
এ এক অদ্ভুত বিহ্বলতা, (আমাকে)ঘিরে ধরে,
ঘিরে রাখে, ঝুপ করে নামা, বিকেল-বৃষ্টি;
হুট করে ঢেকে দেয়া সকাল-কুয়াশা,অসময়ে;
মন্দ লাগে-না, সকাল-সন্ধ্যায় এই উত্যক্ততার খুনসুটি।
কৃষ্ণচূড়ার পথ ধরে হারিয়ে যাওয়ার ভান করে
লুকিয়ে যায়, হঠাৎ ছুঁয়ে যাওয়া কুয়াশা-বৃষ্টি,
বিহ্বলতায় থমকে যেতে মন্দ লাগে না,
বিরক্ত হতেও;
হঠাৎ ফিরে আসে আলোক-বন্যা,
চোখ ধাঁধিয়ে চোখ ছুঁড়ে বলে,
এই তো,
এই যে আমি, আলোক-সুন্দর।
ছবি……নেটের
৩৪টি মন্তব্য
সুরাইয়া নার্গিস
অসাধারণ লাগলো লেখাটা, মুগ্ধতা ছড়ানো।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ফয়জুল মহী
অনুপম, ভালোই হয়েছে।
ছাইরাছ হেলাল
ভাল থাকবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এইসময় কৃষ্ণচূড়ার পথ ধরে হেঁটে যেতে তাও বৃষ্টিস্নাত পথে, অসাধারণ অনুভূতি। মন ছুঁয়ে গেল ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা সবসময়ের জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
কল্পলোকে কত কিছুই না বিরাজ করে।
ভাল থাকবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
“হঠাৎ ফিরে আসে আলোক-বন্যা,
চোখ ধাঁধিয়ে চোখ ছুঁড়ে বলে,
এই তো,
এই যে আমি, আলোক-সুন্দর। “
কত সুন্দর করে বর্ণনা করে গেলেন
আলোক-সুন্দর বর্ণমালা আলাপন
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
সুন্দর কী না জানি না, তবে ভাবনারা ডানা মেলে দেয় আপন মনে।
ভাল থাকবেন ভাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রকৃতির নির্মল খুনসুটি মন্দ লাগে না কখনোই।
একটু রেগে হেসে উঠে, মন খারাপে মেঘ জমে, রেগে গেলে তাপে পোড়ায়, আবার পিপাসিত মন শীতল করে দেয় তুমুল বর্ষণে। এমন প্রকৃতির প্রেমে পড়ে কেউ কবি হয়, কেউ কবিতা হয়ে যায়।
এমন আহ্লাদী প্রকৃতিকে আদরের সাথে ভালোবেসে কাছে যে টেনে নেয়, সেইতো প্রেমিক!
ওহহো! মহারাজ, শুনেছি প্রেমিকের মন উদার হয়। তাহলে আপনার লেখা এতো কুঁঁকড়ে আসছে কেন? আপনি কি কিপটুস প্রজাতির প্রেমিক?
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা! এর মধ্যে ‘পেম-পিরিতি’ কী দেখলেন/পেলেন বুঝছি না।
লেখক এখানে ‘পেম’ বিলানোর দু:সাহস দেখিয়েছে বলে তো মনে হচ্ছে না।
প্রকৃতির আপনাপন নিয়মগুলো পর্যবেক্ষণে নিয়েছে মাত্র।
আপনি /আপনারা কবি মন নিয়ে পাহাড়-গমন করতেই পারেন,
লিখক কবি বা কবিতার কিচ্ছু জানে না, তা ছাড়া অস্তিত্বহীন বিষয়-ভাবনা সবাই ভাবতেও পারে না।
লেখা কৈ!
কামাল উদ্দিন
আলোক-বন্যা কিংবা কুয়াশা বৃষ্টি, প্রকৃতির এমন খেয়ালি আচরণ কবিদের ভালো লাগবে এটাই স্বাভাবিক……..শুভ কামনা জানবেন কব।
ছাইরাছ হেলাল
সবার-ই ভাল লাগে, কেউ বলে ফেলে কেউ বা চেপে রাখে।
নিরাপদে থাকুন।
কামাল উদ্দিন
আমরা সাধারণরা হয়তো উপভোগ করেই ক্ষান্ত, (অবশ্য উপভোগ করার চোখ বা মনই থাকে কজনার?) কবিরা কালো কালিতে তার বাস্তব রূপায়ন ঘটায়
ছাইরাছ হেলাল
চোখ-মন সবার-ই আছে, থাকেও,
শুধু একটু রগড়ে নিতে হয় টাইম মত!!
ইঞ্জা
এ এক অদ্ভুত বিহ্বলতা, (আমাকে)ঘিরে ধরে,
ঘিরে রাখে,ঝুপ করে নামা, বিকেল-বৃষ্টি;
হুট করে ঢেকে দেয়া সকাল-কুয়াশা,অসময়ে;
মন্দ লাগে-না, সকাল-সন্ধ্যায় এই উত্যক্ততার খুনসুটি।
দারুণ এবং উপভৌগ্য কবিতা দিলেন ভাইজান, সত্যি ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার ভাল লাগছে এ কথা শুনলেই আর একখানা লিখে ফেলতে মন চায়।
সাবধানে থাকবেন।
ইঞ্জা
লিখতে অসুবিধা নাই ভাইজান, কুবিরাজ লিখতেই পারেন।
শুভকামনা অশেষ।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই যখন বলছে, চালু রাখলাম কিন্তু!
সুরাইয়া পারভীন
বিকেল-বৃষ্টির মন জুড়ানো শীতল স্পর্শ
সকাল-কুয়াশার স্বচ্ছ শিশি ছোঁয়া নাঙাপায়
কৃষ্ণচূড়ার চোখ জুড়ানো রঙিম আভা
কুয়াশা-বৃষ্টির হাড় কাঁপানো হিম বাতাস
প্রকৃতির এমন নির্মল খুনসুটি আজন্ম মাতিয়ে রাখুক
মহারাজ কবিরাজকে
ভালো থাকুন এসবেই
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো দেখছি এই লেখা থেকেও সুন্দর-প্রকৃতি দেখিয়ে দিলেন!
প্রকৃতিকে ভাল না বাসতে পারলে নিজেকেও ভালবাসা যায় না।
আর নিজেকে ভালোবেসে দাঁত দেখাতে না পারলে তো সব র্থহীন।
বাবুকে নিয়ে নিরাপদে থাকবেন।
সুরাইয়া পারভীন
নিজেকে ভালোবাসতেই তো চাই
হয়ে উঠে না তো
আজ বাবুটা কানে ব্যথা পেয়েছে। এতো দুরন্ত না
ভালো থাকুন ভাইয়া
ছাইরাছ হেলাল
বাবুটি আরগ্য কামনা করি।
আপনি চাইলেই সঠিক ভাবে এগুতে পারবেন।
ভাল থাকুন।
তৌহিদ
বাহ! প্রকৃতির এমন অপরুপ খেয়ালে নিজেকে বিলীয়মান হতে দেখতে চাওয়ার আশা পূরন হোক।
ছাইরাছ হেলাল
প্রকৃতি আমাদের বাঁচতে শেখায়, বাঁচাতেও।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মাছুম হাবিবী
প্রকৃতির এই সুন্দর্য্যগুলো একজন লেখক খুব সুন্দর করে তুলে ধরতে পারেন। লেখায় প্রকৃতিকে আলোকিত করা হয়েছেছে, প্রতিটি লাইনে মুগ্ধকর অনুঁভূতি
সত্যি ভাইয়া বেশ ভালো লিখেছেন
ছাইরাছ হেলাল
আসলে যে যার মত যেটুকু তুলে ধরতে পারে এই দেখা প্রকৃতিকে,
সেটুকুই শান্তনা তার তার নিজের জন্য, বাঁচার জন্য।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
জিসান শা ইকরাম
কবিরা কতকিছু দেখে, কতকিছু অনুভব করে, কতকিছু পায়!
দুর্ভাগা আমরা যারা কবি না 🙁
ছাইরাছ হেলাল
কবিরা কিন্তু খুব খ্রাপ! কিছু পায় না।
যারা কবি না তারাই মহান।
নিতাই বাবু
ক’দিন আগের মতো সেই হাঁট, সেই চলা, সেই বিশুদ্ধ আলো, সেই বিশুদ্ধ বাতাস কি আর কখনো আমরা পাবো, কবি মহারাজ? দিন যতই যাচ্ছে, ততই সবকিছু দূষিত হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে মানুষের দেহটাও দূষিত হয়ে গেছে। আমি নিজেও একজন বেঁচে থাকা দূষিত মানব।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে জীবনের মানেই পাল্টে যেতে বসেছে এই করোনাকালে।
নিরাপদে থাকুন।
হালিম নজরুল
এই তো,
এই যে আমি, আলোক-সুন্দর।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, সে তো দেখতেই পাচ্ছি।
ভাল থাকবেন।
হালিম নজরুল
আমি একা নই, আপনাকেও ভাল থাকতে হবে।
ছাইরাছ হেলাল
দোয়ায় রাখবেন।