আজকাল মাথায় উদ্ভট কিছু চিন্তা আসে। না এসে তো উপায়ও নেই। চিরন্তন প্রবাদ বাক্যকে ভুল হতে দেয়ার জন্য কোনো চিন্তা করিনি। প্রবাদটা হলো, “অলস মস্তিষ্ক শয়তানের আড্ডাখানা,” নয়তো “নেই কাজ তো খই ভাঁজ।” তো খই ভাঁজা তাদের সাজে যাদের মানিব্যাগে টাকা ভরা থাকে আর ভাবে-সাবের বিলাসী দু:খ থাকে। আমার ব্যাগে অতো টাকা নেই। বিদেশে বাড়ী নেই, ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সও নেই। তাই খই ভাঁজার প্রশ্নই আসেনা। এবারে আসি অলস মস্তিষ্কর কথায়। আচ্ছা মস্তিষ্ক কখনো কি অলস থাকে? উদাহরণস্বরূপ রাতে ঘুমিয়ে থাকলে একটু শব্দে ঘুম ভাঙ্গে কেমন করে? মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মস্তিষ্কের বিরাম নেই। আহারে বেচারা। যাক মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা করা আমার কম্মো নয়। যে ব্যাপার নিয়ে আজ আমার মাথার বারোটা বাজিয়ে লিখতে চাইছি সেই প্রসঙ্গে আসি।
চারদিকে এতো প্রেম দেখি, আমার মাথা খারাপ হয়ে যায়। কেউ পাত্তা পায়, কেউ আবার পায়না। কেউ পাত্তা দেয় অবহেলা-অপমান নিতে, আর কেউ সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পিছপা হয়না। আর তাই আমি মনে করি প্রেমের নামে ছাগল পোষাও ভালো। অনেক কাজে আসে। অবশ্য এও বলতে পারেন ছাগলই কেন, গরু-মহিষ-কুকুর-বেড়াল কেন নয়! ওসবের ক্রয়মূল্যর পাশে ছাগল অনেকই সস্তা। আর তার জন্য খাদ্য নিয়েই তেমন ঝঞ্ঝাট নেই। তবে রাস্তার কুকুর-বেড়ালের কথা আলাদা।
হুম বুঝতে পারছি বেশ কিছু মানুষ মুখিয়ে আছেন কয়েকটি প্রশ্ন করতে।
১) এতো বিষয় থাকতে প্রেম নিয়েই কেন লিখতে বসেছি?
২)আমি কি প্রেম করছি?
৩) প্রেমে কি ছ্যাঁকা খেয়েছি? ছ্যাঁকা খেলে কতোজনের থেকে?
এবারে উত্তরমালা। হুম উত্তর দিতে উত্তরমুখী হয়ে বসলাম।
১) প্রেম নিয়ে লেখায় কোনো রিস্ক নেই। কারো না কারো মনের সাথে মিলে যাবে।
২) প্রেম করার কথা ভাবলেই এখন ভয় করে। আজকালকার প্রেমের যা অবস্থা দেখি, তাতে না রে বাবা ছাগল পোষা অনেক ভালো।
৩) ছ্যাঁকা খেয়েছি। জীবনে ছ্যাঁকা খায়নি এমন কেউ আছে নাকি? কতোজন মানে? হিসেব কষতে গেলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে। ^:^
এসব উত্তর শুনে আরোও কিছু মানুষ আছেন যারা খোঁচাযুক্ত কথা রেডি করে নিয়েছেন। কেন উনারা এমন কথা বলতে চাইছেন জানেন? তার কারণ ওসব মানুষের গায়ে আঘাত লেগেছে ছাগল পোষার কথা বলেছি তো, তাই। বিনামূল্যে একটি উপদেশ প্রদান করছি। শুনুন প্রেম করুন, প্রেম পালন কিংবা ধারণ করুন মনে। তবে নিজেকে অসম্মানিত করাতে যাবেন না। কারণ যারা কারো ভালোবাসাকে অপমান করে সেই মানুষ নর্দমার কীটের থেকেও জঘণ্য এই কথাটা মনে রাখবেন। নাহ আর কিছু বলবো না। কারণ আর কিছু বলার জন্য কোনো কথা খুঁজে পাচ্ছিনা। এবারে তাহলে একটা ছড়ার মতো অবয়বযুক্ত কিছু লিখে আজকের এলোমেলো কথা সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ আপনাদেরকে যারা এই লেখা মন দিয়ে পড়েছেন, আর যারা পড়েননি তাদের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ। কারণ আপনারা আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন প্রতি-মন্তব্য করার হাত থেকে। 😀
তোমার নামে পুষবো ছাগল
করলে করো হেভি মাইন্ড
অনেকখানি ভাব দেখালে
ছিলাম আমি তখন ব্লাইন্ড।
ভেবেছো তুমি সারাজীবন
করবো আমি হা-পিত্যেশ?
স্যরি ডিয়ার আর সাজবো না
পড়ে এই ক্লাউন ড্রেস।
ওম শান্তি আহা শান্তি! 😀
হ্যামিল্টন, কানাডা
১২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ইং।
২৪টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
হি হি এতোদিনে তো তবে তোমার ছাগলের খামার হয়ে যাবার কথা! 😀 প্রেম তো মাশাল্লাহ কম করো নাই। দেইখো ছাগল প্রতিপালনের জন্য রাখাল রেখে এরপর রাখালের প্রেমে পইড়ো না।
এত্তো সুন্দর হলুদ গোলাপ গুলো কী ছাগলদের জন্য? 😀
এই শোন আমার প্রেমিকরে কিন্তু মোটেও ছাগল কবা না :@
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রেম যতোটা না করেছি, তার থেকে ছ্যাঁকা বেশী দিয়েছি। 😀
আর জীবনের প্রথম ছ্যাঁকা পেয়েছি উত্তম কুমারের থেকে। ;( আমার নরম-কোমল মনকে ভেঙ্গেচুড়ে তছনছ করে দিয়েছিলো। 🙁
ধুত্তোর ছাগলের রাখালের প্রেমে? আমারে তুমি কোনখানে নামাইয়া দিলা গো তিলোত্তমা? যাও তোমার নাম আইজ থাইকা ঘসেটি বেগম। :p
হলুদ গোলাপগুলো দিলাম এখানে প্রিয় সবাইরে, ছাগল পাললে তো ঘাসও দিমু না। 😀
শোনো গো ঘসেটি বেগম প্রেমিক মানেই ছাগল, আর যদি ছাগল না হয় তাইলে হে কিছুতেই পেরমিক না। 😀
ওই মাইয়া তোমার থাইকা ঘসেটি ইস্টাইল লেখা চাই কিন্তুক।
ভালো থাইকো। -{@
ইঞ্জা
আহা প্রেম নামক এক ছাগল আমিও পুষে ছিলাম যে আমার বাগানের সব ঘাস খেয়ে পাঠা একটার সাথে ভেগেছিলো পরে একদিন দেখা হলে কি যে কুম্বিরাশ্রু দেখাইলো :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
ও হ্যান্ডপাম্প ভাই প্রেমিকরা হয় ছাগল, প্রেম না।
আপনি ওই গানটা শুনেছেন? শুনে থাকলে গেয়ে শোনান,
“তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে গরু চড়াতে আসতে
তুমি গরুকে না ঘাসকে কোনটাকে বেশী ভালোবাসতে!” 😀
অলিভার
“উত্তর দিতে উত্তরমুখী হয়ে বসলাম”
পড়তে পড়তে ফিক করে হেসে ফেলেছিলাম 😋
দারুন মজার লেখা। তবে তুলনাটা বেশ যুক্তিসঙ্গত মনে হয়েছে।
যত হ্যাপা করে পুলাপাইন গুলি ‘বাবু’, ‘যাদু’ আর ‘শোনামুনি’ দের বায়বীয় প্রেম টিকিয়ে রাখছে তার তুলনায় ‘ছাগল পালন’ প্রজেক্টও অনেক সহজ কম্ম বলেই ধারণা করছি 😒
বাই দ্যা ট্রাফিক, এত এত্ত আইডিয়ার জন্ম যে মস্তিস্ক সে মস্তিস্কের নেটওয়ার্ক আরও বিস্তৃত হওয়া জরুরী। তবে যদি এমন কিছু চমৎকার আইডিয়া আমরা পাই! 😷 😷
নীলাঞ্জনা নীলা
যাক রম্য তাহলে লিখতে পারছি! আমায় দিয়ে রম্য লেখা হয়না। তবে হাসতে পারি প্রচুর। আমার বলা কৌতুক শুনলে কৌতুকের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসবে, বুঝেছেন? 😀
বিভিন্ন নেটওয়ার্কের লিঙ্ক দিন, তাহলে না মস্তিষ্ক নিয়ে ডিগবাজী খেলতে পারবো। \|/ 😀
অলিভার
নতুন করে রম্য লিখছেন নাকি!!
লেখা তো তেমন বলে না ;?
নেটওয়ার্ক তো অনেক আছে। আপনিই বাছাই করে নিন, কোন ধরণের নেটওয়ার্কে শেয়ার করবেন। তারপর না হয় আমরা সেসব নেটওয়ার্কের সাথে নিজেদের সিনক্রোনাইজ করে নেব 😃 😃
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলেই কিন্তু নতূন করে রম্যের ভুবনে এসেছি। তাই চেষ্টার উপর চেষ্টা ঝালিয়ে-জ্বালিয়ে চালাচ্ছি। বুঝেছেন? 😀
আবার কঠিন করে ভাবনায় ডোবানোর চেষ্টা করছেন? উহু সে হতে দেবো না। নেটওয়ার্ক সিগনাল পাচ্ছেনা। কি হয়েছে কে জানে! মঙ্গল গ্রহ থেকে আগে অ্যালিয়েন আসুক, দেখি তারা কি করে! :p 😀
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্ বিষয়ের নূতনত্ব নিয়ে এসেছেন দেখছি!
আচ্ছা ঐ গানটি কী যেন!! পরের লাইনগুলো কী যেন!!
সখি ভালোবাসা কারে কয়…………………………
নীলাঞ্জনা নীলা
কি যেনো!!!———————– ;?
ইস কিছুতেই মনে করতে পারছিনা কুবিরাজ ভাই। ^:^
পিলিজ মনে করিয়ে দিন। 😀
ছাইরাছ হেলাল
ছলনা-ফলনা কী যেন একটা লাইনে ছিল!!
ভাল করে মনে করতে পারছি না বলেই তো সাহায্য চাইলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
ওই তো মনে করেই ফেলেছেন ছলনা-ফলনা। আরেকটু চেষ্টা করলে ঠিক পেরে যাবেন।
কুবিরাজ ভাই বলে কথা! 😀
নীরা সাদীয়া
একদম খাঁটি কথা বলেছেন। ছড়াটাও বেশ। ছাগল পোষার কথাটা সবচেয়ে ভাল লাগল।
নীলাঞ্জনা নীলা
ছাগল পোষার চিন্তা-ভাবনা করছেন নাকি? 😀
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
মৌনতা রিতু
কারো প্রেমে অবহেলা করি এমন দুঃসাহস কোথায় পাই!
শূন্যের কথামতো বলতে চাই, এ আপু এতো সুন্দর গোলাপগুলো ছাগলের জন্য? মুইও কিছু হলুদ গোলাপ আনবোনে আজকে। তবুও যদি কোনো ছাগল মোর পানে চায়😝
গতকাল কি হইছে জান, জুলি একটা নতুন জ্যাকেট কিনে পরে এসছে। এই আঠারো উনিশ বছরে তাকে কখনোই এই রুপে দেখনি। সাধারনত, ব্লেজার বা চামড়ার একটা কালো জ্যাকেট আছে ওটা পরে। তো পাশের রুমে মেমনের স্যার পড়াচ্ছিল মেমনকে। আমি ভেবেছি ওর স্যার চলে গেছে। আমি জুলিকে নতুন এই জ্যাকেটে দেখে জোরে জোরে বলছি,” ওরে আল্লাহ্ আমার বুড়া দেখি ইয়াং হয়ে গেছেরে”। পাশে তাকায়ে দেখি মেমনের স্যার। লজ্জায় আমার অবস্থা খারাপ। জুলি তো ক্ষেপে মেপে অস্থির। একে তো গম্ভির মানুষ। তার উপর নতুন পোশাকে একটু জড়তা আমার সামনে। আর স্যারের সামনে বলেছি। মেমনও খেপেছে, তার বাবাকে বুড় বলাতে।
শোন প্রতি মন্তব্য থেকে তোমাকে বাঁচাতে পারলাম না😝।
আপু, কেমন আছ বলো?
নীলাঞ্জনা নীলা
শোনো শান্ত-সুন্দরী হলুদ গোলাপগুলো তোমাদের জন্যে। আমি গোলাপ কখনোই পছন্দ করিনা, তবে দারুণ রঙের মিশ্রণ। হলুদের সাথে লালচের মাখামাখি বহুদিন পর দেখলাম।
জুলি ভাইয়া মোটেও বুড়ো না। তুমি কিভাবে ভাইয়াকে বুড়ো বললে? :@ :@ আর কোনোদিন যদি বলো মেয়ে তোমার নামও বদলে দেবো কিন্তু।
শোনো একটা সাজেশন দেই, মাঝে-মধ্যে নিজেই নিজেকে চমকে দেয়ার মতো কাজ করে দেখো, দারুণ লাগবে। এই গোলাপ কিনেছি একেবারে ক্যাশের সামনে এসে হঠাৎ করে ফুলগুলোও রেখে দিলাম। টানা ১২ দিন ফুলদানীকে সাজিয়ে রেখেছিলো, বুঝেছো? 😀
ভালো থেকো গো শান্ত-সুন্দরী। -{@
মৌনতা রিতু
আমার নাম বদলে কি রাখবে বলো?
নীলাঞ্জনা নীলা
আপাতত নতুন নামের চাষ শুরু করেছি। নামের বীজে গাছ হোক, তারপর ফল ধরুক তখন নাম দেবো। 😀
অপার্থিব
//শুনুন প্রেম করুন, প্রেম পালন কিংবা ধারণ করুন মনে। তবে নিজেকে অসম্মানিত করাতে যাবেন না। কারণ যারা কারো ভালোবাসাকে অপমান করে সেই মানুষ নর্দমার কীটের থেকেও জঘণ্য এই কথাটা মনে রাখবেন।//
ছবিটা পছন্দ হয়েছে। ভালবাসার সিজন আসছে সামনে,জনগণ উপরের বানীটা মনে রাখলে উপকৃত হবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
সমস্যা তো ওখানেই জনগণ কিছুতেই উপদেশ বাণী মনে রাখেনা।
আপনি-ই বলুন ফুল কি দেবেন এবার? ভুলু দিবস আসছে কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারি। 😀
ধন্যবাদ আপনাকে, এতো সুন্দর মন্তব্য পেলে আরোও লিখতে ইচ্ছে করে।
জিসান শা ইকরাম
মন্তব্য কি করবো? হাসতে হাসতেই তো শেষ হয়ে যাচ্ছি 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা কত্তোদিন পর! কি অবস্থা তোমার চোখের? আর কতোদিনে ঠিক হবে? আগের মতো নিয়মিত কেউই আসেনা, ভালো লাগেনা।
তবে তুমি হাসছো, তার মানে রম্য লিখতে পেরেছি?
আমাদের রম্যরাজ ভাভু বাইয়া যে কই গেলো! আমার লেখার নাম্বারিং উনি এখনও করেননি। কেমন লাগে বলো? 🙁
তোমার জন্মদিন তো এসেই গেলো। তোমার জন্মদিনে আমার বাসায় বিশাল পার্টি। বুঝেছো? 😀
জিসান শা ইকরাম
চোখ প্রায় পুরো ভাল হয়ে গিয়েছে,
সবাই সহসাই এসে যাবে, ভাবিস না।
হুম, খুব ভাল হয়েছে রম্য,
সজু যে কই গেলো! মেইল দিয়েছি, সাড়া নেই তার।
ভাল থাকিস,
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা এইতো চক্ষু ফিইর্যা আসতাছে। চোখ গেলো পাখী তাইলে উইড়্যা আসছে? তাই না? 😀
ভাভু বাইয়া কি জানি ভালো আছে তো!
ভালো থাইকো নানা। -{@