কেউ পাশে নেই, কেউ পাশে নেই
কেউ থাকেনা কাছে।
রাত থাকে তো, দিন থাকেনা
ভর-দুপুরে চাঁদ সাজেনা
বাঁশী আছে তো, নেই মূর্ছনা।
তবুও ভাবি কেউ তো আছে,
কেউতো আছে।
কিন্তু জানিনা কোথায় আছে?
চোখের পাতায় ঘুম যে আছে,
মাথার ভেতর স্বপ্ন আছে
হৃদয় জুড়ে আবেগ আছে,
প্রেমের অনেক কাব্য আছে
তবু যেনো, কি জানি নেই।
ফিরছি খুঁজেই, ফিরছি খুঁজেই।
ফুলের বুকে ভ্রমর আছে
নদীর স্রোতে ছন্দ আছে
বৃষ্টির জলে মন্দ্র নাচে
তুমি আছো আমার কাছে।
তবু কেন একলা লাগে,
সকাল-দুপুর-সন্ধ্যে-রাতে?
হাজার কাজে, ব্যস্ত ভীড়ে
তবুও জানি কি যেনো নেই,
হাসি আছে, উচ্ছ্বাস নেই,
কান্না আছে চোখে জল নেই
কেউ থাকেনা, কেউ থাকেনা
আদতে কি কেউ কারো না?
হ্যামিল্টন, কানাডা
২৪ জুন, ২০১৫ ইং।
**লিরিক লেখাটা আমার কাছে কঠিন লাগে খুব। ছন্দ মিললেই লিরিক হয়না, নিখাঁদ আবেগের গভীরতা না থাকলে লিরিক পূর্ণতা পায়না। অনেকদিন পর মনের চোরাবালি থেকে উঠে এলো লেখাটি, কারণ খুঁজতে যাইনি। বরং আবেগের মাঝে নিজের সত্ত্বাকে ডুবিয়ে দিয়েছি।
৪৬টি মন্তব্য
তানজির খান
খুব ভাল লেগেছে আপি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ ভাইয়া। 🙂
সীমান্ত উন্মাদ
আপু কাব্য লিখাটা বেশ ভালো লাগলো। আপনি ঠিকই বলেছেন লিরিক লিখাটা অনেক কঠিন কারন সেখানে যেমন ছন্দ লাগে, আবেগের গভীরতাটা প্রকাশ করতে হয় শব্দ যোজনের মাধ্যমে, যেটাকে আমরা সহজ বাংলায় বলি স্থায়ী, প্রথম অন্তরা, দ্বিতীয় অন্তরার প্রকাশ। আবার লিরিকে একি সাথে সময়ের একটা বাধ্যবাধকতা থাকে। সময়ের কারনে সাধারনত ৮ থেকে কিংবা ১২ থেকে ১৬ লাইনে শেষ করে দিতে হয়। খুবই কঠিন একটা ব্যাপার। স্থায়ীতে ভূমিকা, প্রথম অন্তরায় ঘটনা, শেষ অন্তরায় পরিনতি।
আপনার কাব্য লিরিকটা আমার বেশ ভালো লেগেছে, যদি আবার গিটার হাতে নতুন গান বাঁধি তবে আপনার অনুমতি নিয়ে এই লিরিকটা দিয়ে একটু চেষ্টা করে দেখতে চাই আমি। যদি আপনি অনুমতি দেন।
অনেক অনেক শুভকামনা নিরন্তর আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
লিরিক আর লিরিক্স দুটোই কিন্তু আলাদা। ছন্দ নিয়ে পড়তে গিয়ে দেখেছি কতো যে রং-রূপ-রস। যেমন এই লেখাটা গানের আওতায় আসেনা। তবে তাও ভালো লেগেছে যে কথাগুলো গীটারের সুরে কোনো একদিন নেচে উঠবে।
আসলে লিরিক ছন্দের ভাবধারা।
যেমন অনেক বছর আগে লিখেছিলাম এ লিরিকটি –
বলতে পারো ……নীলাঞ্জনা নীলা
কেন আমি বদলে গেছি
বলতে পারো ?
কেন আমার এমন হলো
বলতে পারো ?
কেউ দেখেনা
কেউ জানেনা
বইছে কেমন সময় আমার
কেমন আছি আমি
বলতে পারো ?
সবাই ভাবে
চেহারাতে- চলা বলায়
কিম্বাবোধের নাট্যকলায়
একই রকম সেই তো আমি
যেমন ছিলাম আগের মতো
বলতে পারো নদীর মতো
সেই কি আছি — জানি না তা।
বলতে পারো
কেন আমার উচ্ছ্বলতা
ভালোবাসার বিহ্ববলতা
কোকিল ডাকা ভর দুপুরে
অলস ঘুমে স্বপ্ন গ্রহণ
আর টানেনা জলের মতো
বলতে পারো,কেন আমি এমন হোলাম?
ধূপের মতো জ্বলে জ্বলে সোনার ধানে
সোনার তরী ভরিয়ে দিলাম, ভরিয়ে দিলাম
কেন আমি এমন হোলাম ?
শমশেরনগর চা’বাগান , মৌলভীবাজার।
১৯ অক্টোবর, ১৯৯৬ ইং।
ব্লগার সজীব
আপনি লিরিকও লেখেন?! কি পারেন না আপনি বলুনতো দিদি?কবিতা,গল্প,লিরিক,ফটোতোলা সবকিছুতেই দেখি সেরা আপনি।অনেক ফুল আপনার জন্য -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
সেরা টেরা নই। সবাই এসব পারে। আমি চেষ্টা করতে করতে এই বয়সে এসে এমন কমপ্লিমেন্ট পাচ্ছি, এসব পাওয়ার যোগ্যতা আদৌ নেই আমার। কিন্তু ওই যে ভালোবাসা আমার জন্যে, ভালোবাসা যে অন্ধ, সে তো জানি আমি।
ফুল দিয়ে সাজুক মন, -{@ -{@
সীমান্ত উন্মাদ
আপনার লিরিক টা দিয়ে সুন্দর একটা গান হবে যদি সামান্য কিছু এডিট করা হয়। কারন ভাবটা চমৎকার। ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
গান করতে মন চাইলে অবশ্যই করবেন, আমার কোনো আপত্তি নেই।
আপনার জন্য -{@
স্বপ্ন
একটি আছে তো অন্যটি নেই। কেউ কি আসলে থাকে আপু? আপনি লিরিকও লেখেন! খুব ভাল লেগেছে আপু -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
চেষ্টা করি লেখার। মনটাই আসলে কিভাবে জানি লিখিয়ে নেয়। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
কি যেন নেই!! এই কি যেন নেই কি আদৌ পূরন হয়? লিরিক কিভাবে লিখতে হয় তা তো জানিই না, আপনি কতো সুন্দর করে লিখে ফেললেন। খুঁজে ফেরা শেষ হবার নয়, ফিরছি খুঁজে, ফিরছি খুঁজে। বেশ লাগলো।
ছবিটা সুন্দর, এভাবে পাশাপাশি দিয়েছেন দেখে দারুন লাগছে। কতো যে আইডিয়া আপনার মাথায়!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আইডিয়া আমার মাথায় না। আমার নানার মাথায়। বললো ওভাবে দিলে সুন্দর লাগবে, তাই দিলাম।
আরে লিরিক লেখা অতো কঠিন না। আমি যখন পেরেছি, আপনি তো অনায়াসে পারবেন। যে এতো চমৎকার লিখতে পারে। -{@
জিসান শা ইকরাম
লিরিক এবং ফটো যার,সমস্ত ক্রেডিট তার প্রাপ্য।কোথাকার কোন নানা আইডিয়া দিল,তা এখানে বিবেচ্য নয় 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
চুপ বুইড়া আর একটা কথা কইলে খুব রাগ করবো। এরপর আগুণ জ্বলবে, রাগের আগুণে সারা দুনিয়া পুড়ুক, চাও? আর কোনোদিন কইবা না কোথাকার কোন নানা। বুঝছো? :@
হিলিয়াম এইচ ই
ভয় পাইসি ম্যাডাম!!!! 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
😁😁
মেহেরী তাজ
কঠিন লাগে তাও লিখে ফেললেন?
আমরাও কারন খুজতে গেলাম না। ভালো কোন কিছুকে ভালো বলতে হয়।
আমি ভাবছি এক্সাম শেষ করে আপনার কাছে লেখা বিষয়ক একটা শর্টকোর্স করবো।
নীলাঞ্জনা নীলা
এই সেরেছে আমি শেখাবো লেখা? -ঃ-
তাহলেই হয়েছে।
অনিকেত নন্দিনী
এই “কেউ”টাকেই খুঁজে ফিরি জীবনভর।
লিরিক অনেক সুন্দর হয়েছে দিদি। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো সুন্দর নাম যার, তার মন্তব্য তো সুন্দর হতে বাধ্য। ফুল দিয়ে সাজিয়ে দিলাম -{@
ছাইরাছ হেলাল
অনেক দিন পর এখানে লিরিক পড়ার সুযোগ পেলাম আপনারই কাছে।
হোক তা ব্যথা মাখা, যুৎসই ছবিটি লেখাটিকে আরও কষ্টময় করে তুলেছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি আপনার মন ছুঁতে পেরেছে। 🙂
হিলিয়াম এইচ ই
ভালো লাগসে। আমারে শিখাইয়া দেন!! 🙁
নইলে কিন্তু ;(
নীলাঞ্জনা নীলা
হায় হায় এভাবে কাঁদলে আটলান্টিকে সুনামী উঠবে। আচ্ছা আচ্ছা শিখিয়ে দেবো। খাতা-কলম-কাগজ কোথায়? শেখানোর পর পড়া না পারলে কিন্তু :@
হিলিয়াম এইচ ই
শিখানোর আগেই হুমকি?? 🙁
ভায় পেয়ে যাব তো!!!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আচ্ছা শিখিয়ে দেবো। নিজে তো শিখে নেই।
খেয়ালী মেয়ে
কঠিন কাজটা খুব সুন্দরভাবে করে ফেলেছো আপু (y)
ভর-দুপুরে চাঁদ সাজেনা
বাঁশী আছে তো, নেই মূর্ছনা।
তবুও ভাবি কেউ তো আছে,
কেউতো আছে।
কিন্তু জানিনা কোথায় আছে?—-খুব ভালো লেগেছে (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
বললো সে যে আসবে ঠিকই, অন্ধকারের সীমা পেরিয়ে
রাত্রি গিয়ে সকাল এলো, সকাল থেকে সন্ধ্যে আবার
ঠিক ওখানেই এখনও বসেই আছি।
এই হৃদয়টা বড্ড জ্বালায়, আগুণ ধরায় বুকের ভেতর
ইচ্ছেমতোন যা খুশী চায়, বেহিসেবী ছন্নছাড়া
আবেগ নিয়ে তবুও যে আছি।
খেয়ালী মেয়ের আবেগীয় মন্তব্যের জন্যে এ লেখাটি। খুশী? -{@
খেয়ালী মেয়ে
ওয়াওওওওওওওওওওওওওওওওও সেইরাম খুশী -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আমিও খুশী 😀
জিসান শা ইকরাম
ছন্দ মিললেই লিরিক হয়না (y)
মনের চোরাবালি হতে এমন লিরিক আরো প্রকাশ হোক।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা হুম অনেক কাল পর ছন্দ নিয়ে খেলছি, এই ব্লগ আমায় অনেক ভালোবাসায় বন্দী করে ফেলেছে। নানা আমি কৃতজ্ঞ তোমার কাছে। -{@
মিথুন
লিরিক, ছবি দুটোতেই খুঁজে ফেরার আহবান………… সুন্দর (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
এই তো মনের সাথে মিলে গেলো। পজিটিভ ভেবেই লিখেছিলাম। ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
খুব ভাল লেগেছে।
শুভেচ্চছা অবিরত।
নীলাঞ্জনা নীলা
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ইমন
-{@
নীলাঞ্জনা নীলা
🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
কবিতাটি বেশ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে 🙂
নুসরাত মৌরিন
নীলাদি মনের কথাগুলো কি করে জানি আপনি জেনে যান।
সত্যিই কি যেন নেই…সব আছে তবু…কে যেন নেই…যার জন্য অহর্নিশি কেঁদে মরি,কিন্তু চোখে জল নেই…।অদ্ভুত না!!
কিন্তু এমন করে বলা হয় নি,বলতেই পারি না…।আপনি পারেন,অসাধারন করে বলতে পারেন।
আপনাকে বর্ষায় ভেজা একগুচ্ছ দোলনচাঁপা দিলাম তাই…।
নীলাঞ্জনা নীলা
দোলনচাঁপার ঘ্রাণ পাচ্ছি। -{@
লীলাবতী
আপনি লিরিকও লেখান জানতামনা নীলাদি।অসাধারন হয়েছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আরে অমন সকলেই পারে। অনেক ভালোবাসা। -{@
রাসেল হাসান
হাজার কাজে, ব্যস্ত ভীড়ে
তবুও জানি কি যেনো নেই,
হাসি আছে, উচ্ছ্বাস নেই,
কান্না আছে চোখে জল নেই
অউ! অসাধারন!
নীলাঞ্জনা নীলা
ফুলেল শুভেচ্ছা। -{@