সকাল-সন্ধ্যা-রাতের জ্যামিতিকে পাশে রেখে
মধ্যবিত্ত কবোষ্ণতায় পানকৌড়ি হই চলো।
প্রবহমান প্রতীক নির্জনতার ভেতর দিয়ে ইশারায় বহুমাত্রিক বিভাজন তুলি,
তুমি তো জানোনা, তুমি মানেই ভিন্টেজ ওয়াইনের স্বাদ,
জীবন বিবর্তিত ব্যাকরণ
মায়াবী মৃগয়াভূমি।
আবার তুমি-ই অসমাপিকা ক্রিয়ার ভেতর জেগে ওঠা একজন অহঙ্কারী খুনী
প্রবহমানতা থামিয়ে দিয়ে অশরীরী হওয়া এক অসম্ভব ছায়ার মায়া শোনো,
তোমার জন্যে ‘আমাদের’ মৃত্যু হবে,
তাই বলছি স্পষ্ট রোদের ভেতর ছায়ার আঁকিবুকি খেলবো তোমায় নিয়ে, চলো—।
হ্যামিল্টন, কানাডা
২ মে, ২০১৭ ইং।
** অভিযোজন প্রহেলিকা**র কবিতার মন্তব্য এই লেখাটি।
৩২টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
চলো-না মৃগয়া করি দূরত্বের কোন এক দুরন্ত বনে
শিকার করি নিজেদের, নিজেরা আনন্দের উল্লাসে!
তবুও যদি কিছু থেকে যায় অ-শিকারে
ক্ষতি নেই তাতে, আসবো ফিরে বারে বারে
এই-ই বনে, দু’জনে!
নীলাঞ্জনা নীলা
বাব্বাহ! দারুণ লিখেছেন।
একজন নারী হয়ে পুরুষের বয়ানে লেখা খুবই কঠিন কাজ, কাল লিখতে গিয়ে বুঝেছি।
মন্তব্যে কবিতা পেলে বেশ লাগে কিন্তু! এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ কুবিরাজ ভাই।
আমার গিফটো কই? 😀
ছাইরাছ হেলাল
ঝাঁকি দলেই পড়ে বুঝি!!
আপনি দেখছি পুরাই ধৈর্যশীল!!
ল্যাক্তে পারলে নারী-পুরুষ কোন ব্যাপার না।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঝাঁকি দিলে তো পড়বেই। কুবিরাজ ভাইয়ের থেকে শেখা যে! 😀
তা-ও ঠিক লিখতে পারলে নারী-পুরুষ ব্যাপার না। কিন্তু লিখতে না পারলে তখন? ;?
ছাইরাছ হেলাল
আহারে, লিখতে না পারার কিচ্ছু নেই,
দিমুনে একখান লেইখ্যা!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কই আর লেইখ্যা দিলেন? খালি কইয়া যাইতেছেন লিইখ্যা দিমু। দিলেন তো না আজও। কুনখানের কুন লেডি-গুরুরে লিখলেন! :@
শুন্য শুন্যালয়
এসে গেছি চাশমিশ। দেখি এইবার পড়ে কি যাচ্ছেতাই লিখছো।
নীলাঞ্জনা নীলা
উফ চাশমিশ এই ডাকটা খুব মিস করি গো আপু।
যাচ্ছেতাই লিখি আমি? :@
মোঃ মজিবর রহমান
দারুন চাওয়া। গভীর বনে সঙ্গোপনে দুজনার চলা, গল্প আর পায় চারি কতই না আরামদায়ম । ভাললাগা রইল আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই এই লেখা লিখতে গিয়ে আমার অবস্থা খুবই করুণ। মেয়ে হয়ে ছেলের বয়ানে লেখা কি যে কঠিন, উফ! 🙁
ভালো থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
যেকন ক্ষেত্রেই নিজস্ব স্বকীয়তা না হয়ে আপনারে বদলান এবং বতা নিয়ে রচনা করা কঠন । আর তা আপনি করতে স্বহস্ত।
মোঃ মজিবর রহমান
দুঃখিত, বানান ভুলের জন্য। যেকন ক্ষেত্রেই নিজস্ব স্বকীয়তা না হয়ে আপনারে বদলান এবং পরিবরতন রচনা করা কঠীন । আর তা আপনি করতে স্বহস্ত।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই ধন্যবাদ। বানানে ভুল হলে আসলে মাঝে-মধ্যে বেশ কঠিন হয়ে যায় পড়া।
তবে পরেরটা বুঝেছি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাইয়া বুঝেছি।
শুন্য শুন্যালয়
রোদ আর ছায়ার মাঝে বহুমাত্রিক বিভাজন তুলতে গেলে তোমার নাম দেব সময় অথবা বৈকালী অথবা সংঘর্ষ। তুমিও কঠিন হচ্ছো? হও হও। এ বড্ড সরলতার অসময় চলছে, বুকে পুষে শীতল লেক, ঘোড়সওয়ারী সমুদ্রের ঢেউ তুলছে। তোলো তোলো, শুধু তলিয়ে যেওনা বান্ধবী।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু কঠিন হলাম কই? কি সুন্দর সময়ের বদল ধরে ফেললে।
তবে এমন লেখা আর লিখবো না। নারী হয়ে পুরুষ বয়ানে লেখা এত্তো কঠিন, উফ!
আসলে মন্তব্যতেই লিখেছিলাম, দেখি খুব বড়ো হয়ে গেছে। তাই পোষ্ট হিসেবে দিয়ে দিলাম।
তলিয়ে যাবার মতো মন আর নেই। কারণ আবেগটা এমন জায়গায় এসে স্থির হয়েছে, যেখানে শুধুই নীল রঙের ছড়াছড়ি। আর অন্য কোনো রঙ না। বুঝলে গো তিলোত্তমা?
আড়াল হয়োনা। থেকো এভাবে। ভালো রেখো। -{@
ইঞ্জা
বাহ বাহ, সেকি চাওয়া, খুব ভালো লাগলো প্রতিটি লাইন আর এর কাব্যিকতা, বিমোহিত হলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া চাওয়া সহজ, পাওয়া কঠিন।
আপনাদের সকলের ভালো লাগলেই আনন্দ পাই।
ভালো থাকুন ভাইয়া।
ইঞ্জা
শুভকামনা প্রিয় আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাবু
নিঃসন্দেহে বলা যায় অসাধারণ কবিতা। আপনার কবিতা পড়ে সেই গানটিমনে পড়ে গেল দিদি ।
ভালো লিখেছেন দিদি।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রিয় একটি গান এটি আমার। ধন্যবাদ দাদা মন ভরে গেলো গানটা শুনে।
ভালো থাকবেন।
সৈয়দ আলী উল আমিন
খুব ভালো লাগলো । দারুন কাব্যিকতা ।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রেরণাদায়ক মন্তব্য পেয়ে উৎসাহিত হচ্ছি।
মৌনতা রিতু
গতকাল তোমার কবিতাটি কয়েকবার পড়েছি, কয়েকবার। জানো, মিশরকন্যা নীলনদ কিছু শব্দ আমাকে টানে খুব। কি যেন খুঁজে ফেরা।
কি জানি চাই, কি জানি পাই। তোমার শব্দেই থাকে আমার অনেক না বলা কথা।
হঠাৎ বই এর পাতায় খুলে যায় পুরাতন কিছু শব্দের দুয়ার। তাকে ভাঁজের ভিতরে ঢুকিয়ে দেই আবারো।
না, কিছু কৈফিয়ত, কিছু প্রশ্নের কোনো উত্তর হয়না। ব্যাক্তিবিশেষে কিছু প্রশ্ন করাও যায় না। ঐ যে বলে না, সবাইকে সব কিছু মানায় না। এই না, প্রশ্ন করাতে, উত্তর যে জানতে চাইনি তা না। চেয়েছি। তা কি চোখে পড়ে নিতে খুব অসুবিধা!
ভালবাসা নিও। অনেক শ্রদ্ধা ও ভালবাসা নিও। (3 -{@ (3 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু এতো সুন্দর গভীর মন্তব্যের জন্য শব্দ কোথায় পাই বলোতো?
তবে একটা কথা বলি, আমার কাছে নিশ্চিন্তে তুমি তোমার সব প্রশ্ন রাখতে পারো।
জানিনা কেন তোমার প্রতি আমার কেমন একটা স্নেহ-ভালোবাসার অনুভূতি, অনেক ভালো থেকো আপু।
ঈশ্বর সবসময় তোমার মঙ্গল করুক। -{@ (3
মৌনতা রিতু
অনেক ভালবাসা নিও। ভাল থেকো।গান শুনছি। কুমার শানুর। আজ একে ধরেছি। সারাদিন চলবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
কুমার শানুর কি কি গান শুনলে গো আপু? যদিও উনার বাংলা গান আমার ঠিক পোষায় না।
আগুন রঙের শিমুল
মৃগয়াভুমি চাদঁ ডোবা অন্ধকারে আয়না হয়ে ওঠে –
আয়নায় মুখোমুখি শিকারী ও শিকার।
….. কবে হে প্রাকৃতজন, এ মৃগতৃষ্ণা ফুরাবে বল।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি অনেক ভালো কবিতা লেখেন। আপনার কবিতার অলঙ্কার হলো উপমাগুলো। এতোটাই আলোকিত করে, কবিতার ভেতর অন্ধকার গুহাও স্পষ্ট দেখা যায়।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
জিসান শা ইকরাম
এ যে প্রহেলিকার লেখার প্রতিক্রিয়া তা তুই নিচে লিখে না দিলেও বুঝতে পারতাম,
খুবই ভাল হয়েছে 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা তাও লিখেছি, কারণ কৃতজ্ঞতা স্বীকার তো করতে হয়। প্রহেলিকার কবিতাটা পড়েছি বলেই তো এভাবে লিখতে পেরেছি।
মন্তব্যে দিতে গিয়ে দেখি বিশাল বড়ো হয়ে যায়, তাই এমন আলাদা পোষ্ট।
অনেক ভালো থেকো আমার একমাত্র নানা। 🙂