
ভাদর এসেছে , কুকুরদের মেলা খেলা দেখে আন্দাজ করা যায় | কি চরম সুখ আটকে আছে তল পেটে | দু-দিক থেকে টানাটানি ছায়াতুর মোহ | স্নেহপ্রতিম ঢেউ ,ক্ষতের লোভ | তবুও টানা হেঁচড়া , সমূহ ডুবে যাচ্ছে বুঝা যায় না | হ্যাঁ , যায় না …যায় না ; ভাদর থেকে ভাদর | পাঁচ থেকে পাঁচ বছর | ধর্ষক থেকে ধর্ষিতা | খুনি থেকে রক্ত | এভাবে পালক প্রাণ ছিঁড়ে পড়া| সকালবেলা উষ্ণ শীতে জানান দেয় ; এখন আমরা বসন্ত মুঠোভর্তি মৃদুভাষী | বুকের মধ্যে কেঁদে ওঠা আমাদের মরণুত্তর প্রশ্ন । ঈশ্বর কি মৃত মস্তিষ্কের বিশ্বাস ? ভাদর আসে , ভারদ যায় । এক আকাশ বীর্য্য মেঘ নিয়ে । আমাদের ভাদর , কুকুরপাল চক্রান্ত খোঁজে | খোঁজে আশালতার লালায়িত অব্যক্ত আশা । ওরা এখন অনেক কিছুই বলে বটে |কিন্তু বিচার করে কিছু বলে না । মুখোশি চামড়া রোদে শুকিয়ে ,দো’পায়াদের মত | ওরা এখন অনেক পথ হেঁটে চলে | ভাদর আসে ভাদর যায় , তল পেটের সভ্যতায় । স্ববিরোধী বাদামি দেওয়াল ; ওপাশে দরজা খোঁজে | ওখানে কে ! কে ওখানে !! বলে চিৎকার করে । মধ্যাহ্ন মেঘ অন্ধকারে| ইসস্তত | কর্কটক্রান্তি | তবুও দু’পায়ে দাঁড়িয়ে বুদ্ধি খুঁজি | গোপনতর বাদামি বুদ্ধি | বেশ । কান পাতো ! দেখো শুনতে পাও-কি-না | সমাজ কেমন আছে । সামনে হলুদ পোকার বেলয়াড়ী মঞ্চ | ভাওতা দিচ্ছো … আরে ভাওতা বার্তা দিচ্ছে | তখন তো সবি ভুল ছিল | এখন ভুলের ভুল | পারও বটে | তখনকার সব , এখনকার গা ঝাড়া দেওয়ালের ড্রাই-ওয়াশ | অনাদর দু’চোখ শঙ্খিনী | অঢেল ক্লান্ত | তবু মানুষ বদলে দুবেলা নাটক দেখে | ত্রিশঙ্কূর | ওদের চোখ পোড়া মাটি হয়ে গেছে | প্রিজম |. ঝিনুকের মত বন্ধ | বিপন্নতার ব্যাখ্যা দিতে পারে না |. পোড়া ঠোঁট ঘুমটার ফাঁকে অন্ধ শব্দে ভাষা হারায় – ক্যাসিওপিয়ার আকাশে | চলো , আমরা মোমে মোড়া ঘুমন্ত শিশুর চোখে চুমু খায় | বাঁধাহীন তন্দ্রা , হিজল সমাজ , যেখানে ভাদর- কুকুর নেই , নেই টানাটানির মলিন বিষ | ওই পাহাড় ,বন্দি হয়ে থাক কংক্রিট জেলখানায় |
১৩টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
খুব ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ দাদা।
দেবজ্যোতি কাজল
তুমিও ভালো শেষ
কামাল উদ্দিন
কিছুটা বুঝলেও মাথা আউলাইছে পুরাই
দেবজ্যোতি কাজল
এইসব কবিতা অলংকার ভিত্তিক কবিতা । শব্দ শিল্পতই এইসব কবিতার সার্থকতা । লাইনবাই লাইন এসব কবিতার হয় না
কামাল উদ্দিন
অলংকারগুলো আমার মাথায় ঠিক মতো ঢোকে না……….শুভ সকাল।
মনির হোসেন মমি
লেখাটা বেশ উচু মানের।বুঝতে পারছি না দাদা।
দেবজ্যোতি কাজল
একবার , দুইবার ও তিনবার পড় নিশ্চয় বুঝতে পারবে
ছাইরাছ হেলাল
আপনার লেখায় আশাবাদের স্বপ্ন জ্বল জ্বল করছে।
বিষহীন অবিরল সবুজ আমাদের কাম্য, আপনার মতই।
দেবজ্যোতি কাজল
হয়তো বা । আমিও আশায় থাকি সবুজ সমাজ দেখতে
ফয়জুল মহী
জানার কোন শেষ নাই। শিক্ষার কোন বয়স নাই।
দেবজ্যোতি কাজল
কেমন আছো
সুরাইয়া পারভীন
এটা বোঝার জন্য উচ্চ মানের সাহিত্য প্রেমী হওয়া উচিত। আমি বোধহয় এখনো তা হতে পারিনি।
দেবজ্যোতি কাজল
কবিতাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
এই কবিতার শব্দ শৈলীই আসল । আবৃত্তি ধর্মী কবিতা ।