
ভাবি লিখব, অনেক করে, অনেক কিছুই লিখব,
লেখা হয়না কিছুই, এই যেমন লিখছি-না, এখন কিছুই।
উল্লসিত সম্পর্ক-টম্পর্কগুলো প্রেত ছায়ার মত টানে,
টেনে টেনে হঠাৎ ছিড়ে/ফেলে দিয়ে কেটে পড়ে, হুট-হাট করে,
খণ্ড-বিখণ্ডতা নিয়ে কিছুই লেখা হয় না;
নিশি ডাকা নির্বস্ত্র শ্মশান ডাইনি সটান দাঁড়িয়ে থাকে
ব্রতচারীর মত, সামান্য অলক্ষ্য নিয়ে;
আদিম শানাই-সুর ভেসে আসে দৃশ্য-দৃশ্যান্তর থেকে,
এখন কিছু লিখতে ইচ্ছে করে না;
জলঝরা/জলভরা মেঘ-বৃষ্টি তাজা আগ্নেয়গিরি মুশল ধরে
লাভা-স্রোত ঢেলে গর্জে ওঠে সেই আদিম হাওয়ার সাথে;
আজ আর কিছুই লিখবো-না,
শুধুই হেরে যাব ক্রমাগত বৃষ্টিদের হিসহিস ফোঁসফোঁস শব্দের কাছে।
৩৪টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভীন
কিছু লিখবেন না লিখবেন না করে
নিশি ডাকা ডাইনিকে বেশ করে ধুঁয়ে দিলেন
উল্লাসিত সম্পর্ক গুলো
টেনেটুনে ছিড়ে/ফেলে দিয়ে কেবল ডাইনিরাই কেটে পড়ে?
ছাইরাছ হেলাল
আমার শ্মশান ডাইনি কেটে পড়ে না, আড়ালে দাঁড়িয়ে মজা লয়।
আপনাকে তো পাচ্ছি না, ব্যস্ততার মাঝে যাচ্ছেন খুব করে বুঝতে পারছি।
ভাল থাকবেন।
সুরাইয়া পারভীন
বাস্তবতার সাথে লড়াই করতে করতে
কল্পনা করতেই ভুলে গেছি।
কল্পনার ডানায় ভর করে কল্প-কথা সাজাতে ভুলে গেছি।
ব্যস্ততা তো অজুহাত মাত্র
ছাইরাছ হেলাল
ঝড়ের সামনে কী করে দাঁড়াতে হয় আপনি তা জানেন।
কখন ও ঢেউয়ের মুখোমুখি আবার কখন ও ডুব সাঁতারে পার হতে হয়।
আপনি তা পারবেন।
সুরাইয়া পারভীন
গত দিন কি দুর্বিষহ কেটেছে বলে বোঝাতে পারবো না
শেষে হসপিটালাইজও হতে হয়েছে
মাত্র ফিরলাম হাসপাতাল থেকে।বাকীটা বলবো পোস্টে
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনি হেরে গেলে চলবে না । লিখতেই হবে। উল্লসিত সম্পর্ক গুলো হারিয়ে যাচ্ছে, যাক । তবুও আপনার কলম থামানো যাবে না। শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
য়াচ্ছা আপনি যখন বলছেন থাম্মুনা এবার!!
কিন্তু আপনাকে তো থামা-থামা মনে হচ্ছে।
নিরাপদে থকুন।
সুপায়ন বড়ুয়া
কিছুই লিখব না বলে ও
কবির হাতে লেখা হয়ে যায় অনেক কিছু
যেমন শব্দ গুলো ছাড়ে না মহারাজের পিছু।
ভালো লাগলো। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
এই একটু ভুং ভাং দিলাম, অন্য কিছু না।
কিন্তু আপনি তো আমাদের ফাঁকি দিচ্ছেন খবর পেলাম!! ভাই।
ভাল থাকুন।
আরজু মুক্তা
কিছুই লিখবেন না, বলে শেষে বৃষ্টির কথা বলে সজীবতার ফিরে আসার কথা বললেন।
অতএব শুভকামনা
ছাইরাছ হেলাল
ধরে ফেলেছেন!!
আসলে প্রকৃতির কাছে আনাদের ফির ফিরে যেতেই হয়,
আমরা যাই- ও।
ভাল থাকবেন আমাদের সাথে থেকে।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
অনেক কিছুই লেখা হয়ে গেল — আজ আর কিছুই লিখবো-না,
শুধুই হেরে যাব ক্রমাগত বৃষ্টিদের হিসহিস ফোঁসফোঁস শব্দের কাছে।
ছাইরাছ হেলাল
নিয়মিত পড়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
কিছু লিখবেন না বলেই এত কথা বলে দিলেন! আর লিখতে শুরু করলে কি করবেন? তা, কে আপনাকে দিয়ে এমন জোর-জবরদস্তি করে লিখিয়ে নিচ্ছে শুনি? নাম বলুন, ডাকিনীর শ্মশানেই তাকে পুড়িয়ে দিবো তুমুল বৃষ্টি-চিতায়।
ছাইরাছ হেলাল
ঐ যে আমি তো এমনি এমনি লিখি, আর লিখে লিখে তো সোনেলা ভরিয়ে ফেলেছি/ফেলছি।
ডাইনি সখ্যতা তো সবার জানাই আছে। ডাইনিরা পোড়া প্রুফ, সামান্য অদল বদল হয় মাত্র।
বৃষ্টি-পরশ আমাদের থাকে/লাগেও,
নিরাপদে থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
” নিশি ডাকা নির্বস্ত্র শ্মাশান ডাইনি সটান দাঁড়িয়ে থাকে”
শ্মশান বানান ঠিক করুন মহারাজ 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ভুল ছিল, ঠিক করে দিয়েছি।
বলার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
তৌহিদ
ছবি দেখে ভয় পেয়েছি, নিজের ভয় আমাদের মাঝেও ছড়িয়ে দিলেন?
এসব চলবেনা, আপনাকে দেখেই আমরা সাহস সঞ্চয় করি ভাইয়া। লিখুন লিখুন। ডাইনি ফাইনি কিচ্ছুনা সিব মনের ভয়। তুকতাক ঝাড়ফুঁক সেতো আপনি জানেনই।
শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
ডাইনি ফাইনি কুন্ ব্যাপার না, এদের সাথে ভাব-সক্ষ্যতা আছে।
এরা মাঝে সাঝে নানান হাওয়া দেয়, ও কিছুনা।
ভাল থাকুন,
প্রদীপ চক্রবর্তী
কিছু লিখবেন না বলে অনেককিছু লিখে ফেলছেন দাদা।
ডাকিনী, ডাইনী এসব নিয়ে লিখুন দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
ডাইনিদের নিয়ে আমার কিছু লেখা আছে, আরও লিখব, লিখছিও।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
জলঝরা/জলভরা মেঘ-বৃষ্টি তাজা আগ্নেয়গিরি মুশল ধরে
লাভা-স্রোত ঢেলে গর্জে ওঠে সেই আদিম হাওয়ার সাথে;
আজ আর কিছুই লিখবো-না,
শুধুই হেরে যাব ক্রমাগত বৃষ্টিদের হিসহিস ফোঁসফোঁস শব্দের কাছে।
ভাইজান এইসবকে রুখে দাঁড়াতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে সত্যের পথে।
ছাইরাছ হেলাল
আমার ভাই এমুন সাহস দিলে লড়কে লেঙ্গে হতে আর সমস্যা নেই।
অবস্যি সত্য কে সামনে রেখে আমরা এগিয়ে যাব সাধ্যানুযায়ী।
সাবধানে থাকবেন।
হালিম নজরুল
বীরদের হেরে গেলে চলে!
আমি আপনাকে জয়ী হিসাবেই জানি।
প্রত্যাশাও সেটিই।
ছাইরাছ হেলাল
হেরে যাওয়ার তো চান্স দিচ্ছে না।
রেফারি সাথে থাকলে কে আর কাকে হারায়।
ভাল থাকুন।
কামাল উদ্দিন
আমিও লিখব লিখব ভাবছি, কিন্তু দুনিয়াবি ঝামেলায় বসা হয়না ব্লগাসরে। যদিও অন্য কাজগুলো করার সময় ব্লগে লগইন করাই থাকে। মনটা যবে শান্ত হবে তারপর হয়তো আবার ঝাপাব ব্লগে। নিশি ডাকা নির্বস্ত্র শ্মশান ডাইনি দেখতে কেমন বড় ভাই?
ছাইরাছ হেলাল
আগে নিজের কাজ, এরপর আমরা আমরা। এত ব্যস্ততার মাঝে আমাদের দেখছেন এটাই অনেক পাওনা।
অবশ্যই আমরা আপনার ছবি মিস করছি।
আমার চোখে নির্বস্ত্র ডাইনি দেখে সুবিধে নিতে পারবেন না, নিজের নিজের হতে হবে!!
ভাল থাকুন, আমরা আপনার অপেক্ষায়।
কামাল উদ্দিন
আমিও ফিরে আসার অপেক্ষায়
ছাইরাছ হেলাল
ভাল থাকুন , নিরাপদে ফিরে আসুন।
জিসান শা ইকরাম
না লেখার জন্য ভয় দেখান,
ডাইনি, ভুত, প্রেতের ভয় দেখান,
ছবি দেখিয়েও ভয় দেখান,
এসব কি?
না লিখেই এত কিছু, লিখলে তো সব ভাগোয়াট হয়ে যাবো।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে এটি অলিখিত ডাইনি সিরিজ, আদের লেখার ধারাবাহিক্তা।
আমাদের ত ডাইনি নিয়েই বসবাস, ভয়ের কিচ্ছু নেই, কিছু ভালু ডাইনি ও হয় কিন্তু।
অবশ্য গরু হারালে অবস্থা ভিন্ন!!!!!!
আতকিয়া ফাইরুজ রিসা
“উল্লসিত সম্পর্ক টম্পর্কগুলো প্রেত ছায়ার মতো” লাইনটা টানলো খুব। গভীর অনুধাবনের বিষয় আছে এখানে। অনেক ভালো লিখেছেন।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি অনেক।