
“চল তুই রেডি হ সোনেলার সাথে চল,
খুশির আমেজে সব হাঁটছে খালি পায়”।
দেখত এলাম।খুব ভিজছে সবাই সোনেলার বৃষ্টিতে বোঝাই যাচ্ছে।অসাধারণ লিখিয়েরা একেবারে বান ডেকেছে!নিজেকে শামিল করতে না পেরে খারাপই লাগছে।কারন আমি বাঁশের মধ্যে আছি।
“দিননাকি যখন খারাপ যায় তখন যায়ই।”
তারপরও সবাইকে বৃষ্টি স্নাত ভালোবাসা।
বৃষ্টির এমন দিনে মন খালি আনচান আনচান করে ।পানি ছুঁতে ইচ্ছে করে।বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করে।কিন্তু এবার আর ভালো লাগছে না।এত ঝরছে যে জনজীবন বিপর্যস্ত। বেশি কোনকিছুই আসলে ভালো না।
আমার তো রীতিমতো বিষফোঁড়া,সতীন হয়ে গেছে। কারন আমার অতি প্রিয়,অতি পছন্দের একজন মানুষকে তার জন্য হারাতে বসেছি।ঘটনা এমন-
অসাধারণ একটি বৃষ্টির ভিডিও দিয়েছেন তিনি ফেবুতে।আমি লিখে দিলাম-ভালোনা।বৃষ্টি প্রেমি মানুষ নিজের থেকেও বৃষ্টি বেশি ভালোবাসেন এই ভেবে আবার মজা করে লিখলাম তিনিই ভালো না।আমি যাকে বেশি পছন্দ করি এভাবেই মজা করে বলি।মজা সাজা হয়ে কাজ খানা বানরের মত হয়ে গেল।”বানরকে লাই দিলে মাথায় ওঠে”।আমিও তেমন উঠেছি।সারারাত টেনশানে ঘুম হলনা।সরি বলার সাহসও পেলাম না।সাহস যখন দেখালাম সরি বলার তারপর থেকে দেখছি তিনি লাইনেই নাই নাকি অন্যঘটনা তাও বুঝতে পারছি না। ব্লকের চিন্তায় আছি।
এ চিন্তা যেতে না যেতেই এল জ্বর। কদিন আগে কলেজের বন্ধু বান্ধবরা এসেছিল।তাদের সাথে বেড়াতে গিয়ে ভিজে এসেছি।জামাই বলে বন্ধুদের সাথে ভেজ বৃষ্টিতে। আমার সাথে তো কখনো ভিজলা না।এমন মিছা কথার উত্তর আমার জানা নাই। তাই মিছা বাঁশে চুপ!
জ্বর তাই সবাই ফোনে খোঁজ খবর নেয়। একমাত্র রেজওয়ানা দিপ্তী এল আমায় দেখতে আনারস নিয়ে।ওর বোধহয় করোনার ভয় কম।ওকে পাশে পেয়ে একটু ভালো বোধ করলাম। আমি একা আছি মা গ্রামে। রান্না করে দিল। দুজনে বসে গল্প করছি আর সে আমার ফোন নাড়াচাড়া করছে।
জানতে চাইলো কিছু লিখেছি কিনা। পড়তে দিলাম।বলল,দাও ব্লগে দিয়ে দেই।
হঠাৎ বলল- আপু তোমার ফেবুর প্রফাইল আপডেট নাই,কিছু লেখও নাই।কি অবস্থা!এ রকম কেন তুমি?
বললাম- দে তো ঠিকঠাক করে।
বেচারা খুব খাটাখাটি শুরু করে দিল।এত খাটিয়ে মায়া হল।গেলাম কফি বানাতে।কফি খাচ্ছি দুজনে ।ভালোই চলছে গল্প।
শুরু হল টুকটুক করে ম্যাসেজ আসা। শুভ কামনা, শুভেচ্ছা, দাওয়াত দিলেন না।ভাবলাম ভাগ্নীর বিয়ের কথা বলছে বোধহয়!
বড় ভাই জামালপুর তথ্য অফিসার ফোন দিল- তোর জ্বর কি বেশি? গট ম্যারিড দিয়েছিস কেন?
দিপ্তী কে খুন করতে ইচ্ছে করল।চিৎকার দিলাম।এটা কি করছিস তুই?
সে নির্বিকার- তোমার ফেবুর প্রফাইলে আনম্যারিড ছিল,ম্যারিড করেছি।আর একটা ছবি এ্যাড দিয়েছি।ওরকমই হয় টেনশান নিওনা।
তারাতারি ডিলিট কর।তারপর থেকে ম্যাসেঞ্জার ভরে গেল।তোর কবে ডিভোর্স হল , আবার বিয়ে করলি,কিরে তুই কিছু জানালি না,আর কিছু কথা তো বলাই যাবেনা।
একটা জিনিস প্রমান হল,ওইটুকু সময়ে অনেক মানুষ(ক্যাডার বন্ধুরা)দেখে ফেলেছে।যাঁরা কোনদিন লিখলে কমেন্ট দেয়না কেমন লিখেছি।তারমানে আমার হ য ব র ল এতদিন পড়েছে।শুধু শুধু লেখা বন্ধ করেছি।
ভাগ্নির বিয়ে। ফেবুতে তিনদিন ধরে দেখছি। মেহেদী,রংখেলা,হলুদ, নাচগান আজ বিয়ে হবে।আমি ছাড়া সবাই নাচানাচি করছে।এমনি মন খারাপ। তারউপর ব্রতি ফোন দিয়ে বলে-আপু আমার ওয়াল থেকে ছবিটবি নিয়ে শেয়ার দাও।রাগে মাথাটা আগুন হয়ে গেল।
কিছুতেই নিজেকে শান্ত করতে পারছি না।
সোনেলা আমার অল্প সময়ের হলেও মনে হচ্ছে দীর্ঘ দিনের,প্রেম,ভালোবাসা,ভালোলাগা,মমি ভাইয়ের মত পরকীয়া।তাতে লিখতে পারছি না অথচ ভেবে রেখেছিলাম জন্মদিনে ফাটাফাটি কিছু একটা লিখব।সবারটা পড়ব,কমেন্ট করব কিচ্ছু হল না। মাথা কাজ করছে না। কমেন্ট করতে গেলেই উল্টাপাল্টা কথা লিখে ফেলছি। স্বান্তনা একটাই এটা আমার পরিবার।পাগলামী করলেও কেউ পাগল বলবে না। তাই স্বান্তনা,ভালোলাগা,ভালোবাসা সব কুড়োতে চলে এলাম।
দেরিতে হলেও শুভ জন্মদিন সোনেলা।তুমি থাকো আজীবন কারন তুমি না থাকলে আমরা থাকতে পারবনা।।।
আর শুভ রাত্রি আমার সোনেলার বন্ধুরা।
২৯টি মন্তব্য
তৌহিদ
আহা! সিজনাল ফিভারে আপনিও আক্রান্ত হলেন! সুস্থ হয়ে উঠুন তাড়াতাড়ি। সোনেলাকে মনে রেখে লিখেছেন এতেই আমরা খুশি!
লেখার ঘটনাগুলি কিন্তু পড়তে মজাই লাগলো। আপনজনদের সাথে এসব অতি স্বাভাবিক ঘটনা।
সোনেলার নবম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা রইলো। শুভকামনা সবসময়।
রোকসানা খন্দকার রুকু
শুভ কামনা রইলো সোনেলা ও আপনার জন্য ভাইয়া।
ভালো থাকবেন।
ফয়জুল মহী
আপনার আশু আরোগ্য কামনা করি। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন সবার মাঝে। ভালো লিখছেন
রোকসানা খন্দকার রুকু
ধন্যবাদ ভাইয়া।দোয়া করবেন। আপনিও ভালো থাকবেন।
শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
মন খারাপ হলে কি চলে
সোনেলার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর ছলে
আপু আমার লিখল ভাল ভালবাসে বলে
সুস্থ হোন এই কামনাই রইলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
দাদা যে কি ছন্দে ছন্দে কেমন করে যে লিখেন।মন ভালো হয়ে যায়। শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন আপু। ভাগ্নির বিয়ে সবাই নাচানাচি করছে এতে মন খারাপ হবারই কথা। কিন্তু কি করবেন বলুন নিজের সুস্থ থাকাটা ভীষণ জরুরী
সোনেলার জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
কয়দিন বেশ লেখালেখি ফেসবুকিং করতে গিয়ে চোখের যন্ত্রণা বেড়ে গেছে। এখন আর একদমই পড়তে পারছি না 😰
রোকসানা খন্দকার রুকু
চোখের ব্যাপার খুব সেনসিটিভ। যত্ন নিয়েন।আর সমস্যা বেশি হলে বিশ্রাম নিন। শুভ কামনা।
রেহানা বীথি
প্রথমেই দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। লেখাটা ভারি সুন্দর। এমন মজা করে লিখলেন, পড়ে যে কারও মন ভালো হয়ে যাবে। আমারও হল।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আপনার মন ভালো করতে পেরে ধন্য হলাম। আপনার লেখা পড়ে ভীষন ভালো লেগেছে।এমন লিখতে পারিনা।
শুভ কামনা আপুনি।
খাদিজাতুল কুবরা
রুকু আপু “গট ম্যারেড টুডে” দেখে আমি ও হতবাক।
ভাবলাম রুকু আপু আগের দিন স্ট্যাটাস দিলো জ্বর হয়েছে। পরের দিন জ্বর নিয়েই বিয়ে!
যাক সুস্থ হউন তাড়াতাড়ি।
লেখাটি বেশ মজার হয়েছে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
কি অবস্থা এক বিয়েই সামলাতে পারিনা। আপনিও দেখছেন তাইলে। দিপ্তী রীতিমতো অত্যাচার করে॥ওকে ছাড়া আবার আমার চলেও না।
শুভ কামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
অমন একজন বন্ধু থাকলে অত্যাচার মধুর হয়।
আপনাদের বন্ধুত্বের জন্য শুভকামনা রইল
রেজওয়ানা কবির
😋😋😋😋তোমাকে অত্যাচারে অতিস্ট করার জন্যইতো আমি সবসময় আছি, থাকবো,ছিলাম।এভাবেই জ্বালানোর জন্য থাকব,ভালো থেকো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
চমৎকার মজার ছলে দারুন লিখলেন। সুস্থতা কামনা করছি । নিজের খেয়াল রাখতে হবে। দেরীতে হলেও খুব ভালো লাগলো আপনার লেখনীর জাদু। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো
রোকসানা খন্দকার রুকু
পুজার দাওয়াত চাই। শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে শুভেচ্ছা , সোনেলার জন্মদিনে।
ভাল থাকবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।
আরজু মুক্তা
আপনার সোনেলাকে নিয়ে এমন পাগলামি ভালোই লাগছে।
দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
রোকসানা খন্দকার রুকু
বেশি হয়ে যাচ্ছে না।
কি করব আমি এমনই ফাঁক ফোকর রেখে কোনকিছুই করতে পারিনা।যা করি মন থেকেই।
শুভ কামনা আপুনি।
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার লেখেছেন সোনেলা এর জন্য অনেক শুভ কামনা জানাই
রোকসানা খন্দকার রুকু
ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভ কামনা।
রেজওয়ানা কবির
আরও একবার কমেন্ট করেছিলাম কিন্তু খুঁজে পেলাম না, যাইহোক ভালো লিখেছো,এইটা লেখার চাক্ষুস সাক্ষী আমি, তাই আমার চেয়ে বেশী মজা কেউ পায় নি হয়তো😋😋😋
রোকসানা খন্দকার রুকু
হ তুমি তো পাইবা। তারপরও সব সময় পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আমি সত্যিই গাধা কম বুঝি। শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
হাসলাম খুব পোষ্ট পড়ে। গট ম্যারেড লিখে ভোগান্তি ভালোই হয়েছে।
টুকরো টুকরো ঘটনার সুন্দর উপস্থাপনায় অনেক ভালো একটি পোষ্ট দিলেন।
একটি পরামর্শঃ
সোনেলায় ফান ( রম্য বিভাগ ) পোষ্টের সংখ্যা খুব কম। আমার ধারনা আপনি এই বিভাগে কিছু লিখলে ভালোই লিখতেন।
ভেবে দেখবেন আশাকরি।
সোনেলা আপনার নিজেরও উঠোন। এখানে নিজের মত করে বিচরন করুন। আমাদেরও ভালো লাগবে আপনার বিচরন দেখতে।
সোনেলার জন্মদিনের শুভেচ্ছা আপনাকেও।
শুভ কামনা, শুভ ব্লগিং।
রেজওয়ানা কবির
আমিও একমত ভাইয়া।মজার বিষয়গুলোতে তোমার লেখা বেশী ফুটে ওঠে।বেশী বেশী লেখা শুরু করো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ধন্যবাদ ভাইয়া। এমনি কিছু ঘটনা ঘটে যায় মনের আনন্দে লিখে ফেলি।সময় আর মন এত খারাপ যে আনন্দে থাকতেও যেন কষ্ট।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
হ্যা,ফোটে না ছাই। দেখ না সাবিনা ম্যাডাম কমেনট করেন না। ভালো লিখি না বলেই।আরও তোমার বুদ্ধি শুনি তখন সোনেলা থেকেই না বিদায় হতে হয়।
রেজওয়ানা কবির
🤑🤑🤑🤑