
দেশের দু-একজন পীর সাহেবদের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে অথবা বড় বড় নামকরা মাওলানা সাহেবদের উপস্থিতিতে ওয়াজ মাহফিলে কিছু ভক্ত হাজির থাকেন। ওয়াজ শুনতে শুনতে তাঁরা আল্লাহর প্রেমে এতই ‘ ইশকে দিওয়ানা ” হয়ে পড়েন যে , কেউ বাঁশ ধরে ঘুড়তে ঘুড়তে চিৎকার দিয়ে ওঠেন , আবার দু-একজন নিজ স্থানে দাঁড়িয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠেন। মাহফিলে আগত অন্যান্য ধর্মপ্রাণ মানুষজন এতে পুলক এবং শোকরিয়া আদায় করেন, এই ভেবে যে- তাঁদের উপস্থিতি সার্থক এবং মাওলানা সাহেব অত্যন্ত বুজুর্গ।
এই ইশকে দিওয়ানা গন গ্রামের মানুষ। তাঁরা বিভিন্ন পীরের মুরিদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। প্রায়ই তাঁরা হঠাৎ এমন ইশকে দিওয়ানা হয়ে নারকেল , আম , জাম , লিচু গাছে উঠে পরেন। ‘ জজবা হালতে ‘ থাকেন তখন তাঁরা ।
এনারা কিন্তু কখনোই কাঁটাযুক্ত গাছে ওঠেন না। প্রশ্নটা এখানেই, কেনো তাঁরা ইশকে দিওয়ানা হয়ে খেজুর গাছে ওঠেননা ? বা মান্দার গাছে ওঠেন না ? তাঁদের তখন যে অবস্থা তা তো বেহুঁশ অবস্থা, দৌড় দিয়ে কাটা হীন গাছ খুঁজে নেয়ার মত হুশ তো তাঁদের তখন থাকে না।
আসল কারন হচ্ছে, এরা ভাড়াটে লোক। বেশী বুজুর্গ প্রমাণের জন্য পীর সাহেবরা এদের দিয়ে ইশকে দিওয়ানার অভিনয় করান। খেজুর গাছ বা মান্দার গাছ একারনেই তারা এড়িয়ে চলে।
সবার জন্য শুভ কামনা।
২৬টি মন্তব্য
ইঞ্জা
হো হো হো হো, সত্যি ভাইজান?
অবাক হলাম না, সত্যি তো এরা ভাড়াটে, নইলে বাকি গুলোও ইশকে দিওয়ানা হয়ে যেতো, সাথে সাথে মান্দার গাছ, খেজুর গাছেও উঠে যেতো, এগুলোই হলো শয়তানের দোসর।
মজা পেয়েছি ভাইজান। 😂🤣
জিসান শা ইকরাম
দিওয়ানা হলেও হুস হাড়ায় না এরা, জাতে মাতাল তালে ঠিক।
শুভ ব্লগিং।
ইঞ্জা
একদম ঠিক বলেছেন ভাইজান।
ফয়জুল মহী
হক মাওলা হক মাওলা । আমি কোন পীরের মুরিদ না ।
জিসান শা ইকরাম
দেশের একটি ব্যাপক জনগোষ্টি পীরের মুরিদ ভাই।
শুভ ব্লগিং।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ ভাবনাময় ———–
জিসান শা ইকরাম
হ্যা ভাই,
শুভ ব্লগিং।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
পীরের মুরিদ আর ট্রেনের তিনতাসের খেলা।।।
ভন্ডামী আর লুটেরাদের লোকঠকানো চালবাজি।।।
ভাবতে অবাক লাগে মানুষ এখনও এগুলো ক্যামনে বিশ্বাস করে।।। দারুন ভাইয়া।।।
জিসান শা ইকরাম
দারুন বলেছেন আপু।
শুভ ব্লগিং।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের ধর্ম কে ঘিরে এমন অনেক কিছুই চালু আছে যা খুবই বিতর্কিত।
উত্তরণের উপায় আমাদের জানা নেই।
জিসান শা ইকরাম
উত্তরন আর হবে কিনা সন্দেহ আছে।
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সত্যিটাই বলেছেন দাদা ভাই। এতোই যদি পেয়ার , মহব্বত তাহলে বেহুঁশ হয়ে এসব কাঁটাযুক্ত গাছে ওঠাটাই স্বাভাবিক ছিল। সবকিছু লোক দেখানো। হাসলাম অনেক। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো
জিসান শা ইকরাম
কাঁটাযুক্ত গাছে এরা কখনো উঠবে না ছোটদি।
শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
অতি ভক্তি চোরের লক্ষন। ঠিক ধরেছেন। এটা সব জায়গায় বিদ্যমান।
আসল কারন হচ্ছে, এরা ভাড়াটে লোক। বেশী বুজুর্গ প্রমাণের জন্য পীর সাহেবরা এদের দিয়ে ইশকে দিওয়ানার অভিনয় করান। খেজুর গাছ বা মান্দার গাছ একারনেই তারা এড়িয়ে চলে।
যেটাকে হুশের পাগল।
ভাল লিখলেন ভাইজান। শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
ঠিক বলেছেন দাদা।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
কথাতো সত্য! এরা আসলে ভাড়াটে লোক। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এক বিধর্মী ওয়াজ মাহফিলে আলাদাভাবে ৭ বার মুসলমান হয়েছে এমন নিউজও দেখেছি।
সবই এদের ব্যাবসায়িক ধান্দা ভাই। চমৎকার একটি বিষয়ে লিখেছেন। শুভকামনা সবসময়।
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা , সাতবার মুসলমান হয়েছে আলাদা আলাদা ভাবে!
এদের থেকে পরিত্রানের উপায় নেই ভাই আর।
শুভ ব্লগিং।
এ. আর. মানিক
না হেসে পারলাম নাহ …
জিসান শা ইকরাম
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
সাধারণ মানুষই এইসব ফাঁকিতে পরে
জিসান শা ইকরাম
হ্যা ফাঁকিতে পরে সাধারণ মানুষ।
শুভ কামনা।
ইসিয়াক
ধোকায় পড়ে বোকা বনে যাওয়াই যেন বাঙালি জাতির নিয়তি। আসলে অতিরিক্ত আবেগী জাতি হলে যা হয়।বিচার বিবেচনা নিয়ে কাজ করতে হবে সেদিন এই সব ভন্ডরা আর সুবিধা করতে পারবে না।
ধন্যবাদ
জিসান শা ইকরাম
আমাদের দেশে ধর্মের বিষয়ে বিচার বিবেচনা অচল ভাই।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
ভাড়া করা ভক্তের দৌড় খেজুর গাছের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছায় না। ইশকে দিওয়ানার নমুনা দেখলাম।
জিসান শা ইকরাম
ঠিক বলেছেন ম্যাডাম।
দিওয়ানা হলেও এরা কাঁটাযুক্ত গাছের কাছে ঐ সময় যাবে না।
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
জজবা হালতে ‘ এটা কি আমার জানা নাই ভাইজান বুঝাবেন।
আমি মুরিদ হব!!
সব হালায় ধান্দাবাজ।
শুভ ব্লগিং ভাইজান।