
দেশে চালের দাম এখন উর্ধগতি, চারিদিকে হায় হায় রব চালের দাম বেড়ে যাওয়াতে, কিন্তু একবারও কি আমরা ভেবেছি এই অত্যধিক দামে লাভবান কারা?
এতে কি যারা চাল উৎপাদন করে, তারা কি লাভবান?
সত্যি বলতে না, তারা উল্টো লস করে প্রায়ই সময়, তার অনেক কারণের মধ্যে কিছু কারণ বলি আপনাদের কাছে বলি।
চাষিরা ফসল ফলান তা থেকে লাভ করার জন্য হলেও তাদের থেকে চাল মিলের মালিকরা কম দামে কিনে নেয়, ফড়িয়ারা কিনে নেয় অল্প দামে, এতে চাষিরা ধানের উচ্চমূল্যের সুবিধা চাষিরা পাইনা, উচ্চমূল্যের সুবিধা পাই মিলের মালিকরা, আবার এদের থেকে কিনে আড়তদাররা, তারাও উচ্চমূল্যের সুবিধা লাভ করে।
এছাড়া বন্যা, খড়া, পোকামাকড়ের উপদ্রব, ঘুর্ণিঝড়, শিলাপাত ইত্যাদির কারণেও চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
এখন আসুন জাপানের গল্প শুনাই যা কালেক্টেড বলতে পারেন।
জাপানিরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে যে ভাত সেটার নাম ‘স্টিকি’, মানে ভাতের দানা একটার সাথে আরেকটা লেগে থাকে।
আমার ধারণা ছিল, স্টিকি ভাত কাঠি দিয়ে সহজে খাওয়া যায় বলেই জাপানিরা এটা এত পছন্দ করে। আমি এই ভাত খেতে একদমই পছন্দ করতাম না। ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো জাপানের বাজারে জাপানি কৃষকদের উৎপাদিত এই বিশেষ ভাতের চালের দামই সবচেয়ে বেশি।
বাজার থেকে কয়েকবার বিভিন্ন ধরণের চাল কেনার পর বুঝলাম এই চাল যদি জাপানিরা নিজেরা উৎপাদন না করে আশেপাশের কোনও দেশ থেকে আমদানি করতো তাহলে এর দাম বেশ কম পড়তো।আমি কৌতুহলী হয়ে আমার সুপারভাইজার প্রফেসর কামিজিমাকে একবার জিজ্ঞেসই করে ফেললাম..
“আচ্ছা প্রফেসর, তোমরা এই চাল বিদেশ থেকে আমদানি করো না কেন? আমদানি করলে তো দাম অনেক কম পড়তো!”
কামিজিমা: “তা হয়তো পড়তো..”
আমি: “তাহলে?”
কামিজিমা: “সরকার ইচ্ছে করেই কৃষকদের কাছ থেকে উৎপাদন খরচের অনেক বেশি দামে এই চাল কেনে।”
“কেন?”
“কৃষকদেরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।”
“মানে?”
“কৃষক যদি ভালো দাম না পায় তাহলে কি ওরা আর কৃষিকাজ করবে? পেশা বদলে ফেলবে না!”
“তাই বলে সরকার এত বেশি দামে চাল কিনবে কৃষকদের কাছ থেকে?”
“শোনো, আমরা আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা ভুলিনি। জাপান একটা দ্বীপরাষ্ট্র। ঐরকম একটা যুদ্ধ যদি আবার কখনো লাগে আর শত্রুরা যদি আমাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে! তখন কী হবে ভেবেছ?”
“বুঝলাম না!”
“বাইরে থেকে কোনও খাবার জাপানে আসতে পারবে? আমরা কি তখন এই টয়োটা গাড়ি খাব? কৃষক যদি না বেঁচে থাকে তাহলে ঐসময় আমরা বাঁচব?!”
আমি অনেকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে রইলাম কামিজিমার কথা শুনে। ভাবলাম, আমরা কি অবলীলায়ই না আমাদের দেশের কৃষকদেরকে বছরের পর বছর উৎপাদিত শষ্যের ন্যায্য মূল্য না দিয়ে মেরে ফেলার যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করছি!
উল্লেখ্য জাপানিজ সরকার বছর শেষে তাদের মজুদ চাউল নষ্ট করে ফেলে দেয়। পুনরায় চাল কেনার জন্য। কৃষকদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
“The Mind Game” বই থেকে উদ্ধৃত।
তাহলে একই বিষয় আমাদের সরকার করেনা কেন?
আসুন কিভাবে করা যায় তা নিয়ে কথা বলি, আমাদের সরকারের উচিত ধান চাষিদের কাছ থেকে নিজেরাই কেনা, বা ধানের ন্যায্য উচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা যেন তা চাষিরা পাই, এবং মিল মালিকরা যেন সরকারের নির্ধারিত দামেই কিনতে বাধ্য হয় তা নজরদারিতে আনতে হবে, এবং মিল মালিকরাও যেন সরকারের নির্ধারিত ন্যায্য দামেই আড়তদারদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয় তা দেখতে হবে, আবার আড়তদারদের জন্যও নির্ধারিত দাম করে দেওয়া উচিত সরকারের এবং তা নির্ধারিত দামেই বিক্রি করতে হবে, তাহলেই হতে পারে কৃষকরা লাভবান।
এতে কৃষকরা ধান চাষ করতে কখনোই না করবেনা, তারা আশার আলো দেখবে, এতে করে আমাদের চালের দাম বাড়তি হলেও সাধারণরাও নিশ্চয় হাসিমুখে কিনবে, কোনো আপত্তি থাকবেনা।
একিভাবে অন্যান্য জরুরি খাদ্য দ্রব্য উৎপাদনেও সরকার অনুরুপ ব্যবস্থা নিতে পারে, তাহলেই এই দেশ খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে বলেই আমার বিশ্বাস, সাথে আমদানি নির্ভরতাও নিশ্চয় কমে যাবে।
আমাদের সবার বুঝা উচিত, কৃষকরা বাঁচলে আমরা বাঁচবো, এবং দেশ বাঁচবে।
সমাপ্ত।
৩৩টি মন্তব্য
কামাল উদ্দিন
আমাদের অভাবী কৃষকরা ফরিয়া বা মিল মালিকদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে চাষাবাদ করার কারণে ঐ মধ্যসত্ত্বভোগীদের কাছে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। তাছাড়া কৃষকরা ফসল ধরে রাখতে পারেনা, যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব বিক্রি করে পরবর্তী ফসল ফলানোর দিকে নজর দিতে হয়, আর যতক্ষণ কৃষকের হাতে ধান থাকে ততক্ষণ কম দামেই বেচাকেনা হয়। তাইতো আমাদের কৃষকরা বরাবরই বঞ্চিত। তবে সরকার দৃঢ় হাতে এসব বিষয় দেখভাল করলে ওই যে আপনি বললেনঃ
ইঞ্জা
সত্যি এ দুঃখজনক, সরকার এতো ভূর্তকি দেওয়ার পরও শুধু মাত্র দেখভালের অভাবে কৃষকরা অভাবে মরে যাচ্ছে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে এটা নীতি নির্ধারকরা ঠিকই বুঝে। তাই বটম লেস বাস্কেট আজ ১৬ কোটি মানুষের দেশে ৪০ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্ত।
আবার আমজনতার কথা ভেবে ন্যায্য মুল্যও নিশ্চিত করতে হয়।
তাই সরকার নির্ধারিত মুল্যে ধান চাল কিনে। আমদানি বন্ধ করে।
আবার কৃষকদের ন্যায্য মুল্যে সার, কীটনাশক দেয়।
আর কৃষকদের সরাসরি ভুর্তুকী দেয় তাদের ব্যাংক একাউন্টে।
আবার সব্জী মাছ চাষের জন্য ইনসেনটিভ দেয়।
এরপর ও টাউট দালাল ফরিয়ারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে।
কারন কারও কারও রক্তে ভেজাল আছে।
ধন্যবাদ ভাল বিষয় নিয়ে লিখলেন। শুভ কামনা।
ইঞ্জা
সত্যি দুঃখজনক দাদা, এতো ভূর্তকি দেওয়ার পরও শুধু মাত্র কতিপয় মানুষের জন্য কৃষক সমাজ ভুক্তভোগী, এ থেকে না বেরুলে কৃষকরা ভবিষ্যতে আর খাদ্য উৎপাদন নাও করতে পারে।
ধন্যবাদ দাদা।
তৌহিদ
আমাদের যদি কৃষকদের প্রতি এই মনোভাব এবং সহমর্মিতা থাকতো তাহলে চাল নিয়ে এত কারসাজি হতোনা।
তবে তারা এসব করবেনা। মিল মালিক আর সিন্ডিকেট এখন ওপেন সিক্রেট। দেশের কৃষক লসে পড়ুক কারোরেই কিছু এসে যায়না।
কৃষক বাঁচলেই বাঁচবে দেশ এটি ভুলে গেলে চলবেনা। চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখলেন ভাই। শুভকামনা রইলো।
ইঞ্জা
দুঃখজনক ভাবে এই সব সিন্ডিকেট কোনো ব্যাপারই না সরকারের জন্য কিন্তু তা ভাঙ্গলে অনেকের স্বার্থ নষ্ট হবে বলেই সরকার কৃষকদের শেষ করে দিচ্ছে, এইটা উচিত নয়।
ধন্যবাদ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের কৃষকেরা সব সময় ই অবহেলিত।
তাদের সুরক্ষা কে দেয় এবং তা কিভাবে তা বুঝতে পারি না।
তবে কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে তা মানি।
ইঞ্জা
সরকারের উচিত চাউল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে কৃষকদের বাঁচানো, নয়তো অদূর ভবিষ্যতে কৃষকরা আর ফসল ফলাবেনা।
ধন্যবাদ ভাইজান।
প্রদীপ চক্রবর্তী
আমাদের দেশের কৃষকরা সেই কবে থেকে অবহেলিত।
কৃষকরা তাদের প্রাপ্যটা পায়না।
অনেকে আছে যারা কৃষকের নাম নিয়ে নিজের নামে প্রজেক্ট আনে। নিজের ফায়দা নিজে লুটে।
কৃষক বাঁচলেই বাঁচবে দেশ এটা চিরসত্য।
আমাদের কৃষকদেরকে বাঁচাতে হবে।
.
ভালো উপস্থাপন দাদা।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত দাদা, সরকারের উচিত কৃষদের বাঁচাতে সকল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়া, তাহলেই কৃষকরা বাঁচবে।
ধন্যবাদ দাদা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কৃষকের সাথে বরাবরই এমন ঘটছে , শুধু চাল নয় সব কৃষি পণ্যের সাথেই এমন হচ্ছে। কৃষক ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত, নিপীড়িত । সরকার যদি কঠোর হতো তাহলে এসব মিল মালিকরা, আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে কৃষককে ঠকাতে পারতো না আর আমরাও সঠিক মূল্যে সবকিছু পেতাম। কৃষক বাঁচলে আমরা বাঁচবো, দেশ বাঁচবে। ধন্যবাদ ভাইয়া সমসাময়িক খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরার জন্য। শুভ কামনা রইলো।
ইঞ্জা
একদম ঠিক বলেছেন, সরকারেএ উচিত সকল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে কৃষকদের লাভবান করা, নাহলে অদূর ভবিষ্যতে কৃষকরা ফসল ফলাবেনা।
ধন্যবাদ আপু।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এবার যে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে জমি সব পানির নিচে। আমরা নিজেরটুকু উৎপাদন করে খাব। বাকি দেবে ইন্ডিয়া।
কৃষককে সরকার দেয় এক কেজি সরিষা আর পাঁচ কেজি ধান বীজ। এটা নাকি ভর্তুকি। অন্যজায়গায় ভর্তুকি দেয় বিশ কোটি।
আবালের শাসন হলে যা হয়।
আর বেশি না বলি। ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম সমসাময়িক পোষ্টের জন্য। শুভ কামনা।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ সত্য বলেছেন আপু, কেন ভূর্তকি দিতে হবে, সরকার সকল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে কৃষকদের সুবিধা দিক, তাহলে কৃষক বাঁচবে।
ধন্যবাদ আপু।
আরজু মুক্তা
আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সব বন্দ
ইঞ্জা
দরকার হলে সেই জঠিলতা সরকার সরিয়ে হলেও কৃষকদের বাঁচাক।
ধন্যবাদ আপু।
আরজু মুক্তা
বন্দি
ইঞ্জা
😊
রেহানা বীথি
নায্যমূল্য না পেয়ে কৃষিকাজে আগ্রহ হারিয়েছে আমাদের কৃষক। আসলে আমরা আমাদের দেশের ভিত্তিটাই শেষ করে দিয়েছি। কৃষক না বাঁচলে দেশ বাঁচবে কিভাবে? আমদানিনির্ভর হয়ে আর কত?
চমৎকার পোস্ট ভাইয়া।
ইঞ্জা
সত্যিটা খুবই দুঃখজনক, আমরা নিজেরাই কৃষকদের মেরে ফেলছি।
সত্য উপলব্ধির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপু।
মনির হোসেন মমি
আমি মন্ত্রী
আমি কী এ সব নিয়ে ভাবতে এসেছি
আমি সরকার
আমার কী এতো দায়!
সরকার মন্ত্রী
হতে লাগে কোটি কোটি
তা আগে তুলি
এরপর ভাববো না হয়
দেশটা কোথায় গেল শুনি।
সম্ভবত একমাত্র আমরাই কোন কাজ করলে ভাবিয়া করিনা,ক্ষমতা পেলে অন্যের কথা শুনি না।বিশ্ব উন্নত দেশগুলোতে যে কোন কাজ দেয়ার আগে এর স্থায়ীত্ব ভাবেন মিনিমাম এ শতাব্দী-যুদ্ধাস্ত সময়ে কিংবা দেশ সংকটে জীবন ধারনের অনেক আইটেমই মওজুদ রাখেন কন্টিনিউ যা সুবিদা মত সময়ে কাজে লাগবে।কিন্তু দুঃখের বিষয় দেশ সংকটে এমন কোন আইটেম মওজুত রাখি না যা দিয়ে অন্তত ছয়মাস বছর আমদানী ছাড়া চলা যাবে।স ক্ষেত্রে কৃষি কৃষকতো আরো অবহলিত।সরকারের সকল সুবিদা দেয়া আছে কাগজে বাস্তবে কৃষক হন হয়রানী।
খুব ভাল লেখা।
ইঞ্জা
একদম সঠিক জায়গায় হাত দিয়েছেন ভাই, আমাদের সরকারে যারা আছেন, তারা তাদের নিয়েই ব্যস্ত, বলে কিনা দেশ আগাচ্ছে, কোথায় আগাচ্ছে, ভিতরে ভিতরে কঙ্কালসার হয়ে যাচ্ছে দেশটি।
ধন্যবাদ ভাই সত্য বলার জন্য।
শামীম চৌধুরী
কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে কথাটা যেমন ধ্রুব সত্য তেমনি একটি শ্লোগান। আমরা যারা দেশ পরিচালনা করি তারা এই শ্লোগানেই কৃষকের মন জয় করার চেষ্টা করি। একবারও ভাবিনা এরা যদি সোনা মাটিতে ফলন না করে তবে জাতি না খেয়ে মারা যাবে। এমন চিন্তা কেন যে সরকারের মাথায় আসে না তা আমার বোধগম্য নয়। তবে এরাই প্রকৃত ও নিঃস্বার্থ মানুষ। বছরের পর বছর ফসলে লোকসান বা নায্য দাম না পেয়েও নেশার মতন পরের বছর ফলন করছে। স্যালুট দেশের কৃষক ভাইদের।
ইঞ্জা
সত্যি এ বড়ই দুঃখজনক, সরকার কেন বুঝেনা যে দেশ ভিতরে ভিতরে শেষ হয়ে যাচ্ছে, একদিন এ দেশের কিছুই থাকবেনা।
মনটা ভেঙ্গে গেল ভাই। 😢
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
সোজা কথা হলো, আমাদের দেশে জনগনের জন্য সরকার নয়। সরকার ও দলের স্বার্থে আর বর্তমানে ক্ষমিতায় থাকায়ার জন্যই আমলা, প্রশাসন ও সহস্র বাহীনি মিলে দেশটাকে খাচ্ছে জনতাকে ধোকা দিচ্ছে।।
ইঞ্জা
সত্যি এ শুধু দুঃখজনক নয়, লজ্জাজনকও বটে।
ধন্যবাদ ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
ভালোথাকুন ভাইজান। আল্লাহ সহায় হোক।
ইঞ্জা
আমীন
হালিম নজরুল
কৃষকেরা কখনোই নায্যমূল্য পান না। অধিকাংশ সুবিধা ভোগ করে মিডিলম্যানেরা। এই করুণচিত্র বহুকাল পূর্ব থেকেই হয়ে আসছে। কিন্তু কবে ভাঙ্গবে এই অচলায়তন তা কে জানে!
ইঞ্জা
সরকার চাইলেই এই অচলায়তন ভাঙতে পারে, কিন্তু আমলারা তা হতে দিলেই তো ভাঙ্গবে।
ধন্যবাদ ভাই।
সঞ্জয় মালাকার
আমাদের সবার বুঝা উচিত, কৃষকরা বাঁচলে আমরা বাঁচবো, এবং দেশ বাঁচবে।
আমাদের যদি কৃষকদের প্রতি এই মনোভাব এবং সহমর্মিতা থাকতো তাহলে চাল নিয়ে এত কারসাজি হতোনা দাদা,
“কৃষক যদি ভালো দাম না পায় তাহলে কি ওরা আর কৃষিকাজ করবে? পেশা বদলে ফেলবে না!”
দাদা অলরেডি ৫০℅ কৃষক ধান চাষ বন্দ করে দিয়েছে।
ধন্যবাদ দাদা শুভ কামনা রইলো।
ইঞ্জা
সরকার চাইলেই কৃষকদের থেকে উচ্চমূল্যে ধান ক্রয় করতে পারে কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সরকার নিস্ক্রিয় যা খুবই দুঃখজনক।
ধন্যবাদ দাদা।
সঞ্জয় মালাকার
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা,
ভালো থাকবেন সব সময় শুভ কামনা!