কেউ এক জন দেখছে আমায়, আড়াল থেকে আড়াল হয়ে, চোখ টান করে টানাটানা চোখে,
সকালের ঝাঁপি খুলে, স্বপ্ন বোনা মায়াবী চোখে, স্বপ্নের সোনা বিকেলের রং মেখে,
অপলক মিষ্টি হাসির দ্বার খুলে। চোখ গেলে কাঁদেন, কাঁদলেও রাগে না, স্বপ্নময় জাদু চোখ,
সাবিত্রী সে, মায়াবিনী সে,
স্বপ্নে থেকে স্বপ্নের চোখে নিরন্নের থালায় চোখ ফেলে নির্নিমেষ; এলো চুল, বুকে জলপাই ঘ্রাণ,
প্রশ্নহীন নির্জন রাতের অভিসারে অনিদ্রিত স্বপ্ন হেঁটে বেড়ায় রাত্রির এ কুল থেকে ও কুলে, বিবক্ষায়।
অপ্সরীর নতজানু সেঁজুতি চোখ জেগে থেকেই ঘুমায় অনিঃশেষ সুবিশ্বাসী স্বজনপ্রীতিতে,
হাসির সৌরভ মেখে, দ্বিধার দ্বন্দ্বে।
৪৫টি মন্তব্য
লীলাবতী
কেউ একজন দেখছে আড়াল থেকে?আপনি জানলেন কিভাবে?তাহলে তো আর আড়াল থাকলো না,প্রকাশ্যেই দেখছে 🙂
আউলা ঝাউলা অবস্থা নাকি?
ছাইরাছ হেলাল
সব আড়াল আড়াল নয়, আড়াল থেকে দেখলেও বোঝা যায়, বুঝিয়ে দেয় দেয়।
আউলা ঝাউলা নয় এত সোজা।
অরুনি মায়া
ওরে এ দেখি আমার চোখের বর্ণনা। আমি দেখছি নাতো?
আপনি আমায় দেখে ফেললেন নাতো????
হুবহু আমারি তো চোখ ;?
ছাইরাছ হেলাল
ধরে ফেললেন?
আপনাকে ভেবেই লেখা!!
অরুনি মায়া
হা হা হা আড়ালে গিয়ে দেখার মজাই আলাদা,,,,,,,
ছাইরাছ হেলাল
দেখতে থাকুন, তবে কী দেখছেন তা কিন্তু বলা যাবে না।
অরুনি মায়া
না বলবনা। ঘরের কথা পরে জানবে কেন। আপনি যা ইচ্ছে করতে থাকেন আমি এক চোখ দিয়ে উঁকি মারছি। 🙂
অরুনি মায়া
তবে লেখা কিন্তু চমৎকার হয়েছে তখন বলা হয়নি,,,,,
ছাইরাছ হেলাল
সে আপনি দেখলে সমস্যা নেই।
আপনার জন্যই লিখছি!! যখন।
ছাইরাছ হেলাল
চমৎকার আপনি বললে আর কারো বলার কিছু নেই।
অরুনি মায়া
আমার কি দোষ যেমন চোখের বর্ণনা দিয়েছেন তা হয় আমার চোখ নয় কুরবানীর গরুর চোখ। ওই যে বড় বড় টানা টানা মায়াবী।
জানি বোঝার ভুল।কিন্তু দোষ কিন্তু আমার নয়। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আপনার দোষ হতেই পারে না, আপানার চোখ দেখেই তো এমন বর্ণনা দিলাম।
কটমট করে তাকালেও সমস্যা নেই। তাকাতাকি চালু রাখলেই হবে।
জিসান শা ইকরাম
আড়াল থেকে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে সে দেখছে আপনাকে?
বাপরে এ যে দেখছি সন্ত্রাসী একজন আড়ালি।
লেখা ভালো হচ্ছে
কেউ একজন লিখিয়ে নিচ্ছে এসব বুঝতে পারা যায়।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যি ভয়ানক আড়ালী, দুর্ধর্ষ ও বলতে পারেন।
কে যে কাকে লেখায় বোঝা বড়ই দুরূহ, লেখা পালালে কারো সাধ্য নেই লিখিয়ে নেয়ার।
সবই মায়া ক্ষনিকের।
অরুনি মায়া
মায়া ক্ষনিকের 😮
আমি ক্ষনিকের ;(
ঠিক আছে তবে চললাম
আমি চললাম,,,,,,,,
ছাইরাছ হেলাল
উহ, এ মায়া আপনি মায়া নন,
তাই আপনি আমাদের ফেলে যেতে পারেন্না।
নীলাঞ্জনা নীলা
খুব মিষ্টি কবিতা। কড়া মিষ্টিও না, আবার একেবারে সুগার ফ্রীও না। ঠিক নারকোলের সন্দেশ। আপনার লেখা থেকে অনেকগুলো বছর পর নারকোলের সন্দেশ খাওয়া হলো।
তবে একটি কথা, আমি খুবই সাধারণ একজন। আজকাল আপনার লেখাগুলো একই টাইপ হয়ে যাচ্ছে লাগছে। হয়তো আমার ভুল। অবশ্য মন্দও নয়। অন্ততপক্ষে রাই-এ এসে কিছুটা থিতু তো হলেন! যা লম্বা লাইন। রাই কে জানিনা, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা যে সে আপনার গতিতে ব্রেক লাগাতে পেরেছে। জয়তু রাই। (y) -{@
গান শুনুন http://mio.to/album/Swagatalakshmi+Das+Gupta/Ekla+Gitabitan+Vol+61+%282012%29
আমার বুড়োর কিছু বিরল সঙ্গীত।
ছাইরাছ হেলাল
সামনে পূজো, দৈবক্রমে ঠাকুরের কৃপায় কিছু পেয়ে গেলে সে সবারই আনন্দ।
আপনি পেলে বা বিলালে তো কথাই নেই।
ভালুবাসা বয়ে যাচ্ছে অহর্নিশ প্রান্তর থেকে প্রান্তরে। ‘সদা আনন্দ এ ধামে’ এই সিস্টেমে।
তবে ‘রাই’ পর্বে এমন গড়াগড়ি কিন্তু স্বাভাবিক। তা ঠিক বিনোদিনী কঠিন এক বস্তু। ব্রেক না মেরে উপায় আছে!!
তবে গুরু কৃপায় যে দিকে চোখ সে দিকে সোনা না ফলাতে পারলেও আব জাবের অভাব কোন কালেই হবে না সে নিশ্চয়তা দিচ্ছি বুকে ফুঁ হাতে তুড়ি দিয়ে।
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো কঠিন মন্তব্য করলে আমি কিন্তু আর লিখবোই না।
রাই তো এখন রূপকথা নাকি দেবীতে গেছে। মাগো মাথা আউলাইতাসে ^:^
ছাইরাছ হেলাল
রাই আছে, থাকবেও, ‘মেরে ফেল্ববো’ সিস্টেমে।
সাথে গরম পানি রাখুন মাথায় ব্যবহারের জন্য, বিষে বিষ ক্ষয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালোই বলছেন। শুনে রাখুন এক মাঘে কিন্তু শীত যায়না।
ছাইরাছ হেলাল
পিঠা পুলি আমাদের প্রতি শীতেই খেতে হয়।
গরম পানির ব্যাপারটি মাথায় রাখবেন প্লিজ।
নীলাঞ্জনা নীলা
ইস অমন মায়াবিনী এ জীবনে আমি হতে পারলাম না। ;(
কবিভাই বেশী বেড়েছেন কিন্তু। গরম জল আপনার মাথায় ঢালবো। আর পিঠে-পুলির সাথে পিটাও থাকবে। কঞ্চি চেনে তো? :D)
ছাইরাছ হেলাল
কোথায় পুজোর দাওয়াত দিবেন তা না,
শুধু মারধোরের ভয় দেখাচ্ছেন, এ ভারী অন্যায্য আচরণ।
ছাইরাছ হেলাল
গান তো বাজাতে পারলাম না।
নীলাঞ্জনা নীলা
আচ্ছা দেখি তো। ওহ আপনাকে একাউন্ট খুলতে হবে। আমি তো ঠিকই শুনতে পারলাম এখন।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা খুলে নেব।
অরুণিমা
অত্যন্ত সুন্দর একজনকে চিনিয়ে দিলেন আমাদের।আড়ালে এভাবেই থাকুন তিনি,আমরা তার কথা শুনবো আপনার লেখায়।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই তিঁনি সুন্দর! উনি আড়াল পছন্দ করে আড়ালেই থাকতে চান।
অবশ্যই আমরা তার কথা শুনব যদি তিনি তা বলেন।
ধন্যবাদ।
সিকদার
আড়াল মানেই রহস্য আর রহস্য মানেই কৌতুহল , কৌতুহল মানেই খোজ , খোজ মানেই পাওয়া । ছাইরাছ ভাই পেলে জানাবেন ইয়ের তারিখটা কবে 😀
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই সবাইকে জানাব। কিন্তু ঘটনা তো খুবই অসম্ভব রকমের কাল্পনিক।
ব্লগার সজীব
আড়াল চোখে কি দেখছে তা যদি প্রকাশ করে দেন,লজ্জা পাবেনা সে?তার চেয়ে থাকুক না কিছু অপ্রকাশিত আবেগ। প্রকাশ করিয়া লজ্জা দিবেন না 😀
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, এত করে যখন বলছেন, থাকুক না কিছু গুপন।
কাউকে লজ্জা দেয়া ঠিক না।
মেহেরী তাজ
এখন কি লুকাচুরি খেলা চলছে??? ;?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ই খবর রাখেন না আজকাল।
কী আর করা।
মেহেরী তাজ
কে বলছে খবর রাখি না?? আপনিই না বলছেন আড়াল থেকেও দেখা যায়। সেটার প্র্যাকটিস করছি। 🙂
ঈদ মোবারক।
ছাইরাছ হেলাল
ভাল করে মকশো করুণ,
আপনাকেও ঈদ মোবারক।
শুন্য শুন্যালয়
এমন চোখ আড়াল করে আর পালাবে কোথায়? কবির চোখ যে তাহার চোখের চাইতে ধারালো, ধরা তাকে পড়তেই হবে। কএক গাছি এলো চুল কপাল আর চোখ জুড়ে ছড়িয়ে ছড়িয়ে মায়াবিনী এমনি করেই দেখুক কবিকে, দেখাক মায়ারা কিভাবে বাঁধে বিনিসুতোয়। শতশত প্রশ্নের বানে প্রশ্নহীন হতে পারা কম কথা নয়। আপনার লেখা আপনার মতোই।
ছাইরাছ হেলাল
কারো ই কোথাও পালাবার পাথ নেই, আকীর্ণ করে রাখি নিজেরাই মায়ার ছলে।
শুধু লেখককে কেন সবাইকেই চোখ চোখে রাখে, বাঁধুক বিনি সুতোয়, কেন সোনার শিকলে নয়!!
প্রশ্নহীন হলে প্রশ্নবাণ এড়ানোর সহজ পথ, আপনার মন্তব্য ও আপনার মতই।
ব্লগার সজীব
ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক! -{@ ঈদের দিনের আনন্দ থাকুক আপনার মাঝে বছরের প্রতিটি দিন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও ঈদ মুবারক, এ আনন্দ বাজুক সোনেলার সবার হৃদয়ে সারা দিন সারা বছর জুড়ে।
শুন্য শুন্যালয়
আপনি দেখছি আড়ালের দিকেও নজর রাখছেন!! চোখের যা বর্ননা দিলেন, সায়রা বানুর মতো লাগছে। কিন্তু সে আপনারে দেখছে ক্যান? ;?
ছাইরাছ হেলাল
দেবীরা নিরন্নের থালায় দয়াপরবশ হয়ে চোখ ফেলে।
পরে অবশ্য কী জানি কী হয়ে যায়।
ইস, সায়েরা বানু হলে তো হয়েই যেত!!
সীমান্ত সৈকত
দেখুক না……… এমন করে কেউ দেখছে অনুভুতিতাই অন্যরকম……… দেখতে দিন… 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা দেখুক, দেখতেই থাকুক।
ধন্যবাদ।