
আজ আমি গৃহবন্দী; না কোনো ইভটিজিংয়ের ভয়ে, না কোনো পারমাণবিক বোমার ভয়ে, না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়ে, না কোনো যুদ্ধের ভয়ে। চারিদিকে সবাই কেমন জানি আতংকিত, সবকিছু কেমন যেন থমথমে। কেমন যেন যুদ্ধের পূর্ববর্তী অবস্থা অনুভব করছি। আমি যুদ্ধ দেখিনি তবে স্বৈরাচারী সরকারের পতন দেখেছি। মনে হচ্ছে যেকোনো মুহূর্তে সব বন্ধ হয়ে যাবে, মৃত্যুপুরীতে পরিনত হবে আমার প্রিয় শহর,প্রিয় জন্মভূমি । ঘর থেকে বের হলেই যেখানে লোকজনের ধাক্কা, গাড়ির ধাক্কা, রিকশার ধাক্কা খেতে হতো অবিরত সেখানে আজ সুনসান নীরবতা বলা যায়। যেখানেই গেছি আগের মতো গাড়ির জটলা নেই, লোক জন কম, পন্য সদাই নিয়ে তেমন কেউ বসে নেই- নিতান্ত দরকারি জিনিস ছাড়া বাড়তি কিছুর পসরা নেই। ঈদের ছুটিতে এমনটা দেখা গেলেও সবার মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য থাকে, আনন্দের ফুলকি চোখেমুখে দৃশ্যমান থাকে। আজ আমি এ কোন শহরকে দেখছি!
নোভেল করোনা বা কোভিড-১৯ ভাইরাস আমাদের সবাইকে এ কোন প্রান্তে দাঁড় করিয়ে দিলো? যেখানে শুধু আমার শহর বা আমার দেশ নয়- সারাবিশ্ব আজ এক কাতারে শামিল হয়েছে। মৃত্যু ভয় আমাদের কে গ্রাস করে ফেলেছে। শুধু তাই নয় মৃত্যু পরবর্তী সময়টা আরো নির্মম , লোমহর্ষক হয়ে ধরা দিয়েছে। শেষবিদায়ে আপনজনের স্পর্শ, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, সবাই একত্রিত হয়ে শোক পালন করা-কিছুই করা যাবে না। এরচেয়ে ভয়াবহ, ভয়ংকর আর কি হতে পারে? জন্মিলে মরিতে হবে এটাই চিরন্তন সত্য ; কিন্তু এ কেমন মৃত্যু! এ ভাইরাসের কারনে মৃত্যু হলে লাশ থেকে যে ভাইরাস ছড়ায় তা আরো ভয়াবহ। তাই মৃতব্যক্তির সৎকার টাও ঠিক মতো করা যাবে না। এমন মৃত্যু কারোরই কাম্য নয়। এ এমনি এক সংক্রমণ ব্যাধি যে ছুঁলেই সর্বনাশ। কমপক্ষে এক দুই মিটার দূরত্বে অবস্থান করতে হবে অন্যজনের কাছ থেকে। তাইতো কোনো জনসমাগম, দাওয়াত, ভীড় ভাট্টায় যাওয়া যাবে না। এটা মানবসৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ, প্রকৃতি আমাদের কিসের প্রতিশোধ নিচ্ছে- যার কারণে পুরো বিশ্ব আজ গৃহবন্দী?
২৭টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
করোনা আতংকে স্থবির হয়ে গিয়েছি,
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে এসে দাড়িয়েছি আমরা সবাই।
সাবধানে আর ভালো থেকো ছোট দি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সত্যিই তাই। দাদা ভাই সবাইকে নিয়ে সাবধানে থাকবেন। কোথাও এখন আর বের হবেন না। ঈশ্বর মঙ্গল করুন
ইঞ্জা
মানুষ এখন মানুষকে ভয় পাই, কি একটা অবস্থা, ঘরেই থাকুন আপু, নিজে বাঁচুন, অন্যকেও বাঁচতে দিন।
লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মানুষকে আগেও ভয় পেয়েছি। এখন কাছে যেতে , কথা বলতে ও ভয় লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে। সাবধানে থাকুন, ঘরেই থাকুন ভাইয়া।
ইঞ্জা
সত্যি তাই আপু, ভালো থাকবেন, বেশি বেশি লিখবেন, সময় কাটবে। 😁
শুভেচ্ছা জানবেন।
নিতাই বাবু
আমাদের যেমন দিন যাচ্ছে, বয়স বাড়ছে! আবার হিসাবে খাতা থেকে মোট বয়স থেকে চলতি বয়স মাইনাস হচ্ছে। মানে মোট বয়স থেকে বয়স কমছে। মনে হয় পৃথিবী শুরু থেকে এপর্যন্ত চলে আসা বয়স থেকে মাইনাস হয়ে অবশিষ্ট কিছু বয়স হাতে আছে। তাই পৃথিবী শেষ বয়সের দ্বারপ্রান্তে এসে গেছে। আমার যেমন একদিন মৃত্যু হবে, পৃথিবীও একদিন শেষ হবে। যা শুনেছিলাম বুড়ো-বুড়িদের মুখে। তদ্রূপ আমরা মনে হয় শেষ সময়ে পৌঁছে গেছি!
এই সময়ে সপরিবারে ভালো থাকার জন্য কামনা করি। সবাই ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক। এই সুন্দর পৃথিবী আরও কোটি কোটি বছর বেঁচে থাকুক। মহান সৃষ্টিকর্তা সবার সহায় হোক।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, সাবধানে থাকুন ঘরেই সবাইকে নিয়ে। শুভ কামনা রইলো
ফয়জুল মহী
শুভ কামনা আপনার জন্য। ভালো লাগলো লেখা। নিজে সচেতন হই। অন্যকে সচেতন করি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। সচেতন হউন সবার জন্য। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
সুপায়ন বড়ুয়া
হাল ছেড়ো না বন্ধু।
একটা বিকেল গেলো করোনা মুক্ত টিভি
ছেড়ে খালেদা মুক্তি টিভি।
ওদের কোন ভয় ছিল না
খালেদা মুক্তি বন্দনায়।
ওরা দিব্বি ঘুরে বেড়ায় শাট ডাউনের ধুয়া তুলে।
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ দাদা। সাবধানতা অবলম্বন করুন। নিজে বাঁচুন, অন্যকে বাঁচান। শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
এখানেও সব কিছু স্থবির, দোকানপাট গাড়ী রিক্সা সব যেন হাওয়া হয়ে গেছে।
সব থেকে ভয়াবহ কেউ মারা গেলেও কোন লোক পাওয়া যাবে না।
ঈশ্বর আমাদের বাঁচিয়ে রাখবেন তাঁর নিজ গুণে এই কামনাই করি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হুম এটাই ভয়ের। মৃত্যু হলে কেউ কাছে আসতে পারবেনা। ঈশ্বর এমন মৃত্যু থেকে সবাইকে মুক্তি দিক। ধন্যবাদ আপনাকে। সাবধানতা অবলম্বন করুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
গোটা বিশ্বে এখন একই চিত্র। যেন থমকে গেছে নিজ অক্ষে সদা ঘুরতে থাকা পৃথিবীটা।
সৃষ্টিকর্তা হয়তো আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন। তার সৃষ্টির সেরা জাতি মানুষের। বিশ্বের দুর্দিনে সবাই মিলেমিশে মানবতার জয়ে জয়ী হোক এটাই হয়তো তিনি চাইছেন।
আলোকিত দিন আসুক। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবাই ক্ষমা করে স্বাভাবিক জীবন / মৃত্যু দিন।
শুভ কামনা 🌹🌹
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। এই ক্রান্তিকালে সবাইকে ধৈর্য ধরে সাবধান থাকতে হবে। সৃষ্টিকর্তা সবার ভালোর জন্যই হয়তো এমন একটি মহামারী দিয়েছেন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
তৌহিদ
এই সময় ঘরে বন্দি হয়ে থাকাই সবচেয়ে উত্তম। জীবন যেন স্থবির হয়ে আছে। ঘরবন্দী জীবন উপভোগ করছি আমি নিজেই।
তবে সমস্যা হচ্ছে কিছু মানুষ এটি মানতে চাইছেন না। এটি আমাদের জন্য হুমকী হয়ে পড়েছে। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সবার পক্ষে ঘরবন্দী থাকা সম্ভব নয় তবুও যতখানি পারা যায় চেষ্টা করতে হবে। আর এই মহামারী কতদিন ভোগাবে তাও ঠিক নেই। এক অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো
ইসিয়াক
সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
সতর্ক থাকুন আপনজন নিয়ে।
নিশ্চয়এ বিপদ কেটে যাবে একদিন।
শুভকামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া। অবশ্যই ঠিক হবে। আপনি ও সতর্ক থাকুন সাবধানে থাকুন। শুভ কামনা রইলো
এস.জেড বাবু
কোথায় হাসপাতাল ?
কোথায় চিকিৎসা ?
কোথায় ভরসা ?
বিধাতার এমন এক খেলা, যে খেলায় সবাই সবকিছু ভুলতে বসেছে- ভরসা হারিয়েছে-
এখন সৃষ্টিকর্তা একমাত্র ভরসা।
তিনি হয়ত শেষ পর্যন্ত কোনও পথ দেখাবেন, রক্ষা করবেন মানবকুল।
ভালো থাকবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অবশ্যই পথ দেখাবেন। এমন মহামারী ,দূর্যোগ সাময়িক। ঈশ্বর সহায় হবেই এমন অবস্থা বেশিদিন স্থায়ী হবেনা। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল
নীরা সাদীয়া
নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই, সবাই আজ বন্দী। এবার অনেকেই বুঝতে পারবে বন্দী থাকার কী অসীম জ্বালা। যাই হোক, অন্য একটা দিক তুলে ধরেছেন করোনা বিষয়ক। ভালো লাগলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল
সৈকত দে
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ও সুন্দর থাকুন সবসময়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি ও ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
হালিম নজরুল
আমিও গৃহবন্দী, সৃষ্টিকর্তা সকলের মঙ্গল করুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হুম সবাই গৃহবন্দী। ঈশ্বর সহায় হোন। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন