
কবিতা এখন আলুথালু, ছিঁচকাঁদুনে,
ঘুরে বেড়ায় তেপান্তরে, নাকে মুখে চোখে বুকে
লোনা জলের সর্দিকাশি নিয়ে, করোনা বলছিনে;
অঙ্গরাগ মেলে বসে থাকে ঝুল বারান্দায়,
হিল্লোল-প্রমোদ চেপে রেখে,
প্রসাধিত মুখের চটুল ছলাকলা হৃদয়ে মেখে
সামান্য উঁকিঝুঁকিতে,
ঠুনকো বনেদিপনার কিঙ্কিণী বাজিয়ে;
কবিতার সোনালী গালিচায় মুখ ঘসে ঘসে,
আবার ও বলছি, কবিতার পাঠক হতে চাই,
কবিতায় নাক-মুখ ডুবিয়ে, আকণ্ঠ পান করতে চাই,
আলোকবর্ষে যাপন চাই রক্তিম ঠোঁটে ঠোঁট রেখে;
এক আকাশ মেঘের-বজ্র-বৃষ্টি পান করতে চাই,
আঁজলা ভরে, চর্ব্ব চোষ্য লেহ্য পেয়-তে;
জ্বলে ওঠা যুগলের ভালবাসায়।
৩৬টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কবিতার ঝড়-বৃষ্টি আমরাও চাই যাতে আঁজলা ভরে নয় গ্যালনে গ্যালনে পান করতে পারি কবিতার রুপ-রস-গন্ধ। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো। শুভ সকাল ভাইয়া
ছাইরাছ হেলাল
ও, এ জন্যই কবিতার-জল পাচ্ছি না, চোখ লাগিয়েছেন বলে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হা হা হা। নাহ এমন নজর দেইনি, শুধু আপনি একাই সব নিলে বাকীদের কবিতার ক্ষুধায় পেটে সুচো দৌড়াবে । আপনি তো কবিতার খনি আপনার টা ফুরাবে কেমনে?ওখান থেকেই আমাদের তুলে নিতে হবে, সেই অনুমতি চাই
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো আপনাদের দেখে দেখে শিখি। আপনাদের অঢেল থেকেই নেই/নিচ্ছি/নেব।
ঢালাও অনুমতি আপনাদের সবার জন্য, সামান্য হলেও অবশিষ্টে রেখে যাবেন, সেই শর্তে।
সুপায়ন বড়ুয়া
“কবিতার সোনালী গালিচায় মুখ ঘসে ঘসে,
আবার ও বলছি,কবিতার পাঠক হতে চাই,
কবিতায় নাক-মুখ ডুবিয়ে,আকণ্ঠ পান করতে চাই,”
মুগ্ধ নয়নে দেখে যাই আজ
বন্ধু আমার ভালবেসে যায়
কবিতাকে কাব্যিক উন্মাদনায়
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, আপনারাই আমার প্রেরণা।
মন যখন যা চাই, তাই লিখি! ঋতুদের ভালোবাসি খুব।
খুব নিরাপদে থাকবেন।
ইঞ্জা
হিল্লোল-প্রমোদ চেপে রেখে,
প্রসাধিত মুখের চটুল ছলাকলা হৃদয়ে মেখে
সামান্য উঁকিঝুঁকিতে,
ঠুনকো বনেদিপনার কিঙ্কিণী বাজিয়ে;
সত্যি বেশ রোমান্টিক লেখা দিলেন ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই ঠিক ধরেছেন, একটু রংঢং তো আছেই।
ভাল থাকুন।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
ভাল থাকবেন, ভাই।
তৌহিদ
কবিতায় কারো নজর লেগেছে ভাইজান। পানিপড়া আনিয়ে নিন। দুদিন খেলেই আবার আমরা সুন্দর সব কবিতা পাব।
এটাও কিন্তু অনবদ্য লেখা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেই তো খুঁজছি, একটু পানি পড়ে ব্লগে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দিয়ে আমাদের রক্ষা করুন!
দিনে দুবার খাওয়ার আগে না পড়ে তাও জানিয়ে দিয়ে বাঁচিয়ে দিবেন, এ যাত্রায়।
অনবদ্য! বাপ্রে! কয় কী!
ভাল থাকবেন।
সুরাইয়া পারভীন
চর্ব্ব চোষ্য
ছাইরাছ হেলাল
হুম।
ফয়জুল মহী
আমার এই লেখা আরো দুই জায়গায় আছে। নিয়ম মেনে ডিলিট করে দিয়েছি। তবে আরো অনেকের একই লেখা একই দিন তিন/চার জায়গায় প্রকাশ হয়। আপনি এডমিন হলে অন্যদের এইসব লেখাও দেখবেন । আর আমি কোন লেখা এখানে দিবো না।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন আমি কিছু না, আমি আপনার মত ব্লগার, তবে আমি নিয়ম মানার চেষ্টা করি, মানিও।
আমাদের তো নিয়মের মধ্যেই থাকতে হয়, হবেও, আর আপনি বলে দিন, ফেবু ছাড়া অন্য জায়গা থেকে কি কি লেখা এসেছে,
এডমিনদের জানানো আমাদের কর্তব্য।
আপনি স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন, তবে তার আগে আরও ভাবুন, ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভীন
চর্ব্ব চোষ্য গিলে বলছি
কবিতার সোনালী গালিচায় মুখ ঘসে ঘসে
কবিতার রক্তিম রাঙা ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁয়ে
কবিতাকে মায়াজালে সম্মোহিত করে
কবিতার দখলদার হতে চাই,ভিজতে চাই কবিতার বজ্র বৃষ্টিতে
আবারও বলছি কবিতার দখল/অধিকার আমার চাই ই চাই
অন্য রকম অনুভুতি
ছাইরাছ হেলাল
আমিও তো আপনার পথের পথিক, আমাকেও একটু সাথে নিয়েন
কবিতার দেশে ঘুরতে গেলে,
আর কবিতার দখল ত আপনি নিয়েই নিয়েছেন, আমাদের ও পথ দেখাবেন সামনে থেকে।
নিরাপদে থাকুন।
সুরাইয়া পারভীন
আমি যদি কবিতার দখল নিয়ে থাকি
আপনি তো কবিতার খুনির দখল নিয়েছেন
তবে আর কোন পথ দেখাবো সামনে থেকে!!
ছাইরাছ হেলাল
তাও অধম লেখককে একটু দৃষ্টিতে নিয়েন।
কামাল উদ্দিন
……….আপনি করোনা বলছেন না কেন ভাই, আমি নিশ্চিৎ এতোটা উপস্বর্গ যেহেতু আছে, কবিতা এখন করোনাক্রান্ত।
ছাইরাছ হেলাল
আমার এই কবিতা করোনা জয়ী!
কাঁদুনে হলেই করোনা!! কিচ্ছুতেই না।
আপনি ‘দাক্তার’ হলেন কবে!!
কামাল উদ্দিন
কেন (ডঃ) ডাক্তার কামালের নাম আপনি শুনেন নাই 😀
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো দাক্তার কামাল খুঁজি!
আতা স্বপন
কবিতার মাঝে বিদ্যুতের চমক ব্রজ্রপাত আর সিংহের হুকার বিদ্রোহীরাই দিতে পারে। আর সে বিদ্রোহী একজনই আমাদের দুখু মিয়া নজরুল। এ সময়টায় সবাই একটু নেতিয়ে পড়েছে যেন কেমন। কবিতাগুলো তাই ঘুমে জড়ানো নেশায় বুদ। হু একটা ঝংকার কি হুংকার কি বজ্রগর্জন দরকার। ——————ধন্যবাদ
ছাইরাছ হেলাল
নজরুল উপমা কী করে এলো বুঝলাম না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আতা স্বপন
কবিতার বজ্র ধরেছি জাগরণ
সেই জাগরণের কবিতো নজরুল
যার হুংকার বৃটিশ কেঁপেছে
কেঁপেছে সমাজের শোষক শ্রেণি।
তাই বলছিলাম কবিতায় বজ্র বৃষ্টি তখন হবে
যখন মনে মধ্যে একটি বিদ্রোহ ঝংকার থাকবে।
ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ, বুঝিয়ে বলার জন্য।
নজরুল দখে ভয় পেয়ে ছিলাম।
সাবিনা ইয়াসমিন
সশব্দের ঝংকারে অপুষ্ট ভাবনার অনুতাপে
নির্বাসিত কবিতা হারিয়ে গেছে যোজন-যোজন দুরত্বে দুরত্ব মেনে নিয়ে,
কথোপকথনের ধারাপাতে বর্ণহীন-ছন্দহীন নিরবতা সাথী হয়েছে তার 😇😇
ছাইরাছ হেলাল
অপুষ্টি এড়াতে চর্ব্ব চোষ্য লেহ্য পেয় একটু বাড়িয়ে দিয়ে শক্তি সঞ্চয় করে
ঝাঁপিয়ে পড়ুন, নিরবতাকে চুলোয় পাঠিয়ে।
ভাল থাকবেন আপনি।
জিসান শা ইকরাম
সমস্ত আশা পূরণ হবে ইনশ আল্লাহ্,
খাস দিলে এত চাওয়া, আল্লাহ্ পূরণ করবেনই, করেনও।
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহ ই একমাত্র দেনে ওয়ালা,
নিরাশ তিনি করতেই পারেন না, তাঁর প্রিয় বান্দা কে।
আরজু মুক্তা
রোমান্টিক কবি!
ছাইরাছ হেলাল
যাক, তাও এত দিনে বললেন!
ভাল থাকুন।
হালিম নজরুল
আহা! কতদিন কবিতা পড়িনি!
ছাইরাছ হেলাল
তাই তো ভাবি, ফাকা ফাকা লাগে ক্যা!
ভাল থাকুন।