মায়াদের হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে দূরে বহুদূরে
একাকি পরিচিত সেই গাছের কোল ঘেঁষে বসে কথা বলা
এসেছো আজ আবার ? কেমন আছো ?
গাছের ঘ্রাণ, শীতল পরশ, দু একটি পাতা পরা গায়ের উপর
এভাবে শান্ত মন ।
সেই লিচু তলায় বড় নদীর কাছে কোন বিষণ্ন সময়ে
ছোট ছোট ইটের টুকরো পানিতে নিক্ষেপ
টুপ টুপ শব্দ যেন অভয় দেয়া
এভাবেও শান্ত মন।
এসবে তৃষ্ণা মেটেনা আর…………
নিকট অতীতে যতদুর যাই ধীরে ধীরে
পালক গুলো খসে পরেছে শরীর থেকে
মায়া,আচ্ছন্নতা,ভালোলাগা, ভালোবাসার বর্ণিল পালকগুলো
প্রতি বাকে একটি একটি করে
দশ থেকে নয় আট সাত ছয়……….তিন দুই এক শূন্য।
এখন আর শরীরই থাকেনা
উধাও হয়ে যাচ্ছে হাত পা চোখ মাথা হূদপিণ্ড
পিছনে পরে থাকে এসব অবিন্যস্ত অতিক্রান্ত পথে
সামনে সীমাহীন পথ
শেষ প্রান্তে আলো দেখা যায় কী যায় না ।
একাকী নিঃসঙ্গতা
অদেখা অজানা কিছুর তৃষ্ণা
সারা রাত্র নৌকা বাইয়া
রাত পোহাইলে দেখি চাইয়া গো
যেই খানের নাও …………সেইখানেতেই আছে।
পারের নাগাল পাইবার আসে
চাহিয়া দেখি দু’পাশে গো
বালু চড়ে নাওখানা ঠেইকাছে…
ও বন্ধুরে ……কই রৈলা রে …
তোমার আশায় চাইয়া আছি
কিনার পাইবার আশে
ও বন্ধুরে ……………
সোনা বন্ধুরে …………
আমি তোমার নাম লইয়া কান্দি …..
৩২টি মন্তব্য
হৃদয়ের স্পন্দন
Tobu ki mon shanto hoy? Udao hobar e kotha….. Nane loiya kandi ken…. Valo legeche vai, takla hoye gechi takla cmnt tai
জিসান শা ইকরাম
টাকলা কমেন্টে মজা পেলাম 🙂
শুন্য শুন্যালয়
মন শান্ত করার টনিক খুঁজে পেয়েছেন ভাইয়া, আপনি সৌভাগ্যবান। পালক খোসে পরে এভাবেই নতুন পালক গজায়, পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলে নতুনেরা অযত্ন অবহেলায় পরে থাকবে, তাই পেছন ফিরে না দেখাই ভালো। সামনের আলো দেখতে এগিয়ে যাওয়া চাই।
লেখাটি পরে আমার পানিতে ইটের টুকরা ছুড়তে ইচ্ছে করছে 🙂
বিষন্ন লেখাটি স্পর্শ করলো। আর গানটি দেখি আপনার কথাই বলছে!!!
জিসান শা ইকরাম
শান্ত আর হলো কই ?
তাহলে তো থেমে যেতাম।
পানিতে ঢিল মারায় আগে কাজ হতো।
গানটি শুনছি আর শুনছি।
মরুভূমির জলদস্যু
প্রথম টুকু মনে হয় অন্যকোন ভূবনের ছবি। -{@
জিসান শা ইকরাম
মনের মত কোন ভুবন পাইলাম না।
মামুন
গাছের ঘ্রাণ, শীতল পরশ, দু একটি পাতা পরা গায়ের উপর
এভাবে শান্ত মন ।- অসাধারণ অনুভূতি হচ্ছে!
ভালো লাগা রেখে সাথেই রইলাম।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ ভাই,
যদিও তাতে শান্ত এখন আর হয়না।
নওশিন মিশু
আপনি ভাগ্যবান কারন মন শান্ত করার সূত্র পেয়েছেন। এভাবেই নিজেকে শান্ত রেখে আমাদের সুন্দর সুন্দর লেখা উপহার দিবেন, এই প্রত্যাশা রইলো ….. -{@
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ আপনাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
এখনো ছুটে চলছো নানা? কবে যে পথের শেষ প্রান্তে পৌছাবে?
জিসান শা ইকরাম
হ
আলো লাগবে, আলো।
রিমি রুম্মান
গানটি গাইলাম মনে মনে পুঁথি স্টাইলে 😀 । কবিতাটিতে কোথায় যেন একটু বেদনাবিধুর পরিবেশের ছোঁয়া পেলাম। পিছনের কালের কথা মনে করিয়ে দেয় ।
জিসান শা ইকরাম
গান সোনার সময়ে গানের মধ্যে চলে যাচ্ছি বারবার।
ব্লগার সজীব
এত খুঁজে কি হবে, খুঁজে কে কি পেয়েছে কবে?
জিসান শা ইকরাম
ঠিক ঠিক
ছাইরাছ হেলাল
পথ ই পথের ঠিকানা। খোঁজ চলবে। পাওয়া না পাওয়ার ভাবনা ছাড়াই।
জিসান শা ইকরাম
পথই পথের ঠিকানা
ভাবনার খোরাক আছে।
খেয়ালী মেয়ে
পুরো লেখার মাঝেই একটা শান্ত মায়া বিরাজমান (y)
মায়া,আচ্ছন্নতা,ভালোলাগা, ভালোবাসার বর্ণিল সময়গুলো-এগুলো ছেড়ে আসলেই কি ভাল থাকা যায়?
জিসান শা ইকরাম
পথের একটি পর্যায় পর্যন্ত থাকে সব
এরপর আসলে কমে যেতে থাকে।
কৃন্তনিকা
“মায়া,আচ্ছন্নতা,ভালোলাগা, ভালোবাসার বর্ণিল পালকগুলো
প্রতি বাকে একটি একটি করে
দশ থেকে নয় আট সাত ছয়……….তিন দুই এক শূন্য।”
লাইন গুলো বেশ মনে ধরেছে… (y) (y) (y)
জিসান শা ইকরাম
ভালো থাকুন আপনি।
লীলাবতী
সব পালক গুলো খসে যায়, আমরাও কি থাকিনা আপনার সাথে? (y)
জিসান শা ইকরাম
এখনতো আছেন ।
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
গানটি অসাধারন। কি হয়েছে দাদা?
জিসান শা ইকরাম
গানটি আসলেই ভালো। কিছুনা এটি শুধু লেখা।
প্রজন্ম ৭১
কোথায় যাচ্ছেন? মায়াদের মাঝেই থাকুন। গানটি অন্তর স্পর্ষ করে গেলো।
জিসান শা ইকরাম
আছি তো, যাবো কোথায়? 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
মামা সার্চ দা খোঁজ চরম হইছে। আপনার জন্য শুভকামনা
জিসান শা ইকরাম
শুভকামনা সীমান্তর জন্যও -{@
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
ওরে বাবা। কবিতার মধ্যে থিসিসের সারাংশ চলে আসছে দেখি।
একবার পড়ে বুঝিনাই, লাইনগুলো আলাদা আলাদা গল্প বলে। তাই ইউনিট হিসেবে না, আলাদা আলাদা গল্পে ভালোলাগা।
এন্ড হোয়াট এ টিউন। আমার এক বন্ধু এমন দরদ দিয়ে এমন সুরে গায়। আমি ওকে হিংসা করি, ঘৃনা না।
ধন্যবাদ
জিসান শা ইকরাম
কবিতা আমাকে দিয়ে হবে না
আপনি ঠিকই বুঝে গিয়েছেন…… লাইনগুলো আলাদা আলাদা গল্প -{@
গানের কথা গুলো,সুর অসাধারন,প্রায়ই শুনি আমি এটি।
ধন্যবাদ আপনাকে।