কর্মব্যস্ত মানুষ দিনশেষে বাড়ি ফিরতো কোন রেস্টুরেন্ট এর খাবার হাতে। যেনো বাড়ি ফিরে আর ঝামেলা পোহাতে না হয়। কিন্তু লকডাউন শিখালো স্বল্প খরচে কেমনে খাবার বানিয়ে বাড়ির মানুষকে চমকে দেয়া যায়। থাকলো দুটো রেসিপি আর সেই সাথে অগ্রিম ঈদ মোবারক।
১) মিনি মোগলাই পরোটা :
এককাপ তীর ময়দা, চার চামচ সয়াবিন তেল, স্বাদ মতো লবণ দিয়ে ময়ান দিতে হবে। এরপর ১০ মিনিট পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। এরপর একটা ছোট পিঁয়াজ, একটা কাঁচা মরিচ কুচি করে লবণ, একটু জিরা গুড়া, একটু হলুদ দিয়ে মেখে নিয়ে একটা ডিম ভেঙ্গে আলতো নাড়ুন। মাখানো ময়দা সাত পিচ করে কেটে নেন। পাতলা করে বেলে দুইচামচ ফেটানো ডিম দেন। মোগলাই এর মতো ভাঁজ দিয়ে ডুবো তেলে ভাজুন। হয়ে গেলো তৈরি মিনি মোগলাই।
২) চা : দিনে একটু অবসর পেলেই আমি চা খেতে চলে যাই। চট্টগ্রামে যেখানে থাকি, তার আশেপাশের চা যেখানে ভালো; তা খেয়েছি। আজ দিবো পাঞ্জেরি কফি হাউসের চা এর রেসিপি। এটা শিখতে অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছে।
চা এককাপ করলে আড়াইকাপ পানি সিদ্ধ দিতে হবে। অবশ্যই পাতিল ঢেকে দিবেন। আর একটা পাতিলে আধা কাপ দুধ সাথে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে ঘন করে নেন। ঐদিকে পানি দেড়কাপ হলে দুই চামচ মির্জাপুর চা পাতা দিন। জ্বাল কমিয়ে দিন। পাতিটা নিচে নামলেই চিনি মেশানো দুধ দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রেখে কাপে ছাকনি দিয়ে ঢালুন। আর খেয়ে চনমনে হন।
১৮টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
বাহ, আমি ফার্স্ট!
মোগলাই পরোটা আমার বাসার সবাই বেশ পছন্দ করে, তাই অন্যান্য খাবার তৈরী করা শেখার আগে এটা বানাতে শিখেছিলাম।
ভালো থাকুন চনমনে মন নিয়ে,
শুভ কামনা 🌹🌹
আরজু মুক্তা
এখন কেমনে মোগলাই চা পাঠাই?
অভিনন্দন।
আমি অনেক আগে যখন এমএ পড়ি। তখন বাসার পাশের এক ভাই এনজিওতে কাজ করে। ওনার ওখানে একজন শেফ এসেছিলো। তার কাছ থেকে ২৭ টি আইটেম শিখেছিলাম।
ঈদ মোবারক
নিতাই বাবু
দারুণ টিপস। এমনিতে আমি চা’র গাঘু বলতে পারেন। দিনে অন্তত ৫০ কাপ এখনো চলে। তবে হ্যাঁ, খারাপ কোনও লক্ষ্মণ দেখা দেয়নি কিন্তু। সুস্থ আছি।
শুভকামনা থাকলো।
আরজু মুক্তা
তাহলে তো ভালোই হলো। রেসিপি কাজে লাগবে।
শুভ কামনা দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
যাক, চা- রাঁধুনি আছে আমাদের সাথে এও কম কিসে!!
কে কাকে খাওয়াবে তা কিন্তু পাকা হয়-নি।
আরজু মুক্তা
সিরিয়াল জমা হলে বোঝা যাবে।
আসলে চা ছাড়া একদিনও চলে না। আজকাল দেশি রান্না মর্যাদা বাড়ছে। ফেলনা নয় কোনকিছু।
মনির হোসেন মমি
রেসিপি পোস্ট মানে কিছু শেখা। তবে চা এর রেসিপি আরো বাড়ালেও মন্দ হতোনা।ইদ মোবারক।
আরজু মুক্তা
চা নিয়ে ছবি ব্লগ দেয়ার ইচ্ছা আছে।
ভাই আসলেই রেসিপি মনে নতুন কিছু শেখা।
শুভ কামনা আপনার জন্য
হালিমা আক্তার
চায়ের রেসিপি তে নতুনত্ব আছে। ট্রাই করে দেখতে হবে। শুভ কামনা অবিরাম। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আরজু মুক্তা
জি আপা, নতুনত্ব আছে। খেয়ে কেমন লাগলো, বলিয়েন।
সুরাইয়া পারভীন
আলহামদুলিল্লাহ। দারুণ সুস্বাদু হয়েছে নিশ্চয়
পরোটা মোগলাই, চপ, রোল এগুলো সবই বানাতে পারি তবে একটু স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য এই খাবার গুলো এভয়েট করি। সুন্দর দুটো রেসিপির জন্য ধন্যবাদ আপু
আরজু মুক্তা
পনেরোদিনে একবার খাওয়া। চালিয়ে গেলে ৃনন্দ কি?
নিরাপদে থাকুন
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মোগলাই আমার ও ভালোই লাগে। রেসিপিটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। চায়ের রেসিপি টা দারুন লাগলো। এভাবে মাঝে মাঝে দু-একটি রেসিপি দিলে উপকৃত হব। অফুরন্ত শুভকামনা রইলো
আরজু মুক্তা
কি আর করা? দিবো।
চা খেয়ে কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমি তো কিছুই বানাতে পারি না। তাই ঘুরে ফিরে খালি ওডস খাই। কতো যে মুন চায় এসব খাতি,,, কেউ যদি দাওয়াত দিতো!!এট্টু চেখে দেখতাম আর কি???
আরজু মুক্তা
এবার বিরিয়ানি আর চা। চলবেই চলবে।
ঈদ মোবারক
জিসান শা ইকরাম
মোগলাই বানানো এতো সহজ! বাসায় বানাবো নিজেই।
চা বানাতে দুই পাতিল লাগবে!
পাঞ্জেরি কফি হাউসের চা এর বৈশিষ্ট কি? এত কষ্ট করে কেন খেতে হবে?
দেখা যাক বানিয়ে খেতে কেমন লাগে।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
চা বানিয়ে খান এই নিয়মে। পার্থক্য চোখে পরবেই।
মোগলাই এখন ভাবী ছাড়া বানাতে পারবেন। আর মজা লাগলে আমার জন্য একটু দোয়া দিয়েন।
শুভ কামনা