আমি যে কত গুণী তা এই জাতি বুঝলো না । বাঙ্গালী জাতি গুণীর কদর কখনোই দেয়নি। কিন্তু আমি দিতে জানি। তাই আমার গুনে আমি নিজেই বাহবা দেই , নিজেই নিজের পিঠে থাপ্পর দেই । বিশ্ব কবি বলেছেন ‘ যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলোরে ………… ‘ এটি শুধু আমার জন্য লিখেছেন , এমন মনে হয় মাঝে মাঝে । তাই আমার গুনের কথা অন্য কেউ না বললেও আমি একা বলি । এই বিশ্বে এসেছি একা , যাবো একা , তাই সব কিছুই একা একা করতে হবে ( এখানে বিশাল উদাস হবার ইমো হপে ) ।
আর এক কবি বলেছেন ‘ আমাদের দেশে সেই ছেলে হবে কবে , কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ? ‘ যিনি এই কবিতা লিখেছেন , তখন আমার জন্ম হলে তিনি এই কবিতা লিখতেন না । কারন আমিই তো সে লোক যে কথায় বড় না কাজেও বড় :p
আমার বীরত্বের পরিচয়ঃ
খুব ছোট বেলায়ই আমি বীর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছি । আমাদের বাসায় রোজ একটি বাঘ আসতো । চোখ দুটো বড় বড় । ডোরা কাটা লোম । দেখলেই ভয় এ কলিজা শুকিয়ে যেতো । রোজ এসে সবাইকে ভয় দেখাতো , আর মাছের কাটা খেতো। একদিন মাছের কাটা না পেয়ে সে রাগে পাত্র ফেলে দিল । আর হুম হুম শব্দ করে হুংকার দিচ্ছিল । আমি ভয় পেয়ে এত জোরে কান্না করেছিলাম যে বাঘটা ভয় পেয়ে জানালার গ্রীলের ফাঁক গলে পালিয়ে গেলো। আম্মু আব্বু আমাকে অনেক বাহবা দিল। আমার চিৎকারে ভয় পেয়ে ওটা পালিয়েছে । এরপর ওই বাঘটাকে আমি আর ভয় পেতাম না , ওটা আসলেই আমি ইচ্ছে করে জোড়ে চিৎকার দিতাম আর সে ভয় পেয়ে পালিয়ে যেতো। তিন বছর বয়সেই আমি এমন বীর ছিলাম 🙂
আমার মহা বিদ্যাঃ
‘ চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা যদি না পরে ধরা ‘ , এই কথাটি আসলে আমাকে নিয়েই রচিত , যা আজ পর্যন্ত কেউ জানে না । আমার বড় আপুর একটি ছোট পড়ার টেবিল ছিল । একটি ড্রয়ারে যে তালা দিয়ে রাখতো । কত কি যে রাখতো সে ঐ ড্রয়ারে , সব আমার পছন্দের । আমিও বড় হয়ে আপুর মত আমার একটি ড্রয়ারে তালা দিয়ে রাখবো। তো তালা দেয়া থাকায় আমি কিছুই নিতে পারতাম না । এরপর বুদ্ধি করে আপুর পড়ার সময়ে ড্রয়ারের একদম কাছে গিয়ে দাড়াতাম । রঙ্গিন পেন্সিল , পেন্সিল কাটার নিয়ে যেতাম। আপুটা বুঝতে পারত না । একদিন দেখি কি ড্রায়ারের মাঝ চকলেট । ৩ টি চকলেটের দুটোই নিয়ে নিলাম , খোসা সহ সাথে সাথে আমার মুখে। আপু বলে ‘ আমার চকলেট নিল কে ? ‘ আমি তো কথা বলতে পারিনা , মুখে চকলেট । হাত দিয়ে ইশারা করি , আমার পকেট সার্চ করো । আপু পকেট সার্চ করে পায়না । কি বোকা আপুটা , আমার মুখ দেখতে চায়নি। এরপর আপু রোজ ৪ টি চকলেট এনে রাখতো , আর আমি ২ টা মুখে নিতাম । আর রোজ আমার পকেট সার্চ করতো , আপু বলতো , আমার ড্রয়ারে একটা ভুত আসে , ২ টা চকলেট নিয়ে যায়। ৪ টা নেয় না কেন ? ‘ আমি শুধু মাথা নেড়ে আপুকে বুঝাতাম হুম সত্যি । আচ্ছা আপুটা এত বোকা ছিল কেনো ? 🙂 সবার আপুগুলো কি এত বোকা থাকে ?
আপু , মিস করি তোকে খুব । তোর জন্য অনেক ভালোবাসা ।
অসমাপ্ত
২২টি মন্তব্য
মিথুন
হা হা হা..না ভাইয়া আমরাও গুনীর কদর করতে জানি.
আপনি সত্যিই অনেক গুনী.
তা ভাইয়া আপনার পোস্ট গুলো যেনো কি ছিলো? :p
ব্লগার সজীব
আপনি গুণীর কদর দিতে জানেন ? বাহ ! বাঙালী তাহলে অনেক এগিয়েছে বুঝা যায় 🙂 আমার ব্লগে গেলেই বুঝবেন , এই সোনেলার সেরা ব্লগার , সেরা পোস্ট কার । এটি সবাই জানে । আমার সেই অতিহাসিক পোস্ট পড়ার জন্য অনুরোধ করছি ।
শুন্য শুন্যালয়
আপনার গুনের কদর ঝাতি বুঝে গেছে…প্লিজ চিল্লায় চিল্লায় এদেশের কুত্তা বিলাই গুলারে বিদায় করেন…
আপনার চুরি বিদ্যায় মুগ্ধ হলাম ভাইয়া..আমার ড্রয়ারে তালা লাগানোর ব্যবস্থা করতেছি..আপু টা কি আর জানতো অই বয়সেই আপনি এতো গুনী… 🙂
ব্লগার সজীব
লজ্জা পেলাম প্রশংসায় :p , বড় হয়ে বুঝেছি , আপুটা ইচ্ছে করে এমন করতো , আমাকে ডেকে নিয়ে যেতো যেদিন আমি অনুপস্থিত থাকতাম , চকলেট গুলো একদম উপরে রেখে দিত যাতে আমার কষ্ট না হয় 🙂
শুন্য শুন্যালয়
কি লক্ষি একটা আপু আপনার … (3
ব্লগার সজীব
খুব লক্ষ্মী আমার আপুটা 🙂
বৈশাখী ঝড়
বাঙ্গালী গুনীর কদর কোন দিনই বোঝে নাই
ব্লগার সজীব
একমত ঝড় ভাই ।
তন্দ্রা
মজাদার গল্প পরে ভালই লাগল, আপনার গুনের কদর দিতে আপনিই ভুলে গেছেন, কারন আপনার গুন আছে আপুকে বলেন নাই, তবে কি করে কদর করবে আপনার আপু আপনার গুনের।
ব্লগার সজীব
:p :p
নীলকন্ঠ জয়
:D) গুনীর কদর কে বুঝবে বলুন আপনি ছাড়া। তবে আপনিও যে গুনী তা কিন্তু জাতি বুঝে গেছে।
ব্লগার সজীব
এজন্যই তো ঝাতিকে জানাচ্ছি 🙂
জিসান শা ইকরাম
ঝাতি না বুঝুক , আমরা সোনেলার ব্লগারগন ঠিকই বুঝছি আপনাকে :p
ব্লগার সজীব
সোনেলার ব্লগারদের আগে জানাই , এরপর ঝাতি এমনিতেই জেনে যাবে :p
খসড়া
ঝাতির কাছে বড় কঠিন প্রশ্ন। ঝাতি বড় বেয়াদপ, গুনির কদর দিতে জানে না।:(
ব্লগার সজীব
আপনি ঠিক বলেছেন খসড়া ভাই , ঝাতি বড়ই বেয়াদপ ( আস্তে বলুন , নইলে মার একটাও মাটিতে পরবে না ) , গুনীর কদর দিতে জানে না 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আপনি অবশ্যই গুণী , এ আমরা বিলক্ষণ বুঝতে পারছি ।
ব্লগার সজীব
বুঝার জন্য ধন্যবাদ 🙂
হতভাগ্য কবি
গুনীকে জানাই হাসি মাখা তীব্র সালাম
ব্লগার সজীব
আপনাকেও জানাই ছালাম 🙂
অপরাজিতা সারাহ
আরে বাহ,এমন গুনীর খবর কেন এত দেরীতে পেলাম?এ তো দেখি পড়ার পাশাপাশি খুব ভালো লিখতেও জানে! অথচ বিনয়ের অবতার! 😛 আমার তো চকলেটের কথা পড়ে হা হা প গে অবস্থা।মোড়ক উন্মোচন না করেই ডাইরেক্ট মুখ গহ্বরে !!আবার কত লক্ষী চোর,আপুর জন্যে মায়া করে ২ টা রেখে যাওয়া!!নাকি মুখে আঁটেনি?? :p :D)
ব্লগার সজীব
মায়া আপু মায়া , কত লক্ষ্মী আপু ছিল , এখনো আছে তেমনি ।