প্রচন্ড ধোঁয়াশায় হারিয়ে যাচ্ছে সবকিছু, কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না। অজানা কোন গন্তব্যে হারিয়ে যাচ্ছে সব স্বপ্ন। মনে হচ্ছে সবকিছু দেখা যাচ্ছে আবার দেখাও যাচ্ছে না, অনেকটা আবছা আবছা একে অন্যভাবে ভাঙ্গা আয়নাও বলা যায় যেখানে নিজেকে প্রতিফলন করাটা অনেক কষ্টকর হয়ে ওঠে। আবার অন্যভাবে একে এররাশ কুয়াশার সাথেও তুলনা করা যায় যাতে সবকিছু অন্ধকারে ঢেকে যায়, যত কাছে যাবেন তত স্পষ্ট হবে, কিন্তু সেই স্পষ্টটার কাছে পৌছানো ঢের দেরী।
কি পাঠকবৃন্দ, অবাক হচ্ছেন তাই না? কি বলছি কেন বলছি????
আজ মৃন্ময়ীর গায়ে হলুদ। পুরো বাড়ি লাল, নীল, বাতিতে জ্বলজ্বল করছে, আশেপাশে অনেক মানুষের আনন্দ আর হৈ চৈ এর সমাহারে সেই ছোট্ট বাড়িটি আজ অনেকদিনপর মেতে উঠেছে। ভোরবেলায় দড়জায় নক, আপু দড়জা খোল,একটুপর তোর হলুদ।
মৃন্ময়ী ঘুম চোখে বিরক্তি নিয়ে অবাক না হয়েই দড়জা খুলে বলল এ নিয়ে ১৫ বার হল, যা ঘুমাবো।।। এই বলে মৃন্ময়ী আবার দড়জা লাগিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে আবার ঘুমানোর জন্য চোখ বন্ধ করল,আর সাথে সাথে ফিরে গেল পুরনো ফ্লাশব্যাকে,,,,,,,
মৃন্ময়ীকে প্রথম বরপক্ষ দেখতে এসেছিল, সেদিন মৃন্ময়ীর পরনে ছিল নীল শাড়ী,চোখে টানা টানা কাজল আর হাতে কাঁচের চুড়ি, সাথে তার চুলের খোঁপায় নিজের বাগানের গোলাপ লাগানো। গায়ের রং ময়লা হলেও মৃন্ময়ীর নিজেরই নিজেকে আয়নায় দেখতে অনেক ভালো লাগছিল। বরপক্ষের মা বর, তার বাবা, মামা এসেছিল সেদিন। মৃন্ময়ীকে সামনে আনা হলে প্রথম তাকে হেটে দেখানো থেকে শুরু করে চুল খোলা থেকে, দাঁত দেখানো পর্যন্ত সবকিছু এমনভাবে দেখে নিল মনে হল যে তারা হাটে গরু দেখতে এসেছে। তারপর আসল তাদের দেনাপাওনার কথা, মোটর সাইকেল, ৫ ভরি সোনা,টিভি, ফ্রিজ সহ আরও অনেককিছু তাও আবার অনেক শর্ত, বউয়ের চাকরি করা যাবে না, ঘুম থেকে সকালে উঠতে হবে, এই সেই আরও কত কি???? মৃন্ময়ীর গায়ের রং ময়লা বলে তাদের নাকি এত চাওয়া পাওয়া।
মৃন্ময়ীর বাবা রিটায়র্ড করার পর একমাত্র বাড়িটা আর পেনশনের টাকাই একমাত্র অবলম্বন। তারপর আবার দুই মেয়ে তাই মৃন্ময়ীর বাবার সম্ভব না এতকিছু যৌতুক দেয়া, অগত্যা বিয়েটা ভেঙ্গে গেল সেবার।
মৃন্ময়ী একটা প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরী করে, নিজের জীবনে নিজেই প্রতিস্ঠিত হতে চায় তাই বিয়ে সাদী নিয়ে তার ভাবনা কম। বাবা মায়ের মুখের দিকে চেয়ে মৃন্ময়ী কিছু বলতে পারে না।
কিছুদিনপর মৃন্ময়ীর দূরসম্পর্কের খালা একটা প্রস্তাব নিয়ে আসে। ছেলে আরমিতে জব করে, বিরাট বড়লোক,এক বাপের এক ছেলে আরও অনেক কিছু। মৃন্ময়ীর ইচ্ছা না থাকা স্বত্বেও আবার পাত্রপক্ষের সামনে যেতে হল, এবার পাত্রপক্ষ বিয়ের দিনক্ষন পাকা করে গিয়ে ফোনে জানিয়ে দিল, মৃন্ময়ী নয় তার ছোট বোন মিলিকে তারা চায়। মৃন্ময়ীর মাথায় বিরাট বাজ ভেঙ্গে পরল। এবারও বিয়েটা ভেঙ্গে গেল।
এরপর অনেকদিন মৃন্ময়ীর আর বিয়ে নিয়ে কথা হয়নি। মৃন্ময়ীর মা রেহানা বেগম কথায় কথায় স্বামী হাসান সাহেবের সাথে ঝগড়া করে শুধু ভাইয়ের বাড়ি চলে যায়। স্বামী হাসান সাহেবও সুবিধার না, সারাদিন ঘন্টায় ঘন্টায় চা চাওয়া আর পত্রিকা নিয়ে খ্যাচখ্যাচ আর শুধু সবার গায়ে পরে ভুল ধরা আর উপদেশ দেয়ার চেষ্টায় লেগে থাকে।
অন্যদিকে মিলি ১৫/১৬ বছরের, গায়ের রং দুধে আলতা যাকে একবাক্যে সুন্দরী বলা চলে। সারাদিন রুপচর্চায় মেতে থাকে ময়দা আটা নিয়ে। এছাড়া বাড়িতে তাদের গ্রাম থেকে দূরসম্পর্কের চাচাতো ভাই রতন এসেছে। দেখতে যেমন হ্যাবলাকান্তের মত আচরনেও সেরকমই। এক কথায় গ্রামের সহজ সরল সাদা মনের মানুষ শহরের চাকচিক্যের সাথে যার পরিচয় নেই। যেদিন প্রথম রতন গ্রাম থেকে আসে, সেদিন তার হাতে ছিল ১২ টা মুরগী, ৪ টা হাস, গ্রামের সবরী কলা, ব্যাগভর্তী সবজিসহ আরও অনেক কিছু। সে ড্রয়িং রুম কে হাস মুরগীর রুম ভেবে সেগুলোকে আনন্দে ছেড়ে দেয় সেই আনন্দে হাসমুরগীরা নিজের আবাস ভেবে ছোফার কুশনে বাথরুম করে ফেলে যা দেখে রেহানা বেগম আবার ঝগড়া করে ভাইয়ের বাড়ী যায়। অগত্যা চাকরী আর সংসার সামলানোর দায়িত্ব ঘারে পরে মৃন্ময়ীর।
পর পর ১২ টা বিয়ে ভেঙ্গে যায় মৃন্ময়ী কালো বলে। এ নিয়ে মৃ্ন্ময়ীর কোন মাথা ব্যাথা নেই। দিব্যি চলতে থাকে তাদের জীবন।
এরপর হঠাৎ পথ চলতে চলতে মৃন্ময়ীর পরিচয় হয় ছাপাখানায় কাজ করা এক ছেলে অয়নের সাথে। ধীরে ধীরে চলতে চলতে তাদের মাঝে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরী হয়।
অয়ন দেখতে ফর্সা, লম্বা আর স্বভাবে অগোছালো আর আধপাগলে ধরনের তবে রোমান্টিক ও বটে। রাত ১ টায় ঝুম বৃষ্টি ভিজতে ভিজেতে কলাবাগান থেকে মোহাম্মদপুর হেঁটে চলে আসে। সেই রাত দুপুরে মৃন্ময়ীকে দেখতে পাগলের মত একবার দেখার জন্য জানালায় আসতে বলে❤️।
একবারের ঘটনা,,,,,,,মৃন্ময়ীর খুব পছন্দ কদমফুল। অয়ন সারা ঢাকা শহর কদম ফুল খুঁজে না পেয়ে সেইদিনই শুধুমাত্র কদমফুলের জন্য বগুড়া গ্রামের বাড়ী গিয়ে একগুচ্ছ কদমফুল নিয়ে ফিরে আসে অয়ন, এই হলো অয়নের বৈশিষ্ট্য।
প্রত্যেক মানুষের যেমন ভালো দিক থাকে ঠিক তেমনি একটা খারাপ দিকও থাকে অয়নের ক্ষেত্রে ও তার ব্যাতিক্রম নয়। মাঝে মাঝে হঠাৎ অয়ন কাউকে কিছু না বলে কোথায় যেন উধাও হয়। তাকে ফোনেও পাওয়া যায় না। তবুও মৃন্ময়ী এই পাগলটাকে ভালোবাসে।
আজ মৃ্ন্ময়ীর গায়ে হলুদ। অয়নের বাবা মা নেই বলে দূর সম্পর্কের খালাকে তার আর মৃন্ময়ীর বিয়েতে আনতে গ্রামের বাড়ী যাবে বলে মৃন্ময়ীকে ফোন দেয়,,,,,,” জানালা খোলা দেখে থমকে দাঁড়ালো” ফোনের রিংটোন বেঁজে ওঠায় মৃন্ময়ী পুরোনো ফ্ল্যাশব্যাক থেকে চেতনে ফিরে ফোনটা ধরে,,,,
মৃন্ময়ী ঃ হ্যালো,
অয়ন ঃ মৃন, আমি খালাকে আনতে বগুড়া যাচ্ছি এসে খালা আমার গায়ে হলুদ ছোঁয়ালে সেই হলুদ আমি তোমার জন্য পাঠিয়ে দেব, আর হ্যা তুমি কমলা রঙের শাড়ীটা পরে খোঁপায় আমার আনা একগুচ্ছ কদমফুল গুজে দিবে ❤️এখন রাখলাম বাই।।।।
মন্ময়ী ঃ হ্যালো হ্যালো!!! ফোনটা কেটে গেল, এই হল অয়ন! নিজের কথা গরগর করে বলে কোনকিছু শোনার অপেক্ষা না করে ফোন কেটে দেয়।
মৃন্ময়ী মুচকি হেসে পাগল বলে দড়জা খুলে স্নান করে বাইরে গেল। মিলি বোনের বিয়ের আনন্দে হৈ হৈ করে তাকে টেনে বসালো সবার সামনে, বাড়ীতে গীত হচ্ছে, হাসান সাহেব একটুপর পর চা অর্ডার করছে আর সবাইকে অকারনে আনন্দে ধমকাচ্ছে। রেহানা বেগম পানের বাটা নিয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। মৃন্ময়ীর চাচাতো ভাই রতন ঘর সাজাচ্ছে এক কথায় বাড়ীতে হৈ হৈ অবস্থা। মৃন্ময়ীকে গোসল দিয়ে সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পরল মিলি।।
অপরদিকে অয়ন পরনে কমলা পাঞ্জাবী পরে খালাকে আনতে গেল বগুড়া। বগুড়া গিয়ে খালাকে নিয়ে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে কদমফুল পেরে মৃ্ন্ময়ীর জন্য ব্যাগে ভরিয়ে নেয়। এরপর রওনা দেয় ঢাকার উদ্দেশ্যে।
মৃ্ন্ময়ীকে কমলা শাড়ীতে দারুন লাগছে। কে বলেছে শ্যামলা মেয়েরা সুন্দর না???চোখে টানা টানা কাজল আর ঠোটে লিপস্টিকেই মৃ্ন্ময়ীকে অসাধারন লাগছে। এখন শুধু অপেক্ষা খোঁপায় কদমফুল গুজে দেয়া আর অয়নের গায়ে হলুদ মাখানো হলুদের।
মৃ্ন্ময়ীকে বাসার চিলেকোঠায় হলুদের স্টেজে বসানো হয়েছে। ছোট স্টেজ আলোতে ঝলমল করছে, ছোট ছোট বাচ্চারা নাচছে। বাড়ির সামনে গাড়ীর হর্ন, চিলেকোঠা থেকে মিলি উকি দিয়ে দেখে বলল আপু আমি শিউর অয়ন ভাইয়া তোমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য নিজে এসেছে আমি নিচে যাই বলেই দিল দৌড়। মৃ্ন্ময়ীও মনে মনে জানে অয়ন এভাবে তাকে অনেকসময় হুটহাট সারপ্রাইজ দেয়।
গাড়ি থেকে নেমে এল অয়নের খালা। সবার শোরগোল শুরু হল, চিৎকার চেচামেচি শুরু হল, এত শব্দে মৃ্ন্ময়ী লোভ সামলাতে না পেরে নিচে নেমে এল।
মৃন্ময়ী দেখল ! কয়েকজন লোক গাড়ি থেকে সাদা কাপড়ে কাকে যেন নামাচ্ছে😭 কিছু বোঝার আগেই মৃ্ন্ময়ীর বাবা সেন্স হারিয়ে ফেলল। মৃ্ন্ময়ী এগিয়ে যেতেই প্রচন্ড বাতাস আর ঝরো হাওয়ায় সাদা কাপড়টা মুখ থেকে সরে গেল দেখা গেল অয়নের স্নিগ্ধ সরল হাসিমাখা মুখ যে কিনা মৃ্ন্ময়ীকে বলছে মৃন! আমি এসে গেছি, ❤️এই নাও তোমার একগুচ্ছ কদমফুল, যাও খোঁপায় গুজে আসো দেখি!
বাড়িতে কান্নার শোরগোল পরে গেল, লাল নীল বাতি এক নিমিষেই বিদুৎ যাওয়ায় নিভে পুরো বাড়ি অন্ধকারে ডুবে গেল।
কে যেন একটা ব্যাগ মৃ্ন্ময়ীর হাতে দিল যেখানে ছিল একগুচ্ছ কদমফুল। শান্ত, স্থির, স্তব্ধ মৃ্ন্ময়ী অন্ধকারে দৌড়ে তার বাথরুমে দরজা আটকিয়ে খোঁপায় একগুচ্ছ কদম গুঁজে জোড়ে ঝর্ণা ছেড়ে চিৎকার করে কাঁদতে লাগল, ঝর্ণার পানির শব্দে আর অন্ধকার, অস্পষ্ট বাথরুমে ধোঁয়াশায় ম্লান হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে মৃ্ন্ময়ীর চিৎকার 😭😭😭😭।
ছবিঃ নেট থেকে।
১৭টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
না ! হবে। কি আনন্দেই না গল্পটা পড়ব ! শেষে কষ্ট সেঁটে ঝাটিয়ে বিদায় দিল। কিরে ভাই রোমান্টিক রেখে দিলে কি অনেক ক্ষতি সাধন হত!
রেজওয়ানা কবির
ভাইয়া এখানেইতো লেখার কেরামতি😋পাঠক যা ভাববে তার উল্টোটা দিলাম যাতে শেষ হইয়াও হইল না শেষের মত। একটু শেষটা আনকমনের জন্য বিরহ দিলাম। ধন্যবাদ আর শুভকামনা ভাইয়া।
মোঃ মজিবর রহমান
দুঃখ সহিবার সক্ষমতা দাও আল্লাহ।
আরজু মুক্তা
নাহ্। শেষ টা এমন চাই না। পাল্টে ফেলুন।
মিলনাত্মক হোক।
রেজওয়ানা কবির
আপু কিছু বিরহ সত্যি এমনই হয় ধরা যায় না ছোঁয়া যায় না। ভালো থাকুন,শুভকামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
মৃন্ময়ীর কাছে কাঙ্ক্ষিত ভালোবাসা অধোরাই রয়ে গেলো। সুন্দর সমাপ্তি।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
রেজওয়ানা কবির
আপু কিছু ভালোবাসা এভাবে অধোরাই থেকে যায় তাই সেই ভালোবাসা আঁকড়েই মানুষ বেঁচে থাকে। অনেক অনেক শুভকামনা আপু💘।
রোকসানা খন্দকার রুকু
দুর! কষ্ট না দিয়ে পারেন না বুঝি?
কিছু মানুষের নিয়তি এমনই সুখ যেন তাদের জন্য নয়। তবুও প্রত্যাশা নিয়েই জীবন বহমান। সত্যিকার ভালোবাসা বেঁচে থাকুক এভাবে যা রং বর্ণ কিংবা যোগ্যতার বাইরে।
গল্প কষ্টেরই আমার ভালো লাগে। এমন লেখা আরও চাই। শুভ কামনা রইলো।
রেজওয়ানা কবির
অনেক অনেক ভালোবাসা আপু এতসুন্দর মন্তব্যের জন্য। সত্যিকারের ভালোবাসা যেভাবেই হোক বেঁচে থাকুক সবার জীবনে। হুম কষ্ট ব্যাপারটাই আমার ভালো লাগে, ভালো থাকো,সুস্থ থাকো,শুভকামনা ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এমন পরিণতি চাই না। তবে কিছু কিছু মানুষের জীবনে সুখ, ভালোবাসা অধরাই রয়ে যায়। খুব সুন্দর গল্প। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন শুভকামনা নিরন্তর
রেজওয়ানা কবির
অনেক ধন্যবাদ দিভাই। সবাইতো ভালোবাসা ধরে রাখতে পায় না চাইলেও। ভালোবাসা অবিরাম দিভাই।শুভকামনা।
হালিমা আক্তার
ভালোবাসার এমন করুণ পরিণতি কেন হবে। মৃন্ময়ীদের ভালোবাসা কী এভাবে হেরে যাবে। খুব ভালো লাগলো গল্পটি। শুভ কামনা রইলো।
রেজওয়ানা কবির
আপু সব ভালোবাসার পরিনতি তো আনন্দের হয় না তাই এই গল্পের এই পরিনতি। মৃন্ময়ীর ভালোবাসা তাৎক্ষনিক হেরে গেলেও আসলে তা হেরে যায় নি। মৃন্ময়ীর ভালোবাসা এভাবেই তার অন্তরে সারাজীবন রয়ে যাবে এভাবে। ভালো থাকুন,শুভকামনা আপু।
ছাইরাছ হেলাল
বিয়োগাত্মক করে ই লেখাটি সুন্দর হয়েছে।
কালোদের নিয়ে আমাদের সমাজ এখন ও গোড়াই থেকে গেছে।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অনেকদিনপর আপনাকে পেলাম, অবশ্য আমি ইই অনেকদিনপর এলাম,। বিয়োগাত্নক ব্যাপারটি আমার নিজের খুব ভালো লাগে কেন জানি না,,,,আর হ্যা গায়ের রং নিয়ে এখনো অনেক ভালো ভালো পরিবারেও কথা হয়, গোড়ামী রয়েই গেছে এখনো।
হালিম নজরুল
কদম আমার অতি প্রিয় ফুল।
লেখাটি তেমনই ভাল লাগল।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া, ভালো লাগল জেনে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা।