম, কানাই শুনলো। এরপর কানাই বললো, ‘তুই আমার সাথে ভারত যাবি?’ আমি বললাম, ‘আগে বাসায় চল, তারপর কথা হবে।’ কানাইকে নিয়ে গেলাম বাসায়। সময়টা তখন ১৯৯৩ সালের মার্চমাস। ১৩৯৯ বাংলা চৈত্রমাস।
বাসায় যাওয়ার পর কানাইকে দেখে গিন্নী ও অবাক! কানাই আমার গিন্নী কে বললো, ‘ওকে আমি আমার সাথে ভারত নিয়ে যাবো। এখানে থেকে ও কিছুই করতে পারবেনা। তুমি বৌদি আপাতত কয়েক মাস বাপের বাড়িতে থাকবে। তারপর ওখানে ওর একটা চাকরি অথবা যেকোনো কাজ ঠিক হলে গেলেই তোমাকে ওখানে নিয়ে যাওয়া হবে। তুমি কি রাজি?’ কানাইর কথায় আমার গিন্নী কিছুই বলেনি, শুধু বললো, আচ্ছা দাদা তা পরে দেখা যাবে।’ কানাইও আর বেশিকিছু না বলে শুধু বললো, ‘আমি যা বলে গেলাম, তা তোমরা বুঝে দেখবে। আমি চললাম। এই বলেই কানাই সেদিনেরমত আমার বাসা থেকে ওদের বাসায় চলে যায়।
কানাই চলে যাওয়ার পর আমি আমার গিন্নী কে বললাম, ‘কানাই যে ভারত যাওয়ার কথা বলে গেল, এখন তোমার অভিমত কী?’ আমার গিন্নী বলল, ‘তুমি যদি ভারত যাও, তবে-তো চাকরি, বাসা দুটোই ছাড়তে হবে।’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ তা-তো ছাড়তেই হবে। তুমি মাসেক ছ’মাসের জন্য বাপের বাড়িতে থাকবে। ওখানে একটা ব্যবস্থা করে নিতে আমার বেশ একটা সময় লাগবে না। আমি মাসেক তিন-মাস পর এসে তোমাকে নিয়ে যাব।’ গরীবের মেয়ে স্বামীর কথায় বিশ্বাসী। তাই আর আমার কথায় অমত করেনি। আমি যে-ভাবে বলেছি, ও তা-ই মেনে নিচ্ছে। গিন্নীর সাথে কথা একরকম পাকা-পাকি হয়ে গেল।
পরদিন আবার কানাই আমার মিলে আসলো। কনাইকে নিয়ে আমি বাসায় গালাম। কানাই আমার গিন্নী কে জিজ্ঞেস করলো, ‘বৌদি, আমি যে গতকাল বলে গিয়েছিলাম তা তোমরা কী বুঝ পরামর্শ করলে?’ আমার গিন্নী বললো, ‘কানাইদা, আপনি যা ভালো মনে করেন তাই করবেন। ওখানে গিয়ে যদি ভালো একটা কাজকর্ম করতে পারে, তাহলে তো ভালোই হবে।’ কানাই বললো, ‘নিতাই তো আমার ওস্তাদ। আবার আমার বড় ভাইয়ের মতো। ওর ভালোই আমার ভালো। তোমরা শান্তিতে থাকবে, এটাই আমি চাই। এখানে তো তোমরা সারা বছর কষ্টই করে যাচ্ছ। ওখানে গেলে তোমাদের কোন কষ্ট হবে না। এব্যাপারে তুমি একশভাগ নিশ্চিত থাকতে পার! আর আমি নিতাইকে যার ওখানে নিয়ে যাবো, তার নাম রতন চক্রবর্তী। তাকে নিতাইও খুব ভালো করে চেনে জানে। সেই লোক নগর খানপুর থাকে। তার একটা বাড়ি আছে ভারত চব্বিশ পরগনা জেলায়। জায়গার নাম ফুলিয়া। সেই বাড়িতেই তোমরা থেকে বাড়ি দেখাশুনা করবে। এতে ভালোই হবে।’ এই বলেই কানাই আমার বাসা থেকে চলে গেলো ওদের বাসায়। পরদিন আমি নগর খানপুর রতন চক্রবর্তীর সাথে দেখা করে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করে ভারত যাবার প্রস্তুতি নিই।
চলবে…
২৭টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কতকিছু জানছি আপনার সুন্দর স্মৃতিকথায়। তখনকার হিন্দুদের উপর নির্যাতন ও হামলার ঘটনা অল্প কিছু মনে পড়ে যা পত্রিকা মারফত জানতে পেরেছিলাম। আবার ভারত যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন! ভগবান মঙ্গল করুন আপনার। শুভ কামনা রইলো অহর্নিশি। শুভ সকাল
নিতাই বাবু
ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য মানুষ যা করে, আমিও তেমনই একটা চেষ্টা করেছিলাম, দিদি। কিন্তু তাতেও সফল হইনি। শেষমেশ অনেক কষ্টে দেশে ফিরে এসেছিলাম। সেসব বিস্তারিত নিয়ে আগামী পর্বে হাজির হচ্ছি। আশা করি সাথে থাকবেন। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দিদি।
ছাইরাছ হেলাল
এবার জীবনের নুতন মোড়। দেখি কোথায় ভেড়ে এ নাও।
নিতাই বাবু
না, কবি মহারাজ। জীবনের মোড় ঘোরাতে পারিনি। ভারত গিয়ে নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরেছিলাম। সেসব ঘটনা নিয়ে আগামী পর্বে উপস্তিত হচ্ছি। আশা করি সাথে থাকবেন। শুভকামনা থাকলো কবি মহারাজ।
মোঃ মজিবর রহমান
জিবন লিপিবদ্ধ। জিবনের গল্প। দুখ কষ্ট। আসুক নতুন মোড় ভাল হোক কামনা।
নিতাই বাবু
না, মজিবর দাদা। জীবনের মোড় ঘোরাতে পারিনি। ভারত গিয়ে নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরেছিলাম। সেসব ঘটনা নিয়ে আগামী পর্বে উপস্তিত হচ্ছি। আশা করি সাথে থাকবেন। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
মোঃ মজিবর রহমান
জিবনের মোড় ঘুরলে এখন ভাল থাকতেন। যাক স্রষ্টা ভাল থাকুক। কামনা করি
নিতাই বাবু
কষ্ট করে আর থাকতে পারিনি দাদা। পরের কথা সহ্য হয় না। তাই কষ্ট করেই চলে এসেছি। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
আলমগীর সরকার লিটন
এরকমী জীবনের গল্পসব কস্ট বুঝার মন থাকতে হবে প্রিয় নিতাই দা গল্প পড়ে বুঝবেন
নিতাই বাবু
হ্যাঁ দাদা, এসব গল্পই বেশি পড়ি। অনেক জীবনের গল্পই আমার জীবনের সাথে মিলে যায়। আবার কোনটার ধারেকাছেও না। এই হলো জীবন।
শুভকামনা শ্রদ্ধেয় কবি লিটন দাদা।
আরজু মুক্তা
বাবারে! এক জীবনে কতো কাহিনী!!
দেখি, এবার আপনার নতুন জীবনের মোড়।
শুভকামনা
নিতাই বাবু
না, শ্রদ্ধেয় দিদি, আমি জীবনের মোড় ঘোরাতে পারিনি। ভারত গিয়ে নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরেছিলাম। সেসব ঘটনা নিয়ে আগামী পর্বে উপস্তিত হচ্ছি। আশা করি সাথে থাকবেন। শুভকামনা থাকলো দিদি।
রুমন আশরাফ
১৯৯০ সালের সেই সময় আমি থাকতাম ঢাকাতে। ছোট ছোট বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছিলো তখন। বিভিন্ন মিষ্টির দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। মরণ চাঁদ মিষ্টির দোকান ছিল তার মধ্যে একটি।
নিতাই বাবু
আমি তখন নারায়ণগঞ্জ মহিউদ্দিন স্পেসালাইজড টেক্সটাইল মিলে কাজ করতাম। কিন্তু তেমন একটা সমস্যায় পরেছিলাম না। ১৯৯৩ সালের ভয়াবহ ঘটনায় পরেছিলাম সমসায়। ভয়ও পেয়ে ছিলাম। সেই ভয় এখনও আমার মন থেকে যাচ্ছে না। এখনও ভয়ে ভয়েই থাকি। সময় সময় ভারতে কোনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামা হলেই, আতঙ্কে থাকি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় দাদা। আশা ভালো থাকবেন।
তৌহিদ
ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমাদের কতকিছুই করতে হয়। আপনার লেখায় আজ নির্যাতিত মানুষের কথা জানলাম।
ভালো থাকুন সবসময়।
নিতাই বাবু
ভাগ্যটাকে পরিবর্তন করতে চেষ্টা আর কম করিনি, দাদা। কিন্তু ভাগ্য আমার কপালে সইল না।
ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
জীবনের কথোপকথন বড়ই কঠিন ও কঠোর
বাস্তবতা বড়ই নির্মম।
তাই হোক জীবন জানলাম আপনার মতোন করে।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
সত্যি কঠিন দাদা। এই জীবনের ভাগ্যটাকে বদলাতে অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ভাগ্য আমার কপালে সইল না। তাই এখন দুঃখটাকে সঙ্গি করে সবসময় চলছি।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
আপনাকে ও ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
দাদা, আপনার জীবনের গল্পে স্মৃতিচারনে একেক পর্বে নতুন নতুন ঘটে যাওয়া জীবনের ঘটনাগুলি জানছি। জীবন মানেই যে নীরব যুদ্ধ তার প্রমান আরনার জীবনের গল্পে। পরের পর্বে আরো কিছু নতুন জানতে পারবো। সেই সাথে আপনার ভারত সফরের গল্প জানার অপেক্ষায় রইলাম।
নিতাই বাবু
সত্যিই একটা অন্যরকম যুদ্ধ! যা অনেকেই চোখে দেখে না। আমি এখনো যুদ্ধেই আছি।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
ইঞ্জা
বেশ সংগ্রামী জীবন আপনার, এদেশ থেকে ভারতে গেলেন জেনে মন বলছে ওখানেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি।
যায় হোক অপেক্ষা করছি।
নিতাই বাবু
সত্যি বলেছেন শ্রদ্ধেয় দাদা। আমি ভারত গিয়েও জীবনের মোড় ঘোরাতে পারিনি। ভারত গিয়ে নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরেছিলাম। সেসব ঘটনা নিয়ে আগামী পর্বে উপস্তিত হচ্ছি। আশা করি সাথে থাকবেন। শুভকামনা থাকলো দাদা।
ইঞ্জা
মনে কু ডেকেছিলো দাদা।
অপেক্ষায় রইলাম।
নিতাই বাবু
বেশি খাইতে গেলে যে অবস্থা হয়, আর কি!
ভালো থাকবেন দাদা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
আপনার লেখায় নির্যাতিত মানুষের কথা ফুটে উঠেছে।
জীবন একজায়গায় থেমে থাকেনা।
আপনার সংগ্রামী জীবন।
শুভকামনা দাদা।
নিতাই বাবু
আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন।