
বিঃদ্রঃ হয়তো তালগোল পাকিয়ে ফেলেছি।প্রথম এমন লিখেছি।সাধু ভাষা, চলতি ভাষা, বিভিন্ন ভাষার সংমিশ্রন এসেছে,,, প্লিজ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এটা জাস্ট মজা করার জন্য লিখেছি।
প্রিয়,,,,,,
কি দিয়ে তোমাকে সম্বোধন করিবো অনেক ভাবিয়া তাহা স্থির করিতে পারিলুম না বলিয়াই বাধ্য হইয়া প্রিয়তে এসে থেমে গেলুম।বোধ করি ভালো কাটিতেছে তোমায় সময় গুলি,নতুন মানুষ তোমায় ভালো রেখেছে জেনে আমি বড়ই পুলকিত, আনন্দিত। আমি কেমন আছি সেই প্রসঙ্গ টানিয়া এনে তোমায় আর বিব্রতকর অবস্থায় ফেলিতে চাহিনে।
দুপুর ১২ থেকে সারারাত কেমন করে কেটে গেলো বুঝতে পারিলুম, না হয়তো স্বজ্ঞানেও অজ্ঞানেই ছিলুম অথবা ঘোরে কেটে গেলো ১৮ ঘন্টা
অবশেষে যখন জ্ঞানে ফিরলুম তখন বিদায় দেবার ক্ষণ সম্মুখে আসিয়া দাঁড়িয়েছে।
কারো সুখের পথের কাঁটা হবো
এ আমি স্বপ্নেও ভাবিতে পাইনে
আজই এই ক্ষণ হইতে চিরতরে
চিরতরে বিদায় দিলুম তোমারে
আলগা করে দিলুম বন্ধ মনের খাঁচার দোর
মুক্ত করে দিলুম আমার মনের খাঁচায়-
যতন করে রাখা পোষা পাখিটিকে
ছেড়ে দিলুম যতো ছিলো অধিকার
অধিকার পেয়ে তা আবার ফিরিয়ে দিতে
কপোল ভিজে যাচ্ছে অশ্রু জলে
আজই হতে তব ভুলে গেলুম তোমায়
ভুলে গেলুম তোমায় নিয়ে কাটানো নষ্ট সময়
নষ্ট সময়ের পালে পড়ে হারিয়ে ছিলুম নিজেকে
আজই হতে তব বন্ধ করলুম আমাদের সকল আলাপন
কাঁদবো না আর তোমার তরে কোনো কালে
ছিন্ন করে দিলুম যা ছিলো মায়ার বাঁধন
ভালো থেকো তুমি তারে নিয়ে নতুন ঘরে
তোমাকে চিরতরে বিদায় দিতে হবে এ আমি কখনো কল্পনায়ও ভাবিতে পারিনে। তবুও এসেই গেলো বিদায়ের ক্ষণ তখন কি করে তোমায় আপন হৃদয়ে বন্দি করে রেখে তোমার সুখের পথে কাঁটা বিছায়ে রাখি? এ যে অন্যায়। এ আমি পারিনে,যে নিজের ইচ্ছায় চলে যায় তাকে জোর করে অধিকার করিবার মতো এতোটা পাপ করিতে পারিলুমনা
জানিনে তোমার প্রতি আমার অভিমান করা উচিত কি না? তুমি ভেবো না আমি নিতান্তই ভালোবাসা না পেয়েই তোমার কাছে ছুটে এসেছিলুম,যারা আমায় পেতে চেয়েছিলো সবাই আগে আমায় ভালোবেসে ছিলো। আমি কখনো তাদের ভালোবাসতে পারিনি। যা পেয়েছি তাতে আমার মন চিরকালই বলে এসেছে এ নহে,এ নহে। হায়রে আমার অতৃপ্ত হিয়া,কাকে চাস তুই? কে সে তোর প্রিয়তম।
তুমি জানিতে আমি কতোটা হিংসুটে। তোমায় কেউ ভালোবাসবে, এ চিন্তাতেও সইতে পারিনে,দেখতে পারাতো দূরের কথা। সবাই তোমার প্রশংসা করুক, তোমায় ভালো বলুক তাতে আনন্দিত ও গৌরব বোধ করি,কিন্তু তা বলে কাউকে তোমায় ভালোবাসতে দিতে পারিনে। আমি চাইতুম তুমি একা আমার,শুধু আমার,আমি ছাড়া কেউ কখনোই তোমায় ভালোবাসতে পারে না-কিছুতেই না। যখন আমার বিশ্বাস ভেঙ্গে দিয়ে কেউ তোমায় ভালোবেসে আপন করে নিয়েছে,প্রশান্তি দিয়েছে, সুখে রেখেছে সেখানে আমি আর বাধ সাধিব এমনতর ভাবিতে পারিনে। যা আমার নয় তা আঁকড়ে থেকে মূর্খতার শামিল হতে পারিলুম নে,পারলুম নে এ আমার অহংকার।
আমি বরাবর অবাধ্য, চঞ্চল, দুরন্ত, দুর্জয় বাঁধন হারা ছিলুম। কারো শাসন বারণের তোয়াক্কা করতুম নে। কিন্তু তোমার সকল শাসন মেনে চলেছি। এ বিশ্বে এতোবড় স্পর্ধা তুমি ছাড়া আর কেউ ষ যে আমায় শাসন করে।শুধু এইটুকু ভেবে তুমি একটু আনন্দ অনুভব করতে পারো। আমার মত দুর্জয় বাঁধন-হারা কে তুমি জয় করেছিলে। এই ইভেবে একটু গৌরবান্বিত হও।
ইতি
২৪টি মন্তব্য
নৃ মাসুদ রানা
অসাধারণ লেখা। ভালো লেগেছে। অনেকদিন পরেে একটি চিঠি পড়লাম..
সুরাইয়া পারভিন
, আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
মোঃ মজিবর রহমান
কি দিয়া যে চিঠি লিখব, কি দিয়া যে মন ভরাব !
১২ টা থেকে সারারাত আনন্দের ঘোরে গেছে। তাই বুঝিনি।
তোমাকে চিরতরে বিদায় দিতে হবে এ আমি কখনো কল্পনায়ও ভাবিতে পরিনে- খুব ব্যাথিত হলাম চিরিতরে ভেবেই।
পারলুম নে,পারলম নে এ আমার অহংকার। বাহ! বেশ বলেছেন।
পরত লিখতে পারিনি কিন্তু পড়লুম। ভাল লাগা রেখে দিলাম চিঠির মাঝে।
সুরাইয়া পারভিন
কৃতজ্ঞতাসহ আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
রেহানা বীথি
চিঠিটি পড়িয়া বড়ই ভালো লাগিলো। সাধু চলিত মিশিয়াছে, মিশিতে দিন। মনের ভাব তো প্রকাশ পাইয়াছে।
সুরাইয়া পারভিন
প্রচণ্ড সংশয়ে পড়িয়া গিয়েছিলাম। আপনার এমন মন্তব্য পাইয়া ভয় কাটিয়া গিয়াছে। কৃতজ্ঞতা অশেষ আপু।।❤
সঞ্জয় মালাকার
চমৎকার চিঠিটি পড়িয়া ভালোই লাগিলো।
শামিল হতে পারিলুম নে,পারলুম নে এ আমার অহংকার।
আমি বরাবর অবাধ্য,
সুরাইয়া পারভিন
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন দাদা
জিসান শা ইকরাম
ভালোবাসার ভাগ কাউকে দেয়া যায় না,
এজন্য জগতের শ্রেষ্ঠ হিংসুক হতেও রাজি আছি 🙂
সাধু ভাষায় লেখাটি ভিন্নতা এনেছে।
লেখুন এমন আরো।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভিন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
কৃতজ্ঞতা অশেষ। চেষ্টা করবো আরো লেখার
আকবর হোসেন রবিন
লেখাটা পড়ে,এই মুহূর্তে একটা গান গাইতে ইচ্ছে করছে,
“প্রেম একবারই এসেছিল নিরবে
আমারই এ দুয়ার প্রান্তে
সে তো হায় মৃদু পায়
এসেছিল পারি নি তো জানতে।।”
সুরাইয়া পারভিন
হা হা হা হা
দারুণ তো
অনন্য অর্ণব
চিঠি প্রায়শই লিখি। আনমনে, ডায়েরীটা যখন ভরে যায় তখন ছিঁড়ে ফেলে দেই। আমি লিখলেও আজকাল কেউ আর আমাকে চিঠি লেখে না। তবে ইহা একখান দুর্দান্ত ব্যার্থতার গল্প। বলা যায় এটা একটা সাম্রাজ্য ধ্বংসের যুগান্তকারী দলিল।
সুরাইয়া পারভিন
আমাকে কেউ কখনো চিঠি লিখেনি
আহা একখান দুর্দান্ত ব্যর্থতার গল্প।
বলা যায় এটা একটা সাম্রাজ্য ধ্বংসের যুগান্তকারী দলিল।
মোহাম্মদ দিদার
আহা,
এমন চিঠি পরিতে পারিয়া নিজেকেও আজ ধন্যি মনে করলুম।
বেশ ভালো ভাবেই অন্তরের কথা গুলো সকলের সম্মুক্ষে পারিয়াছেন।
সুরাইয়া পারভিন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
এস.জেড বাবু
এ বিশ্বে এতোবড় স্পর্ধা তুমি ছাড়া আর কেউ পায়নি যে আমায় শাসন করে।শুধু এইটুকু ভেবে তুমি একটু আনন্দ অনুভব করতে পারো।
আর কিছু লাগে না___॥
মুগ্ধতা অশেষ
সুরাইয়া পারভিন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
কৃতজ্ঞতা অশেষ
ছাইরাছ হেলাল
হিংসা পরম ধন, তাহা আবার এই লেখা পড়িয়া পুনরায় জানিতে পারলুম।
ইহা না থাকিলে জীবন হয় অন্ধকার তাহাও এই লেখায় বুঝিতে পারিয়াছি।
আমরা উহা আরও বিশদে জানিতে ইচ্ছুক, জানাইয়া বাধিত করিবেন।
সুরাইয়া পারভিন
হা হা হা হা
কোনো একদিন পুরো গল্পের ঝুড়ি নিয়ে আসবো
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
মনির হোসেন মমি
ভালবাসা একবারই হয় বার বার নয় তাইতো ভালবাসার বিহনে মন কাদেঁ-মন ভাবে প্রতিক্ষণ তার সূখের আশায়।
দারুণ অনুভুতি।ভাষার হেরফের হলেও খুব ভাল লিখেছেন।
সুরাইয়া পারভিন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া। কৃতজ্ঞতা অশেষ।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
শিরোনামটা লিখুন,
কী দিয়া তোমায় সম্বোধন করিবো
লেখার অন্তর্নিহিত ভাব অসাধারণ ছিলো।
লেখায় কিছু কমা ও দাঁড়ির পরে স্পেস দেন।
সুরাইয়া পারভিন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ঠিক করে নেবো