
কি ব্যাপার চোখে পানি কেন, দেখো রওশন আমার বাল্যবন্ধুই ছিলো, ওকে হারিয়ে আমিও দুঃখি, কিন্তু কই আমি তো কাঁদছিনা, বলেই অনিক চোখ লুকালো।
না না আমি কাঁদছিনা, আপনার জন্য আরেক পেগ বানাবো, পারমিশনের অপেক্ষায় না থেকে দুজনের গ্লাসে ড্রাই জিন ঢেলে আইস দিলো ছায়া।
আচ্ছা তুমি আমাকে আপনি আপনি করো কেন, তুমি বলতে তোমার অসুবিধা হয়?
ছায়া তাকালো অনিকের দিকে, মিষ্টি হেসে বললো, না অসুবিধা নাই, আসলে সবসময় আপনি বলি তো।
অনিক হাত তুলে থামিয়ে দিয়ে বললো, তুমি আমাকে এতো সম্মান দিওনা, এতো সম্মান আমি হজম করতে পারিনা।
ছায়া খিলখিল করে হেসে দিলো আর বললো, আচ্ছা দেখা যাবে, আমি এখন ঘুমুতে যাবো, সকালে কথা হবে, বলেই বাকিটুকু গলায় ঢেলে দিয়ে নিজ রুমের দিকে এগুতে গিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে ফিরে বললো, অনিক আপনি ওর সাথে এমন কেন করলেন, বলেই ধীর পায়ে ফিরে গেলো নিজ রুমে?
অনিক এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকলো ছায়ার গমন পথে, কিছুক্ষণ পর বড় একটা নিশ্বাস ফেলে নিজেই মনে মনে আওড়ালো, তুমি কি বুঝোনি, রওশন তো বুঝে ছিলো।
অনিক উঠে গেলো বোতলটা নিয়ে, টলতে টলতে এগিয়ে গেলো নিজ রুমে, চোখে বয়ে যাচ্ছে অশ্রুধারা, এক হাত দিয়ে চোখ মুছতে লাগলো, বেডের উপর বসে পড়ে বিড়বিড় করে বললো, আমি থাকলে কি আর তোমাদের বিয়ে হতো, আমি অনিক অত ভালো ছেলে ছিলাম কি?
ফোনের শব্দে অনিকের ঘুম ভেঙ্গে গেলে হাত বাড়িয়ে ফোন রিসিভ করে হ্যালো বললো।
অপর পাশ থেকে অনিকের বাবা বললেন, কিরে তুই এখনো ঘুম?
বাবা হাঁ ঘুম ছিলাম, বলেই ওয়াল ক্লকের দিকে তাকিয়ে অবাক হলো, সকাল নয়টা বাজে।
বাবা এতো সকালে, কি ব্যাপার?
ব্যাপার কিছুনা, তোকে সারাদিন কল করতে পারিনি তাই ভাবলাম তোকে জানাই, আমাদের ফ্লাইট ডিটেইলস তোকে হোয়াট’স অ্যাপে দিয়েছি, দেখেছিস?
কই কখন দিয়েছো, দেখিনি তো?
এই প্রায় ছয় ঘন্টা আগে, আচ্ছা দেখে নিস, তোর মাও আসবে বলে বাহানা ধরেছে, দেখলাম ওর ভিসাও আছে, তাই দুজনেই আসছি।
খুব ভালো করেছো, কোন ফ্লাইটে আসছো বাবা?
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ওরা এক রাত হংকং স্টে করাবে।
কি বলো, কয় তারিখ?
আগামী মাসের ছয় তারিখ, আমি ডিটেইলস দিয়েছি তুই দেখিস, এখন রাখছি।
ওকে বাবা, আল্লাহ্ হাফেজ।
ফোন ডিসকানেক্ট করে হোয়াট’স অ্যাপে ফ্লাইট ডিটেলস দেখে সেইম মেসেজ আফরিনকে ফরওয়ার্ড করে নিজেও কল দিলো।
অপর পাশে দুই রিং হতেই আফরিন রিসিভ করে বললো, গুড মর্নিং মি. অনিক।
গুড মর্নিং আফরিন, তোমাকে একটা মেসেজ পাঠিয়েছি ডিটেইলস দিয়ে, দেখোতো আমার রিটার্ন ফ্লাইট কি একি ফ্লাইটে করা যায় কিনা?
ওকে আমি দেখছি, আরেকটি বিষয় হলো মামা লুসি আপনার সাথে এইবার যেতে পারছেননা, উনার শরীরটা নাকি ভালো যাচ্ছেনা।
তাই, ওকে থাক উনার তাহলে যাওয়ার দরকার নেই, তুমি উনার বদলে চলো?
আমি যাবো?
কেন অসুবিধা আছে?
না না, আমি টিকেটের ব্যবস্থা করছি।
ওকে তাহলে করো, আমি আসতে একটু দেরি হবে।
ওকে অনিক স্যার।
অনিক ফোন রেখে বাথরুমে গেলো ফ্রেস হতে, অর প্রতিদিনের অভ্যাস ও সময় নিয়ে শাওয়ার নিলো, এরপর বাথরুম থেকে বের হয়ে ওর বিজনেস স্যুট পড়ে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে এলো।
অনিককে আসতে দেখে ছায়া বললো, আপনার ঘুম ভেঙ্গেছে, আচ্ছা ড্রয়িংরুমে বসুন বাবার সাথে, ব্রেকফাস্ট কিছুক্ষণের মধ্যে রেডি হয়ে যাবে।
অনিক ছায়া কাছে এসে বললো, আনকেল ড্রয়িংরুমে, ওখানে গ্লাস, বাদাম এইসব পড়ে ছিলো।
হুম আমি সরিয়ে নিয়েছি আগেই, যান বসুন।
অনিক এগিয়ে গিয়ে ড্রয়িংরুমে গেলো।
সালাম আনকেল, আজ কেমন লাগছে আপনার?
রওশনের বাবা টিভি দেখছিলেন, ফিরে তাকিয়ে হেসে বললেন, আয় বাপ আয়, আজ বেশ লাগছে।
আনকেল সকালে খালি পেটে মেডিসিন ছিলো।
হাঁ আমার মা খাইয়ে দিয়েছে।
অনিক উনার পাশে বসে পড়লো, এর মধ্যে ছায়া ব্রেকফাস্ট নিয়ে ড্রয়িংরুমের টেবিলে রাখা শুরু করলো, সাথে এও বললো, আজ বাবা যখন আছে তাই ভাবলাম সবাই এইখানেই বসে খায়।
অসুবিধা নেই, ভালো করেছো, অনিক বললো।
ছায়া আজ লুচি, মুগ ডাল দিয়ে কলিজি আর মিক্সড ভেজিটেবল করেছে, ছায়া সবার প্লেটে বেড়ে দিয়ে লুচি এগিয়ে দিলো।
বাহ এতো দেখছি শাহী খানা, লুচি দিয়ে ডাল কলিজি নিয়ে মুখে দিলেন রওশনের বাবা।
অনিক ঝটপট কিছু মুখে দিয়ে বললো, আনকেল আজ অফিসে দেরি হয়ে গেছে আমি উঠবো।
কি বলিস তুই তো নাস্তায় করলিনা?
না আনকেল আজ উঠি দরকার হলে অফিসে কিছু খেয়ে নেবো, আর হাঁ আনকেল, বাবা মা আসবেন আগামী সাত তারিখ, আশা করছি আপনার সময়টা ভালোই কাটবে উনাদের সাথে।
খুব খুশি হলাম বাবা, সত্যিই উনাদের এতোদিন পরে দেখবো শুনে ভালোই লাগছে, তা আজ কত তারিখ?
আজ দুই তারিখ, উনারা ফ্লাইটে উঠবেন ছয় তারিখ।
বেশ বেশ।
তাহলে আনকেল আসি এখন, সন্ধ্যায় দেখা হবে, ছায়া আসছি।
ছায়া অনিকের পিছু পিছু দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এলো।
ছায়া অনিককে বিদায় দিয়ে ড্রয়িংরুমে ফিরে এসে নিজের প্লেট টেনে নিয়ে খেতে লাগলো।
হাঁরে মা, তোর ডাল কলিজিটা বেশ হয়েছে, রওশনের বাবা বললেন।
বাবা তোমার পছন্দের বলে আজ রান্না করলাম।
অনিক ছেলেটা বেশ ভালো আর ইন্টেলিজেন্ট, ওর মনটা বেশ ভালো, যদিও এক সময় বেশ রগচটা ছিলো।
কেমন বাবা?
আরেহ জানিসনা, ও তো ইউনিভার্সিটিতে রাজনীতি করতো, রওশন বলতো।
তাই বাবা?
হাঁ এই রাজনীতি করতে গিয়ে ওর অনেক শত্রু গড়ে উঠেছিলো, ও সবগুলোকে পিটিয়ে শায়েস্তা করতো।
কি বলো বাবা, আশ্চর্য।
হুম একদিন রাতে আমার বাসায় ছিলো ও, তখন ওকে আমি এইসব করতে না করলাম, তখন ও প্রতিজ্ঞা করলো যে আর কখনো করবেনা।
এরপর কি ছেড়ে দিয়েছিলো?
রওশন বলেছিলো ও আর কখনো ঝামেলাতে ঝরায়নি।
বাহ!
বাবা উনি না থাকলে আজ তোমাকে আমি ফিরে পেতামনা।
ওহ আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম, আমার ব্রিফকেসটা নিয়ে আয় তো।
ছায়া উঠে গিয়ে নিজের রুম থেকে ব্রিফকেস নিয়ে এসে দিলে উনি লক খুলে উনার ইন্টারন্যাসনাল ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বললেন, আসে পাশে ভালো কোন ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা গুলো নিয়ে আয়, তা তুই কবে ভর্তি হবি মা?
বাবা, অনিক হয়ত হংকং যাবে তখন ভর্তি হবো, কিন্তু বাবা কোন লাভ তো হবেনা?
রওশনের বাবা কিছুক্ষণ ছায়ার দিকে তাকিয়ে রইলেন এরপর বললেন, কে বলেছে লাভ হবেনা, লাভ হওয়ার জন্যই তো তোকে এইখানে এনেছি।
ছায়া চোখ মুছলো।
……….. চলবে।
ছবিঃ গুগল।
৩৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
সবার মধ্যে কত চমৎকার, সুন্দর সম্পর্ক!
এমন সম্পর্কের জন্য লোভ হয় খুব,
জীবন আনন্দময় হয়ে যাবে এমন সম্পর্কের মাঝে থাকলে।
খুব দক্ষতার সাথে সব কিছু ফুটিয়ে তুলছেন ভাই।
ছায়াকে কি ফেরে ফেলতে চাইছেন?
ভাল হচ্ছে লেখা
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাইজান,
আমার বিশ্বাস হলো সবার সাথে সবার সুন্দর সম্পর্ক থাকা উচিত, এইজন্যই হয়ত আমার লেখাতে সুন্দর সম্পর্ক গুলো উঠে আসে।
ছায়াকে মেরে ফেলতে চাই কিনা তা আগামীতে বুঝা যাবে ভাইজান, পাশে থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
ছায়াকে মেরে ফেললে খারাপ লাগবে,
তবে লেখকের ইচ্ছের উপর প্রভাব ফেলতে চাই না,
লেখা চলুক লেখকের পরিকল্পনা মতো।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাইজান। 😁
তৌহিদ
অনিক, ছায়া, রওশনের বাবা এই সব ক্যারেক্টার গুলো জড়িয়ে আছে এক মায়ার বন্ধনে। অনিকের বাবা মা আসুক। দেখাই যাক ছায়ার কি হয়!
সবার জন্য শুভকামনা।
ইঞ্জা
গল্পের পরতে পরতে কিছু টুইস্ট রাখার চেষ্টা করছি ভাই, এইবার যা টুইস্ট দিয়েছি তা আপনার চোলহ হয়ত এড়িয়ে গেছে। 😂
মনির হোসেন মমি
অপেক্ষা ক্লাইম্যাক্সের
চলুক।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ মমি ভাই, খেয়াল করছি আপনারা গল্প ভালো করে পড়ছেননা, নাহলে এতক্ষণে হৈচৈ শুরু হয়ে যেতো।
মনির হোসেন মমি
পড়ছি ভাইজান।তবে হয়তো বিস্তারিত কিছু বলছি না।তবে অনিক আর ছায়ার মাঝে এক অন্য রকম ভাল লাগা কাজ করছে হয়তো এর সমাধান সামনে রওশনের বাবাকেই করতে হবে।গল্পটি ত্রিভুজ প্রেম নির্ভর বলে মনে হচ্ছে।এখন দেখা যাক লেখক তার ভাবনাগুলো কি ভাবে রূপ দেয়।
আপনি লিখতে থাকুন আমরা পড়ছি।আমি শুধু আপনার পোষ্ট বলে নয় কারো পোষ্টেই মন্তব্যে তেমন করতে পারি না কারন সারাদিন রাত ১১টা পর্যন্ত অফিস করতে হয় বলে মন্তব্য বড় করে দিতে পারছিনা কিন্তু পড়ছি সবার লেখাই।ভাল থাকবেন।আর হৈ চৈ হয়তো আগামী পর্বগুলোতে হবে।
ইঞ্জা
খুব সুন্দর মন্তব্য, অনুপ্রাণিত হলাম প্রিয় ভাই, ধন্যবাদ।
তৌহিদ
কাহিনী কি কন? এ সব কিছু টাকার জন্য? তাহলে রওশনের প্রানও গেলো এই জন্য? আর ছায়া কোথায় ভর্তি হবে দাদা? তাও আবার অনিক চলে গেলে?
ইঞ্জা
টাকার জন্য কে বলেছে আর রওশন তো এক্সিডেন্ট করে মারা গেছে?
হাঁ এতক্ষণে অরিন্দম কহিলো, তাহলে টুইস্ট ধরতে পেরেছেন। 😄
সঞ্জয় মালাকার
চমৎকার লিখনী দাদা,
পড়ে খুব ভালো লাগলো,,
ইঞ্জা
অনিঃশেষ ধন্যবাদ দাদা।
রেহানা বীথি
টানটান লেখা। সম্পর্কগুলো এ পর্যন্ত তো জটিলতাহীন। জটিলতা আসতে চলেছে কী? অপেক্ষা…..
ইঞ্জা
গল্পের শেষ প্যারাটা আরেকবার পড়লেই হয়ত ইঙ্গিত পাবেন আপু, বাকিটা শুধু অপেক্ষা পরের পর্বের, ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য দিলেন। 😍
বন্যা লিপি
টুইস্ট পইরা কারা কি হইচই বাঁধিয়ে ফেলতো বা এখন কেউ কেন কেউ হৈচৈ বাঁধাচ্ছেনা ,চিন্তা বাদ দেন। আর কোনো রকম লেখা না লিখে, “এক মুঠো ভালোবাসা” এবার এক টানে শেষের দিকে টেনে নিয়ে যান ভাই। অনিকের বিগত রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড, রওশনের বাবা’র মনে মনে গোপন ইচ্ছা,অনিকের বাবা, মার হঠাৎ করে আবার আমেরিকার আসার সিদ্ধান্ত,আফরিনের সেক্রেটারি থেকে অন্যরকম কিছু মোড় নেয়ার ইঙ্গিত কি লেখক কেবল ইচ্ছে করেই টেনে আনছেন? কোনো টুইস্ট ধরা না ধরার মইধ্যে আমি নাই। অপেক্ষায় আছি এক মুঠোতে কত কত ভালোবাসার ধারা বইছে বোঝার জন্য।
ইঞ্জা
আপু, আমাকে ভুল বুঝবেননা, আমার কথাটি মনে করুন পাঠকদের জাগ্রত করার জন্য, এই পর্যন্ত বেশ কয়েকটা লেখা আমি ব্লগে দিয়েছি, যার পরতে পরতে টুইস্ট থাকতো আর পাঠকরা খুটিয়ে পড়তো বলে ধরতে পারতো টুইস্ট গুলো, আমার প্রথম তিন কমেন্ট দাতাকে ভালো করে গল্প পড়ানোর জন্যই কথাটি বলা, একটা ধারাবাহিক লেখার টুইস্ট গুলোই হলো পাঠকের আগ্রহের কারণ আর তা ধরতে না পারার অর্থই হলো গপে মন নেই পাঠকের, এইটাই দুঃখ আপু।
আপনি ঠিক পথেই এগিয়েছেন আপু, টুইস্ট কিছুনা কিছু তো থাকেই গল্পে যা আপনার নজর এড়িয়ে যাচ্ছেনা তা আমি বুঝতে পারছি আর একি কারণে আজ আপনি আমার সেরা পাঠক হয়ে উঠলেন, সত্যিই আমি আপ্লুত হলাম, অনুপ্রাণিত হলাম, ধন্যবাদ প্রিয় আপু।
নিতাই বাবু
সময় আর সুযোগের না পাবার কারণে আপনার এই চলতি পর্বটি ঠিকমত আমার পড়া হয়ে ওঠে না। সত্যি মিস করছি। এই পর্বটি মন দিয়ে পড়লাম দাদা। অনেক ভালো লেগেছে। তাই পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভকামনা সারাক্ষণ।
ইঞ্জা
দাদা আপনি অনেকদিন ব্লগে আসেননা, অনুরোধ করবো ব্লগে নিয়মিত হওয়ার জন্য, আপনার নিত্য নতুন লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম৷ ধন্যবাদ প্রিয় দাদা। 😍
আরজু মুক্তা
টান টান উত্তেজনার মাঝে এক নিঃশ্বাসে পড়লাম
ইঞ্জা
আপ্লুত হলাম আপু, ধন্যবাদ অশেষ।
সাবিনা ইয়াসমিন
ইঞ্জা ভাইজান, এবারের পর্বে বাবাদের বেশি উপস্থাপন করেছেন, এটা কি বাবা দিবসের কথা মাথায় রেখে? ভালো লাগলো। একটি গল্প মানেই শুধু প্রেমিক প্রেমিকা নয়। আশেপাশেও অনেক চরিত্র থাকে,যাদের ছাড়া গল্পটি সম্পূর্ণ মনে হয়না। আফরিনের আম্মু, রওশনের বাবা,অনিকের বাবা, প্রতিটি চরিত্র খুব যত্ন নিয়ে তৈরি করেছেন। পরের পর্বটার অপেক্ষা করছি।
শুভ কামনা ভাইজান 🌹🌹
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু, আসলে গল্পের কারণেই বাবাদের নিয়ে লেখা হয়েছে এইবারের পর্বে, কারণ গল্পের শুরুটাই হয়েছিলো রওশনের বাবাকে নিয়ে, এখন উনি ফিরে এসেছেন, স্বাভাবিক ভাবেই উনার বিষয়টা বেশি এসেছে।
আপু আপনি গল্প বেশ খুটিয়ে পড়ছেন বুঝতে পারছি, ধন্যবাদ অনিঃশেষ।
শাহরিন
ভাইয়া সব জমা করে রাখছি একসাথে পড়বো ☺
ইঞ্জা
আপু একটা কথা বলি, ব্লগের গল্প এক সাথে পড়লে মজা পাবেননা, যা আসছে সামনে তাই পড়ে ফেলুন, কারণ গল্পটি ধারাবাহি, বুঝতেই পারছেন, ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
সম্পর্কগুলো বেশ কাছাকাছি চলে এসেছে,
দেখা যাক কোথায় কখন কোন প্যাঁচ লাগে।
ইঞ্জা
সম্পর্ক কখনো কাছাকাছি, কখনো দূরে, এই তী জীবন ভাই।
ইঞ্জা
তো★
রেজওয়ান
ক্লাইম্যাক্সতো সেই লেভেলের!✌
ইঞ্জা
ধন্যবাদ 😊
রেজওয়ান
দ্রুত পর্বগুলো চাই ভাইজান😍
কামাল উদ্দিন
এক সময়ের মার দাঙ্গা করা রাজনীতিক এখন এতোটা ভালো কীভাবে হয়ে গেলো? ছায়াকে নিয়ে কি উদ্দেশ্যে ওর শ্বশুর আমেরিকায় এলো পরিস্কার বুঝলাম না।
ইঞ্জা
সময়ে মানুষ চেইঞ্জ হয়ে যায়, তেমনই একজন অনিক।
সামনের দিকে বুঝতে পারবেন ভাই।
কামাল উদ্দিন
কচ্ছপ গতিতে এগিয়ে চলছি ভাই, আপনি নিশ্চিৎ থাকেন পথের শেষে আমার দেখা পাওয়া যাবেই 😀
ইঞ্জা
ইনশা আল্লাহ