
এক টুকরো ভাললাগা
সময়টা ঠিক মনে নেই সম্ভবত কোন এক শীতের রাত হবে । বাড়ি থেকে রাতের গাড়িতে ঢাকা ফিরছিলাম । গাড়িতে উঠে বসেছি , আমার পাশের সিট টা খালি । একটু পর একটা মেয়ে এসে আমার পাশের সিটে বসল । জোড়া সিট হওয়ায় দুইটা আসন খুবই কাছাকাছি । মেয়েটি এসেই সিটের ফোল্ডিং নামিয়ে বসে কার্যত শুয়ে পড়ল । আমি আগে থেকেই ফোল্ডিং নামিয়ে রেখেছিলাম । সে একটা লম্বা কাপড় শাল হবে হয়ত ওটা জরিয়ে শুয়ে পড়ল । পাশাপাশি হওয়ায় শালের কিছু অংশে আমিও ঢাকা পড়লাম । প্রথমে ভাবছিলাম কিছু বলি পরে ভাবলাম থাক কি বলতে কি মনে করে তার চেয়ে এটাই ভাল । একটু পর গাড়ির লাইট বন্ধ হল । কেমন যেন একটা অনুভূতি কাজ করছিল । একটা অপরিচিত মেয়ের পাশে প্রায় শুয়ে আছি । সে আমার এত কাছে ছিল যে আমি তার শরীরের উষ্ণতা অনুভব করতে পারছিলাম ।
কখন ঘুমিয়ে পড়েছি মনে নেই । খুব ভোরে ঘুম ভেঙে দেখি আমার গায়ের উপর শাল টা নেই । হয়ত সে পরে বুঝতে পেরে সরিয়ে নিয়েছে । রাতে অন্ধকারে তার মুখটা ভালভাবে দেখতে পারিনি । এখন তার ঘুমন্ত মুখটা দেখলাম । মুখের উপর সকালের সূর্যের হালকা আলো এসে পড়েছে । অসম্ভব সুন্দর লাগছে ।
একটু পর পাশের সিটের একজন যাত্রী মোবাইলে বেশ জোরে গান শুনছে । আমার সহযাত্রী ঘুম থেকে উঠে এমন কয়েটা ঝাড়ি দিল । বেচারা একবারে চুপ ।
ঘুমালে আর রাগলে নাকি মেয়েদের অন্যরকম সুন্দর লাগে । আসলেই তাই । আমি একসাথে দুই রূপই দর্শন করলাম ।
১২টি মন্তব্য
পুষ্পবতী
রাগলে আবার মেয়েদের সুন্দর লাগে?
সঞ্জয় কুমার
:p
সঞ্জয় কুমার
আপনার রাগাঙ্গিত একটা ছবি পাঠান দেখে বলছি । 😛 😛 😀
মা মাটি দেশ
রাগ এবং স্নানের পর মেয়ের খুব সতেজ লাগে -{@ (y)
সঞ্জয় কুমার
একদম সঠিক বলেছেন ।
খসড়া
আমিও একমত।
সঞ্জয় কুমার
আমরা সবাই একমত । ধন্যবাদ আপনাকে ।
লীলাবতী
ভালো লেগেছে খুব। পাশাপাশি বসলে এমন ভাবনা আসতেই পারে। ভাগ্য ভালো যে আপনি মোবাইল নাম্বার চাননি তার কাছে। ঝাড়িটা আপনার উপরেও হতে পারতো 🙂
সঞ্জয় কুমার
একদম মনের কথা বলেছেন । আমি এই বিষয়টা পাঠকের সামনে আনতে চাই নি । কথা প্রসঙ্গে চলে আসল । সকালে আমি সত্যিই নম্বর নেয়ার প্লান করেছিলাম । উনি ঝি মেরে বউকে সাবধান করেছিলেন হয়ত ।
জিসান শা ইকরাম
ঘুমালে আর রাগলে আসলেই অন্যরকম সুন্দর লাগে মেয়েদের।
ঝাড়ি থেকে সাবধান 🙂
সঞ্জয় কুমার
ঠিকই বলেছেন । কিন্তু পানিতে নামলে শরীর তো ভিজবেই ।
শুন্য শুন্যালয়
এত্তো বাস জার্নি করলাম, জীবনেও কোন সুন্দর পোলা পাশে বসলোনা 🙁