প্রিয়র বায়নার কাছে হাড় মেনে অবশেষে একজোড়া কোয়েল পাখি কিনে দিতেই হোল। খুব ছোট ছিল তখন কোয়েলরা। সব খেলনা বাদ দিয়ে জীবন্ত খেলনার পিছনে প্রিয় তখন থেকে। খাবার খাওয়ানো , পানি খাওয়ানো সব প্রিয়র তদারকিতে চলছে। ঘুম থেকে উঠেও দেখে আসে কোয়েলরা কি করে । একদিন তার মনে হোল ঘুমাতে কষ্ট হয় ওদের । সামনের ফার্মেসি থেকে তুলা নিয়ে ওর মাকে বললে প্রথম তো হাসির হুল্লোড় সারা বাসায়। অতঃপর বানিয়ে দেয়া হলো ২ টি বালিশ। আমরা অবাক হয়ে দেখি রাতে বালিশ ২টির ওপর চিত হয়ে ঘুমাচ্ছে ওরা ।
১ মে থেকে ডিম দেয়া শুরু করেছে মিসেস কোয়েল । ৭ মে পর্যন্ত মোট ৭ টি ডিম দিয়ে মারা গেল ডিম পারা কোয়েল পাখিটা । কোন এক অজ্ঞাত পোকার কামড়ে মৃত্যু হতে পারে তার।
সেই থেকে কাঁদছে সঙ্গিনীর জন্য জীবিত কোয়েল পাখিটা। কাঁদছে প্রিয়। প্রিয় যতক্ষণ জীবিত কোয়েল পাখির কাছে থাকে ততক্ষণ কোয়েলের কান্না নেই। ৭ টি ডিম এখন প্রিয়র কাছে অমূল্য সম্পদ । আশা একটা নতুন কোয়েল আসবে , তা দিয়ে বাচ্চা ফোটাবে । খারাপ লাগে আমাদেরও ।
কোথায় পাই তার একজন সঙ্গিনী ? যশোর থেকে কোয়েলের ফেরিওয়ালা এসেছিল কেনার সময়ে , তাই কিনতে পেরেছি। আমাদের এলাকার সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নিয়েছি , নাই ।
এটি একটি পরিবারের সুখ দুঃখের কাহিনী। এসব নিয়েই আমার দিন রাত্রি ।
৮টি মন্তব্য
বনলতা সেন
কোয়েল তার এক নতুন কোয়েলী পাক এই কামনা করি ।
জিসান শা ইকরাম
এখনো পাইনি , তবে আশাকরি পেয়ে যাবে ।
শিশির কনা
হাসি আনন্দ ভালোবাসার এইসব দিনরাত্রি ।
জিসান শা ইকরাম
এভাবেই চলে আমাদের জীবন ।
ছাইরাছ হেলাল
নূতন পাখির অপেক্ষায় আছি ।
জিসান শা ইকরাম
আগামী কালের মধ্যেই আসার সম্ভাবনা প্রবল ।
যাযাবর
সঙ্গিনী কি এসেছে ?
জিসান শা ইকরাম
হ্যা , এসেছে
২ টা , খুব খুশি মি: কোয়েল ।