কুয়াশা-আকাশ, নিস্তব্ধতার রাত, আবেগময় ভালোবাসা নিয়ে
পাথর-হৃদয় গলাতে পারিনি, পথের কুহক পথেই ফেলে রেখেছে
ভালোবাসার বসতবাড়ি পুড়িয়ে;
ধ্বংসের বুকে পা রেখে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ নির্মাণ করেছি,
রাতের আকাশ ধ্বংস করে কাঁপা-কাঁপা শরীর নিয়ে ভোর-পালক কুড়োবো,
বিরহ-বিষের-তীর ছুঁড়ে-ছুঁড়ে নিসর্গ-নিবিড় অরণ্য-বাড়ীতে জীব-মৃতে ফেলে রাখবো;
অনুপম চেষ্টা করে দেখতো, পালিয়ে যেতে পার কী-না!!
লেলিহান-আগুন জ্বেলে দাঁড়াবো পথ আগলে ,
চাঁদের-আকাশ ফ্যাকাসে হয়ে লজ্জায় বেঁধে ফেলবে,
বিড়াল-কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বন্ধ দরজার ও-পাশ থেকে
আপোষ-প্রস্তাব দেবে, ঠোঁট-কাকাতুয়ার সুরে,
নিকটতম আত্মীয়তার বসন্ত-আবেগ মেখে;
যাও যাও, মাথা ঘুরে পড়ে থাক,
অবেলার ওবেলায় না-হয় এসে একবার খোঁজ নিয়ে যাবো,
বিষাক্ত খাঁচা-বদ্ধ হৃদয়টিকে এলাচ করে দেবো।
========================================
নীলের অঞ্জনকে………………………
৩১টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
পালানো এত সহজ না,
লেখার উত্তরে লেখা চলুক (y)
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, ধরে-বেঁধে কাজ চালাতে হবে।
লেখার উত্তরে লেখা চালানো তো কঠিন,
সে এখন ব্যস্ত অন্য কোনখানে।
রিতু জাহান
কি বলব! মাথা চুলকাচ্ছে। একে তো পরীক্ষার দিনক্ষণ নিয়ে চুল প্রায় আমার নাই হইতেছে। তার উপর উত্তর প্রতিউত্তরের কবিতা।
কে যাবে ছেড়ে শুনি! যেতে কাউকে দিবই না।
পড়ার অপেক্ষায়,,,,,,,,
ছাইরাছ হেলাল
আপনার অনুমতি না নিয়ে কেউ-ই কোথাও যেতে পারে না, পারবেও না!!
পরীক্ষা শেষ হবে ভাল করেই, নাই-চুল আবার গজিয়ে উঠবে তর তর করে স্বপ্নে!!
আমরাও অপেক্ষা করি;
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
কি বলবো -{@
ছাইরাছ হেলাল
বেশি আর বলার দরকার কী!!
ফুল তো পেয়েছি।
মাহমুদ আল মেহেদী
লিখে চলুন । বার বার কয়েকবার পড়লাম অস্বাধারন ।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, লিখতেই থাকব!!
কষ্ট করে পড়ছেন, এতেই অনেক পাওয়া।
নীলাঞ্জনা নীলা
আসবো আগামীকাল। আপাতত এটুকু দিয়ে যাই।
“জেগে ওঠো।
জ্যোৎস্না ছুঁয়ে তো অনেক হেঁটেছো—
মাঝে-মধ্যে তপ্ত রোদ্দুরে পুড়তে হয়।”
নীলাঞ্জনা নীলা
হয়তো আবার ফিরে আসবে সোনালি অতীত, তার পাখা মেলে এই চলমানতায়—
শীতের কুয়াশায় আবছায়া হয়ে রোদ ওঠার পরেই মিলিয়ে যাবে, আরেক ভোরের প্রস্তুতির জন্যে অপেক্ষমাণতায়।
তারপর হয়তো এক চাঁদহীন রাতে অজস্র তারাদের আলোয় নির্মিত হবে পাতার কুটির;
যেখানে অবহেলার কোনো জায়গা নেই,
কিন্তু ভরপুর আবেগ আর কয়েক মুঠো অভিমান মিলেমিশে বেঁচে থাকার এক নতুন পথের দিক দেখাবে।
তখন বিশ্বাস আর বিষাক্ত হবেনা,
ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা কোনো নিষ্পাপ স্বপ্নের
জংধরা হৃদয়ে আরেকবার বসন্ত এসে লেপে যাবে, গাইবে গান,
“ওলো সই, ওলো সই
আমার ইচ্ছা করে তোদের মতন মনের কথা কই।”—-
===============
নীলের অঞ্জনাটা কে? নীল কে? ও কুবিরাজ ভাই কন তো দ্যাহি!
ছাইরাছ হেলাল
আমিও ভাবি কে/কোথার/কোথাকার এই নীলের অঞ্জনা!!
এখানে তো দেখছি নীলের অঞ্জন!!
অবশ্য আপনি আবার আগ বাড়িয়ে নিজেকে এই নীলের সাথে মিলিয়ে-ফিলিয়ে ভাব্বেন্না যেন!!
অবশ্য আমিও ভাবছি সে কে!! কে সে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কে জানি সে!
যাকে দেখা হয়নি কোনোদিন,
অথচ চেনা-অচেনার ভীড়ে বড়ো আপন মনে হয়!
যাকে আমি ভালোবাসি, যার নাম নীল-অঞ্জন।
ছাইরাছ হেলাল
দেখা হয়নি তাতেই এই অবস্থা!!
হলে জানি কী সব ভাংচুর হয়ে যেত।
নীলাঞ্জনা নীলা
দেখা হলে কাটাকুটি খেলা খেলতাম। 😃
ছাইরাছ হেলাল
বহুত খেলছেন!!
এবার ক্ষ্যামা দ্যান!!
নীলাঞ্জনা নীলা
খেলা করা শিখাইয়া দ্যান আগে। তারপরে ক্ষ্যামা দিমু। 😃
ছাইরাছ হেলাল
আর কতো আগামীর-কাল দেখাবে!
দেখিয়েছো তো অনেক, দেখাবে তাও তো বলেছো,
না দেখিয়ে/না দেখানোর ছল করে;
এবার ডানা ম্যালো ঐ নীলাকাশ জুড়ে,
নীলের আকাশটুকু জুড়ে, সোনা-দিগন্ত ফুড়ে,
রাতের প্রথম প্রহরে।
নীলাঞ্জনা নীলা
এভাবেই যাক না কেটে আজ-আগামী দ্বন্দ্ব নিয়ে
কী ক্ষতি হয় এমন হলে?
দেখা-দেখির দাঁড়িপাল্লায় বাটখারার ওজন নিয়ে
কেনইবা আর হিসেব নেয়া?
ছাইরাছ হেলাল
বেহিসেবের হিসেব কে-ই বা রাখে/নিতে চায়!!
মুখে মুখে পরণের মত কথা সবাই সবাই বলে
আসল কথার-কাজে অষ্ট-রম্ভা!!
তাও বা কোন কিসে বেহিসেবে চলা!!
নীলাঞ্জনা নীলা
স্বাধীনতা খরচ করেছি দেদারসে—
হাতের মুঠো খালি এখন।
চোখের বারান্দায় কিছু রোদ্দুর আছে অবশ্য,
ধার কর্জ করে চলছে কোনোরকমে
হাসিটা নিলামে উঠেই যাচ্ছিলো,
জীবনবাবুর থেকে ধার করে কিনে নিয়েছি।
আর হৃদয়টার সামনে Not for sale বোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছি বহু আগেই। 😀
ছাইরাছ হেলাল
হৃদয় না থাকার এই এক মহা সুবিধে,
সাইনবোর্ড সহজেই টানানো যায় নিখরচায়!!
অসময়ে অপচয়কারীদের যা হবার তাই হয়/হবেও!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার কথায় পুরোপুরি একমত। দুঃখ নামের অনুভূতিটা কপাল থাবড়ায় তার নিজের। কারণ প্রবেশ নিষেধ। 😃
ছাইরাছ হেলাল
দুঃখ নিপাত যাক!!
ফয়-ফূর্তি চালু থাকুক।
নীলাঞ্জনা নীলা
ফয়-ফূর্তি থামেই তো নাই কুনুদিন। 💃💃 \|/ \|/
ছাইরাছ হেলাল
চলুক তবে,
তয় সাবধানে!! বুড়ি শরীরে!!
সাবিনা ইয়াসমিন
আমরা পাঠক, তাই আপাতত মাথা ঘুরে পড়ে আছি।অনুপমা নীল অঞ্জন এর উত্তরে হয়ত মাথা সোজা করে দাঁড়িয়ে যেতে পারবো।কবিতাওয়ালার স্ব-মূর্ত আবির্ভাব দেখে প্রসন্ন হলাম। -{@
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্য-ই ধৈর্যশীল পাঠক, তা না হলে মটকা মেরে তিন দিন মাথা ঘোরার অজুহাতে পড়ে থেকে
পড়া চালিয়ে যেতে পারতেন না!!
ইতোমধ্যে নীল অঞ্জন খুঁজে পাওয়া-টাওয়া সেরে-ও ফেলেছেন!!
মূর্তি দেখে প্রসন্ন হওয়া ঠিক না। অবশ্য বিভ্রান্ত হওয়া-ও জুইতের কাজ না, জায়েজ-ও না!!
আর কবিতাওয়ালা কৈ পান, আমিও-তো খুঁজি!! খুঁজতে-খুঁজতে হয়রান।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনার মাঝে আপনারে কেই-বা খুঁজে পায় !!
যদিও-বা খুঁজে পায় প্রকাশে আনার নেইতো দায়।😂😂
আপনি যে কি লিখেন ,তা ভেবে ভেবেই মাথা ঘুরে গেলো,,এমন ঝটকা লাগলো বলেইতো তিনদিন মটকা মেরে পড়ে থাকতে হলো !!এটা কিন্তু তৈলাক্ত মন্তব্য নয়।বিশ্বাস না হলে লেখাটি (কবিতাটি) আর একবার পড়ার অনুরোধ রইলো।☺
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা,
এই সেই আসল কথা!!
মাথা ঘুড়ে পড়ে-টড়ে যাওয়া!!
বেশি করে লাগেনি-তো
নিরন্তর টরে-টক্কা টরে-টক্কা। (আগের দিনের টেলিগ্রাফ যন্ত্রের শব্দ)
আপার সেই রঙ্গীন কবিতাটি পড়তে বলছেন!!
তা অবশ্য-ই পড়বো। ভাগ্যিস সেই কবিতাটি পড়ে কিছু-মিছু লিখতে বলেন-নি!!
সে জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
যাই পড়তে বসি!!
সাবিনা ইয়াসমিন
আহা !!আপনি বড়ই ভালো মানুষ।সেই রঙিন অ-কবিতা টাকে কবিতা নাম দিয়ে তার সম্মান বাড়িয়ে দিলেন।আমি যদি জানতাম ওটার এতো কদর করবেন,,তাহলে রঙ আরেকটু বাড়িয়ে দিতাম 😂😂 ভুল হয়ে গেছে।😜😜
ছাইরাছ হেলাল
দেরি কেন!! রঙের প্যালেট নিয়ে শুরু করে দিন,