মোবাইলে ওয়াজ চলছিল । ওয়াজের সব বক্তাই যে উস্কানীমূলক বক্তব্য দেন তা নয় । কেউ কেউ হাসান হোসেন সহ নবীর বিভিন্ন বেদনা ময় ঘটনা এমন ভাবে উপস্থাপন করেন যে বক্তা শ্রোতা উভয়ই আবেগে আপ্লুত হয়ে কেঁদেই ফেলেন । ।
ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য ত্যাগের কথা শুনে তাঁরা কঠিন সংকল্প বদ্ধ হন , যে কোন মূল্যে প্রয়োজনে নিজের প্রাণের বিনিময়ে ইসলাম রক্ষা করতেই হবে । ।
আমাদের একাত্তরের যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, বীরঙ্গনাদের ত্যাগের ইতিহাস । মা ছেলের জন্য ১৪ বছর ভাত না খেয়ে বিছানায় না ঘুমিয়ে আমৃত্যু বেঁচে থাকার করুণ মর্মস্পর্শী ঘটনা । এগুলোও কিন্তু কম কষ্টের নয় ।
জননী জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও আপন ।
সেই বীরাঙ্গনা মায়েদের ত্যাগের দুঃখের ইতিহাস কি আমরা ভবিষ্যত প্রজন্ম কে জানাতে পারি না ???
ওয়াজ মাহফিলের মত এটা প্রচার করলে কেমন হবে ?
১৮টি মন্তব্য
আবির
প্রস্তাব পছন্দ হইছে তবে প্রস্তাব এর চেয়ে উদ্যেগ নেয়া বেশি প্রয়োজন।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
প্রচারই প্রসার
মন্দ নয় প্রস্তাব
তবে
মনে ধারণ করতে হবে দেশপ্রেম। -{@
মরুভূমির জলদস্যু
মোল্লারা এই কাজ করবে বলে তো মনে হয় না।
আমারা যতদিন নিজেরা নিজেরা নিজেদের ঠিক না করে অন্যের দোষ বেরকরার চেষ্টায় রপ্ত থা্কবো ততো দিন কিছুই হবে না।
অরণ্য
আমার মনে হয় আমাদের শিক্ষা-গবেষণায় মারাত্মক গলদ আর অনিহা। আমাদের প্রকাশ দক্ষতা সেও খুব দূর্বল। আমরা যাই করি না কেন অন্য মানুষ ঠিকই যাচাই করে নেয় “What’s in it for me?”। ধর্মানুভূতি আর দেশপ্রেম একই কাতারে ফেললে ভুল হতে পারে।
সঞ্জয় কুমার
সনাতন ধর্মে দেশপ্রেম ধর্মের অংশ বলে বিবেচিত । ।
‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী।’ অর্থাৎ জননী ও জন্মভূমি স্বর্গ হতেও শ্রেষ্ঠ।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত।’
আমাদের দেশ আমাদের মা ।
মায়ের সম্ভ্রমের জন্য যুদ্ধ কেন ধর্মে সমর্থন করবে না ???????
আশা করি যথাযথ উত্তর দিবেন ।
ধন্যবাদ ।
অরণ্য
ব্রাদার, “মায়ের সম্ভ্রমের জন্য যুদ্ধ কেন ধর্মে সমর্থন করবে না ??????? ” – আমার মন্তব্য পড়ে যদি আপনার এই প্রশ্ন জেগে উঠে, তাহলে আপনি আমাকে ধরতে পারেন নি। ওয়াজ কে ফলো করার আগে আপনাকে জানতে হবে মানুষ কেন ওয়াজ শোনে, কখন শোনে। তাদের মটিভ কি? আমি আপনাকে আসলে বলতে চেয়েছি আপনি কমিউনিকেশনের জন্য কোন মিডিয়া কখন ব্যবহার করবেন এবং কেন করবেন। শুধু তাই নয় আপনি কি কমিউনিকেট করছেন এবং কিভাবে করছেন। এগুলোর ভাল উত্তর (গবেষণালব্ধ হলে আরও ভালো হয়) জানা না থাকলে ইম্প্যাক্ট পাওয়া কঠিন। আমরাতো অনেক কিছুই করছি দেশপ্রেম, চেতনা নানা ব্যানারে কিন্তু কোথায় যেন বড় মিসিং আছে। আমরা শুধু হায় হায় করছি। তা কেন হবে? আমি কোন জাতি খুঁজে পাচ্ছি না যারা মাস এলেই জাতীয় উদযাপনে এতো মেতে ওঠে! আমাদের দেশপ্রেমতো অনেক বেশি হওয়ার কথা। আসলে আমরা ইম্প্যাক্ট ক্রিয়েট করতে পারছিনা, পারিনি। আমি যতটুকু কমিউনিকেশন বুঝি তাতে আপনার প্রস্তাবে আমি সন্দেহ এবং দ্বিমত পোষণ করি। যে কোন মেসেজর জন্যই যথাযথ মাধ্যম এবং এম্পেথাইজ্ড কনটেন্ট খুবই জরুরী।
সঞ্জয় কুমার
তাহলে মিসিং টা কোথায় ?
সঞ্জয় কুমার
ইমপ্যাক্ট ক্রিয়েট করতেই হবে । যে ভাবেই হোক না কেন । বাঙালীর অবচেতন মনে বঙ্গবন্ধু একবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগিয়ে ছিলেন সেটা এখন মৃত প্রায় । ।
সেভাবে মুক্তিযুদ্ধ কে আমরা স্কিপ করে যাচ্ছি হয়ত ভবিষ্যত প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কে রূপকথার গল্প মনে করবে । ।
সবচেয়ে বড় দূঃখের ব্যাপার হল স্বাধীনতার মত একটা বিষয় কে বিজ্ঞাপনের মত প্রচার করতে হচ্ছে মানুষ স্বেচ্ছায় জানতে চাইছে না ।
নওশিন মিশু
প্রশংসনীয় প্রস্তাব । ধর্ম প্রতিষ্ঠার ইতিহাস বর্ণনা করার জন্য সুন্দর সুন্দর ভাষা আছে কিন্তু বীরাঙ্গনা মায়েদের সাথে ঘটে যাওয়া বিভৎসতার ইতিহাস কোন ভাষায় বর্ণনা করবেন? খুঁজে পাবেন তো সেই ভাষা ……!!!???
সঞ্জয় কুমার
কেন কারবালার প্রাঙ্গনে শহীদ দের মৃত্যু বর্ণনা যে ভাবে করা হয়েছিলো সেভাবেই করবে ।
ভাষা সংযত রেখেও বর্ণনা দেয়া যায় । ।
যুদ্ধ পরবর্তী তাঁদের অবস্থা ও বর্ণনা করা যেতে পারে ।
ধন্যবাদ ভাল থাকবেন ।
স্বপ্ন
কোন ওয়াজ মাহফিলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলেনা।এদের কান্নাকাটি ফিলিস্থিন হত্যা নিয়ে। এর মাধ্যমে প্রমানিত হয়,যারা ওয়াজ করেন তারা নিজেরা যুদ্ধাপরাধী বা এদের সমর্থক।তবে এদের বাধ্য করা যায়।
সঞ্জয় কুমার
জোরকরে কারও দিয়ে ভালো কাজ করানো যায় না বলে আমার বিশ্বাস ।
দেশ প্রেম ধর্মের অংশ এটা তাঁদের হ্দয়ে গেঁথে দিতে পারলে সেটার সার্থকতা বেশী ।
ধন্যবাদ ভাল থাকবেন ।
ব্লগার সজীব
প্রস্তাব ভালো,তবে বাস্তবায়ন কে করবে?
সঞ্জয় কুমার
বিড়ালের গলায় ঘন্টা কে বাঁধবে ?
লীলাবতী
এনারা ইসলাম আর পাকিস্থানকে এক করে ফেলেছেন।আর অধর্ম আর মুক্তিযুদ্ধকে এক করেছেন। এনাদেরকে দিয়ে আর কোন আশা না করাই ভালো।
সঞ্জয় কুমার
একদম সঠিক বলেছেন ।
শুন্য শুন্যালয়
শিরোনামের সাথে লেখার বিষয়টা একটু বেমানান মনে হয়েছে আমার। যাই হোক, ওয়াজ মাহফিল কিংবা যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেভাবে লোকজন আনা হয়, মুক্তিযুদ্ধের কথা শোনবার জন্য এতো লোক আপনি পাবেন না। ধর্ম নিয়ে সহজ সরল মানুষদের যেভাবে করায়ত করা যায় তা যুদ্ধ নিয়ে করা যাবেনা। আপনার প্রস্তাব প্রশংসনীয় তবে আমি আশাবাদী না।
সঞ্জয় কুমার
যাই হোক, ওয়াজ মাহফিল কিংবা যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেভাবে লোকজন আনা হয়, মুক্তিযুদ্ধের কথা শোনবার জন্য এতো লোক আপনি পাবেন না। ধর্ম নিয়ে সহজ সরল মানুষদের যেভাবে করায়ত করা যায় তা যুদ্ধ নিয়ে করা যাবেনা। আপনার প্রস্তাব প্রশংসনীয় তবে আমি আশাবাদী না।
আপনারা সবাই যদি নিরাশার কথা বলেন তাহলে আমরা ভরসা কোথায় পাব ?
মাঝে মাঝে মনে হয় কোন প্রয়োজন ছিল না মুক্তিযুদ্ধের । বঙ্গবন্ধু একটা অকৃতজ্ঞ স্বাধীনতা অনিইচ্ছুক জাতি কে জোর করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন । যার উপহার স্বরূপ তিনি নিজেই সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন ।
ধন্যবাদ ভাল থাকবেন ।