এখানকার প্রধান ভীড় বহুল রেস্তোরাঁ রেলগেটের জাহাঙ্গীর রেস্টুরেন্ট (নাম-ধামে ভুল হতেই পারে) সহ আরও সাকুল্যে গোটা তিনেক প্রায় জ্যাঠা রেস্তোরাঁয় ঢু মেরে ফলাফলে আরও বেশি পেট চোঁ চোঁ নিয়ে ফ্যা ফ্যা ঘুরে বেড়াচ্ছি। সকালিক নাস্তা জুটবে কিন্তু চা হবে না। হায় এই মিহি ভোরে কিনা চা বিহীন ফাটা কপাল নিয়ে যাত্রাশুরু। একজন রেস্তোরাঁ মালিককে সবিনয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম। নাস্তার আগে বা পরে চা পাব না ! তা চা বিক্রি করছেন না কেন? ছানাবড়া চোখ উত্তর দিলেন ‘বলেন কী চা বিক্রি করব?’ খুব যেন সম্মান হানিকর বিষয়।তাহলে চা কোথায় খাব এই সক্কাল বেলায় এই প্রশ্নের উত্তরে রাস্তার পাশে টং দোকান দেখিয়ে দিলেন তর্জনী উঁচিয়ে।যষ্মিন দেশে যদাচার।
সব রেস্তোরাঁয় হয়ত এমন নয়,যা পেয়েছি–খেয়েছি তা থেকেই বলছি। যদিও যেখানে থেকেছি সেখানে নাস্তার সাথে চা এর ব্যবস্থা ও ছিল।ছিল অন্য হ্যাপাও।তবে এখানকার চা কিন্তু সেরাম,শুধু চা খেয়েই দিনাতিপাত করা যায়।জাহাঙ্গীরের রেস্তোরাঁয় নাস্তা শেষে বিল দেয়ার সময় দেখি কাউন্টারে মালিক পক্ষের কেউ চা খাচ্ছে,আর যায় কোথায়! ‘ভাই আমাদের ফেলে একা একা চা খাচ্ছেন!’বিস্ময় ও ঈষৎ লজ্জিত হয়ে বলল ‘একটু বসেন আপনাদেরও আনিয়ে দিচ্ছি’ অভয় দিয়ে বললাম ‘আনিয়ে দিতে হবে না,দোকান দেখিয়ে দিন।’
সেই থেকে শুরু করেশেষ দিনেও চা পান চালু ছিল সেই দেখিয়ে দেয়া দোকানে।দু’কাপ চায়ের কথা বলে রাস্তার পাশে অর্ধেক কাঠ অর্ধেক লোহার বেঞ্চিতে বসে অপেক্ষা করছি আর সকালের কুষ্টিয়ায় চোখের পরশ বোলাচ্ছি। প্রায় মগাক্রিতির কাপে চা এলো কিন্তু চা কাপের তলানিতে।মন খারাপ নিয়ে ফুঁ দিচ্ছি আর ভাবছি,বৈদেশি পেয়ে অগা-মগা বানাচ্ছে। এই ইট্টু চা ,তা আবার দশ আশরাফি কাপ প্রতি। বিভূঁইয়েএই ছিল কপালে! কপোলে না কিন্তু। ফুড়ুৎ ফুচুৎ ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ করে দু’জনেরই দু’চুমুকে চা শেষে। আমানত ভাই,চার কাপ চা তাড়াতাড়ি।জোড়া কপালচোখে (৪+৪)দু’হালি বিশাল বিস্ময়ের প্রশ্নবোধক নিয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। দুই বুইড়া দু’কাপ খেয়ে আরও চার কাপের অর্ডার দিচ্ছে ! আশে-পাশে তো কোন খোর দেখছে না।আশ্বস্ত করলাম,ভাই আপনার চা সেরাম,পেট ভরে খেতে চাই।মনে মনে ভাবছি পথে ঘাটে অক্কা পেলেও মুখে লেগে থাকা চা-পিয়োর শান্তি লেপ্টে থাকবে তা নিশ্চিত। কৌতূহলী হয়ে চা তৈরীর প্রক্রিয়ায় প্রায় শ্যেন দৃষ্টি।কেটলিতে লিকার জ্বাল দেয়া হয় না। ঘন দুধ,যা প্রায় লাল-হলুদে রং এর কাছাকাছি,মগে ঢেলে ছাকনিতে চা পাতা রেখে টগবগে পানি সামান্য দিয়ে দেয় কেটলি থেকে,পরে চিনি দিয়ে ঘুঁটা, না না ঘুঁটা নয়।চায়ের মগে বিশেষ দণ্ডযন্ত্রটি প্রবিষ্ট করে আবার তুলে অন্য মগে। সময়ের ব্যাপ্তি কয়েক সেকেন্ড। তাতেই কম্ম সাবাড়। প্রথমে বুঝতে পারিনি,আমানত ভাইয়ের কব্জি খপ করে ধরে উঁচু করে যা দেখলাম তাতে চক্ষু চড়কে ঘুঁটা যন্ত্র দেখে। আসছি
আবার ……
আমাদের আম্মার সাথে চায়ের দোকানে গিয়ে যথারীতি তিন জনের জন্য ন’কাপ চায়ের ফরমাশ। হঠাৎ খেয়াল হল আমানত ভাইয়ের দাঁতের সংখ্যা একটি একটিকরে গুনে বলা যায়,চৌষট্টি্টি। আম্মাদের জমিদারী এলাকার মধ্যেই দোকানটি,আমরা মেহমান,আমাদের দিকে যেন লক্ষ্য থাকে,আম্মা বলে দিয়েছে। উপচে পড়া খাতিরে আর নয় কাঠ-লোহার বেঞ্চি।ঘুপচি দোকানের মধ্যে বসেই অমৃত সাধের চা পিয়েছি সকাল থেকে রাত-অব্দি। চায়ের জন্য দু’মন দুধ বরাদ্দ রোজ দিনকার জন্য এ দোকানে।সর থেকে তৈরী হয় খাঁটি ঘি,প্রতি কেজি হাজার টঙ্কা মূল্যে। আম্মার লোক হিসাবে আমাদের জন্য রেয়াত ছিল কিন্তু মারা যাব শীঘ্র তাই আপাতত ঘি নাস্তি।(আসলে পরিবহন সমস্যা থাকায় নিতে পারিনি) ভাল কথা,কুষ্টিয়ায় দুগ্ধজাত পণ্য ভেজাল মুক্ত এখনও(পরীক্ষা প্রার্থনীয়)।হাতে তৈরী গোল মুঠোর মত ইলেকট্রিক টেপ জড়ানো,এক দিকে বলপয়েন্ট কলম,কালি বিহীন,শেষ মাথায় মাছির মাথার সাইজের দু’ব্লেডের প্রপেলার,এটি সাবমার্জিবল। মুঠোর অন্য প্রান্তে সরু দু’টো তার গিয়ে এ্যাডাপ্টারের সাথে সংযুক্ত। কাজেই কাপে কোন ঘুঁটা না দেয়ার কারণ এভাবেই উদ্ঘাটিত হলো।
আমি অন্তত এই প্রথম দেখলাম, আপনারা কি দেখেছেন এই জিনিস এই যন্তর? দেখে থাকলে ,কখন কোথায় কী রূপে তা ইট্টু যে যার জায়গায় দাড়িয়ে আওয়াজ দিয়ে সক্কলকে জানিয়ে দিয়েন।
৪০টি মন্তব্য
খেয়ালী মেয়ে
পেট ভরে আমার কখনো চা খাওয়া হলো না ;( এই দুখখে কোন যন্ত্র দেখছি আর কোনটা দেখি নাই, সব ভূইল্যা গেছি 🙁
ছাইরাছ হেলাল
এবার থেকে মন দিয়ে লক্ষ্য রাখবেন। এমন যন্ত্র দেখেন কীনা।
চা কিন্তু সেরাম। একবার খেলে আবার খেতে হবে। আমি চা খোর না হয়েও অনেক খেয়েছি।
প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
দারুন উপস্থাপনা।
এমন খাটি গরু দুধের চা আমি আর খাইনি
সময় বাঁচাতে চাএর কাপে এমন চা,চিনি,দুধ মিশাতেও আর দেখিনি।
চায়ের স্বাদ যেন এখনো লেগে আছে মুখে।
রেষ্টুরেন্টে চা বিক্রীতে রেষ্টুরেন্টের অসন্মান হবে যে 🙂
আম্মা জানের কথা আর কি বলা যায়? লেখুমনে একটা পোষ্টে।
ছাইরাছ হেলাল
দারুণ কিনা জানিনা তবে যে চোখে দেখেছি তা কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি
আনন্দ চিত্তে।
চা খোরেরা যখন এ চায়ের প্রশংসা করে তখন বুঝতে হবে এটি অবশ্যই সেরম চা।
রেস্তোরাঁয় চা বিক্রি অসম্মানের তা এই প্রথম দেখলাম।
লিখে ফেলুন আপনার আম্মা-কথন।
জিসান শা ইকরাম
আসলেই এমন চা আর খাইনি পুর্বে।
লিখবো আম্মা কথন–
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষায় থাকব।
ব্লগার সজীব
আমার ঐ দোকানে চা খেতে যেতেই হবে। প্রপেলর দিয়ে চা নাড়ানো, লোকটার মেধা আছে বুঝা যাচ্ছে।
ছাইরাছ হেলাল
গেলে দেখতে পাবেন অকৃত্রিম হাসি মুখে যন্ত্র দিয়ে যন্ত্রের মত মধু মধু চা বানিয়ে যাচ্ছে।
শুন্য শুন্যালয়
আপনি অই রাত্রির পিছে ঘোরা ছেড়ে দিন, পথে বেরিয়ে পরুন আর এইরকম লেখা নিয়ে ফেরুন।
জ্যাঠা রেস্তোরাঁ কাকে বলে? আর এই অর্ধেক কাঠ আর অর্ধেক লোহার বেঞ্চের ছবি তুলেছেন? নিজেরা দেখলেই হবে তাইনা?
অক্কা পেলেও মুখে চা পিয়োর শান্তি লেগে থাকবে? হা হা। হাসছি কিন্তু দুখের হাসি বুঝতে হপে। এমন চা খেয়ে পেট ভরিয়ে এখানে ঢেকুর তুলতে দেখলে সহ্য হয়? এমন যন্ত্র দেখার তো দুখের কথা নাম ও শুনিনি।
লেখা কিন্তু সেরাম হইছে, অবশ্য এ আর নতুন কি?
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন কে যে কার পেছনে বা সামনে ঘোরাঘুরি বা গড়াগড়ি করে তা এই সোনেলায় আমার লেখা সাক্ষী দেবে।
কথা সেটা না, কথা হলো আপাতত রাতের সাথে আছি থাকতেও চাই কিছু কাল। তবে এবারে ভ্রমণ সেরাম
ছিল। সামনে আরও পড়তে পারবেন। বাকী শুধু ওপর ওয়ালার ইচ্ছা। কুটি কুটি প্রশ্নবাণ ছুড়লে হপে না।
ছবি দেখিয়ে ফাঁপরে ফেলতে চাই না। (ফাঁপরাইয়া যাইবেন) সামান্য সেরাম ছবিও আছে কর্তা।
সবে ইট্টু লেখা শিখছি এখনই এমন বললে হবে না।
শুন্য শুন্যালয়
জানি জানি, কে কার পিছে ঘুরছে এইটা বলে এতো ক্রেডিট নেয়া ঠিক না। পোড়ামুখি থাকুক, আশ্বাস দিচ্ছেন যখন তখন আর তার সাথে বিরোধ নাই। দেখছি কিন্তু বুকার ভাষায় কথা বলছেন আজকাল।
ইট্টু লেখাই আমার কাছে সেরাম লাগে, আমি আবার আধটু লিখি যে। ফাঁপড়ের ভয়ে ফাঁকি দিয়ে লাভ হবেনা। ছবি দিতেই হবে।
প্রশ্ন করতে আমার ভালো লাগে।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন আমার রাতকে পোড়ামুখি বলবেন না, রাত দুঃখ পাবে। সে আমার জানু। রাতের সাথে গুটু গুটু পিত্তল দি না, সোনা দি।(পিতলা খাতির না, খাঁটি সোনার মত সম্পর্ক)
সবাই যে ভাবে বুকার হচ্ছে তাদের সাথে থেকে থেকে ইট্টু ফাল দিচ্ছি। ভাগ্যিস মুরাদ টাকলা বলেন নি।আমি নিজেই প্রশ্নখোর,তাই প্রশ্ন করতে উত্তর দিতেই আমার আনন্দ।
অবশ্যই ছবি দিব, লেখালেখি শেষ করি। ছবি না দেখিয়ে আমি নিজেই স্বস্তি পাচ্ছি না।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
আমার তো দোকানে গিয়ে চা পান করা হয়না, আপনাদের সাথে সাথে আমারও সৌভাগ্য হয়েছিল সেই বিশেষ যন্ত্র দ্বারা ঘুটা চায়ের অমৃত স্বাদ নেয়া। ধন্যবাদ আমার শহরকে এভাবে উপস্থাপন করবার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
পথিক পথ বেয়ে চলে ,খুঁজে পায় ঐশর্য্য । এ এক পরম পাওয়া ।
কৃতজ্ঞতা আপনাকে।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
আমার মনে হয় লজ্জা পাওয়া উচিৎ এখন :p
ছাইরাছ হেলাল
ধূরো কী না কী কন ! আমরা তো আমরাই।
সায়ন্তনু
একটু চা খাওয়া নিয়ে এত কথা!
ছাইরাছ হেলাল
একদম ঠিক ধরেছেন। তবে বুড়া হলে সাবাই একটু বেশি বকে!
নুসরাত মৌরিন
বাহ্!এমন ডিজিটাল চা তো কখনো খাই নাই।
পড়তে পড়তেই যেন ধোঁয়া ওঠা চায়ের উত্তাপ পেয়ে গেলাম।
এখন উঠে গিয়ে নিজে বানিয়ে এক কাপ চা খেতে হবে,কি আর করা!!
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি সত্যি ডিজিটাল চা। একবার খেলে বারবার খাবেন।
নিজের বানাতে হবে না।
লীলাবতী
এমন চা :T নিজেরা খেয়ে এসে কোন ফটো না দিয়েই পোষ্ট ? নজর দিলাম চায়ে। প্রপেলার দিয়ে চা নাড়ানো আমি এই প্রথম শুনলাম।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন ছবি ইচ্ছে করেই দেইনি যদি ভত্তাবতী থেকে চাবতী হয়ে যান।
আপনি যে কই কই থাকেন! ফেসবুকার হয়ে গেলেন কিনা কে জানে।
তাই তয় বলি চা বানানো দেখে চক্ষু চড়কে।
লীলাবতী
আমি ফেইসবুকার নাকি ? পেশায় ব্যস্ত। কখনো কুষ্টিয়া গেলে চা খেয়ে আসবো ঐ দোকানে। আচ্ছা ইহা ঐ চায়ের দোকানের একটি বিজ্ঞাপন নয়তো ? ^:^
ছাইরাছ হেলাল
ভালকে ভাল বললে যদি বিজ্ঞাপন হয় হোক না, মন্দ কী?
ভাবলাম এদিকে দেখি না। ওদিকে বাক্স ভর্তি করছেন কিনা । নিজেদের একজনের
অনুপস্থিতি সহজেই চোখ কাঁড়ে।
কাজের ব্যস্ততার ফাঁক গলিয়ে এদিকেও ঢু দিতে হবে।
লীলাবতী
সময় পেলেই চলে আসি আমার প্রিয় সোনেলায়। এটি তো আমারো ব্লগ 🙂
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই সোনেলা আমাদের।ধন্যবাদ।
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
আমাদের সিলেটে আসুন। রেশট্রুরেন্টেই চা খাওয়াবো। তবে চা প্রস্তুত প্রনালী এমন, প্রথম শুনলাম।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা ,সিলেটে আসব।লালাখাল দেখতে। তখন না হয় চা ও খাওয়া হয়ে যাবে।
রিমি রুম্মান
এমন চা এর লোভে পড়ে গেলাম যে !
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সময় শেষ।
ছাইরাছ হেলাল
না,দোকান খোলা আছে।
ছাইরাছ হেলাল
লোভে পড়ার মতই চা।
মোঃ মজিবর রহমান
দুধের চা
দারুন অনুভুতি
একাই ভোগ করলেন
আমরা কি?
ছাইরাছ হেলাল
একা হবে কেন? আরও মানুষ ছিল সাথে। গেলে আপনিও খেতে পারবেন।যেতে হবে শুধু।
শিশির কনা
চা নাড়তে প্রপেলার? জীবনে এই প্রথম শুনলাম 🙂
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা,প্রপেলার! আমরাও জীবনে প্রথম দেখলাম ও তা দিয়ে বানানো চা ও খেলাম।
সোনিয়া হক
আপনারা শিওর চা খোর, নইলে সামান্য চা নিয়ে এত গবেষণা মুলক লেখা লিখতেন না 🙂 এমন অদ্ভুত চা বানানোর প্রক্রিয়ার কথা প্রথম জানলাম।
ছাইরাছ হেলাল
এই চা খেলে যে জীবনে চা খায়নি ও চা খোর হয়ে যেতে বাধ্য। আপনি ওদিকে গেলে
চেখে আসতে ভুল করবেন না।
নওশিন মিশু
আমাকে প্রথম শ্রেণীর চা-খোর বলা হয়। So, ঐ চা আমার খেতেই হবে কিন্তু ক্যামনে ….. ;?
ছাইরাছ হেলাল
সামান্য কষ্ট করে কুষ্টিয়ার রেল গেটে গেলেই ইচ্ছে পূরণের শত ভাগ নিশ্চয়তা।
অতএব দেরি নয় আর, কাজে নেমে পড়ুন।
পুরোন লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।