মক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতম সহযোগী ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের বিপক্ষে যুদ্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে প্রচুর অস্ত্রের জোগান দিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার ঢাকাস্থ কনসাল জেনারেল আর্চার ঢাকা থেকে পাকিস্তানি সৈন্যদের ভয়াবহ গণহত্যার বিবরণ দিয়ে টেলিগ্রাম পাঠায় ওয়াশিংটনের মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে। সেখানকার একটি টেলিগ্রামের শিরোনাম ছিল “Selective Genocide” অর্থাৎ “বেছে বেছে গণহত্যা” । সেই টেলিগ্রামের কিছু লাইনের বঙ্গানুবাদ ছিল এরকম-
০১.“ঢাকায় পাক সেনারা যে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে আমরা তার নীরব ও আতংকগ্রস্ত সাক্ষী। এ বিষয়ে তথ্য প্রমান ক্রমেই বাড়ছে যে, মার্শাল ল’ কর্তৃপক্ষের কাছে আওয়ামীলীগের সমর্থকদের একটি তালিকা আছে আর সেই তালিকা ধরে ধরে তাঁদের বাড়ি থেকে ডেকে এনে গুলি করে সুচারুভাবে হত্যা করা হয়েছে”।
০২.“খতমের জন্য যাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি ছাড়া আছেন ছাত্রনেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা”।
০৩.“এছাড়া পাক সেনাদের মদদে অবাঙালি মুসলিমরা নিয়ম করে দরিদ্র লোকজনের বাড়িঘর আক্রমণ করেছে এবং খুন করেছে বাঙালি ও হিন্দুদের”।
আরেকটি মার্কিন গোপন টেলিগ্রামে দেখা যায় যে একাত্তরের ২৯ শে মার্চ ঢাকা থেকে মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাড ওয়াশিংটন পররাষ্ট্র দপ্তরে যে টেলিগ্রাম বার্তা পাঠিয়েছিলো তাতে উল্লেখ আছে-
“মনেহচ্ছে হিন্দুরাই সামরিক অভিযানের বিশেষ লক্ষ্য, যদিও হিন্দু অধ্যুষিত নয় এমন এলাকাও ছারখার করে দিচ্ছে”।
এখানে একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় যে একাত্তরে পাকিস্তানিরা কিন্তু গোটা বাঙালিদেরকেই হিন্দু হিসেবেই গণ্য করেছিলো। আর মুক্তিযোদ্ধাদের ওরা বলে থাকতো ‘ভারতীয় চর’।
আমরা আবারো মার্কিন গোপন টেলিগ্রাম বার্তায় চলে যাই- আমারিকান যাজকদের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্লাডের ঐ টেলিগ্রামে বলা হয়-
“পুরান ঢাকায় কিছু ব্যারিকেড ছাড়া, বাঙালিদের দিক থেকে কোন উস্কানি না থাকা সত্ত্বেও অগ্নিসংযোগ ও গুলি বর্ষণ করে মানুষ হত্যা করছে সৈন্যরা। ওদের কৌশলটা ছিল এরকম- প্রথমে বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়া। প্রাণ বাঁচাতে বাড়ির বাসিন্দারা বাইরে এলে তাঁদের গুলি করে মারা”।
২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় ১১ সদস্যের একটি পরিবারের সকলকে গুলি করে মারাও তথ্য রয়েছে নিচের টেলিগ্রামটিতে।
বাঙালি বুদ্ধিজীবী ও হিন্দু সম্প্রদায় যে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নির্মূল অভিযানের বিশেষ লক্ষ্য ছিল তার প্রমান পাওয়া যায় ঐ সময়ের আরেকটি গোপন মার্কিন বার্তায়।২৬ শে মার্চ সম্পর্কে ঢাকা থেকে মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার ব্লাডের ওয়াশিংটনে পাঠানো একটি টেলিগ্রাম বার্তার শিরোনামই ছিল- “বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্তাকান্ড”। ৭১ এর ৩০ মার্চ পাঠানো ঐ বার্তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল গুঁড়িয়ে দেয়া ও ছাত্রদের গুলি করে মারার বিবরণের পাশাপাশিও শিক্ষকদের হত্যার তথ্যও রয়েছে। ঐ টেলিগ্রামে বলা হয়-
“ফ্যাকাল্টি মেম্বারসহ হাজারের মতো লোককে হত্যা করা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত খবর পেয়েছি একজন ফ্যাকাল্টি মেম্বারকে হত্যা করা হয়েছে তাঁর নিজ বাসায়”।
এর আগের দিন অর্থাৎ ২৯ মার্চ পাঠানো টেলিগ্রাম বার্তায় আর্চার ব্লাড সামরিক অভিযানে ঢাবির দুজন ডীনসহ ছয়জন শিক্ষককে হত্যার কথা প্রকাশ করে।উক্ত বার্তায় নিহতদের মধ্যে ড. জি সি দেবের নাম উল্লেখ করা হয়।
বুদ্ধিজীবিদের উপর নির্যাতন এবং আক্রমণের বেশকিছু তথ্য পাওয়া যায় আরেকটি মার্কিন গোপন দলিলে।১৭ই সেপ্টেম্বর ১৯৭১ এ ‘পূর্ব পাকিস্তানি বুদ্ধিজীবিদের ধরপাকড়’ শিরোনামে ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্র দপ্তরে একটি গোপন টেলিগ্রাম বার্তা পাঠায় ইসলামাবাদে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ফারল্যান্ড। বাঙালি বুদ্ধিজীবিদের উপর দমন পীড়নের কয়েকটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয় সেই টেলিগ্রামে।বছরখানেক আগে সেই দলিলের উপর থেকে গোপনীয়তা তুলে নেয়া হয়েছে।দলিলটি সংরক্ষিত আছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যশনাল সিকিউরিটি আর্কাইভে। সেই টেলিগ্রামের কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরছি-
“ আগের চেয়ে কিছুটা কম হলেও বাঙালি বুদ্ধিজীবিদের উপর দমন নিপীড়ন চলছেই;যা শুরু হয়েছিলো মার্চ মাসে। তবে এখন দমন নিপীড়ন অনেকটা বেছে বেছে”।
ফারল্যান্ডের ঐ টেলিগ্রাম বার্তায় বলা হয়, নামকরা পূর্ব পাকিস্তানি আইনজীবী ও লেখক কামরুদ্দীন আহমেদকে ৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আরও অনেক শিক্ষক ও ছাত্রনেতাকেও গ্রেপ্তার করার তথ্য পাওয়া যায় সেখানে, যেখানে তাঁদের কারো পরিচয় প্রকাশ করা হয় নি।
গণহত্যা সম্পর্কে মার্কিন সাংবাদিক সিডনি শ্যনবার্গের ভাষ্যঃ
মার্কিন সাংবাদিক সিডনি শ্যানবার্গের জবানিতেও একাত্তরে বাংলাদেশের গণহত্যার বিবরণ পাওয়া যায়। তখন তিনি ছিলেন ‘নিউইয়র্ক টাইম্স’ এর দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধি।তাঁর “ডেটলাইন বাংলাদেশঃ১৯৭১” থেকে আমরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আটক সংবাদিকদের অবস্থা এবং ২৫ মার্চ রাত্রের অবস্থা সম্পর্কিত কিছু তথ্য জানতে পাই। “ডেটলাইন বাংলাদেশঃ১৯৭১” কিছু অংশ এখানে সন্নিবেশিত করলাম-
উল্লেখিত বইটির ২০ পৃষ্ঠায় তিনি ২৬ মার্চ দিনের পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। সেটিও এখানে সংযুক্ত করা হল-
মুক্তিযুদ্ধের উপরে নানান সংবাদ প্রকাশের কারণে ঐ সময়ে সিডনি শ্যানবার্গকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে একটি প্রামাণ্যচিত্রে তিনি বলেছিলেন-
“আমি যা দেখেছিলাম সেটা ছিল স্পষ্টতই গণহত্যা। হত্যার লক্ষ্য ছিল বাঙালিরা,বিশেষভাবে হিন্দুরা। যেসব শহরে আমি গিয়েছিলাম সেখানে অনেক বাড়িঘরে চিহ্ন দেয়া ছিল যাতে সৈন্যরা সেসব বাড়িতে হামলা চালিয়ে লোকজনকে হত্যা করতে পারে। এসব বাড়ি ছিল মুক্তিযুদ্ধের সমর্থকদের অথবা হিন্দুদের।আমার দেখা প্রতিটি শহরের প্রতিটি গ্রাম ছিল বধ্যভূমি। এসব স্থানে কিছু মানুষকে জড়ো করে গুলি করা হতো অথবা সবাইকে এক আঘাতে হত্যা করা হতো। একটা কায়দা ছিল লোকজনকে দাঁড় করিয়ে মাথায় গুলি করা হতো, যাতে এক বুলেটে পাঁচ-ছয় জনকে হত্যা করা যায়। ব্যাপারটা ছিল এক রকমভাবে সংগঠিত”।
১৯৭১ সালের ১৪ই জুলাই নিউইয়র্ক টাইমসে ‘পশ্চিম পাকিস্তানিরা এখনো বাঙালিদের পদাবনত রাখতে চায়’ শিরোনামে সিডনি শ্যানবার্গ লিখেন-
“গণহত্যার সঙ্গে সঙ্গে বিষয় সম্পত্তির ব্যাপক ধ্বংসসাধনও করেছে সেনাবাহিনী”।
আজ এখানেই ইতি টানছি।পরবর্তী পর্বে হয়তো অন্য কোন দলিল কিংবা বধ্যভূমির কথা জানাবো।
[চলবে…]
তথ্যসূত্রঃ
০১. ১৯৭১: ভয়াভয় অভিজ্ঞতা- রশীদ হায়দার।
০২.যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা- আজাদুর রহমান চন্দন।
০৩.দ্য রেইপ অফ বাংলাদেশ-অ্যান্থনি মাসকারেনহাস
গণহত্যা’৭১:কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া কিছু ইতিহাস(পর্ব-০১)
গণহত্যা’৭১:কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া কিছু ইতিহাস(পর্ব-০২)
গণহত্যা’৭১:কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া কিছু ইতিহাস(পর্ব-০৩)
গণহত্যা’৭১:কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া কিছু ইতিহাস(পর্ব-০৪)
৪২টি মন্তব্য
স্বপ্ন
এমন গণহত্যার নজির পৃথিবীর ইতিহাসে আর নেই,আর আমরা অদ্ভুত এক জাতি,এ ধরনের গণহত্যাকারীদের সমর্থকদের পরিমান আমাদের দেশে প্রচুর।্নতুন কিছু তথ্য জানলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
ফাতেমা জোহরা
আসলেই নেই!! হিটলারের নাৎসি বাহিনীকেও হার মানিয়েছিলো ইয়াহিয়া বাহিনী !! :@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সুন্দর গুরুত্ত্বপূর্ণ পোষ্ট প্রিয়তে রাখার অপসনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।ধন্যবাদ আপনাকে যুদ্ধে যে আমেরিকাও আমাদের শত্রু ছিল তা বিসদ ভাবে আমরা অনেকেই জানিনা। -{@
ফাতেমা জোহরা
কৃতজ্ঞতা রইলো ভাইয়া।আমি পুরোপুরি সহমত আপনার সাথে।কিন্তু “জানিনা কিংবা জানেনা” বলে বসে থাকলে চলবে না ভাইয়া! আমাদের জানতে হবে, জানাতে হবে সব্বাইকে বিশ্ব মোড়লের আসনে থাকা ঐ দেশটির মুখোশের আড়ালে রয়েছে নিকৃষ্ট এক চেহারা !!
খসড়া
মূল্যবান দলিল। আসাধারন।
ফাতেমা জোহরা
ধন্যবাদ -{@
জিসান শা ইকরাম
দুর্লভ তথ্য দিয়ে লেখা।
শত্রুর বন্ধুর এসব মেইল পাকিদের নির্মমতা ও হত্যাকান্ডের সমর্থনে মূল্যবান দলিল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
সোনেলার যে কজন ব্লগার আসলেই ব্লগ লেখেন,আপনি তাদের মাঝে অন্যতম।
লিখুন আরো।
শুভ কামনা।
ফাতেমা জোহরা
এতো বড় কমপ্লিমেন্টের যোগ্য আমি নই 🙂 জন্মের ইতিহাস জানার লক্ষ্যে সামান্য লেখালেখি করি।অসংখ্যা ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা রইলো। ভালো থাকুন -{@
শুন্য শুন্যালয়
অসামান্য পোস্ট আপু। এগুলোর সংগ্রহ এবং প্রচারের মাধ্যমেই আমাদের পরবর্তী প্রজন্মরা জানতে পারবে আমাদের দেশের সঠিক ইতিহাস। মার্কিনরা আজীবন সেদেশ প্রীতি বজায় রাখবে, নিজেদের স্বার্থেই। তবু সত্যি তো সত্যিই, এই দলিল গুলোই তার প্রমাণ। চমৎকার উপস্থাপনা বরাবরের মতোই।
ফাতেমা জোহরা
অশেষ ধন্যবাদ আপু 🙂 ভালো থাকুন… -{@
প্রহেলিকা
এ জাতির জন্য এক অমূল্য দলিল। এই দলিলেই রয়েছে ইতিহাস সত্যতা। গণহত্যার এমন নজির পৃথিবীর আর কোনো দেশে আছে কি না জানা নেই।
বেশ পরিশ্রমলব্ধ পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ নয় কৃতজ্ঞতা জানুন।
ব্লগ সঞ্চালককেও অনেক ধন্যবাদ পোষ্টটি অবিলম্বে স্টিকি করার জন্য।
ফাতেমা জোহরা
নেই আসলেই নেই এমন নজির !! মাত্র ২৬৫ থেকে ২৭০ দিনে ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা সাথে ৬ লাখ নারী ধর্ষনের নজির পৃথিবীর কোন ইতিহাসে নেই…
পরবর্তী কোন এক পর্বে পৃথিবীর অন্যান্য গণহত্যার সাথে ইয়াহিয়া আর রাও ফরমান বাহিনীর গণহত্যার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করবো।
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা রইলো 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মার্কিন আমাদের মুক্তিজুদ্বের শত্রু অজানা নয়।
৭১ ে তাঁরা পাকিদের অস্ত্র, বৈদেশিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে এবং কোন দেশ যাতে আমাদের সাহায্য করতে না পারে সেব্যাপারে তাঁরা কাজ করেছে।
তাঁরা বঙ্গবন্ধু সরকারকে নাজে হালকরতে মিথ্যা
অপবাদ দিয়েছে।
১. অজ্ঞাত বাসন্তির শরীরে বস্ত্রহীন করে জাল দিয়ে অভাব বা দারীত্ব প্রমান করা।
২. তলাবিহীন ঝুড়ি নীলনকশা তারাই করেছিল।
সুন্দর আপনার দালিলিক প্রমান সহ লেখার জন্য।
ফাতেমা জোহরা
সম্পূর্ণ সহমত আপনার সাথে। ধন্যবাদ… – 🙂
মারজানা ফেরদৌস রুবা
এখনো এই দেশকে অকার্যকর প্রমান করতে আড়াল থেকে মুলতঃ মার্কিনীরাই কলকাঠি নেড়ে যাচ্ছে।
ফাতেমা জোহরা
ঠিক বলেছেন (y)
আদিব আদ্নান
আপনার লেখা পড়ে অনেক জানলাম
ফাতেমা জোহরা
আমার লেখার উদ্দেশ্যই নিজে জেনে সবাইকে জানানো। ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য 🙂
লীলাবতী
আপু পোষ্ট পরে পড়বো।আপাতত সোনেলাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি,এমন পোষ্ট ষ্টিকি করার জন্য।
ফাতেমা জোহরা
আমিও কৃতজ্ঞ সোনেলার কাছে -{@ মনে করে পড়ে নিয়েন কিন্তু 🙂
লীলাবতী
এমন ঐতিহাসিক তথ্য সংযুক্ত করে পোষ্ট দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।আপনার ব্লগটিকে আমি বুকমার্কস করে রাখলাম।এই পোষ্ট সহ আপনার পূর্বের প্রতিটি পোষ্টই ই একেকটি দলিল।দিন দিন আপনার প্রতি শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পাচ্ছে আপু।
ফাতেমা জোহরা
এইভাবে পাশে থাকার জন্য,উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ আপু 🙂 আপনাদের উৎসাহেই তো লেখার সাহস পাই আপু। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন -{@
লীলাবতী
মনে করে পড়ে নিয়েছি কিন্তু :p
ফাতেমা জোহরা
সেইজন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ রইলো 😀
শিশির কনা
রেফারেন্স দেয়ার মত পোষ্ট।জানলাম নতুন কিছু।এমন পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপু।
ফাতেমা জোহরা
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ 🙂
স্বপ্ন নীলা
তথ্যবহুল পোস্টে প্রচন্ড ভাললাগা জানিয়ে গেলাম
ফাতেমা জোহরা
কৃতজ্ঞতা রইলো -{@
মেহেরী তাজ
নতুন কিছু জানলাম।পাকি এবং এদের দালালদের প্রতি প্রচন্ড ঘৃনা জানাই।
ফাতেমা জোহরা
পাকি এবং এদের দালালদের প্রতি প্রচন্ড ঘৃনা জানাই (y)
সহমত…
ছাইরাছ হেলাল
সোনেলা আবারও সমৃদ্ধ হলো আপনার শ্রমে।
ফাতেমা জোহরা
আমার পরিশ্রম সার্থক 🙂
ধন্যবাদ রইলো …
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আপনার লেখা থেকে যখন প্রথম আপনাকে জানি, লেখার গুরুগাম্ভির্যতা দেখে ধারনা করেছিলাম অনেক প্রাজ্ঞ একজন নারী, যে তাঁর বয়সের সাথেসাথে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। কিন্তু যখন জানলাম যে, বাচ্চা একটি মেয়ে কেবল দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা থেকেই এমন লেখা লিখতে পারে তখন প্রচন্ড ভালবাসা আর শ্রদ্ধায় মন ভরে উঠলো। এ প্রজন্মের মাঝেও যে পূর্বপুরুষের রক্তঋনের প্রতি এমন দায়বদ্ধতা আছে তা সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে।
দোয়া করি আপনার কলমের জয়যাত্রার।
কালেকালে, যুগেযুগে এভাবেই প্রজন্ম এগিয়ে আসুক আপনার মতো করে আমাদের অহংকারকে মহীয়ান করতে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যুদ্ধবাজ, সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাজ মানবতার মুখোসে ঢাকা এই মার্কিনীরাই সারা বিশ্বময় অশান্তির মুল হোতা, আগেও ছিলো আর এখনো আছে।
আর ওদের শক্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শুধুমাত্র দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়েই আমাদের পূর্বপুরুষরা অহংকার অর্জন করেছেন।
”তোমাদের এ ঋন কোনদিন শোধ হবে না।”
যেসব দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন, তা ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে, নতুন প্রজন্মকে জানতে সহায়তা করবে।
ধন্যবাদ অনেক অনেক।
ফাতেমা জোহরা
আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পরলাম আপনার মন্তব্য দেখে আপু !!
আমি নিজেও কখনো চিন্তা করিনি আমি এইভাবে ভাববো কোনোদিন।কিন্তু একটা সময়ে যখন জেনেছি কতো কষ্ট ত্যাগ আর তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা একটা মানচিত্র পেয়েছি,একটা পতাকা পেয়েছি,৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশটাকে পেয়েছি তখন প্রতিনিয়ত ভেতরে ভেতরে চেষ্টা করে গিয়েছি এবং করে যাচ্ছি আমার শেকড়ের প্রকৃত সন্ধান বের করতে। সেই থেকেই লেখালেখির সূচনা। আর এই সূচনার পথ দেখিয়েছে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির জাগরণ।সেই থেকে শেকড়ের অন্বেষণ শুরু,এখনো চলছে আর এইভাবে আপনাদের উৎসাহ-শুভকামনা পেলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি সেই অন্বেষণ চালিয়ে যেতে পারবো।
আবারো ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা রইলো আপু। ভালো থাকুন, শুভ কামনা রইলো -{@
শিশির কনা
পরবর্তি পর্ব দিন আপু।
ফাতেমা জোহরা
নিজেকে সামলে নিতে সময় লাগবে। লেখা আসছে না আর ।
প্রজন্ম ৭১
এসব তথ্য নতুন জানলাম আপু।আপনাকে এমন লেখার জন্য ধন্যবাদ।পরের পর্ব দিন আপু।
ফাতেমা জোহরা
দিবো। তবে … দেখা যাক।
রিমি রুম্মান
অনেক তথ্য সমৃদ্ধ লেখা। আমরা কত সহজেই জেনে নেই এমন সব তথ্য। এর পেছনে যিনি পরিশ্রম করলেন (ফাতেমা জোহরা ), তাকে অনেক ধন্যবাদ।
ফাতেমা জোহরা
এটা আমার কর্তব্য আপু 🙂 ধন্যবাদ… -{@
কৃন্তনিকা
মন থেকে আপনার জন্য প্রার্থনা করছি, আপনি দীর্ঘায়ু হন। আমাদের দেশের অস্তিত্বের জন্য আপনার মত মানুষ দরকার। আপনার কাজ ও মনের মহিমার প্রশংসা করার যোগ্যতা নেই আমার।
“দ্য রেইপ অফ বাংলাদেশ”-অ্যান্থনি মাসকারেনহাস বইটি কি নেটে পাওয়া যাবে?
ফাতেমা জোহরা
এভাবে বললে দায়িত্ব শতগুণ বেড়ে যায়। আমি চেষ্টা করবো আমার সাধ্যমতো শেকড়ের সন্ধান অনুসন্ধানে… 🙂
আর “দ্য রেইপ অফ বাংলাদেশ”-অ্যান্থনি মাসকারেনহাস বইটি ডাউনলোড লিঙ্ক- http://www.liberationwarbangladesh.org/2014/12/the-rape-of-bangla-desh-anthony.html