একলা ব’সে থেকে,
একলাএকলি যাচ্ছি ব’লে
পরস্পর-আলাপনিরত, আলাপে-উৎসুকে,
তা-ও
কোনোএকটা কিছুএকটা বাদ প’ড়ে যাচ্ছে,
সহসা দুদ্দাড় করে এঁকে-বেঁকে চকিতে গেল চলে
মুখ-খোলা-গা-ঢাকা-হিজাবী-দেবী গোলাপ-গন্ধ-ফেলে,
নীরবে নিবিড় কটাক্ষে;
দেবী না ছাই!
অশরীরী প্রেতাত্মা বা মায়াবতীশয়তানী,
কাঁটাবনের-মায়াবনে দূর-কুহকহরিণী,
হতে পারে
গিরি খাদ থেকে উঠে আসা মৃত কোন শবযাত্রী!!
ছাইমাখা রোদাকাশ, থলথলে জ্ব্যালজ্ব্যালে চাঁদজ্যোৎস্না
মেঘহীন বৃষ্টি!! ভাবতেই পারি না,
আলটপকা টুপ করে গড়িয়ে পড়লো
কী-না-কী একটা!
শুঁকে দেখি রাতের হাস্নুহেনা,
ডাকছে আমায়, খুনি-হাত বের করে,
দোহাতি দোধারী ছুরি তুলে;
২৪টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
গন্ধ ফেলে চলে গেলো বলেই এভাবে শয়তানী বলে কটাক্ষ! গোলাপের গন্ধ ফেলে গেলো, রাতের হাস্নাহেনাও দিল তারপরেও আর কিসের আশায় এভাবে মন্দ বলতে পারে তা বুঝি না। অবশ্য কবিরা কি যে চায় কবিরাই ভালো জানে। হ্যা আপনাকেই বলছি।
ছাইরাছ হেলাল
আরে! এখানে আপনি কবি পেলেন কোথায়! আজিব-তো!!
কবিতা সবাই লিখতে পারে না, কেউ কেউ পারে, আপনি যেমন।
‘দেবী না ছাই!
অশরীরী প্রেতাত্মা বা মায়াবতীশয়তানী,
কাঁটাবনের-মায়াবনে দূর-কুহকহরিণী,’
চির সত্য যা অ-উপেক্ষণীয়।
প্রহেলিকা
কবি কে তা জাতি জানে।
সত্যটাও যে সব সময় এভাবে বলে দিতে হবে তা কিন্তু না। প্রেতাত্মাদের যে ঘাড় মটকানোর অভ্যাস আছে তা তো জানেনই।
সত্যি বলতে কি লেখায় আটকে থাকি আপনার। বের হতে পারি না। প্রশংসা করছি না। সত্য বলছি আজকাল বড্ডো বেশি।
ছাইরাছ হেলাল
জাতি দেখছি মহা ফ্যাসাদে পড়েছে!
নাহ্ ঘাড় মটকাবে না, রফা হয়েছে ডাইনিদের সাথে, শেষ পর্বটি দেখলেই বুঝবেন।
আপনি বুঝি যুধিষ্ঠিরের নূতন আত্মীয়!!
যাক, কালকে আমার অতিপ্রিয় একটি লেখা দেব, যা দেবার সিদ্ধান্ত ছিল না এক্ষুণি!
প্রহেলিকা
শেষ পর্যন্ত ডাইনী বলে সম্বোধন! এ যাত্রায় আপনি বেঁচে যান এটাই প্রার্থনা করি।
কালকের জন্য তাহলে অপেক্ষায় থাকি। অনেক কিছু এখনো দেখার বাকী। কবে আবার ঈশ্বর ডাক দিয়ে বসে। এখুনি দেবার চিন্তা না থাক্লেও এখুনি দিতে হবে। বহুত ঘুরাইছেন।
ছাইরাছ হেলাল
ডাইনিদের নিয়ে বেশকটি লেখা দেয়া আছে, শেষ পর্বটি পড়লেই সব ফকফকা,
নো ডরাডরি,
অবশ্যই আমাদেরও কত কী দেখা বাকী কে জানে! আমারাও ঘুরতেই আছি!!
ঈশ্বরের ডাক পেলেও সমস্যা নেই, ওখানেই পাঠিয়ে দেব, ভাবনার কিচ্ছু নেই।
অনিকেত নন্দিনী
… লেখা পাঠপূর্বক ছাইমাথা কিছুই বুঝতে না পারলেও এ ঢের বুঝতে পারছি কুবিরাজের মাথায় জটাজুটা বাইর হইতে আর দেরি নাই। এত্ত চিন্তা করলে জটা না বাইরাইয়া উপায় আছে?
আর একটা কথা,
হাঁউ মাঁউ খাঁউ
সন্দেহের গন্ধ পাঁউ।
কাহিনী কী?
ছাইরাছ হেলাল
আমিও গন্ধ পাউ!! কাহিনী কী!!
পাত্তা না দিয়ে চলে গেলেও সমস্যা!!
কৈ যাই!! কী খাই!!
অনিকেত নন্দিনী
…কী খাবেন মানে? যা খাওয়ার আমারে বাদ দিয়েই তো খেয়ে হাপিস করেছেন। আমি বেচারি ভাগে কিচ্ছুই পাইনাই। ;(
ছাইরাছ হেলাল
কেউ কিচ্ছু খাওয়ায় না, খালি খাওনের গপ দেয়!!
আপনার ভাগ থেকেই যাবে, পাইবেন পাইবেন!!
মৌনতা রিতু
মুখ খোলা গা ঢাকা হিজাবী দেবী!
পাত্তা না দিয়া কৈ গেলো?
গিরি খাদ থেকে এতো কেন শবযাত্রী ধইরা আনেন। শেষমেষ তাবিজ একটা বানাইয়া আনছি। বলা তো যায় না, কোন কোন দেবী আবার ঘাড় মটকাতে আসে।
ছাইরাছ হেলাল
এরা বাতাসি!! হাওয়ায় এসে হাওয়ায় মিলায়, গন্ধ ফেলে রেখে যায়,
বিনা হাদিয়ায় তাবিজ-তুবিজে রাজি আছি,
আমার ঘাড়ের দিকে খিয়াল রাইক্কেন।
নাসির সারওয়ার
গোলাপ গন্ধ ফেলে গেলো বলে এই অবস্থা! তাহলে ঐ ডাইনীর খুনি হাত থেকে দু চার ফোঁটা রক্ত ফেলে গেলে কি বলতেন!
কি সব যে লেখেন আজকাল! থাক, সবার জন্য সব লেখা নয়…।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার দিকে কেউ কিছু দেয় বলে তো মনে হয় না,
দেলে বোঝতেন, কত ধানে কত কুড়া!!
সবাই সবার জন্য না।
শুন্য শুন্যালয়
হাসনাহেনা ছুঁড়ে খুনের জন্য আহ্বান!! 🙂
এত্তো এত্তো মিষ্টি গালি, মেঘহীন বৃষ্টি, আমিওতো বলি, কোন একটা কিছু সত্যিই বাদ পড়ে যাচ্ছে 🙂
দেব দেবীর বহুত ছবি দেখছি, আপনার বদৌলতে হিজাবী দেবীও দেখলাম। দশভূজা দেবী কী এরপর হাতে তসবি, রেহাল, স্বপ্নের সঠিক মানে এইসব নিয়া থাকবে ভাউ?
ছাইরাছ হেলাল
পাত্তা না দিয়ে খুন করতে চায় ফুল-টুল দেখিয়ে আর আপনি এহেন
ক্রান্তিলগ্নে আপনি মজা নিচ্ছেন!! এটি কিন্তু ঠিক হচ্ছে না,
কুহকহরিণের পাল্লায় পড়লে বুঝতেন রাত-দিনের হিসাব।
সঠিক রেহাল, তছবি আর সাথে মোখছেদুল মোমিন থাকলে মন্দ না ভাইয়া।
নীহারিকা জান্নাত
সর্বনাশ! শেষে আবার খুন খারাবি কেন?
হাস্নাহেনা থেকে দুরে থাকতে হবে দেখছি।
ছাইরাছ হেলাল
খুব সাবধান!
ফুল-টুল নেবেন্না যেন!!
এরা ছুরি-চাক্কু নিয়েই কারবার চালায়,
নীলাঞ্জনা নীলা
দেবীর এ কি রূপ আঁকলেন গো কুবিরাজ ভাই?
ছাইরাছ হেলাল
কালীও কিন্তু দেবি-ই,
নীলাঞ্জনা নীলা
জানি তো সেটা, কিন্তু হিজাবী দেবী 😮
ছাইরাছ হেলাল
অইতারেনা বুঝি!!
আবু খায়ের আনিছ
কত রূপে রাঙ্গাইলা তুমি মন।
ছাইরাছ হেলাল
রূপের যে বহুরূপ!