একাদশী চন্দ্রিমা

ফ্রাঞ্জ কাফকা ৮ জানুয়ারি ২০১৬, শুক্রবার, ০৮:৪৪:১৩অপরাহ্ন সাহিত্য ৯ মন্তব্য

franzkafka-1449504444-a7374e5_xlarge

আমাদের গল্প আমাদের ভুলে গেছে
কবিতারা চলে গেছে সাময়িক নির্বাসনে!


এই যে পথ
শেষ হয়েছে তোমার ঘরের দরজায়,
আমি তো আর বিপথে যেতে পারি না!


এখন রোজ সকালবেলায় দেরি করে উঠলেও সমস্যা নেই,
আমি জানি তোমাদের বারান্দায় আর কখনও তুমি থাকবে না।


প্রাপকের জায়গায় তোমার নাম,
প্রেরকের জায়গায় আমার ঠিকানা!
মাঝে তিন নটিক্যাল মাইল দূরত্ব;
প্রেমপত্র ছাড়া এটার কোন নাম নেই!


সকাল যদিও গুটিগুটি পা’য়ে দুপুরে হানা দেয়,
তুমি কি সন্ধ্যের আগে বিকেল ধরতে পারবে?


আমি ফিরছিলাম বিদ্যুৎহীন মুঠোফোন নিয়ে,
পান্থপথে ডিঙ্গিয়ে ডিঙ্গিয়ে স্কয়ার হসপিটাল।

সারা রাস্তা তোমাকে খুঁজেছি,
বরফশীতল বাতাস কেটে নিয়েছে নাক-মুখ!
সিগারেটের ফিল্টারে গিয়ে ঠেকেছে আগুন।
সকালে প্রথম সূর্যের সাথে সাথে শুনতে পেলাম-

“পৃথিবী এত সুন্দর কেন?”

কারণ আমাদের অতীত অনেক মধুর,
আমাদের স্মৃতি অনেক অনেক কান্নার!


তোমার কলম কি আমার নাম লিখতে ভুলে গেছে?
নাকি তোমার মুঠোফোন ডুবে গেছে স্বচ্ছ জলে?
তুমি আমাকে ভুলতে পারোনি,মুছতে পারোনি জানি;
তবে কি আমি বিচ্ছিন্ন হয়েছি জীবিতদের থেকে?


কায়ক্লেশে ভালোবেসে যাওয়া যায়,
আবেগকে ছুটি দেওয়া যায় ভরদুপুরে।

বইয়ের ভাজ থেকে আমাদের কষ্ট,
হঠাৎ প্রিয়জনের চিঠি হয়ে ঝরে পড়ে!


যুগের তলানি থেকে আমাদের যুগান্তরের আগমন,
কেবল ব্যস্ত ঘূর্ণিঝড়ের ক্লান্ত পৃথিবী কাঁদায় আজ!

১০
আলো আসছে,
এই খবর পৌঁছে যাচ্ছে অন্ধকারে!
আমাদের কর্মে,
আজ কেবল ব্যর্থতার বসতভিটা!

১১
অনেক কান্নার পর আকাশ এখন চুপচাপ।কিছুই বলার নেই যেন।হলদে আলো ভাসিয়ে দিয়ে যাচ্ছে আমাদের শহরতলি;সে খবর কি কেউ রাখে?যদি কাব্য-কবিতায় পেট নাই ভরে তবে আজ একটু শূন্যতার চর্চা করা যাক।

একরাশ অর্থহীন প্রলাপের পর আমরা আবার কিছু বলতে চাই!

৩৭১জন ৩৭১জন
0 Shares

৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন