অন্তরে পুঞ্জিভুত বিষ
মুখে বললে ভালবাসি
ভালবাসার পবিত্রতাকে
করলে,অহংকারে
কেটে কুচি কুচি”
জীবনের ধাপ চারটি প্রথমতঃ শিশু,কিশোর এবং যৌবন আর কারো কাছে বিরক্তি কেউ বা অনেক কষ্টে জীবন কাটান সেই বৃদ্ধ কালটা নাই বা বললাম।শিশুকালটি কারো স্মৃতিতে জেগে থাকে কারো বা মুছে যায় আর কিশোরের উদ্দীপনা সবারই মনে থাকার কথা যদি স্মৃতি শক্তি দুর্বল না হয়।আর যৌবনের কোন স্মৃতিই ভুলবার কথা নয়।
তখনকার কথা বলছি যেই যুগে মোবাইল ছিল না মনের ভাব প্রকাশ করতে একমাত্র চিঠিই ছিল এর বাহন।সেই চিঠি লিখতে কত যুবক যুবতি যে রাতের পর রাত পার করেছেন কেবল সেই জানেন আর তখনার অনুভূতির ইমেজটি মনে কতটা সূখকর ভাব দোলা দিতো তা কেবল হিরো হিরোইনরাই জানেন।তখন মনে হতো জগতের সকল সুখ বুঝি ঐ ললনার মিষ্টি হাসিতেই।আর এখন একটা বয়সে বুঝি এ সবিই মিথ্যে পার্থিব চাকচিক্যের অলংকার যা সময়ের স্রোতে ভেসে আসা এক একটি জীবনের অধ্যায়।
এ সময়ে মনের দিক দিয়ে ধীরে ধীরে অনেক পরিবর্তন আসে।যদি ফ্যামিলির কেউ নিজের প্রিয়তমা বা প্রিয়কে কেউ কিছু মন্দ বলেন তবে মন তা মেনে নিতে পারে না হউক তা জন্মদাতা কেউ।কারো কোন উপদেশই কানে সয় না হউক তার ভবিষৎ জীবনের জন্য ভালো উপদেশ তবে এর কু-ফল পাওয়া যায় যখন,তখন বুঝতে পারেন “মুরুব্বিদের কথা ভাসি হলেও ফলে।সেই সব প্রেমের কারনে প্রেমিক যুগলরা বাপ দাদাদের দেয়া সুন্দর নামটি পরিবর্তন করতেও দ্বিধাবোধ করেন না।তেমনি একটি ঘটনা নিয়ে একটি চিঠি আসে যেখানে নাম পরিবর্তনের ঈঙ্গিত বিদ্যমান।
প্রিয়, -{@
আমার অন্তরে অন্তর তুমি
নিঃস্বাসের বিশ্বাস
ভাল বেসে হয়েছি তোমার
কবু হবো নাকো পর
দিলেম এই আশ্বাস।
বৃষ্টি ভেজাঁ এমন দিনে কেমন আছো?মুষল ধারে বৃষ্টিতে ভিজলাম,দুটি হাত ছড়িয়ে আকাশের পানে মুখ তুলে বৃষ্টির ফুটোকে মুখগহবরে নির্গত করছি আর
ভাবছি…এ সময় যদি তুমি পাশে থাকতে।ভেজাঁ শাড়ির আচলেঁর তলে ভালবাসার উষ্ণতার পরশ নিতাম।ভিজেঁ একাকার দুজনেই,বাহু বন্ধনে জলে টইটুম্বর বিলের জলে রং ধনুর সাতটি রংয়ে ভাল লাগার ছবি আকতাম।তুমি জানো,পৃথিবীতে আমি দুটি জিনিসকে খুব ভালবাসি, এক তুমি আর এক হলো এই মুষল ধারায় বৃষ্টিকে।
মন যখন অশান্ত থাকে কোন কাজে মন বসে না খোজে ফিরি বৃষ্টি আর তোমাকে।বৃষ্টি হলো রোমান্টিজমের মনকে সতেজ করার মহাঔষধ আর তুমি হলে সেই ঔষধ প্রয়োগকারি ডাক্তার।যখনি বৃষ্টির ফুটার স্পর্শে গায়ের ন্যুয়ে পড়া পশম উঠে দাড়ায় মনে হয় তখন তোমার জাদুর হাতের স্পর্শ পেলাম।
তোমার মনে আছে,একদিন দুজনে ছাদে আকাশ ফেটে তখন প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল সাথে সূর্য্যের যত রৌদ্র ছিল তাও পৃথিবীতে আছড়ে পড়ছিল,আমি যখন আনন্দে বাধন হারা হয়ে গ্রাম্য প্রবাদ বলছি “রোদ হচ্ছে বৃষ্টি হচ্ছে খেক শিয়ালের বিয়ে হচ্ছে”তখন তুমি বললে…এ আবার কে রে বাবা!আমি বললাম এ হচ্ছে তুমি।তুমি তখন মুচকি হেসেই বললে,”চলো তবে কাজী অফিসে”।সে দিন মনে অনেক অনেক আনন্দ লেগেছিল কেননা “স্বপ্ন বুঝি দোয়ারে কাড়া নেড়ে গেল।
এই যা কেরোসিনের হারিকেনের আলো নিভু নিভু যে কোন সময় এর মৃত্যু হতে পারে তাই আর দেরী নয় এখনি চিঠির অন্তনিহিত তাৎপর্য্য ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।নিজেদের নিরাপত্তার খাতিরে দুজনের নামের পরিবর্তনটা খুবই দরকার ছিল।তবে ভেবে পাচ্ছি না কি নামে ডাকবো তোমায়।প্রায়তো এক মাস ভেবে ভেবে অবশেষে একটি নাম খুজে পেলাম।বলতে পারো নামটি কি?“মমি”আমার জান।বলতে পারো এ তো মিশরের পিড়ামিড…হ্যা তা ভাবলেও ভাবতে পারো কারন তুমি আমার হৃদয়ে এই পিড়ামিড হয়ে বেচে থাকবে অনন্তকাল আমৃত্যু।এই নামটিতে আরো একটি অর্থ বহন করে যার কারনে এই নামটিকেই আমি বেছে নিয়েছি কিন্তু এর উত্তর আমি বলবো না তা তোমাকেই খুজে বের করতে হবে।
আরো অনেক কিছুই লেখবার ইচ্ছে মন উতলা কিন্তু উপায় নেই রাফের ছেড়া পৃষ্টায় সময় পার হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই মসজিদের মোয়জ্জিন ফযর নামাজের আযান দিবেন।ভাল থেকো। ইতি
তোমার দেয়া নামের অপেক্ষায়। -{@
নিয়তির কি পরিহাস,যা চাই তা ভুল করেই চাই আর যা পাই তাও ভুল করেই পাই।মমি নামটি রাখার কারন খুজে বের করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি।সেই তার হিষ্টোরিটা পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়।দুজনের নামের প্রথম অক্ষর।সে দিন থেকে এই নামটি আমার জীবনের সাথে মিশে যায় যা বর্তমানে মিল।
ধন্যবাদ সবাইকে। -{@
২৯টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
চমৎকার এক মনের কোনার কথা পড়ে ফেললাম।
মমি নামটার উৎস পেলাম।
এসব লেখায় কি বলি ! আমি এই পাঠক ভালোলাগায় শুধু পড়েই গেলাম।
কেরোসিনের টিমটিম আলোয় টিনের চালের উপর মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজে এলাম।
শুভকামনা রইল।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ আপু -{@
গাজী বুরহান
জীবনের ধাপ চারটি হবে। বৃদ্ধকালের কথা ভুলে গেলে চলবে?
লেখায় ভালো লাগা রইল। আসলে এখনকার আমরা সেই আবেগ উপলব্দি করবারও যোগ্যতা রাখিনা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ভুলেনি ভাইয়া আমি শুধু জীবনের রঙ্গিন দিক দেখানো চেষ্টা করেছি তবুও ধন্যবাদ এখন দেখুন ঠিক করে দিয়েছি। -{@
অনিকেত নন্দিনী
ভাই, কেকা চৌধুরীর জীবনের ধাপ তিনটি; আমাদের চারটি। তার বয়স ৩৫ এর পর আর বাড়েনি, আমাদের বাড়ছে – বাড়তেই থাকবে। সে চিরযৌবনা হয়ে মরবে, আমরা বুড়ো হয়ে মরবো। ;(
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হুম বুঝলাম
ঠিক করে দিয়েছি যেহেতু আমরা কেকা চৌধুরি না। -{@
ছাইরাছ হেলাল
এই তাহলে নামের উৎস,
না লিখলে জানাই হতো না।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হুম ভাইয়া তা এখনো বলবৎ -{@
ক্রিস্টাল শামীম
একটা চিঠিও যে এতো মধুর হতেপারে, আপনার লেখা না পড়লে বুঝতাম না। আপনার লেখার প্রতি ভালোবাসা রইলো। -{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ ভাইয়া। -{@
শুন্য শুন্যালয়
লেখার মন্তব্য পরে দেব, ভাইয়া আপনার প্রো পিক চেঞ্জ করেন, ভয়ে আমার রাতে ঘুমই হবেনা 🙁
বাই দ্যা ওয়ে, মি দিয়ে কী নাম শুরু তাই-ই ভাবতে বসেছি, মিনা, মিতু, মিতালী, মিশু? কী নাম? কী নাম? ^:^
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বলেই দেই শুণ্য আপু বলে কথা…প্রাক্তন প্রেমিকা যিনি আমাকে মমি বানিয়েছিলো নাম তার মিলি আর বর্তমানে ১৩তম প্রেমিকা এবং ঘরণী তার নাম মিনু অথ্যাৎ বেটে বলে মিলে যাওয়াতে রেখেই দিলাম নামটি আমার মমি। -{@ ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
ইশ রে একটুর জন্য ধরতে পারিনি, যাই হোক মিনা আর মিনু তো একই 😀
মেহেরী তাজ
অ এই তাহলে মমির রহস্যা……!
সোনেলার মমির রহস্য। যাক বাবা রহস্য ভেদ করা গেছে…….
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ পিচ্চি আপু -{@
অপার্থিব
দারূন লিখেছেন। চিঠি পত্রের দিনগুলোকে খুব মিস করি… প্রযুক্তি মানুষকে দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ…
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হ্যা ভাইয়া খুব মিস করছি জানি সে দিনগুলো আর কখনো ফিরে পাবো না। -{@
জিসান শা ইকরাম
এত্ত প্রেমিকা ছিল আপনার? ১৩ তম জন ঘরণী?
আপনি তো দেখছি প্রেম গুরু 🙂
ভালই লাগছে প্রথম এবং শেষ জনের নাম নিয়ে আছেন বর্তমানে।
যা মনে আসে লিখে ফেলুন নিশ্চিন্তে,
আমরা আমরাই তো।
ব্লগ বা ফেইসবুকে শুধু ” মনির হোসেন মমি ” নাম টা থাকলে হয় না?
শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মনের মাধুরী মিশিয়ে ছবি আকতাম
সেই সুবাদে গায়ে হলুদের ঘর তৈরী,বরের গাড়ী সাজানো সারা রাত্র জেগে আলপনা আকাঁ ইত্যাদির কারনে মেয়েদের সাথে আমার বেশ সখ্যতা ছিল এর মাঝে কেউ মন দিয়েছে কেউ বা মন ভেঙ্গেছে তবে যতটা ভাবছেন আমি ততটা খারাপ নই এক বিরহকে ঢাকতে আরেকটি ভালবাসার সৃষ্টি করি।সোনেলায় পোষ্টকৃত অতৃপ্ত জীবন…ভালবাসা নামক একটি সিরিজে অনেক কিছুই লিখেছি হয়তো আপনি ভুলে গেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া। -{@
জিসান শা ইকরাম
বুড়ো হইছি না? মেমোরি কার্ডও পুড়ান হয়েছে,
কত আর মনে রাখা যায় বলেন 🙁
মিষ্টি জিন
টিঠি পত্রের দিনগুলো অনেক ভাল ছিল। কত আবেগ , অনুভুতি মিশানো থাকতো চিঠিতে।
মমি নামের রহস্য বুঝলাম।
১৩ নাম্বার আনলাকি হলেও আপনার জন্য লাকি হয়ে গেল। বৃষ্টির পানি ধরা ছবিটা খুব সুন্দর ।
লেখা ভাল লেগেছে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হুম আপু দোয়া করবেন। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই চিঠি আমার খুব প্রিয়। পড়তে এবং লিখতেও।
যাক “মমি” নামের কাহিনী জানা গেলো। একটা কথা না বললেই নয়। প্রেম ১৩ বার হয়না। পৃথিবীর সমস্ত মানুষদের একটা দিকে খুব মিল আমরা আমাদের প্রেমের আবেগ প্রথম মানুষটির কাছেই থাকে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সহমত দিদি প্রেম একবারই হয় বাকী যা তা বিরহের বিচ্ছদকে ঢাকবার তারপরও প্রথমটি ভুলা যায় না।ধন্যবাদ।
সিকদার
সুন্দর এক বিরহী গাঁথা গল্প । (-3
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ সিকদার ভাইয়া -{@
ব্লগার সজীব
গোপন কথাটি রহিল না গোপন 🙂 (y)
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
যেখানে পরিবার সেখানেই বসবাস আর এখানে কোন লুকায়িত কিছু নেই।ধন্যবাদ সজীব ভাইয়া।
আবু খায়ের আনিছ
আমাকে একটু পিছিয়ে দিন ভাই, আমি সেই সুধা পান করিতে চাই।