পাঁচ বছর পূর্বে নিছক খেয়ালের বসে একটি বট এর চারা লাগিয়েছিলাম অনেক যত্নে নিজের ভূমিতে, নদীর একদম কোল ঘেঁসে। ধীরে ধীরে সেটি বড় হচ্ছে, হচ্ছে। অত্যন্ত যত্ন নিচ্ছি গাছটির। গত বছর গাছটির শিকরের স্থানে গোল করে ইট দিয়ে বসার মত ব্যবস্থা করে দিয়েছি। লাল বৃত্তাকার বসার স্থানটি ভালোই লাগে দেখতে এখন। পথিকেরা বিশ্রাম নিতে শুরু করেছেন ইতোমধ্যে। বিকেলে এখানে বসি আমি এবং আমরা মাঝে মাঝে। চা এর আড্ডা ও চলে সন্ধ্যে পর্যন্ত। আমি না থাকলেও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাকি আড্ডা চলে এখানে।
আজ হঠাৎ খেয়াল করলাম টকটকে লাল ফল ধরেছে গাছে। বটের ফল কেমন রং এর হয় পূর্বে খেয়াল করিনি আমি। এত সুন্দর বটের ফল হয় তা ধারনাই ছিলনা আমার। হাতের নাগালে থাকায় হাত বুলালাম ফলের গায়ে ও গাছের পাতায়। অদ্ভুত এক অনুভূতি, যেন আমারই সন্তানের বেবি এরা।
একদিন হয়ত এখানে বসবে হরিয়াল, বক, ঘুঘু
বাবুই ও চড়ুই এর কিচিরমিচির হবে সারাক্ষণ
ফিঙ্গে, টুনটুনি, মৌটুসি, কানাকোকো ঠিকানা পেয়ে বাসা বাঁধবে এ বৃক্ষে
কাঠ ঠোকরা ঠক ঠক করে জানান দেবে তার অস্তিত্ব
হলদে পাখি বসবে ডালে
খঞ্জনা পাখি এসে বলবে ‘নামটি আমার খঞ্জনা’
নাম না জানা পাখিরা এসে রঙ্গিন ঠোটে ক্ষুধা নিবারণে ফল ঠোকরাবে
পরিযায়ী পাখিরা আসবে হয়ত দূর কোন দেশ হতে।
হয়ত এর নীচে বসে প্রচণ্ড গরমে কোন পথিক পাবে শীতলতা
হয়ত কোন পথিক লাল বৃত্তাকারে শুয়ে থেকে পাখির গানে ঘুমিয়ে যাবে
হয়ত বাজার বসবে এই বৃক্ষের নীচে নাম হবে হয়ত বটতলা।
পাখিরা কি জানবে তাদের এই আশ্রয়স্থল কে গড়ে দিয়েছিলো
অথবা পথিক ?
================================
আমার নেটের জগতের প্রথম দিকে একটি শখ ছিল ছবি দিয়ে গান সংযুক্ত করে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করা।আমার আপলোড করা ভিডিওর গানটি শুনছি সন্ধ্যার পর থেকে বারবার বহুবার। ভিডিওটিতে আমার প্রিয় কয়েকজন মানুষ আছেন।এর মাঝে একজন সোনেলায় আছেন।ব্যবহৃত প্রায় ছবিগুলোই আমার তোলা। আসুন হৃদয় খানের গানটি শুনি ও দেখিঃ
জানি একদিন আমি চলে যাব সবি ছেড়ে
যত বুক ভরা দুঃখ কষ্ট নিয়ে(২)
ফিরবোনা কোন দিন এই পৃথিবীতে
কোনকিছুর বিনিময় এই পৃথিবীতে
একদিন চলে যাব
জানি একদিন আমি চলে যাব সবি ছেড়ে
যত বুক ভরা দুঃখ কষ্ট নিয়ে।
জানি একদিন ভুলে যাবে সবাই
আমায়, আমার স্মৃতি মুছে যাবে ধরায়
জানি একদিন এক মুহুর্ত কারও
মনে পড়বেনা আমার কথা
ফিরবোনা কোন দিন এই পৃথিবীতে
কোন কিছুর বিনিময় এই পৃথিবীতে
একদিন চলে যাব
জানি একদিন আমি চলে যাব সবি ছেড়ে
যত বুক ভরা দুঃখ কষ্ট নিয়ে।
জানি একদিন দূর থেকে দেখব সবার এই ভুলে যাওয়া
জানি একদিন চোখ থেকে পড়বে শুধু অশ্রুরই ধারা
ফিরবোনা কোন দিন এই পৃথিবীতে
কোন কিছুর বিনিময় এই পৃথিবীতে
একদিন চলে যাব
জানি একদিন আমি চলে যাব সবি ছেড়ে
যত বুক ভরা দুঃখ কষ্ট নিয়ে।
-{@ সবার জন্য শুভ কামনা -{@
৬২টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
পাখি বা পথিক না জানলেও গাছটি হয়তো কারো পথ পানে
চেয়ে অপেক্ষা করতেই থাকবে।
গান শুনে নস্টালজিক হলাম।
জিসান শা ইকরাম
গাছটির নীচে বসে আজ অনেক কিছু ভাবনায় এলো।
নস্টালজিক আমিও………
আবু খায়ের আনিছ
কিছু বলব না ভাবছিলাম, কিন্তু তিনবার ফিরে অাসছি কিছু বলার জন্য। গানটা শুনেছি এর আগেও অনেকবার কিন্তু আজকে অন্যরকম লাগছে।
পথিক হয়ত জানবে না, কিন্তু গাছটা নিশ্চয় এই পথিকের জন্য অপেক্ষা করবে।
জিসান শা ইকরাম
ভালো বলেছেন ” পথিক হয়ত জানবে না, কিন্তু গাছটা নিশ্চয় এই পথিকের জন্য অপেক্ষা করবে।”
শুভ কামনা -{@
শুন্য শুন্যালয়
গানটিতে সোনেলার দুজনকে দেখতে পেলাম। দরজা গলে আলো আসার ছবিটা আমার চাই। যদিও অনেকদিনে কোথাও হয়তো হারিয়ে ফেলেছেন। বেশ ভালো একটা গান। শখ টা চালু রাখলে মন্দ হয়না।
খেয়ালের বশে চারা লাগানোর সময় একবারও কি মনে হয়েছিল, কেউ একদিন আপনাকে মনে করবে? না বোধ হয়। পথিক, পাখিরা মনে না করলেও গাছটা ঠিক মনে করবে আপনাকে, আফসোস, গাছের বলা কথা আপনি শুনতে পাবেন না।
চা হাতে কোনদিন পারলে আড্ডা দেবার ইচ্ছে জেগে থাকলো সিমেন্টের ঐ বসার জায়গাটিতে।
বটবৃক্ষের ছায়া বাঁচিয়ে রাখুন নিজের মাঝে। ভালো থাকুন সবসময়। -{@
জিসান শা ইকরাম
দরজা গলে আলো আসার ছবিটা কোথায় রেখেছি মনে নেই,হয়ত নেই আমার কাছে,তবে ভিডিও থেকে স্কিন শট নিয়ে পাঠিয়ে দেবো আপনাকে।
হ্যাঁ সোনেলার দুজন আছে গানটিতে।একেবারে শেষের জন ধোয়াটে একজন।
স্বাগতম আপনি এখানে উইথ চা এবং টা।
শুন্য শুন্যালয়
চা এবং টা এর লোভে এখনই যেতে মন চাইছে। পেয়ারা বাগান, বটগাছ, বিলাসি গাছের গুড়ির ড্রয়িংরুম…….কবে যে যাবো!! 🙁
জিসান শা ইকরাম
চলে আসবেন দেশে আসলেই
সব কিছু আপনার জন্য অপেক্ষা করবে।
মরুভূমির জলদস্যু
বস কোথায় লাগিয়েছেন এই বটবৃক্ষটি? সময় সুযোগ হলে একটা বিকেল কাটাতে চাই এই বৃক্ষের ছায়াতলে। -{@
জিসান শা ইকরাম
দেশের বৃহত্তম পেয়ারা বাগানের কাছে আমার নিজস্ব একটা এলাকায়।
চলে আসুন সপরিবারে, এর কাছেই দেশের বৃহত্তম পেয়ারা বাগান ও পেয়ারার ভাসমান বাজার।
চা আর টা আমার দায়িত্ব 🙂 -{@
আজিম
ঝালকাঠি শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর পাড় মনে হচ্ছে জিসান ভাই।
অনাবিল আনন্দ এসবেই তো। উপভোগ করুন।
জিসান শা ইকরাম
আপনি মনে হচ্ছে জানেন আমাকে
অথচ আমি আপনাকে জানিনা না,এটি একটু অস্বস্তিকর আসলে 🙂
অনাবিল আনন্দ এসবেই
শুভ কামনা -{@
আজিম
মন্তব্যটা কী কাটছাঁট করলেন জিসান ভাই? বটগাছটার অবস্থান সম্পর্কে আপনার মতামত কেটে দিয়েছেন।
আসলে আপনার আমি কিছুই জানিনা। “দৈনিক আমাদের সময়” এর অনলাইন সংস্করন পড়তে পড়তে একদিন আপনাদের ‘সোনেলা’ সম্পর্কে জানতে পারি এবং সাথে সাথেই প্রথম পোষ্ট “কালনা” প্রকাশ করি। সে-ই শুরু জিসান ভাই।
আমি একটা চাকরী করি এবং চাকরীর সুবাদেই ঝালকাঠি গেছি পাঁচবার গত ৫ বছরের মধ্যে, প্রতিবার ২/৩ দিন করে ছিলাম। ট্যুরের কারনেই আমাকে ঝালকাঠির অনেক জায়গায় যেতে হয়েছে জিসান ভাই। গত প্রায় ৫/৬ মাস আগে দু’দিনের জন্য গেছিলাম। সেবার আমি ৩ দিন সকালে ঝালকাঠি শহরে সকালে হেঁটেছিলাম, প্রতিদিন প্রায় একঘন্টা করে। তারপর প্রতিদিনই শহরের প্রধান পোষ্ট অফিসের পাশের ছোট্ট দোকানটায় তেলেভাজা পরোটা খেয়ে ফিরেছি ডাকবাংলায়। ঐরকম পরোটা খেতে আমার খুব ভাল লাগে। তিনদিনের মধ্যে শেষের দিন আমি ঝালকাঠি বাজার পেরিয়ে নদীর ধার ধার ঐ রাস্তাটা ধরে অনেকদুর পর্যন্ত গেছিলাম। এজন্য মনে হলো যে হয়ত ওখানেই হবে আপনার লাগানো বটগাছটা।
এর আগেও ছাইরাছ হেলাল ভাইয়ের ঝালকাঠি বেড়ানোর একটা পোষ্ট দেখেছিলাম সোনেলায় এবং তাতে উনি নৌকায় পেয়ারা বহনের অনেক চিত্র পোষ্ট করেছিলেন। ওটা দেখেও আমি মনে করেছিলাম, এই চিত্র ঝালকাঠির। পরে ঐ পোষ্টেরই কোন এক মন্তব্য থেকে জেনেছিলাম যে, আমার ভাবনা সঠিক।
অনেক ঘোরাঘুরি করলে কিছু বলা যায় জিসান ভাই। আমিও যেমন আপনাকে চিনিনা আপনিও সেরকম আমাকে চেনেন না। এখানে অস্বস্তির কিছু আছে বলে মনে করিনা আমি।
অনলাইনে আমাদের লিখার সুযোগ করে দিয়েছেন আপনি “সোনেলা” প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এজন্য আপনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা জিসান ভাই। -{@
জিসান শা ইকরাম
ঝালকাঠী মুল শহরের পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট একটি নদী। নদীর পশ্চিম পাড়ও অবশ্য পৌরসভা এলাকা। এই ছোট নদীটিই উত্তর দিকে অনেক দূর গিয়ে মিশেছে শিকারপুর এর পাসের বড় নদীতে।
বট গাছটি ঝালকাঠী শহর থেকে উত্তর দিকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে, ঐ একই নদীর পাড়ে।ধীরে ধীরে নিজের একটি বড় সর ভুবন গড়ছি আমি। ওখানে নিজের কিছু পরিকল্পনা আছে । প্রচুর গাছ লাগিয়েছি ওখানে।রুক্ষ একটি পরিবেশকে সবুজ করে ফেলেছি প্রায়। আশা একদিন এখানেই সবুজের মাঝে একটি বৃদ্ধাশ্রাম গড়ে তুলবো।পারি কিনা জানিনা। তবে পরিকল্পনা মত এগিয়ে যাচ্ছি।
আমার এই স্বপ্নের ভুবন নিয়ে ভাবছি একদিন বেশ কিছু ফটো দিয়ে পোষ্ট দেবো।কেউ কেউ হয়ত উৎসাহিত হবেন এতে।
বুঝেছি এবার। মুছে যাওয়া অংশ রিকভার করে এই মন্তব্যে দিলাম 🙂
অনলাইনে লেখার সুযোগ করে দেয়ার কিছু নেই আসলে।সবার জন্যই তো এই সোনেলা। এটি আছে বলেই আপনার লেখা পড়ার সুযোগ পাচ্ছি আমি,আমরা।
একা একা ঘোরাঘুরি করলেন?আমাদের জানালে আমরাও না হয় আপনার সাথে ঘুড়তে পারতাম 🙂
শুভকামনা।
আজিম
বড় চাকরী করিনা জিসান ভাই। দেখলে আমাকে পছন্দও করবেন না, সেটাও জানি।কারন আমি পয়সাওয়ালা কেউ নই। এযুগে পয়সাওয়ালা না হলে কোন মূল্য নাই ভাই। তবুও আমন্ত্রণ যখন জানালেন, এবার ঝালকাঠি গেলে আপনাকে রিং করবো। আপনি এই কিছুদিন আগে আমার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে দেওয়ার সময় একটা সেল নম্বর দিয়েছেন।
শুভকামনা এবং ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
পয়সাকে আমি কোন গুরুত্বই দেইনা।
আমার জীবনের প্রথম ঠিকাদারি কাজ শুরু করি শেয়ারে।প্রথম কাজ ছিল মাত্র ২৮ হাজার টাকার। অর্ধেক হিসেবে ১৪ হাজার টাকার কাজ আমার। এটি আমি গর্ব সহকারেই বলি। এখন তো গাড়িতে চলি, আর প্রথম কাজের সময় রোজ হেঁটেছি ১৪ মাইল। আমার বাস স্থান থেকে সাইটের দূরত্ব ছিল ৭ মাইল।আসা যাওয়া চৌদ্দ মাইল।
আপনার শুরুটা নিশ্চয়ই আমার থেকে অনেক ভালো 🙂
অপেক্ষায় থাকবো
শুভ কামনা।
অরণ্য
জিসান ভাই এবং আজিম ভাই, বেশ লাগলো আপনাদের এই মন্তব্যগুলো – কথা বলা। ও বটতলায় আমি কার্ডখেলার আড্ডা বসাবই একদিন। বন্ধুদের বলব এই গাছের সাথে পরিচয় সোনেলা থেকে। ছবিতে কে যেন বসেও আছে দেখছি! গানও হবে ওখানে – রাতে। 🙂
জিসান শা ইকরাম
আড্ডা হলে গানের ব্যবস্থা করা যাবে রাতে,
শিল্পীর অভাব হবেনা 🙂
আন্তরিক ভাবে দাওয়াত দিচ্ছি অরণ্য ভাই -{@
ইমন
দুনিয়ার বুকে একটি অনন্য অবদান রেখে গেলেন । এই বট বৃক্ষের ছায়ায় আশা করি কপোতকপোতিরা বসবে, আসবে মান-অভিমান হবে :p \|/
জিসান শা ইকরাম
হয়ত
হয়তবা না -{@
অলিভার
গানে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি ছবি বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে জানালার ছবিটি, গ্রামের পিচ্চিপাচ্চার দলের পানিতে ঝাপ দেবার মুহূর্ত দুটো ছবিই বেশ ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা জানবেন -{@
জিসান শা ইকরাম
আপনার জন্যও শুভ কামনা -{@
খেয়ালী মেয়ে
এইপ্রথম দেখলাম বটের ফল…খুব সুন্দর রং……
অদ্ভুত এক অনুভূতি, যেন আমারই সন্তানের বেবি এরা (y)
খঞ্জনা পাখির মতো আমিও একদিন ঐগাছের নীচে বসে আমার নামটি বলবো 🙂 দেখবো জিসান ভাইয়ার গাছটি সোনেলার মানুষজনকে চিনতে পারে কিনা 🙂
আপনার বানানো ভিডিওটা বেশ হয়েছে (y)
ছবিগুলো সুন্দর (y)
জিসান শা ইকরাম
তোমাকে চিনবে এই গাছ।গাছের কাছে বলে দেবো সোনেলার পরীর নাম।
শুভ কামনা।
খেয়ালী মেয়ে
🙂
জিসান শা ইকরাম
-{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
বট গাছটার বিবরণ পড়ে অনেক ভালোলাগায় মনটা ভরে উঠলো। কেমন যেনো চোখের সামনে আগামীর এক চেহারা ভেসে বেড়াচ্ছিলো।
আর তারপরই গানটা অদ্ভুত এক আবেশ ছড়িয়ে দিলো মনের মাঝে। মনকে ভারাক্রান্ত করে তুললেও কোথায় জানি টেনে নিয়ে গেলো!
এমন দুটু বিষয় টেনে আনলেন, জানান দিলো ‘হায়রে মানুষ রঙ্গিন ফানুস, দম ফুরাইলে টুস।’
জিসান শা ইকরাম
জীবন মাঝে মাঝে অদ্ভুত অর্থহীন হয়ে সামনে এসে দাঁড়ায়।
ব্লগার সজীব
গাছটি তো জানবে কে তাকে আদর স্নেহে বড় করেছে।মানুষ পাখীর উপকার হবে এটিই আসল কথা।
গানটি মন খারাপ করে দেয়া গান।
জিসান শা ইকরাম
মানুষ পাখীর উপকার হবে এটিই আসল কথা (y)
মেহেরী তাজ
আড্ডা দেবার জন্য কোন সময় ঠিক হলেই আমাকে একটু জানাবেন,আমিও সবার সাথে আড্ডা দিতে চাই অন্তত একবার।
কেউ না জানুক পাখি কিংবা পথিক
গাছটা তো জানবে মনে রাখবে আপনার কথা।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা জানাবো
কোন একদিন হয়ত আমরা এখানে আড্ডা দেবো সবাই একসাথে।
অরণ্য
এই গাছতলায় কার্ডখেলবে অনেক বাউন্ডুলে। এখন নেট শামুকের গতিতে। লিংকে গিয়ে লাভ হলো না। পরে দেখতে হবে।
আমার এক পাগলামি আছে গাছ নিয়ে। কার্জন হলের পূর্বদিকের গেটের পাশে তিনটি শিউলী ফুলের গাছ এবং দেয়াল ঘেঁসে একটি কৃষ্ণচুড়া দাঁড়িয়ে পড়েছে।
জিসান শা ইকরাম
পাগলামি দেখতে চাই।
অপেক্ষায় রইলাম।
অরণ্য
জিসান ভাই, শেয়ার করব একদিন। আবার ফুল ফুটুক – তখন।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা অপেক্ষায় থাকলাম ………।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানাআআআআআআআআআআআআআ ও নানাআআ
আমিও বসবো। আড্ডা দেবো রাতে গানের আসরে থাকবো। একা আমি-ই গাইবো। :p
কাউকে আর সুযোগ দেবোনা। পটর পটরও একলা আমি-ই :p
সবাই থাকবে, আর শুনবে। ওহ আমি নাচবোও কিন্তু \|/
শোনো নানা কোনো একদিন জ্যোৎস্না রাতে চা আমার কম চলে, তাই কফি আর গল্প। ফুচকা পাওয়া গেলে আরোও জমবে। সেদিন নানীও সাথে থাকবে। শুন্য আপু, পরী আপু, পিচ্চি আপু, কবি ভাই(যিনি আমার চুল কাটতে বাধ্য করেছেন, এতো কঠিন বুঝতে গিয়ে মাথা টাকলি হতে চলেছিলো) লীলাবতী দিদি, অরণ্য ভাইয়া(সেদিন কিন্তু কৃষ্ণচূড়া ফুল নিয়ে আসতে হবে, ভুলবেন না)——–ইস মনের ভেতরে তো দাদরা বাজছে গো নানা।
https://www.youtube.com/watch?v=nneBTrHbd94
আর জীবনের শেষ দিনের কথা ভাবনার কোথাও নেই, কেন জানি মনে আসেনা। জীবনের কথা ভাবি। জীবনের কথা বলি। আর জীবনটাকে নিয়ে স্বচ্ছ খেলা খেলি। স্বচ্ছ খেলা কি জানো? আমার হাসি। বড়ো সত্যি। 😀
জিসান শা ইকরাম
সবার একসাথা আসা আড্ডা দেয়াটা হয়ত কঠিন
তবে এবার দেশে এলে অবশ্যই এখানে আসবে
যতজন পারি থাকবো আমরা
ফুচকা বানয়ে নিতে হবে অবশ্য 🙂
এলাকাটা সুন্দর।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা হবে এমন আসর। আরে ভালো ইচ্ছে পূর্ণ হয়ই।
মিথুন
আমিও থাকবো ;( আপনার গান শুনে সবাই যদি দৌড়ে পালিয়ে যায় তাহলে আমি আবার সবাইকে ধরে ফিরিয়ে আনবো। নেবেন না আপু এই আড্ডায়? 🙁
অরণ্য
আমার মনে হয় একটা ওপেন ইনভাইটেশন থাকবে সেই প্রোগ্রামের সোনেলা পরিবারের জন্য। আমি যামু ঠিক কইরা ফালাইছি।
অরণ্য
সময় মিলে গেলে কৃষ্ণচূড়া অবশ্যই থাকবে আমার হাতে। শিউলী ফুলও আমার খুব প্রিয়। 🙂
জিসান শা ইকরাম
আমারো প্রিয় ফুল এ দুটো 🙂 -{@
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা ওপেন ইভাইটেশন দেয়া হবে সবাইকে।
সব কিছু মিলিয়ে এলাকাটি সুন্দর।
শুন্য শুন্যালয়
তুমি একা গান গাইবে? পটর পটর ও তুমি একলা একলা করবে? এহ, আর আমি কি করবো? আমি সেই কবে এ এ এ এ থেকে প্র্যাক্টিস করছি গানের, নাচের, ছড়ার, কৌতুকের তার কি হবে??? 🙁 চুলোচুলি বেঁধে যাবে বলে দিলাম। :@ @নীলাপু
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু দেখো চুলোচুলিতে জিতবো একা আমি-ই 😀
কারণ? আমার লম্বা চুল না। :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
অরণ্য ভাইয়া ইস কি মজা! আমার গান শোনার জন্যে আপনিও আসবেন? \|/
কি মজা!
অবশ্য অনেক দামী শিল্পী আমি :p
নীলাঞ্জনা নীলা
মিথুন অবশ্যই থাকবেন। ধরে ধরে আনার শুধু না। বেঁধেও রাখতে হবে দড়ি দিয়ে। 😀
মিথুন
গাছটাকে ঠিক বনসাইয়ের মত লাগছে। গাছটির প্রতি আপনার মমতা অনুভব করতে পারছি ভাইয়া। এ গাছের সুন্দর স্মৃতির সাথে এ গান কেন ভাইয়া? গান শুনতে হবে, এসো নীপবনে ছায়াবীথি তলে, এসো করো স্নান, নবধারা জলে………
জিসান শা ইকরাম
বটগাছের বৃদ্ধি খুব ধীরে হয়। ৫ বছর পুর্বে বপন করেছি।
যতটুকু দেখা যায়, আরো দুই ফুটের চেয়ে বেশী মাটির নীচে আছে।
একারণে ছোট দেখাচ্ছে।
ঐ সময়ে এমন ভাবনা মাথায় চলে এসেছিল
এখন থেকে আপনার গান গাইবো 🙂
অরুনি মায়া
হয়ত কোনদিন মিলবে দেখা এই সোনালি বৃক্ষ তরুর
হয়ত যাবে ভুলে হয়েছিল কভু এক বর্ণিল যাত্রা শুরু
তবু রবে মনে তুমি এসেছিলে এ ভূবনে
শুধু একটি স্বপনের বাস্তবায়নে শয়নে স্বপনে মনে মনে,,,,
জিসান শা ইকরাম
বাহ! কাব্যে মন্তব্য করলেন! একজন কবিকে সোনেলা পাচ্ছে তাহলে।
শুভ কামনা।
অরুনি মায়া
ধন্যবাদ 🙂 ।
তবে যাই হোক আপনার গাছ টি কিন্তু চমৎকার। কিছুটা বনসাই ভাব আছে,,,,,
জিসান শা ইকরাম
বনসাইয়ের ভাব থাকলেও তা নয়। ফটোতে এমন দেখাচ্ছে।গাছটি নিচু স্থানে লাগানো হয়েছিল। মাটির মধ্যে আরো ৩-৪ ফুট আছে।মাটির মধ্যের অদেখা অংশ নিয়ে এটি প্রায় ৮-৯ফুট লম্বা।
অরুনি মায়া
ও আচ্ছা। আমি ভেবেছিলাম এটার উচ্চতা কম।
এক দৃষ্টি তে সুন্দরি ফলবতী কন্যা 🙂
জিসান শা ইকরাম
সুন্দরি ফলবতী কন্যা (y)
লীলাবতী
পোষ্টে গানটি দিয়ে মন খারাপ করে দিলেন।আপনি নেই এটি ভাবতে ভালো লাগবে আমাদের?
জিসান শা ইকরাম
না ভালো লাগবে না
আমারো চলে যেতে কি ভালো লাগবে?
নীতেশ বড়ুয়া
-{@ (3 -{@
জিসান শা ইকরাম
-{@ (3 -{@
অনিকেত নন্দিনী
কী আশ্চর্য!
অদ্ভুত সুন্দর বটগাছ আর তার বাঁধানো বেদী। ছবি দেখে মনে হচ্ছে বেদীর লাল রংটাই মানানসই, অন্য রঙ হলে একদমই মানাতোনা। একদিন অবশ্যই যাবো ওইখানে। ওই বাঁধানো বেদীতে বসে বকবক করবো আড্ডায়। অপেক্ষায় রইলাম।
জিসান শা ইকরাম
ঠিক বলেছেন,বেদীতে অন্য রঙ মানাতো না
আড্ডা অবশ্যই হবে এখানে ইনশয়াল্লাহ
আমরাও অপেক্ষায় রইলাম আপনাদের আগমনের -{@